আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর, মানিকগঞ্জ

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হলেও বদল আনছেন মানিকগঞ্জের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে। এই উদ্যোক্তা নারীদের হাত ধরে বাড়ছে অন্য নারীদের কর্মসংস্থান। তাঁদের সংসারে আসছে অর্থ ও সচ্ছলতা। গত এক যুগে মানিকগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের শ্রম, মেধা, ধৈর্য ও সাধনায় পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে এক জাদুকরি ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।
পুরুষের তুলনায় মানিকগঞ্জে অনেক কম হলেও নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা গত এক যুগে বেড়েছে অনেকগুণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হিসেবে কৃষি ও মৎস্য খাত ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ফ্যাশন ও সৌন্দর্য পণ্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য এবং অনলাইন ব্যবসায় তৈরি হয়েছে অনেক উদ্যোক্তা। পাশাপাশি গার্মেন্টস ও অ্যাকসেসরিজ, বিউটি পারলার, টেইলারিং, রিটেইল শপ, আইটি, ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, পাটজাত পণ্য ও হ্যান্ডিক্র্যাফটস খাতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।
তাঁহাদের কথা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের শারমীন আক্তার এ্যানী। উইমেন অ্যান্ড ই কমার্স (উই)-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বড় উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শারনী’। এ নামে রয়েছে অনলাইন বিপণন পেজ। পরিবেশবান্ধব মাটির চুলা আর হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক তাঁর আইকনিক পণ্য। নকশিকাঁথা, শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের সুনাম আর বাহারি নকশায় নজর কেড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাশাপাশি আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যে। মাস শেষে এখন তাঁর হাতে আসছে দেড় লাখ টাকার মতো। সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য পরিবারের গৃহবধূ এ্যানী পরিবার ও সন্তান সামলিয়ে হয়ে উঠছেন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে সফল হয়ে উঠেছেন আরও কমপক্ষে শখানেক নারী। ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের মানিকগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর শারমীন এ্যানী বলেন, ‘নারীরা সব সময় ঘরবন্দী থাকবে কেন? আমি নিজে যতটুকু পারি, যতটুকু জানি, ততটুকু করব। সাফল্য আসবেই।’
দেশের আলোচিত উদ্যোক্তা লাবণীর জন্ম মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়ায়। ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল ৭০০ টাকা দিয়ে। কুশন কভারে হাতের কাজ এবং পরবর্তী সময়ে জামার ডিজাইন দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে তাতে যুক্ত হয় হাতের কাজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ওয়ালম্যাট। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন। ‘ডিফারেন্ট বিউটি’র মালিক লাবণী ইউএনসিডিএফ থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। ২ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন, এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১০০ নারী।
অর্ডার করলেই মুখরোচক চিকেন মোমো, দেশীয় নানা খাবার, পিঠাপুলির সঙ্গে ফাস্ট ফুড আইটেমসহ হোম মেইড বিভিন্ন খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার প্রথম নারী উদ্যোক্তা, যিনি নিজে এসবের অর্ডার নেন, খাবার তৈরি করেন এবং মোটরবাইক চালিয়ে সরবরাহ করেন। জেলা শহরে জনপ্রিয় একটি লেডিস টেইলার্সও রয়েছে তাঁর। মুন্নি আক্তারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘মুন্নি’স ওয়ার্ল্ড’-এ এবং সরাসরি কল করে খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
ঘিওরের নিভৃত জাবরা গ্রাম থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন মল্লিকা ইয়াসমিন। ২০২৩ সালে হয়েছেন মানিকগঞ্জের সেরা জয়িতা। ১৬ বছর আগে যখন মেয়েদের ব্যবসা করা ছিল এখনকার চেয়ে অনেক কঠিন, সে সময় তিনি দেড় লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ‘অ্যাটায়ার ফ্যাশন’ নামে পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে দুগ্ধ খামার ও দেশীয় আদি ঐতিহ্যের পিঠাপুলির ব্যবসা করছেন তিনি। মল্লিকা কর্মসংস্থান করেছেন এলাকার ২০ জন গৃহবধূর।
এক যুগে উদ্যোক্তা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার
এই উল্লেখযোগ্য নারীদের মতো মানিকগঞ্জের হাজারো নারী উদ্যোক্তা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিংবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বনির্ভরতার আলো ছড়াচ্ছেন। মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), এসো উদ্যোক্তা হই, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তথ্যমতে, ২০১২ সালে জেলায় নারী উদ্যোক্তা ছিলেন মাত্র ৩১৫ জন। তিন বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৩ জনে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাড়ে এই সংখ্যা। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫০।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালেও সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন ২ হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায় নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় এ সময় থেকেই। এ বছরের শুরুর দিকে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬৫৮। তাঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন ৪৯৭, মাঝারি ৬৪ এবং কুটিরশিল্পে রয়েছেন ৯ হাজার ৯৭ জন।
উদ্যোক্তা মারুফা আক্তার এক বছর ধরে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাঁর তৈরি কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্য দুটি দেশে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
কর্মকর্তারা যা মনে করছেন
মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী উদ্যোগ, যা মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখছে।’
জাতীয় মহিলা সংঘের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জানান, দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এটা ভালো দিক, বেকারত্ব কমছে। বর্তমানে নারীরা কাজ করে স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁরা নিজেদের দক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজস্বতার সঙ্গে।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্যোক্তারা এখনো বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাফল্য আসছে। মানিকগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা, উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বিপণনে সহায়তার জন্য বিসিক মানিকগঞ্জ জেলায় উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করে আসছে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মানিকগঞ্জে চারজন নারী উদ্যোক্তা প্রায় ২২ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য অনুদান পেয়েছেন। জেলায় তিন বছরে নারী উদ্যোক্তাদের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ এবং ২৫০ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং ই-মার্কেটের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে।’

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হলেও বদল আনছেন মানিকগঞ্জের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে। এই উদ্যোক্তা নারীদের হাত ধরে বাড়ছে অন্য নারীদের কর্মসংস্থান। তাঁদের সংসারে আসছে অর্থ ও সচ্ছলতা। গত এক যুগে মানিকগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের শ্রম, মেধা, ধৈর্য ও সাধনায় পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে এক জাদুকরি ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।
পুরুষের তুলনায় মানিকগঞ্জে অনেক কম হলেও নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা গত এক যুগে বেড়েছে অনেকগুণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হিসেবে কৃষি ও মৎস্য খাত ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ফ্যাশন ও সৌন্দর্য পণ্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য এবং অনলাইন ব্যবসায় তৈরি হয়েছে অনেক উদ্যোক্তা। পাশাপাশি গার্মেন্টস ও অ্যাকসেসরিজ, বিউটি পারলার, টেইলারিং, রিটেইল শপ, আইটি, ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, পাটজাত পণ্য ও হ্যান্ডিক্র্যাফটস খাতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।
তাঁহাদের কথা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের শারমীন আক্তার এ্যানী। উইমেন অ্যান্ড ই কমার্স (উই)-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বড় উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শারনী’। এ নামে রয়েছে অনলাইন বিপণন পেজ। পরিবেশবান্ধব মাটির চুলা আর হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক তাঁর আইকনিক পণ্য। নকশিকাঁথা, শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের সুনাম আর বাহারি নকশায় নজর কেড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাশাপাশি আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যে। মাস শেষে এখন তাঁর হাতে আসছে দেড় লাখ টাকার মতো। সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য পরিবারের গৃহবধূ এ্যানী পরিবার ও সন্তান সামলিয়ে হয়ে উঠছেন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে সফল হয়ে উঠেছেন আরও কমপক্ষে শখানেক নারী। ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের মানিকগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর শারমীন এ্যানী বলেন, ‘নারীরা সব সময় ঘরবন্দী থাকবে কেন? আমি নিজে যতটুকু পারি, যতটুকু জানি, ততটুকু করব। সাফল্য আসবেই।’
দেশের আলোচিত উদ্যোক্তা লাবণীর জন্ম মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়ায়। ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল ৭০০ টাকা দিয়ে। কুশন কভারে হাতের কাজ এবং পরবর্তী সময়ে জামার ডিজাইন দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে তাতে যুক্ত হয় হাতের কাজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ওয়ালম্যাট। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন। ‘ডিফারেন্ট বিউটি’র মালিক লাবণী ইউএনসিডিএফ থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। ২ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন, এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১০০ নারী।
অর্ডার করলেই মুখরোচক চিকেন মোমো, দেশীয় নানা খাবার, পিঠাপুলির সঙ্গে ফাস্ট ফুড আইটেমসহ হোম মেইড বিভিন্ন খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার প্রথম নারী উদ্যোক্তা, যিনি নিজে এসবের অর্ডার নেন, খাবার তৈরি করেন এবং মোটরবাইক চালিয়ে সরবরাহ করেন। জেলা শহরে জনপ্রিয় একটি লেডিস টেইলার্সও রয়েছে তাঁর। মুন্নি আক্তারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘মুন্নি’স ওয়ার্ল্ড’-এ এবং সরাসরি কল করে খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
ঘিওরের নিভৃত জাবরা গ্রাম থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন মল্লিকা ইয়াসমিন। ২০২৩ সালে হয়েছেন মানিকগঞ্জের সেরা জয়িতা। ১৬ বছর আগে যখন মেয়েদের ব্যবসা করা ছিল এখনকার চেয়ে অনেক কঠিন, সে সময় তিনি দেড় লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ‘অ্যাটায়ার ফ্যাশন’ নামে পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে দুগ্ধ খামার ও দেশীয় আদি ঐতিহ্যের পিঠাপুলির ব্যবসা করছেন তিনি। মল্লিকা কর্মসংস্থান করেছেন এলাকার ২০ জন গৃহবধূর।
এক যুগে উদ্যোক্তা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার
এই উল্লেখযোগ্য নারীদের মতো মানিকগঞ্জের হাজারো নারী উদ্যোক্তা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিংবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বনির্ভরতার আলো ছড়াচ্ছেন। মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), এসো উদ্যোক্তা হই, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তথ্যমতে, ২০১২ সালে জেলায় নারী উদ্যোক্তা ছিলেন মাত্র ৩১৫ জন। তিন বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৩ জনে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাড়ে এই সংখ্যা। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫০।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালেও সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন ২ হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায় নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় এ সময় থেকেই। এ বছরের শুরুর দিকে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬৫৮। তাঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন ৪৯৭, মাঝারি ৬৪ এবং কুটিরশিল্পে রয়েছেন ৯ হাজার ৯৭ জন।
উদ্যোক্তা মারুফা আক্তার এক বছর ধরে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাঁর তৈরি কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্য দুটি দেশে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
কর্মকর্তারা যা মনে করছেন
মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী উদ্যোগ, যা মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখছে।’
জাতীয় মহিলা সংঘের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জানান, দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এটা ভালো দিক, বেকারত্ব কমছে। বর্তমানে নারীরা কাজ করে স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁরা নিজেদের দক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজস্বতার সঙ্গে।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্যোক্তারা এখনো বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাফল্য আসছে। মানিকগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা, উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বিপণনে সহায়তার জন্য বিসিক মানিকগঞ্জ জেলায় উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করে আসছে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মানিকগঞ্জে চারজন নারী উদ্যোক্তা প্রায় ২২ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য অনুদান পেয়েছেন। জেলায় তিন বছরে নারী উদ্যোক্তাদের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ এবং ২৫০ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং ই-মার্কেটের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে।’
আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর, মানিকগঞ্জ

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হলেও বদল আনছেন মানিকগঞ্জের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে। এই উদ্যোক্তা নারীদের হাত ধরে বাড়ছে অন্য নারীদের কর্মসংস্থান। তাঁদের সংসারে আসছে অর্থ ও সচ্ছলতা। গত এক যুগে মানিকগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের শ্রম, মেধা, ধৈর্য ও সাধনায় পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে এক জাদুকরি ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।
পুরুষের তুলনায় মানিকগঞ্জে অনেক কম হলেও নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা গত এক যুগে বেড়েছে অনেকগুণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হিসেবে কৃষি ও মৎস্য খাত ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ফ্যাশন ও সৌন্দর্য পণ্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য এবং অনলাইন ব্যবসায় তৈরি হয়েছে অনেক উদ্যোক্তা। পাশাপাশি গার্মেন্টস ও অ্যাকসেসরিজ, বিউটি পারলার, টেইলারিং, রিটেইল শপ, আইটি, ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, পাটজাত পণ্য ও হ্যান্ডিক্র্যাফটস খাতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।
তাঁহাদের কথা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের শারমীন আক্তার এ্যানী। উইমেন অ্যান্ড ই কমার্স (উই)-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বড় উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শারনী’। এ নামে রয়েছে অনলাইন বিপণন পেজ। পরিবেশবান্ধব মাটির চুলা আর হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক তাঁর আইকনিক পণ্য। নকশিকাঁথা, শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের সুনাম আর বাহারি নকশায় নজর কেড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাশাপাশি আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যে। মাস শেষে এখন তাঁর হাতে আসছে দেড় লাখ টাকার মতো। সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য পরিবারের গৃহবধূ এ্যানী পরিবার ও সন্তান সামলিয়ে হয়ে উঠছেন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে সফল হয়ে উঠেছেন আরও কমপক্ষে শখানেক নারী। ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের মানিকগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর শারমীন এ্যানী বলেন, ‘নারীরা সব সময় ঘরবন্দী থাকবে কেন? আমি নিজে যতটুকু পারি, যতটুকু জানি, ততটুকু করব। সাফল্য আসবেই।’
দেশের আলোচিত উদ্যোক্তা লাবণীর জন্ম মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়ায়। ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল ৭০০ টাকা দিয়ে। কুশন কভারে হাতের কাজ এবং পরবর্তী সময়ে জামার ডিজাইন দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে তাতে যুক্ত হয় হাতের কাজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ওয়ালম্যাট। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন। ‘ডিফারেন্ট বিউটি’র মালিক লাবণী ইউএনসিডিএফ থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। ২ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন, এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১০০ নারী।
অর্ডার করলেই মুখরোচক চিকেন মোমো, দেশীয় নানা খাবার, পিঠাপুলির সঙ্গে ফাস্ট ফুড আইটেমসহ হোম মেইড বিভিন্ন খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার প্রথম নারী উদ্যোক্তা, যিনি নিজে এসবের অর্ডার নেন, খাবার তৈরি করেন এবং মোটরবাইক চালিয়ে সরবরাহ করেন। জেলা শহরে জনপ্রিয় একটি লেডিস টেইলার্সও রয়েছে তাঁর। মুন্নি আক্তারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘মুন্নি’স ওয়ার্ল্ড’-এ এবং সরাসরি কল করে খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
ঘিওরের নিভৃত জাবরা গ্রাম থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন মল্লিকা ইয়াসমিন। ২০২৩ সালে হয়েছেন মানিকগঞ্জের সেরা জয়িতা। ১৬ বছর আগে যখন মেয়েদের ব্যবসা করা ছিল এখনকার চেয়ে অনেক কঠিন, সে সময় তিনি দেড় লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ‘অ্যাটায়ার ফ্যাশন’ নামে পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে দুগ্ধ খামার ও দেশীয় আদি ঐতিহ্যের পিঠাপুলির ব্যবসা করছেন তিনি। মল্লিকা কর্মসংস্থান করেছেন এলাকার ২০ জন গৃহবধূর।
এক যুগে উদ্যোক্তা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার
এই উল্লেখযোগ্য নারীদের মতো মানিকগঞ্জের হাজারো নারী উদ্যোক্তা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিংবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বনির্ভরতার আলো ছড়াচ্ছেন। মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), এসো উদ্যোক্তা হই, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তথ্যমতে, ২০১২ সালে জেলায় নারী উদ্যোক্তা ছিলেন মাত্র ৩১৫ জন। তিন বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৩ জনে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাড়ে এই সংখ্যা। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫০।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালেও সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন ২ হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায় নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় এ সময় থেকেই। এ বছরের শুরুর দিকে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬৫৮। তাঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন ৪৯৭, মাঝারি ৬৪ এবং কুটিরশিল্পে রয়েছেন ৯ হাজার ৯৭ জন।
উদ্যোক্তা মারুফা আক্তার এক বছর ধরে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাঁর তৈরি কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্য দুটি দেশে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
কর্মকর্তারা যা মনে করছেন
মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী উদ্যোগ, যা মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখছে।’
জাতীয় মহিলা সংঘের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জানান, দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এটা ভালো দিক, বেকারত্ব কমছে। বর্তমানে নারীরা কাজ করে স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁরা নিজেদের দক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজস্বতার সঙ্গে।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্যোক্তারা এখনো বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাফল্য আসছে। মানিকগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা, উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বিপণনে সহায়তার জন্য বিসিক মানিকগঞ্জ জেলায় উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করে আসছে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মানিকগঞ্জে চারজন নারী উদ্যোক্তা প্রায় ২২ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য অনুদান পেয়েছেন। জেলায় তিন বছরে নারী উদ্যোক্তাদের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ এবং ২৫০ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং ই-মার্কেটের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে।’

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হলেও বদল আনছেন মানিকগঞ্জের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে। এই উদ্যোক্তা নারীদের হাত ধরে বাড়ছে অন্য নারীদের কর্মসংস্থান। তাঁদের সংসারে আসছে অর্থ ও সচ্ছলতা। গত এক যুগে মানিকগঞ্জের নারী উদ্যোক্তাদের শ্রম, মেধা, ধৈর্য ও সাধনায় পরিসংখ্যানে যোগ হয়েছে এক জাদুকরি ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ।
পুরুষের তুলনায় মানিকগঞ্জে অনেক কম হলেও নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা গত এক যুগে বেড়েছে অনেকগুণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হিসেবে কৃষি ও মৎস্য খাত ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াজাত, ফ্যাশন ও সৌন্দর্য পণ্য, স্বাস্থ্যবিষয়ক পণ্য এবং অনলাইন ব্যবসায় তৈরি হয়েছে অনেক উদ্যোক্তা। পাশাপাশি গার্মেন্টস ও অ্যাকসেসরিজ, বিউটি পারলার, টেইলারিং, রিটেইল শপ, আইটি, ইলেকট্রনিকস, সফটওয়্যার, পাটজাত পণ্য ও হ্যান্ডিক্র্যাফটস খাতে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে।
তাঁহাদের কথা
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া গ্রামের শারমীন আক্তার এ্যানী। উইমেন অ্যান্ড ই কমার্স (উই)-এর প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি হয়ে উঠেছেন বড় উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ‘শারনী’। এ নামে রয়েছে অনলাইন বিপণন পেজ। পরিবেশবান্ধব মাটির চুলা আর হ্যান্ডপেইন্ট পোশাক তাঁর আইকনিক পণ্য। নকশিকাঁথা, শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের সুনাম আর বাহারি নকশায় নজর কেড়েছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় পাশাপাশি আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যে। মাস শেষে এখন তাঁর হাতে আসছে দেড় লাখ টাকার মতো। সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ্য পরিবারের গৃহবধূ এ্যানী পরিবার ও সন্তান সামলিয়ে হয়ে উঠছেন সফল নারী উদ্যোক্তা। তাঁর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা নিয়ে সফল হয়ে উঠেছেন আরও কমপক্ষে শখানেক নারী। ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের মানিকগঞ্জের কো-অর্ডিনেটর শারমীন এ্যানী বলেন, ‘নারীরা সব সময় ঘরবন্দী থাকবে কেন? আমি নিজে যতটুকু পারি, যতটুকু জানি, ততটুকু করব। সাফল্য আসবেই।’
দেশের আলোচিত উদ্যোক্তা লাবণীর জন্ম মানিকগঞ্জ সদরের বান্দুটিয়ায়। ব্যবসার শুরুটা হয়েছিল ৭০০ টাকা দিয়ে। কুশন কভারে হাতের কাজ এবং পরবর্তী সময়ে জামার ডিজাইন দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর পথচলা। অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়ে তাতে যুক্ত হয় হাতের কাজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, ওয়ালম্যাট। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২২ সালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা নির্বাচিত হন। ‘ডিফারেন্ট বিউটি’র মালিক লাবণী ইউএনসিডিএফ থেকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। ২ জন কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেন, এখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ১০০ নারী।
অর্ডার করলেই মুখরোচক চিকেন মোমো, দেশীয় নানা খাবার, পিঠাপুলির সঙ্গে ফাস্ট ফুড আইটেমসহ হোম মেইড বিভিন্ন খাবার পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। মুন্নি আক্তার মানিকগঞ্জ জেলার প্রথম নারী উদ্যোক্তা, যিনি নিজে এসবের অর্ডার নেন, খাবার তৈরি করেন এবং মোটরবাইক চালিয়ে সরবরাহ করেন। জেলা শহরে জনপ্রিয় একটি লেডিস টেইলার্সও রয়েছে তাঁর। মুন্নি আক্তারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ‘মুন্নি’স ওয়ার্ল্ড’-এ এবং সরাসরি কল করে খাবারের অর্ডার দেওয়া যায়। প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন তিনি।
ঘিওরের নিভৃত জাবরা গ্রাম থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন মল্লিকা ইয়াসমিন। ২০২৩ সালে হয়েছেন মানিকগঞ্জের সেরা জয়িতা। ১৬ বছর আগে যখন মেয়েদের ব্যবসা করা ছিল এখনকার চেয়ে অনেক কঠিন, সে সময় তিনি দেড় লাখ টাকা মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ‘অ্যাটায়ার ফ্যাশন’ নামে পোশাক ব্যবসার পাশাপাশি বর্তমানে দুগ্ধ খামার ও দেশীয় আদি ঐতিহ্যের পিঠাপুলির ব্যবসা করছেন তিনি। মল্লিকা কর্মসংস্থান করেছেন এলাকার ২০ জন গৃহবধূর।
এক যুগে উদ্যোক্তা প্রায় সাড়ে ৯ হাজার
এই উল্লেখযোগ্য নারীদের মতো মানিকগঞ্জের হাজারো নারী উদ্যোক্তা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম কিংবা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বনির্ভরতার আলো ছড়াচ্ছেন। মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক), এসো উদ্যোক্তা হই, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার তথ্যমতে, ২০১২ সালে জেলায় নারী উদ্যোক্তা ছিলেন মাত্র ৩১৫ জন। তিন বছর পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৬৩ জনে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাড়ে এই সংখ্যা। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫০।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালেও সফলতার সঙ্গে ব্যবসা করেছেন ২ হাজারের বেশি নারী উদ্যোক্তা। অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায় নারীর সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পায় এ সময় থেকেই। এ বছরের শুরুর দিকে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দাঁড়ায় ৯ হাজার ৬৫৮। তাঁদের মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছেন ৪৯৭, মাঝারি ৬৪ এবং কুটিরশিল্পে রয়েছেন ৯ হাজার ৯৭ জন।
উদ্যোক্তা মারুফা আক্তার এক বছর ধরে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত আছেন। বিবাহবিচ্ছেদের পরে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। তাঁর তৈরি কুটিরশিল্পের বিভিন্ন পণ্য দুটি দেশে পাঠানো হয়েছে। আরও একটি দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
কর্মকর্তারা যা মনে করছেন
মানিকগঞ্জ মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ, উপকরণ বিতরণ ও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া সরকারিভাবে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে নেওয়া হয়েছে বহুমুখী উদ্যোগ, যা মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বেশ ভূমিকা রাখছে।’
জাতীয় মহিলা সংঘের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জি জানান, দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তিনি বলেন, ‘এটা ভালো দিক, বেকারত্ব কমছে। বর্তমানে নারীরা কাজ করে স্বস্তিবোধ করছেন। তাঁরা নিজেদের দক্ষতা কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন নিজস্বতার সঙ্গে।’
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক মো. মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘উদ্যোক্তারা এখনো বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অভূতপূর্ব সাফল্য আসছে। মানিকগঞ্জ জেলায় নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়িক পরামর্শ, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি সহজ শর্তে আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করা, উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বিপণনে সহায়তার জন্য বিসিক মানিকগঞ্জ জেলায় উদ্যোক্তা মেলার আয়োজন করে আসছে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন সহায়তা তহবিল থেকে মানিকগঞ্জে চারজন নারী উদ্যোক্তা প্রায় ২২ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য অনুদান পেয়েছেন। জেলায় তিন বছরে নারী উদ্যোক্তাদের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ এবং ২৫০ জন উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস এবং ই-মার্কেটের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে দেশের অর্থনৈতিক সূচকে ইতিবাচক দিক ফুটে উঠেছে।’

হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি বরাবরই আলোচনায় থাকেন শুধু তাঁর অভিনয়ের জন্য নয়, বরং প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি ৪৪ বছর বয়সী সংগীত উদ্যোক্তা স্কুটার ব্রৌনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
৩০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৩ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি বরাবরই আলোচনায় থাকেন শুধু তাঁর অভিনয়ের জন্য নয়, বরং প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি ৪৪ বছর বয়সী সংগীত উদ্যোক্তা স্কুটার ব্রৌনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর আগে তিনি ব্যবসায়ী জনাথন দাভিনোর সঙ্গে সাত বছর ধরে ছিলেন। ৪২ বছর বয়সী দাভিনোর সঙ্গে মিলে তিনি ‘ফিফটি-ফিফটি ফিল্মস’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেন।
এদিকে বরাবরই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সে অনেক বড় পুরুষদের প্রতি সুইনির আগ্রহ নিয়ে ভক্তদের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও যৌন-মনোবিজ্ঞানী সোফি রোস। তিনি প্রায় ১৮ বছর ধরে এই বিষয়ে কাজ করছেন।
সোফির মতে, এই ধরনের আকর্ষণ আসলে বয়সের জন্য নয়, বরং মানসিক নিরাপত্তা, স্থিতি ও আবেগীয় পরিপক্বতার প্রতি টান থেকে আসে।
সোফি বলেন, ‘যেসব মানুষ সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহান—তারা প্রায় সময়ই এমন সঙ্গী খোঁজেন যিনি স্থির ও নির্ভরযোগ্য। বড় বয়সের মানুষেরা প্রায়ই সেই নিরাপত্তার অনুভূতি দিতে পারেন।’
তিনি আরও মত দেন, এটি সব সময় যে কোনো মানসিক আঘাতের ফলে হবে, এমন নয়। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় কেউ বয়সের তুলনায় পরিণত হয় এবং অনুভব করে, সমবয়সীরা তার মতো পরিপক্ব নয়।’
ইতিপূর্বে সুইনি তাঁর কঠিন শৈশবের কথাও বলেছিলেন। মা-বাবার বিচ্ছেদ, আর্থিক সংকট এবং ১৬ বছর বয়সে পুরো পরিবার নিয়ে এক রুমের হোটেলে বসবাস—এই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সোফি রোসের মতে, এমন অভিজ্ঞতা পরবর্তী জীবনে অবচেতনভাবে প্রভাব ফেলে। যদি ছোটবেলায়ই কাউকে পরিবার দেখভালের দায়িত্ব নিতে হয়, তবে প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে তিনি এমন কাউকে চাইতে পারেন, যিনি সেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেবেন।’
তবে এর উল্টোটাও হতে পারে। রোস বলেন, ‘অনেক সময় যারা ছোটবেলায় অভিভাবকের ভূমিকায় থাকেন, পরিণত বয়সেও তারা এমন সম্পর্ক খোঁজেন যেখানে অন্যকে যত্ন নিতে হয়। পরিচিত অভ্যাসই তাঁদের কাছে নিরাপদ লাগে।’
বিশেষজ্ঞের মতে, মূল বিষয় হলো সচেতনতা। যদি দুই পক্ষই বুঝতে পারে কেন তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট এবং সম্পর্কটি সমান মর্যাদা, পারস্পরিক সম্মান ও যোগাযোগের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে বয়সের পার্থক্য কোনো সমস্যা নয়।
সোফি বলেন, ‘সিডনি সুইনির মতো কেউ, যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার, কারও ওপর নির্ভরশীল নন। এই সম্পর্কগুলো অনেক সময় ক্ষমতা নয়, বরং মানসিক সামঞ্জস্যের ওপর গড়ে ওঠে।’
সম্প্রতি সাবেক প্রেমিক দাভিনোর সঙ্গে এক তীব্র বিতণ্ডার পর সুইনিকে প্রকাশ্যে চিৎকার করতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। তবে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সবেক হয়ে গেলেও সুইনি ও দাভিনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখছেন। কারণ তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা এখনো সক্রিয় এবং সম্প্রতি ‘ক্রিস্টি’ নামে এক নারী মুষ্টিযোদ্ধার জীবনীচিত্র প্রযোজনা করেছে। ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্পর্কের সমাপ্তি তাঁদের দুজনকে ব্যথিত করেছে।

হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি বরাবরই আলোচনায় থাকেন শুধু তাঁর অভিনয়ের জন্য নয়, বরং প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি ৪৪ বছর বয়সী সংগীত উদ্যোক্তা স্কুটার ব্রৌনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এর আগে তিনি ব্যবসায়ী জনাথন দাভিনোর সঙ্গে সাত বছর ধরে ছিলেন। ৪২ বছর বয়সী দাভিনোর সঙ্গে মিলে তিনি ‘ফিফটি-ফিফটি ফিল্মস’ নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেন।
এদিকে বরাবরই সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়সে অনেক বড় পুরুষদের প্রতি সুইনির আগ্রহ নিয়ে ভক্তদের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও যৌন-মনোবিজ্ঞানী সোফি রোস। তিনি প্রায় ১৮ বছর ধরে এই বিষয়ে কাজ করছেন।
সোফির মতে, এই ধরনের আকর্ষণ আসলে বয়সের জন্য নয়, বরং মানসিক নিরাপত্তা, স্থিতি ও আবেগীয় পরিপক্বতার প্রতি টান থেকে আসে।
সোফি বলেন, ‘যেসব মানুষ সম্পর্কের স্থায়িত্ব নিয়ে সন্দিহান—তারা প্রায় সময়ই এমন সঙ্গী খোঁজেন যিনি স্থির ও নির্ভরযোগ্য। বড় বয়সের মানুষেরা প্রায়ই সেই নিরাপত্তার অনুভূতি দিতে পারেন।’
তিনি আরও মত দেন, এটি সব সময় যে কোনো মানসিক আঘাতের ফলে হবে, এমন নয়। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় কেউ বয়সের তুলনায় পরিণত হয় এবং অনুভব করে, সমবয়সীরা তার মতো পরিপক্ব নয়।’
ইতিপূর্বে সুইনি তাঁর কঠিন শৈশবের কথাও বলেছিলেন। মা-বাবার বিচ্ছেদ, আর্থিক সংকট এবং ১৬ বছর বয়সে পুরো পরিবার নিয়ে এক রুমের হোটেলে বসবাস—এই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সোফি রোসের মতে, এমন অভিজ্ঞতা পরবর্তী জীবনে অবচেতনভাবে প্রভাব ফেলে। যদি ছোটবেলায়ই কাউকে পরিবার দেখভালের দায়িত্ব নিতে হয়, তবে প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে তিনি এমন কাউকে চাইতে পারেন, যিনি সেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেবেন।’
তবে এর উল্টোটাও হতে পারে। রোস বলেন, ‘অনেক সময় যারা ছোটবেলায় অভিভাবকের ভূমিকায় থাকেন, পরিণত বয়সেও তারা এমন সম্পর্ক খোঁজেন যেখানে অন্যকে যত্ন নিতে হয়। পরিচিত অভ্যাসই তাঁদের কাছে নিরাপদ লাগে।’
বিশেষজ্ঞের মতে, মূল বিষয় হলো সচেতনতা। যদি দুই পক্ষই বুঝতে পারে কেন তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট এবং সম্পর্কটি সমান মর্যাদা, পারস্পরিক সম্মান ও যোগাযোগের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে বয়সের পার্থক্য কোনো সমস্যা নয়।
সোফি বলেন, ‘সিডনি সুইনির মতো কেউ, যার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০ মিলিয়ন ডলার, কারও ওপর নির্ভরশীল নন। এই সম্পর্কগুলো অনেক সময় ক্ষমতা নয়, বরং মানসিক সামঞ্জস্যের ওপর গড়ে ওঠে।’
সম্প্রতি সাবেক প্রেমিক দাভিনোর সঙ্গে এক তীব্র বিতণ্ডার পর সুইনিকে প্রকাশ্যে চিৎকার করতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা হয়। তবে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সবেক হয়ে গেলেও সুইনি ও দাভিনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখছেন। কারণ তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা এখনো সক্রিয় এবং সম্প্রতি ‘ক্রিস্টি’ নামে এক নারী মুষ্টিযোদ্ধার জীবনীচিত্র প্রযোজনা করেছে। ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্পর্কের সমাপ্তি তাঁদের দুজনকে ব্যথিত করেছে।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৩ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, নারীর সংখ্যা যেন বাড়ে। অ্যাটলিস্ট ১৫০টা সংসদীয় আসন যেন নারীদের দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমরা সরকারকেও বলতে চাই যে, নারীরা যে নির্বাচনে আসছেন, তাঁদের ডেফিনেটলি সহায়তা দিতে হবে। আমেরিকাতেও দেখবেন, এ রকম নারীদের সহায়তা দেওয়া হয়। তো নারীদের একটু সাহায্য দেওয়া এবং তাঁরা যেন নির্বাচনটা করতে পারেন, সেই রকম একটা ব্যবস্থা যেন নারীদের জন্য থাকে। নারীরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারেন, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই যে, অ্যাটলিস্ট ৫০ শতাংশ, আপনার ৩০০টা সিট না, কিন্তু ১৫০টা সিট যেন নারীদের জন্য দেওয়া হয়। নারীরা যেন কনটেস্ট করতে পারেন। সেই জিনিসটা আমরা একটু নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘নারীদের পক্ষে একটু অসম্ভব, একটু কষ্টকর, একটু না অনেক কষ্টকর। কারণ, সহজে কিন্তু ফ্যামিলি থেকেও নারীদের জন্য ফান্ড পাওয়া যায় না, যেটা পুরুষেরা অহরহ পারেন। আমাদের কথা হলো, নারীদের গভর্নমেন্ট যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে অনেক নারীই কিন্তু নির্বাচনে আসতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘দলগুলোকেও আমরা বলতে চাই, কোথাও দেখা যায় যে, এটা ৫ শতাংশ, কোথাও দেখা যাচ্ছে ৭ শতাংশ—এভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এভাবে না করে আমার মনে হয়, উনারা যদি বলেন যে এত পারসেন্ট দেবেন, সেভাবে যদি হয়, তাহলে জিনিসটা একটু ব্যালেন্স হবে।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইএবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেম্বার সাবেরা আহমেদ কলি, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেরুন্নেসা খান, মেম্বার আইরিন তালুকদার, এস এম আনজুমানু ফেরদৌস ও ফাহিমা কাউসার।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর উইমেন এন্ট্রাপ্রেনিউর অব বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, নারীর সংখ্যা যেন বাড়ে। অ্যাটলিস্ট ১৫০টা সংসদীয় আসন যেন নারীদের দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমরা সরকারকেও বলতে চাই যে, নারীরা যে নির্বাচনে আসছেন, তাঁদের ডেফিনেটলি সহায়তা দিতে হবে। আমেরিকাতেও দেখবেন, এ রকম নারীদের সহায়তা দেওয়া হয়। তো নারীদের একটু সাহায্য দেওয়া এবং তাঁরা যেন নির্বাচনটা করতে পারেন, সেই রকম একটা ব্যবস্থা যেন নারীদের জন্য থাকে। নারীরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারেন, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই যে, অ্যাটলিস্ট ৫০ শতাংশ, আপনার ৩০০টা সিট না, কিন্তু ১৫০টা সিট যেন নারীদের জন্য দেওয়া হয়। নারীরা যেন কনটেস্ট করতে পারেন। সেই জিনিসটা আমরা একটু নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
নির্বাচনী তহবিল নিয়ে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘নারীদের পক্ষে একটু অসম্ভব, একটু কষ্টকর, একটু না অনেক কষ্টকর। কারণ, সহজে কিন্তু ফ্যামিলি থেকেও নারীদের জন্য ফান্ড পাওয়া যায় না, যেটা পুরুষেরা অহরহ পারেন। আমাদের কথা হলো, নারীদের গভর্নমেন্ট যদি একটু সহায়তা করে, তাহলে অনেক নারীই কিন্তু নির্বাচনে আসতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘দলগুলোকেও আমরা বলতে চাই, কোথাও দেখা যায় যে, এটা ৫ শতাংশ, কোথাও দেখা যাচ্ছে ৭ শতাংশ—এভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এভাবে না করে আমার মনে হয়, উনারা যদি বলেন যে এত পারসেন্ট দেবেন, সেভাবে যদি হয়, তাহলে জিনিসটা একটু ব্যালেন্স হবে।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউইএবির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেম্বার সাবেরা আহমেদ কলি, সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেরুন্নেসা খান, মেম্বার আইরিন তালুকদার, এস এম আনজুমানু ফেরদৌস ও ফাহিমা কাউসার।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি বরাবরই আলোচনায় থাকেন শুধু তাঁর অভিনয়ের জন্য নয়, বরং প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি ৪৪ বছর বয়সী সংগীত উদ্যোক্তা স্কুটার ব্রৌনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
৩০ মিনিট আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৩ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৩ দিন আগেব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়। গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে কীভাবে আইনি সহায়তা পেতে পারেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফফাত আরা গিয়াস।
গণপরিবহনে হয়রানি বা সহিংসতার শিকার হলে প্রথম কাজ হবে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব ভিড় থেকে দূরে চলে যান, চিৎকার করে আশপাশের লোকদের সচেতন করুন এবং সরাসরি বিপদাপন্ন মনে হলে চালক, কন্ডাক্টর কিংবা শুভানুধ্যায়ীর সাহায্য চান। একই সময়ে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও বা অডিও রেকর্ড রাখুন, ছবি তুলুন এবং পাশে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর নোট করে নিন। এগুলো পরে প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে।
আইনগত দিক
গণপরিবহনে শারীরিক ভঙ্গি, ছোঁয়া কিংবা আপত্তিকর আচরণ পেনাল কোডের ধার্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের মধ্যে পড়ে। যেমন কোনো ব্যক্তি যদি কোনো নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে অথবা শালীনতা ক্ষুণ্ন হতে পারে জেনেও উক্ত নারীকে আক্রমণ করে বা তার ওপর অপরাধমূলক বল প্রয়োগ করে, সেটি ধারা ৩৫৪-এর মধ্যে পড়ে। আবার কোনো নারীর শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে কোনো শব্দ ব্যবহার, অঙ্গভঙ্গি অথবা কোনো কাজ করলে তা ধারা ৫০৯ অনুসারে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই অপরাধগুলোর ভিত্তিতে মামলা করা যায়। দেশের সংবিধান নাগরিকদের সমতা ও মর্যাদা নিশ্চিত করেছে। তাতে নারীদের পুরুষের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।
কীভাবে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে
ঘটনার পর দ্রুত নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি অথবা গুরুতর হলে এফআইআর/মোকদ্দমা করুন। এ ছাড়া অনলাইন জিডি সার্ভিসও আছে, যেখানে প্রাথমিক অভিযোগ দাখিল করা যায়। পরে পুলিশ আপনাকে তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে সাহায্য করবে। মেডিকেল পরীক্ষার কাগজ এবং মোবাইল ফোনে করা ভিডিও অথবা অডিও প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট বা মেসেজের স্ক্রিনশট রাখুন। প্রয়োজনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর অধীন কঠোর ধারাও বিবেচিত হতে পারে।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
কটূক্তি বা মৌখিক হয়রানির শিকার হলে করণীয়
হয়রানির ঘটনা ঘটলে কড়া ভাষায় বিরক্তি জানান। আশপাশের মানুষকে ডাকা এবং ঘটনাটি রেকর্ড বা নোট করা গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিকভাবে মামলা কিংবা অভিযোগ আনা গেলে ভুক্তভোগীকে অপমান করা
বা ন্যক্কারজনক ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। এখানে আইনি প্রক্রিয়া ও প্রমাণই নির্ণায়ক, ব্যক্তিগত কলঙ্ক বা সোশ্যাল মিডিয়ার চাপকে অতিরঞ্জিতভাবে গ্রহণ করবেন না। গবেষণা ও এনজিও সার্ভেতে দেখা গেছে, গণপরিবহনে কটূক্তি ব্যাপক। এ কারণেই ব্যক্তিগত ঘটনা আইনি ও সামাজিকভাবে গুরুত্ব পায়।
মানসিক সহায়তা ও সুরাহা
ন্যক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটে গেলে পরিবার, বন্ধু অথবা স্থানীয় নারী সাহায্য কেন্দ্র কিংবা আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ জোগাড় না করে দ্রুত সামাজিক মিডিয়ায় নেটিভ স্টোরি ছড়িয়ে দেওয়ার আগে আইনগত পরামর্শ নিন। সমাজে ভুক্তভোগীকে দোষারোপ বন্ধ করতে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিন্দা নয়, সহায়তা বাড়ানোই সমাধান।
গণপরিবহনে হয়রানি অথবা সহিংসতার শিকার হলে পেনাল কোড ধারা ৩৫৪, ৫০৯, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সাংবিধানিক সমতা—এসব আইনি সূত্রের সাহায্যে যে কেউ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
জীবিকার প্রয়োজনে কিংবা পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে নারীদের ঘর থেকে বের হতে হয়। এই প্রাত্যহিক কাজে গণপরিবহনে হয়রানির শিকার হলে নারীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন বাধাগ্রস্ত হয়। এটি আইনের চোখে অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি বরাবরই আলোচনায় থাকেন শুধু তাঁর অভিনয়ের জন্য নয়, বরং প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি ৪৪ বছর বয়সী সংগীত উদ্যোক্তা স্কুটার ব্রৌনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
৩০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
৩ দিন আগেবাংলাদেশ মহিলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অক্টোবর মাসে ২৩১ জন নারী এবং কন্যাশিশু ধর্ষণ, হত্যা, যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হওয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬ কন্যা, ১৬ নারীসহ মোট ৬২ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রকাশিত মাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। অক্টোবরে বেশিসংখ্যক নারী ও কন্যাশিশু হত্যার শিকার হয়েছে। এ ঘটনার শিকার হওয়া ৫৩ জনের মধ্যে ৪৬ নারী ও ৭ জন কন্যাশিশু। ১৫টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্যাতনের শিকার হওয়া ২৩১ নারী ও কন্যাশিশুর মধ্যে ৩৪ কন্যাসহ ৪৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ১০ কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ২ কন্যাসহ ৫ জন। এ ছাড়া ১০ কন্যাসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ১০১ কন্যাশিশু, আর ১৩০ জন নারী সহিংসতার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ৭ কন্যা এবং ৪৬ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ১ কন্যা ও ২ জন নারী। ৯ কন্যা, ১৭ নারীসহ ২৬ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
২ কন্যা, ৫ নারীসহ ৭ জন আত্মহত্যা করেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে ১ জন।
যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে ৬ কন্যা, ৬ নারীসহ মোট ১২ জন। এর মধ্যে ৫ কন্যাসহ ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার এবং ১ কন্যা উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন নারী। সে কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জন নারীর। ১ জন নারী গৃহকর্মীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে।
৭ কন্যা অপহরণের শিকার হয়েছে। পাচারের শিকার হয়েছে ৬ কন্যাসহ ১০ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৯ জন। বাল্যবিবাহের চেষ্টা হয়েছে ২ জন কন্যার। যৌতুকের ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এর মধ্যে যৌতুকের জন্য নির্যাতনে ২ এবং যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার ৫ জন নারী। এ ছাড়া ৫ জন নারী বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কৃষি সংস্কৃতিকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দোরগোড়ায় টেনে এনেছে নারীরা। শতসহস্র বছরের অভিযাত্রায় খাদ্যসংস্কৃতিকে করেছে আধুনিক। তারপরও তারা অন্তরালের মানুষ। সেই অবরোধবাসিনীরাই এবার নেমেছে একটি জনপদের বাঁকবদলের ইতিহাস তৈরিতে। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নারী উদ্যোক্তারা ধীরে হল
২৭ মার্চ ২০২৪
হলিউড অভিনেত্রী সিডনি সুইনি বরাবরই আলোচনায় থাকেন শুধু তাঁর অভিনয়ের জন্য নয়, বরং প্রেমের সম্পর্ক নিয়েও। ২৮ বছর বয়সী এই তারকা সম্প্রতি ৪৪ বছর বয়সী সংগীত উদ্যোক্তা স্কুটার ব্রৌনের সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
৩০ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৫০ আসনে নারী প্রার্থী চান নারী উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানায় নারী উদ্যোক্তাদের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২ দিন আগে
দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতে ৮৭ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিকসহ বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ হয় যৌন হয়রানির শিকার। এসব তথ্য চলতি বছরের এপ্রিলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ইউএন উইমেন্স ও সুইডেন দূতাবাসের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি ক্যাম্পেইনে তুলে ধরা হয়।
৩ দিন আগে