সুমাইয়া সুগরা অনন্যা
পূর্ব কঙ্গোর একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে জন্ম নেন নিমা নামাদামু। সে গ্রামে শিক্ষা ছিল সোনার হরিণ। তার পেছনে ছুটে নানা প্রতিকূলতা পার করে শিক্ষাজীবন শেষ করেন নিমা। এরপর সরকারি চাকরি করেন তিনি। তবে ২০১২ সালে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন কঙ্গোর নারীদের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়নের আন্দোলন। ‘মমন সুজা’ (হিরো উইমেন) ও ‘হিরো উইমেন রাইজিং’ নামের দুটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। কিন্তু কেন এই আন্দোলন?
২০১২ সালে নিমার ২৫ বছর বয়সী কন্যাকে সরকারি সৈন্যরা নির্মমভাবে আক্রমণ করেছিল। সে ঘটনা তাঁকে ক্ষুব্ধ করে তুললেও প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলেনি। নিমা ভেবেচিন্তে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নেওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন সিনার্জি অব কঙ্গোলিজ উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন। এটি এমন একটি ফোরাম, যা শান্তি ও নারী অধিকারের জন্য কাজ করে। এর মাধ্যমে নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করা এনজিওগুলো একত্র হয়ে তাদের আন্দোলনের নাম দেয় ‘মামান সুজা’।
নিমার সংগঠন শিক্ষা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের প্রতিবাদকে বেগবান করে এবং অধিকারের পক্ষে কথা বলতে শেখায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির সদস্যরা যৌন সহিংসতা থেকে শান্তি এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। একপর্যায়ে তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। শুধু নারীদের জন্য নয়, নিমা কাজ করেছেন পরিবেশের জন্য। নিমা দামুর নেতৃত্বে অবৈধ কাঠ কাটা বন্ধ হয়। পুরোনো বর্ধিত বন সংরক্ষণ সম্পর্কে প্রচার করে সে সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছিলেন তিনি।
পোলিও আক্রান্ত নিমার কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়নি। শিশুকাল থেকে ক্র্যাচ নিয়ে চলাফেরা করেন নিমা। এরপরও তিনি তাঁর জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতিবন্ধী প্রথম নারী, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। ছিলেন সংসদ সদস্য এবং দেশটির জেন্ডার ও পরিবারমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
নিমা আফ্রিকা অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী নারী। তাঁর কাজ ও সংগঠন বিভিন্নভাবে নারীদের, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ও পরিবেশের জন্য কাজ করে। ২০১৮ সালে তিনি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স ফোরাম থেকে মেরেডিথ ম্যাক্রেই এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান। ২০২৩ সালে বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় জায়গা করে নেন।
পূর্ব কঙ্গোর একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে জন্ম নেন নিমা নামাদামু। সে গ্রামে শিক্ষা ছিল সোনার হরিণ। তার পেছনে ছুটে নানা প্রতিকূলতা পার করে শিক্ষাজীবন শেষ করেন নিমা। এরপর সরকারি চাকরি করেন তিনি। তবে ২০১২ সালে সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেন কঙ্গোর নারীদের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়নের আন্দোলন। ‘মমন সুজা’ (হিরো উইমেন) ও ‘হিরো উইমেন রাইজিং’ নামের দুটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তিনি। কিন্তু কেন এই আন্দোলন?
২০১২ সালে নিমার ২৫ বছর বয়সী কন্যাকে সরকারি সৈন্যরা নির্মমভাবে আক্রমণ করেছিল। সে ঘটনা তাঁকে ক্ষুব্ধ করে তুললেও প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলেনি। নিমা ভেবেচিন্তে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত নেওয়াকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন সিনার্জি অব কঙ্গোলিজ উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন। এটি এমন একটি ফোরাম, যা শান্তি ও নারী অধিকারের জন্য কাজ করে। এর মাধ্যমে নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করা এনজিওগুলো একত্র হয়ে তাদের আন্দোলনের নাম দেয় ‘মামান সুজা’।
নিমার সংগঠন শিক্ষা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের প্রতিবাদকে বেগবান করে এবং অধিকারের পক্ষে কথা বলতে শেখায়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির সদস্যরা যৌন সহিংসতা থেকে শান্তি এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছেন। একপর্যায়ে তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। শুধু নারীদের জন্য নয়, নিমা কাজ করেছেন পরিবেশের জন্য। নিমা দামুর নেতৃত্বে অবৈধ কাঠ কাটা বন্ধ হয়। পুরোনো বর্ধিত বন সংরক্ষণ সম্পর্কে প্রচার করে সে সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করেছিলেন তিনি।
পোলিও আক্রান্ত নিমার কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো কিছুই প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়নি। শিশুকাল থেকে ক্র্যাচ নিয়ে চলাফেরা করেন নিমা। এরপরও তিনি তাঁর জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতিবন্ধী প্রথম নারী, যিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। ছিলেন সংসদ সদস্য এবং দেশটির জেন্ডার ও পরিবারমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
নিমা আফ্রিকা অঞ্চলের অন্যতম প্রভাবশালী নারী। তাঁর কাজ ও সংগঠন বিভিন্নভাবে নারীদের, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ও পরিবেশের জন্য কাজ করে। ২০১৮ সালে তিনি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স ফোরাম থেকে মেরেডিথ ম্যাক্রেই এমপাওয়ারমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পান। ২০২৩ সালে বিবিসির ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় জায়গা করে নেন।
দেশে সবকিছু নিয়ে একটি পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু নারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের অধিকার, তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে অংশগ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে কতটুকু কথা হচ্ছে? নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে কথা হচ্ছে। এর মধ্যে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্বের...
৩ দিন আগে১২ আগস্ট মঙ্গলবার, সকালেই এক গভীর শূন্যতা নেমে এল চারপাশে। অধ্যাপক মাহফুজা খানম আর নেই! বুকের ভেতর যেন এক অপার শূন্যতার ঢেউ আছড়ে পড়ল। মানুষ চলে গেলে পৃথিবী তো থেমে যায় না, আকাশের রংও বদলায় না, রাস্তাঘাটে মানুষের ভিড় থাকে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পৃথিবী থেমে যায়। আমার কাছে তিনি শুধু একজন খ্যাতিমান..
৩ দিন আগেযুদ্ধের উত্তাপে জর্জরিত গাজায় প্রতিটি মুহূর্তে মৃত্যুর ছায়া ঘোরে। তবু সেখানে নতুন প্রাণের আশা যেন এক অনন্য বিজয়। গাজার আসসাহাবা মেডিকেল কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স আর ইন্টার্নরা এই জীবন ও মৃত্যুর এক অপরিহার্য সম্পর্কের সাক্ষী হয়ে ওঠেন প্রতিনিয়ত। সেখানে অনিশ্চিত নিকষ কালো..
৩ দিন আগেআমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ি। একটি ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল কলেজজীবন থেকে। সে এখন একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমাদের কথা বন্ধ হয়ে যায় এক বছর আগে তার ইচ্ছাতেই। এ ঘটনায় আমি খুবই বিষণ্ন হয়ে যাই। পরে তা কাটিয়ে উঠি। কিছুদিন আগে সে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে আনব্লক করে, স্টোরি দেখে...
৩ দিন আগে