জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
নীলফামারী জেলার মাটির হয়তো আলাদা গুণ আছে খেলোয়াড় তৈরি করার। স্থানীয়ভাবে এই অঞ্চলে খেলাধুলার চর্চা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি। বিশেষ করে ফুটবল আর ক্রিকেটে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ আধিপত্য আছে নীলফামারী জেলার। অর্থনীতি আর সামাজিক অবস্থার সূচকে নীলফামারী ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তার ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে খেলার মাঠেও। সাম্প্রতিক সময়ে এর উদাহরণ মারুফা আক্তার।
ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল মারুফার। শুরুতে তাঁর খেলার দিকের এই ঝোঁককে গ্রামের অনেকেই যে ভালোভাবে নেননি, সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বর্গাচাষি বাবা মোহাম্মদ আলিমুল্লাহ গাঁয়ের লোকের কথায় পাত্তা দেননি খুব একটা। মারুফা অনেক বড় খেলোয়াড় হবে, এটাই ছিল বাবার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হতদরিদ্র বাবা আলিমুল্লাহর।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলছেন স্বর্ণা, দিশা, দিলারা, মারুফারা। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই চার ক্রিকেটারই সুযোগ পেয়েছেন নারী টি-টোয়েন্টির জাতীয় স্কোয়াডে।
নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের ঢেলাপীর এলাকার কৃষক আলিমুল্লাহর ছোট মেয়ে মারুফা আক্তার। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালো লাগা তাঁর। প্রথম দিকে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গেই খেলতেন। পরে বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পান তিনি। খেলেছেন বিভিন্ন ক্লাব ও দলে। ২০২১ সালে করোনাকালে খেলা বন্ধ থাকায় বাবার সঙ্গে বর্গা জমিতে মই টানার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসেন মারুফা।
বড় ভাই আল-আমিন খুলে বললেন সেই সময়ের কথা। অভাব-অনটনের সংসারে দুই বেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য যেখানে সংগ্রাম করতে হয়, সেখানে ক্রিকেট খেলা বিলাসিতা মনে হয়েছিল মারুফার। তাই করোনার সময়ে পারিবারিক দুরবস্থায় ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তবে এগিয়ে আসে বিসিবি। মারুফা ফিরে যান আগের ঠিকানা বিকেএসপিতে। বছর না পেরোতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে ১৮ বছর বয়সেই ডাক পেয়ে যান জাতীয় দলে।
সংগ্রামী মারুফা এবার সুযোগ পেয়েছেন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জাতীয় দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের এই দলে জায়গা করে নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার মারুফা। জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ায় তাঁর পরিবার ও নীলফামারীতে এখন বইছে খুশির বন্যা।
নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বলেন, ‘মারুফা আক্তার আমাদের গর্ব। বিশ্বদরবারে “নীলসাগর এক্সপ্রেস” মারুফা বাংলাদেশকে তুলে ধরবে তাঁর নৈপুণ্যে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা মেয়েটি অল্প সময়ে ক্রিকেটজগতে তোলপাড় করায় আমরা অভিভূত।’
মারুফা আক্তার বলেছেন, ‘প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি।
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে আনার একমাত্র লক্ষ্য থাকবে আমার।’ বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে বড়দের সঙ্গে প্রস্তুত তাঁর তিন সতীর্থও।
দীর্ঘ আলাপচারিতায় মারুফা জানিয়েছেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতেন তিনি।
এই সবকিছুর পাশাপাশি বড় ভাই আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করতেন। ২০১৮ সালে তিনি বিকেএসপিতে সুযোগ পান। সেখানে দুই মাসের ক্যাম্প শেষ করেন। ক্যাম্প শেষে খুলনার ইমতিয়াজ হোসেন পিলু তাঁকে ২০১৯ সালে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ করে দেন। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মারুফাকে।
বিশ্বকাপে মেয়ে খেলবে এমন সংবাদে বেজায় খুশি মারুফার বাবা আলিমুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘নিজের কোনো জমি কিংবা বসতভিটা নেই। শ্বশুরের দেওয়া বাড়িতে থাকি। অন্যের জমি বর্গাচাষ ও দিনমজুরি করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। বিশ্বকাপে মেয়ে ভালো কিছু করবে, এই বিশ্বাস রয়েছে।’
নীলফামারী জেলার মাটির হয়তো আলাদা গুণ আছে খেলোয়াড় তৈরি করার। স্থানীয়ভাবে এই অঞ্চলে খেলাধুলার চর্চা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি। বিশেষ করে ফুটবল আর ক্রিকেটে স্থানীয় পর্যায়ে বিশেষ আধিপত্য আছে নীলফামারী জেলার। অর্থনীতি আর সামাজিক অবস্থার সূচকে নীলফামারী ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। তার ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে খেলার মাঠেও। সাম্প্রতিক সময়ে এর উদাহরণ মারুফা আক্তার।
ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল মারুফার। শুরুতে তাঁর খেলার দিকের এই ঝোঁককে গ্রামের অনেকেই যে ভালোভাবে নেননি, সেটা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বর্গাচাষি বাবা মোহাম্মদ আলিমুল্লাহ গাঁয়ের লোকের কথায় পাত্তা দেননি খুব একটা। মারুফা অনেক বড় খেলোয়াড় হবে, এটাই ছিল বাবার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে হতদরিদ্র বাবা আলিমুল্লাহর।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলছে। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলছেন স্বর্ণা, দিশা, দিলারা, মারুফারা। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই চার ক্রিকেটারই সুযোগ পেয়েছেন নারী টি-টোয়েন্টির জাতীয় স্কোয়াডে।
নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের ঢেলাপীর এলাকার কৃষক আলিমুল্লাহর ছোট মেয়ে মারুফা আক্তার। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালো লাগা তাঁর। প্রথম দিকে পাড়ার ছেলেদের সঙ্গেই খেলতেন। পরে বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পান তিনি। খেলেছেন বিভিন্ন ক্লাব ও দলে। ২০২১ সালে করোনাকালে খেলা বন্ধ থাকায় বাবার সঙ্গে বর্গা জমিতে মই টানার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসেন মারুফা।
বড় ভাই আল-আমিন খুলে বললেন সেই সময়ের কথা। অভাব-অনটনের সংসারে দুই বেলা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য যেখানে সংগ্রাম করতে হয়, সেখানে ক্রিকেট খেলা বিলাসিতা মনে হয়েছিল মারুফার। তাই করোনার সময়ে পারিবারিক দুরবস্থায় ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তবে এগিয়ে আসে বিসিবি। মারুফা ফিরে যান আগের ঠিকানা বিকেএসপিতে। বছর না পেরোতেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়ে ১৮ বছর বয়সেই ডাক পেয়ে যান জাতীয় দলে।
সংগ্রামী মারুফা এবার সুযোগ পেয়েছেন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জাতীয় দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের এই দলে জায়গা করে নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার মারুফা। জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ায় তাঁর পরিবার ও নীলফামারীতে এখন বইছে খুশির বন্যা।
নীলফামারী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন বলেন, ‘মারুফা আক্তার আমাদের গর্ব। বিশ্বদরবারে “নীলসাগর এক্সপ্রেস” মারুফা বাংলাদেশকে তুলে ধরবে তাঁর নৈপুণ্যে। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা মেয়েটি অল্প সময়ে ক্রিকেটজগতে তোলপাড় করায় আমরা অভিভূত।’
মারুফা আক্তার বলেছেন, ‘প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি।
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে আনার একমাত্র লক্ষ্য থাকবে আমার।’ বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে বড়দের সঙ্গে প্রস্তুত তাঁর তিন সতীর্থও।
দীর্ঘ আলাপচারিতায় মারুফা জানিয়েছেন, পড়ালেখার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতেন তিনি।
এই সবকিছুর পাশাপাশি বড় ভাই আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে পরিত্যক্ত রেললাইনের পাশে নিয়মিত ক্রিকেট অনুশীলন করতেন। ২০১৮ সালে তিনি বিকেএসপিতে সুযোগ পান। সেখানে দুই মাসের ক্যাম্প শেষ করেন। ক্যাম্প শেষে খুলনার ইমতিয়াজ হোসেন পিলু তাঁকে ২০১৯ সালে মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ করে দেন। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মারুফাকে।
বিশ্বকাপে মেয়ে খেলবে এমন সংবাদে বেজায় খুশি মারুফার বাবা আলিমুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘নিজের কোনো জমি কিংবা বসতভিটা নেই। শ্বশুরের দেওয়া বাড়িতে থাকি। অন্যের জমি বর্গাচাষ ও দিনমজুরি করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছি। বিশ্বকাপে মেয়ে ভালো কিছু করবে, এই বিশ্বাস রয়েছে।’
আইটি ব্যবসা থেকে কমিউনিটি কিচেন—নূপুর পাঞ্জাবির জীবনের গল্প যেন এক অনুপ্রেরণার যাত্রা। এক সময় তিনি ছিলেন আইটি ব্যবসায় এক সফল উদ্যোক্তা। কিন্তু মায়ের মৃত্যু ও করোনা মহামারির পর জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন অসহায়দের জন্য রান্না করবেন, গড়বেন এক মানবিক উদ্যোগ।
৪ ঘণ্টা আগে‘২০২৪ সালের মর্যাদাপূর্ণ এশিয়ান এক্সিলেন্স অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করায় অ্যাকসেস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সাবেক শিক্ষার্থী নুজহাত তাবাসসুম জাফরিনকে শুভেচ্ছা!’ এভাবেই ঢাকার যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস অভিনন্দন জানিয়েছিল তাঁকে।
৪ দিন আগেমারা যাওয়ার আগে আমাদের দুই বোনের নামে পেনশন নমিনি লিখে দিয়েছিলেন বাবা। আইন অনুযায়ী সন্তানদের পেনশন ১৫ বছর পর্যন্ত দেওয়া হয়। কিন্তু সন্তানদের বিবাহ হলে পেনশন পাওয়ার অধিকার থাকে না।
৪ দিন আগেবিশ্বব্যাপী নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ এখন আর শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়, এটি একটি দেশের সামাজিক অগ্রগতির পরিমাপকও বটে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্টের তথ্য বলছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন খাতে যুক্ত হয়ে জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
৪ দিন আগে