ফিচার ডেস্ক
নাইজেরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি অস্থির সময় নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘পার্পল হিবিস্কাস’। এতে ক্ষমতার শূন্যতা এবং একজন স্বৈরশাসকের উত্থান-পতনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে সেই সময়ের পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনাগুলোও। পাশাপাশি উঠে এসেছে একটি পরিবারে মা-বাবা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্ক এবং তাদের অনুভূতির কথা। এককথায় বলতে গেলে, উপন্যাসটির মূল বিষয়বস্তু স্বাধীনতা বনাম স্বৈরাচার। চরিত্রগুলোর পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লড়াই দেখা যায় উপন্যাসজুড়ে। পার্পল হিবিস্কাস নাইজেরিয়ান লেখক চিমামান্ডা এনগোজি আদিচির লেখা প্রথম উপন্যাস। ২০০৩ সালের অক্টোবরে অ্যালগনকুইন বুকস প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত বইটির জন্য আদিচি সে বছর কমনওয়েলথ রাইটার্স পুরস্কার পান।
২০১৪ সালে আদিচি বিখ্যাত বক্তৃতা আয়োজন ট্রেড টকে বলেছিলেন, ‘আমাদের সবার নারীবাদী হওয়া উচিত।’ তাঁর বক্তব্যটি ইউটিউবে সে সময় ১০ লাখের বেশি লোক দেখেছিলেন। তিনি শুধু আজকের দিনের অগ্রগণ্য লেখকদের মধ্যেই নন, বরং নারীবাদী রোল মডেলদের একজন। তিনি লৈঙ্কিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমতায় বিশ্বাস করেন। তাঁর মতে, এই সমাজ নারীদের সংকুচিত হতে শেখায়, নিজেকে ছোট করতে শেখায়। সমাজ মনে করে, মেয়েদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। নারীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সফল হওয়া। কিন্তু সমাজ মনে করে, নারীদের বেশি সফল হওয়া উচিত নয়। ২০১৪ সালে ‘মিস’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি নারীবাদী লেখক কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে আদিচি বলেছিলেন, ‘আমি নিজেকে একজন গল্পকার হিসেবে ভাবি। কিন্তু কেউ যদি আমাকে একজন নারীবাদী লেখিকা হিসেবে মনে করে, তাহলে আমি মোটেও আপত্তি করব না।’ ২০০৬ সালে প্রকাশিত আদিচির দ্বিতীয় বই ‘হাফ অব ইয়েলো সান’ পায় অরেঞ্জ প্রাইজ। ছোট গল্প ‘আমেরিকান এম্বাসির’ জন্য তিনি পেয়েছিলেন ও’হেনরি পুরস্কার।
চিমামান্ডা এনগোজি আদিচি ১৯৭৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়ার এনুগুতে একটি ইগবো পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তাঁর মা-বাবা ও দাদা-দাদি ১৯৬৭-১৯৭০ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া গৃহযুদ্ধের ভুক্তভোগী।
নাইজেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর দেড়েক মেডিসিন ও ফার্মাসি বিভাগে পড়াশোনা করার পর ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আদিচি। তিনি ২০০৩ সালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ২০০৮ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তখন তিনি সমসাময়িক আমেরিকায় জাতি ও বর্ণবাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতি একটি অদ্ভুত গঠন। কারণ, আপনাকে আমেরিকায় কালো হওয়ার অর্থ কী, তা শিখতে হবে।’ এই জাতিগত বিভেদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ২০১৩ সালে লিখেছিলেন তাঁর তৃতীয় উপন্যাস ‘আমেরিকানা’।
নাইজেরিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি অস্থির সময় নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘পার্পল হিবিস্কাস’। এতে ক্ষমতার শূন্যতা এবং একজন স্বৈরশাসকের উত্থান-পতনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে সেই সময়ের পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনাগুলোও। পাশাপাশি উঠে এসেছে একটি পরিবারে মা-বাবা ও সন্তানের মধ্যকার সম্পর্ক এবং তাদের অনুভূতির কথা। এককথায় বলতে গেলে, উপন্যাসটির মূল বিষয়বস্তু স্বাধীনতা বনাম স্বৈরাচার। চরিত্রগুলোর পাশাপাশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার লড়াই দেখা যায় উপন্যাসজুড়ে। পার্পল হিবিস্কাস নাইজেরিয়ান লেখক চিমামান্ডা এনগোজি আদিচির লেখা প্রথম উপন্যাস। ২০০৩ সালের অক্টোবরে অ্যালগনকুইন বুকস প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত বইটির জন্য আদিচি সে বছর কমনওয়েলথ রাইটার্স পুরস্কার পান।
২০১৪ সালে আদিচি বিখ্যাত বক্তৃতা আয়োজন ট্রেড টকে বলেছিলেন, ‘আমাদের সবার নারীবাদী হওয়া উচিত।’ তাঁর বক্তব্যটি ইউটিউবে সে সময় ১০ লাখের বেশি লোক দেখেছিলেন। তিনি শুধু আজকের দিনের অগ্রগণ্য লেখকদের মধ্যেই নন, বরং নারীবাদী রোল মডেলদের একজন। তিনি লৈঙ্কিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমতায় বিশ্বাস করেন। তাঁর মতে, এই সমাজ নারীদের সংকুচিত হতে শেখায়, নিজেকে ছোট করতে শেখায়। সমাজ মনে করে, মেয়েদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। নারীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত সফল হওয়া। কিন্তু সমাজ মনে করে, নারীদের বেশি সফল হওয়া উচিত নয়। ২০১৪ সালে ‘মিস’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি নারীবাদী লেখক কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে আদিচি বলেছিলেন, ‘আমি নিজেকে একজন গল্পকার হিসেবে ভাবি। কিন্তু কেউ যদি আমাকে একজন নারীবাদী লেখিকা হিসেবে মনে করে, তাহলে আমি মোটেও আপত্তি করব না।’ ২০০৬ সালে প্রকাশিত আদিচির দ্বিতীয় বই ‘হাফ অব ইয়েলো সান’ পায় অরেঞ্জ প্রাইজ। ছোট গল্প ‘আমেরিকান এম্বাসির’ জন্য তিনি পেয়েছিলেন ও’হেনরি পুরস্কার।
চিমামান্ডা এনগোজি আদিচি ১৯৭৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়ার এনুগুতে একটি ইগবো পরিবারে বেড়ে ওঠেন। তাঁর মা-বাবা ও দাদা-দাদি ১৯৬৭-১৯৭০ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া গৃহযুদ্ধের ভুক্তভোগী।
নাইজেরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর দেড়েক মেডিসিন ও ফার্মাসি বিভাগে পড়াশোনা করার পর ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আদিচি। তিনি ২০০৩ সালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ২০০৮ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তখন তিনি সমসাময়িক আমেরিকায় জাতি ও বর্ণবাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতি একটি অদ্ভুত গঠন। কারণ, আপনাকে আমেরিকায় কালো হওয়ার অর্থ কী, তা শিখতে হবে।’ এই জাতিগত বিভেদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ২০১৩ সালে লিখেছিলেন তাঁর তৃতীয় উপন্যাস ‘আমেরিকানা’।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
২ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
২ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
২ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
২ দিন আগে