পিচের রাস্তা পার হয়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ চলতে চলতে বাঁ পাশে তাকাতেই নজরে পড়ল মৌমাছির আনাগোনা। চোখ স্থির করতে বাড়িটির মূল ফটকের ওপরে সাঁটা টুকরা সাদা কাগজের লেখাটিতে চোখ আটকে গেল। তাতে লেখা রয়েছে ‘আল্লাহর দান মৌমাছির বাড়ি’।
ফটকের সঙ্গে বাড়ির ভেতরের পাশে মৌমাছির চাকও দেখা যাচ্ছিল। মন কৌতূহলী। তাই ভয়ে ভয়ে পা রাখলাম বাড়ির ভেতরে। ঢুকতেই দেখি ফটকের মুখে বড় দুটি মৌমাছির চাক। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠপাড়ায় হিরামণি আক্তারের বাড়ি এটি। হিরামণি সাবেক ইউপি সদস্য।
হাজার হাজার মৌমাছি ভোঁ ভোঁ করে উড়ছে, চাকে বসছে, আবার মধু আহরণের জন্য বেরিয়ে পড়ছে। আটটি বড় বড় চাক ডাইনিং টেবিলের ওপরে, বারান্দায়, সিঁড়ির ওপরে এবং বাড়িতে প্রবেশের মূল দরজায়। আর এসব মৌচাকের নিচ দিয়েই চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। বাড়ির সবাই যার যার মতো কাজ করছেন, হুল ফোটানোর কোনো ভয় নেই!
হিরামণি চাকে হাত বোলালেন। কিন্তু মৌমাছিরা রেগে গিয়ে তাঁকে হুল ফোটাল না। মনে মনে বললাম, পোষা প্রাণী, হয়তো তাই কামড়ে দিচ্ছে না। তবে হিরামণি জানান ভিন্ন কথা। তাঁর দাবি, মৌমাছির দল তাঁদের ভালোবেসে ফেলেছে। আর সেই ভালোবাসায় ১৮ বছর ধরে মৌমাছির সঙ্গে বসবাস করছেন হিরামণি ও তাঁর পরিবার। এতে তাঁর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না; বরং মধু বিক্রির টাকায় হিরামণির সংসারে এসেছে সচ্ছলতা।
আটটি চাক বেঁধে হাজার হাজার মৌমাছি বাস করছে হিরামণির বাড়িতে। চাকগুলো বড় এবং অনেকটাই ঝুলে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের বারান্দায় মাথা নিচু করে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় মৌচাকে হাত লাগলেও মৌমাছিগুলো কামড় বা হুল ফোটায় না। হিরামণি আক্তার জানান, বাড়ির মানুষকে মৌমাছিরা কামড় দেয় না। নতুন লোকজন হুড়োহুড়ি করে বলে কখনো কখনো কামড়ায়। বছরে ৭ থেকে ৮ মাস মৌমাছিরা এ বাড়িতে থাকে। বর্ষায় যখন খাদ্য থাকে না, তখন চলে যায়। আবার অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চলে আসে। হিরামণি নিজে চাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মধু বিক্রি করেন।
হিরামণির বাবা মো. আবু বাক্কার জানান, হিরামণির জন্মের পর থেকে বাড়িতে মৌমাছির আনাগোনা শুরু হয়। তবে বর্তমান বাড়িটি নতুন করে তৈরি করার পর থেকে মৌমাছিরা এসে ঘরের বাইরে ১৮ বছর ধরে চাক বাঁধছে। বাড়িতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয় না; বরং মৌমাছির ভালোবাসায় সচ্ছলতা ফিরেছে।
বাড়িটির নাম যেমন মৌমাছির বাড়ি, তেমনই এলাকাবাসীও হিরামণিকে মৌমাছির বন্ধু বলে ডাকে।
পিচের রাস্তা পার হয়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ চলতে চলতে বাঁ পাশে তাকাতেই নজরে পড়ল মৌমাছির আনাগোনা। চোখ স্থির করতে বাড়িটির মূল ফটকের ওপরে সাঁটা টুকরা সাদা কাগজের লেখাটিতে চোখ আটকে গেল। তাতে লেখা রয়েছে ‘আল্লাহর দান মৌমাছির বাড়ি’।
ফটকের সঙ্গে বাড়ির ভেতরের পাশে মৌমাছির চাকও দেখা যাচ্ছিল। মন কৌতূহলী। তাই ভয়ে ভয়ে পা রাখলাম বাড়ির ভেতরে। ঢুকতেই দেখি ফটকের মুখে বড় দুটি মৌমাছির চাক। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠপাড়ায় হিরামণি আক্তারের বাড়ি এটি। হিরামণি সাবেক ইউপি সদস্য।
হাজার হাজার মৌমাছি ভোঁ ভোঁ করে উড়ছে, চাকে বসছে, আবার মধু আহরণের জন্য বেরিয়ে পড়ছে। আটটি বড় বড় চাক ডাইনিং টেবিলের ওপরে, বারান্দায়, সিঁড়ির ওপরে এবং বাড়িতে প্রবেশের মূল দরজায়। আর এসব মৌচাকের নিচ দিয়েই চলাচল করছে সাধারণ মানুষ। বাড়ির সবাই যার যার মতো কাজ করছেন, হুল ফোটানোর কোনো ভয় নেই!
হিরামণি চাকে হাত বোলালেন। কিন্তু মৌমাছিরা রেগে গিয়ে তাঁকে হুল ফোটাল না। মনে মনে বললাম, পোষা প্রাণী, হয়তো তাই কামড়ে দিচ্ছে না। তবে হিরামণি জানান ভিন্ন কথা। তাঁর দাবি, মৌমাছির দল তাঁদের ভালোবেসে ফেলেছে। আর সেই ভালোবাসায় ১৮ বছর ধরে মৌমাছির সঙ্গে বসবাস করছেন হিরামণি ও তাঁর পরিবার। এতে তাঁর কোনো ক্ষতি হচ্ছে না; বরং মধু বিক্রির টাকায় হিরামণির সংসারে এসেছে সচ্ছলতা।
আটটি চাক বেঁধে হাজার হাজার মৌমাছি বাস করছে হিরামণির বাড়িতে। চাকগুলো বড় এবং অনেকটাই ঝুলে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের বারান্দায় মাথা নিচু করে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় মৌচাকে হাত লাগলেও মৌমাছিগুলো কামড় বা হুল ফোটায় না। হিরামণি আক্তার জানান, বাড়ির মানুষকে মৌমাছিরা কামড় দেয় না। নতুন লোকজন হুড়োহুড়ি করে বলে কখনো কখনো কামড়ায়। বছরে ৭ থেকে ৮ মাস মৌমাছিরা এ বাড়িতে থাকে। বর্ষায় যখন খাদ্য থাকে না, তখন চলে যায়। আবার অক্টোবর-নভেম্বর মাসে চলে আসে। হিরামণি নিজে চাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। বছরে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মধু বিক্রি করেন।
হিরামণির বাবা মো. আবু বাক্কার জানান, হিরামণির জন্মের পর থেকে বাড়িতে মৌমাছির আনাগোনা শুরু হয়। তবে বর্তমান বাড়িটি নতুন করে তৈরি করার পর থেকে মৌমাছিরা এসে ঘরের বাইরে ১৮ বছর ধরে চাক বাঁধছে। বাড়িতে তাঁদের কোনো সমস্যা হয় না; বরং মৌমাছির ভালোবাসায় সচ্ছলতা ফিরেছে।
বাড়িটির নাম যেমন মৌমাছির বাড়ি, তেমনই এলাকাবাসীও হিরামণিকে মৌমাছির বন্ধু বলে ডাকে।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৪ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৪ দিন আগে