কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোর মতো উদ্যোক্তা নারীর সন্ধান পাওয়া বেশ খানিকটা বিরল ঘটনা। এ কাজ করে কৃষিতে অবদান রেখেছেন নাসরিন নাহার আশা। তিনি ‘উতসব সীড ফার্মে’র নির্বাহী পরিচালক। এই ফার্মের প্রধান কার্যালয় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলের রাজধানীখ্যাত গদখালীতে। সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর অর্জন করে বিএড করা এ নারী এক যুগের বেশি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি করেছেন।
২০০৬ সালে স্বামীর প্রেরণায় নিজ উদ্যোগে তিনি ‘উতসব সীড ফার্ম’ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু হয় কৃষি আর কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে আশার পথচলা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের গাজীপুর দপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করে শুরু হয় তাঁর বীজ উৎপাদন। সেই বীজ ব্যবহার করে কৃষক বাম্পার ফলন পাওয়ায় বেড়ে যায় তাঁর বীজের কদর। বর্তমানে তাঁর ১৫ জন চুক্তিভিত্তিক কৃষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন কৃষক ধানবীজ এবং ফুলবীজ উৎপাদন করেন আরও ৫ জন। তিনি নিজেও ফুলবীজ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। উৎপাদিত এসব বীজের মধ্যে আছে আমন মৌসুমের জন্য ব্রি ৫১, ৫২, ৫৭, বোরো মৌসুমের জন্য ব্রি ৫০, ৬৩, ৮১ ও ৯০ জাতের ধানবীজ। আছে গ্ল্যাডিওলাস ও রজনীগন্ধা ফুলের বীজ। গত বোরো মৌসুমে তিনি পাঁচ টন ধানের বীজ তৈরি করেছিলেন।
গদখালী এলাকার সৈয়দপাড়া গ্রামের সেলিম রেজা বলেন, ‘উতসব সীড ফার্মে’র ধানের বীজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করি। তাতে ফলন ভালো হয়। এবারও ব্রি ৬৩সহ তাঁর কাছ থেকে কয়েক পদের ধানবীজ কিনে পাতা ফেলেছি। উপজেলার নন্দী ডুমুরিয়া গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান জানান, ‘উতসব সীড ফার্মে’র ধানের বীজে প্রতি বিঘায় ফলন হয় ২৫ থেকে ৩০ মণ।
নাসরিন নাহার আশা শুধু নিজে বীজের উদ্যোক্তা নন; কৃষিতে নারী অংশীদারির জন্য গড়ে তুলেছেন উতসব অ্যাগ্রো মহিলা সমবায় সমিতি। সেই সমিতিতে সদস্য আছেন ২০০ নারী। প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার সমিতির সদস্যদের বীজ সংরক্ষণ ও চাষাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তা ছাড়া নারী স্বাস্থ্য, বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান নিয়েও আলোচনা করা হয় নিয়মিত। উতসব অ্যাগ্রো মহিলা সমবায় সমিতির সদস্যদের বাড়িতে দেশি হাঁস-মুরগি থাকা বাধ্যতামূলক।
কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য নাসরিন নাহার আশাকে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কৃত করে। একই বছর ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে (ইরি) তিনি নেপাল সফর করেন। ২০১৩ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিসিএস কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার পান তিনি। ২০১৫ সালে ভারতের তিনটি রাজ্যে ১১ দিনের সফরে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করেন ডিএআই ও বিএফএসের উদ্যোগে। এ বছর তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের মাধ্যমে সোসাইটি ফর ব্রাইট সোশ্যাল সার্ভিসেসের বাস্তবায়নে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ড. ওয়াইএসআর হর্টিকালচার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাই-প্রোডাক্ট তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পান। ২০১৭ সালে তিনি উপজেলা জয়িতা নির্বাচিত হন।
নাসরিন নাহার আশা দুই পুত্রসন্তানের মা। স্বামী ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রামের আবদুর রহিম। তিনিও কৃষিকাজ করেন এবং উদ্যোক্তা। নাসরিন নাহার আশার স্বপ্ন, ভবিষ্যতে তাঁর ফার্মটি যেন জাতীয় পর্যায়ে ভালো বীজ উৎপাদন করে দেশের কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
কৃষিতে বিপ্লব ঘটানোর মতো উদ্যোক্তা নারীর সন্ধান পাওয়া বেশ খানিকটা বিরল ঘটনা। এ কাজ করে কৃষিতে অবদান রেখেছেন নাসরিন নাহার আশা। তিনি ‘উতসব সীড ফার্মে’র নির্বাহী পরিচালক। এই ফার্মের প্রধান কার্যালয় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলের রাজধানীখ্যাত গদখালীতে। সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর অর্জন করে বিএড করা এ নারী এক যুগের বেশি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি করেছেন।
২০০৬ সালে স্বামীর প্রেরণায় নিজ উদ্যোগে তিনি ‘উতসব সীড ফার্ম’ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু হয় কৃষি আর কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে আশার পথচলা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের গাজীপুর দপ্তর থেকে বীজ সংগ্রহ করে শুরু হয় তাঁর বীজ উৎপাদন। সেই বীজ ব্যবহার করে কৃষক বাম্পার ফলন পাওয়ায় বেড়ে যায় তাঁর বীজের কদর। বর্তমানে তাঁর ১৫ জন চুক্তিভিত্তিক কৃষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন কৃষক ধানবীজ এবং ফুলবীজ উৎপাদন করেন আরও ৫ জন। তিনি নিজেও ফুলবীজ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। উৎপাদিত এসব বীজের মধ্যে আছে আমন মৌসুমের জন্য ব্রি ৫১, ৫২, ৫৭, বোরো মৌসুমের জন্য ব্রি ৫০, ৬৩, ৮১ ও ৯০ জাতের ধানবীজ। আছে গ্ল্যাডিওলাস ও রজনীগন্ধা ফুলের বীজ। গত বোরো মৌসুমে তিনি পাঁচ টন ধানের বীজ তৈরি করেছিলেন।
গদখালী এলাকার সৈয়দপাড়া গ্রামের সেলিম রেজা বলেন, ‘উতসব সীড ফার্মে’র ধানের বীজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করি। তাতে ফলন ভালো হয়। এবারও ব্রি ৬৩সহ তাঁর কাছ থেকে কয়েক পদের ধানবীজ কিনে পাতা ফেলেছি। উপজেলার নন্দী ডুমুরিয়া গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান জানান, ‘উতসব সীড ফার্মে’র ধানের বীজে প্রতি বিঘায় ফলন হয় ২৫ থেকে ৩০ মণ।
নাসরিন নাহার আশা শুধু নিজে বীজের উদ্যোক্তা নন; কৃষিতে নারী অংশীদারির জন্য গড়ে তুলেছেন উতসব অ্যাগ্রো মহিলা সমবায় সমিতি। সেই সমিতিতে সদস্য আছেন ২০০ নারী। প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার সমিতির সদস্যদের বীজ সংরক্ষণ ও চাষাবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তা ছাড়া নারী স্বাস্থ্য, বাল্যবিবাহসহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান নিয়েও আলোচনা করা হয় নিয়মিত। উতসব অ্যাগ্রো মহিলা সমবায় সমিতির সদস্যদের বাড়িতে দেশি হাঁস-মুরগি থাকা বাধ্যতামূলক।
কৃষিতে বিশেষ অবদানের জন্য নাসরিন নাহার আশাকে ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কৃত করে। একই বছর ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে (ইরি) তিনি নেপাল সফর করেন। ২০১৩ সালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিসিএস কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার পান তিনি। ২০১৫ সালে ভারতের তিনটি রাজ্যে ১১ দিনের সফরে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বিভিন্ন খামার পরিদর্শন করেন ডিএআই ও বিএফএসের উদ্যোগে। এ বছর তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের মাধ্যমে সোসাইটি ফর ব্রাইট সোশ্যাল সার্ভিসেসের বাস্তবায়নে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ড. ওয়াইএসআর হর্টিকালচার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বাই-প্রোডাক্ট তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ পান। ২০১৭ সালে তিনি উপজেলা জয়িতা নির্বাচিত হন।
নাসরিন নাহার আশা দুই পুত্রসন্তানের মা। স্বামী ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা গ্রামের আবদুর রহিম। তিনিও কৃষিকাজ করেন এবং উদ্যোক্তা। নাসরিন নাহার আশার স্বপ্ন, ভবিষ্যতে তাঁর ফার্মটি যেন জাতীয় পর্যায়ে ভালো বীজ উৎপাদন করে দেশের কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
২০ ঘণ্টা আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
২০ ঘণ্টা আগেবিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১২ মে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ৬ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত পালন করে জাতীয় নার্স সপ্তাহ। সপ্তাহ কিংবা দিবস—যা-ই হোক না কেন, এর মূল লক্ষ্য হলো নার্সদের কঠোর পরিশ্রম, মানবিকতা ও স্বাস্থ্যসেবায় অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। এই সময় দেশগুলো নার্সিং পেশাজীবীদের সম্মা
২১ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন ডমিনিক পেলিকট। তিনি ১৯৭৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন গিসেল নামের এক নারীর সঙ্গে। ৫০ বছরের সংসারজীবনে তাঁরা তিনটি সন্তানের জনক-জননী হন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে যদিও ছবির মতো নিখুঁত একটি পারিবারিক জীবন ছিল তাঁদের।
২১ ঘণ্টা আগে