মহিলা পরিষদের আয়োজন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
লৈঙ্গিক বৈষম্যের ধারণা, চেতনা ও কাঠামো যত দিন সমাজে থাকবে, তত দিন নারীর প্রতি সহিংসতা চলবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু আইনের পরিবর্তন নারীর প্রতি সহিংসতাকে আরও প্রশ্রয় দিচ্ছে। যেমন যৌতুক-সংক্রান্ত মামলায় এখন নারীকে আইনগত সহায়তা কমিটির অনুমতি নিতে হচ্ছে, যা বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নারীর প্রতি সহিংসতা: নারী সাংবাদিকদের ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সভায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত নারী সাংবাদিকেরা।
সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত নারী সাংবাদিকেরা পেশাগত জীবন ও সমাজজীবনে সহিংসতা, বৈষম্য ও হয়রানির বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক রাফিয়া চৌধুরী বলেন, নারীদের শিক্ষার হার বাড়লেও তাঁরা এখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অবস্থান নিতে পারছেন না। কিছু ক্ষেত্রে অবস্থান নিলেও তা দীর্ঘ মেয়াদে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। সমাজের কাঠামোগত বাধা নারীর প্রতিবাদী কণ্ঠকে চাপা দিতে সক্ষম হচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মী শাহনাজ পারভীন এলিস বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনকারীরা নারীর ওপর সহিংসতার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে না। গণমাধ্যমেও এসব নির্যাতনের খবর যথাযথভাবে উঠে আসে না এবং অনেক ক্ষেত্রেই সংবেদনশীলতা বিবেচনায় রাখা হয় না।
সাংবাদিক নাদিরা কিরণ বলেন, বর্তমান সময় নারীদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মূলধারার গণমাধ্যমে আসে না। আইনের প্রয়োগ না থাকায় অপরাধীরা শাস্তি পায় না। তিনি নিজের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, গণমাধ্যমে সংস্কার হলেও তা অযোগ্য ব্যক্তির হাতে। নারী সাংবাদিকেরা কোনো ইস্যু নিয়ে কাজ করতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হন।
কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাহীনতা ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নিয়ে শাহনাজ মুন্নী অভিযোগ করেন বলেন, গণমাধ্যমে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে নারীদের অবস্থান নেই। অনেক প্রতিষ্ঠান নীতিগতভাবেই নারী কর্মী নিয়োগে অনাগ্রহী। এই ধারা অব্যাহত থাকলে নিউজরুমগুলো নারীবিহীন হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, নিউজরুমের এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে অনেক নারী বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।
সভায় সংখ্যালঘু নারীদের বিষয়ে কথা বলেন দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে উপেক্ষিত থাকে। তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদকে এ বিষয়ে সক্রিয় অ্যাডভোকেসি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ভোরের কাগজের সেবিকা দেবনাথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতার প্রভাব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে ৩৭ শতাংশ মানুষ ফেসবুকে বিশ্বাস করে। ভিউ বাড়ানোর ব্যবসার কারণে ভুক্তভোগীরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি এসব ইস্যু তদারকির ওপর জোর দেন।
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জান্নাতুল রুহি বলেন, নারীদের সংস্কৃতিগতভাবে কাঠামোবদ্ধ করে রাখা হয়, যা সমাজে তাঁদের স্বাধীন চলার পথে অন্তরায়।
কালবেলার রীতা ভৌমিক জানান, তিনি ৯টি ট্রাইব্যুনাল ঘুরে দেখেছেন, যেখানে অনেক মামলাই সঠিকভাবে করা হয়নি। ভুক্তভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা আদালতে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন না, যা বিচারপ্রক্রিয়ায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন সংবাদের নাসরিন গীতি, সমকালের দ্রোহী তারা ও আজকের পত্রিকার সেলিনা আক্তার।
লৈঙ্গিক বৈষম্যের ধারণা, চেতনা ও কাঠামো যত দিন সমাজে থাকবে, তত দিন নারীর প্রতি সহিংসতা চলবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। তিনি বলেন, বর্তমানে কিছু আইনের পরিবর্তন নারীর প্রতি সহিংসতাকে আরও প্রশ্রয় দিচ্ছে। যেমন যৌতুক-সংক্রান্ত মামলায় এখন নারীকে আইনগত সহায়তা কমিটির অনুমতি নিতে হচ্ছে, যা বিচারপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নারীর প্রতি সহিংসতা: নারী সাংবাদিকদের ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সভায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত নারী সাংবাদিকেরা।
সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত নারী সাংবাদিকেরা পেশাগত জীবন ও সমাজজীবনে সহিংসতা, বৈষম্য ও হয়রানির বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক রাফিয়া চৌধুরী বলেন, নারীদের শিক্ষার হার বাড়লেও তাঁরা এখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অবস্থান নিতে পারছেন না। কিছু ক্ষেত্রে অবস্থান নিলেও তা দীর্ঘ মেয়াদে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। সমাজের কাঠামোগত বাধা নারীর প্রতিবাদী কণ্ঠকে চাপা দিতে সক্ষম হচ্ছে।
গণমাধ্যমকর্মী শাহনাজ পারভীন এলিস বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনকারীরা নারীর ওপর সহিংসতার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে না। গণমাধ্যমেও এসব নির্যাতনের খবর যথাযথভাবে উঠে আসে না এবং অনেক ক্ষেত্রেই সংবেদনশীলতা বিবেচনায় রাখা হয় না।
সাংবাদিক নাদিরা কিরণ বলেন, বর্তমান সময় নারীদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মূলধারার গণমাধ্যমে আসে না। আইনের প্রয়োগ না থাকায় অপরাধীরা শাস্তি পায় না। তিনি নিজের কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, গণমাধ্যমে সংস্কার হলেও তা অযোগ্য ব্যক্তির হাতে। নারী সাংবাদিকেরা কোনো ইস্যু নিয়ে কাজ করতে গেলেও বাধার সম্মুখীন হন।
কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাহীনতা ও লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নিয়ে শাহনাজ মুন্নী অভিযোগ করেন বলেন, গণমাধ্যমে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে নারীদের অবস্থান নেই। অনেক প্রতিষ্ঠান নীতিগতভাবেই নারী কর্মী নিয়োগে অনাগ্রহী। এই ধারা অব্যাহত থাকলে নিউজরুমগুলো নারীবিহীন হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, নিউজরুমের এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে অনেক নারী বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।
সভায় সংখ্যালঘু নারীদের বিষয়ে কথা বলেন দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদক উম্মুল ওয়ারা সুইটি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নারীদের ওপর সহিংসতার ঘটনা প্রায়ই গণমাধ্যমে উপেক্ষিত থাকে। তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদকে এ বিষয়ে সক্রিয় অ্যাডভোকেসি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ভোরের কাগজের সেবিকা দেবনাথ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতার প্রভাব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে ৩৭ শতাংশ মানুষ ফেসবুকে বিশ্বাস করে। ভিউ বাড়ানোর ব্যবসার কারণে ভুক্তভোগীরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তিনি এসব ইস্যু তদারকির ওপর জোর দেন।
ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জান্নাতুল রুহি বলেন, নারীদের সংস্কৃতিগতভাবে কাঠামোবদ্ধ করে রাখা হয়, যা সমাজে তাঁদের স্বাধীন চলার পথে অন্তরায়।
কালবেলার রীতা ভৌমিক জানান, তিনি ৯টি ট্রাইব্যুনাল ঘুরে দেখেছেন, যেখানে অনেক মামলাই সঠিকভাবে করা হয়নি। ভুক্তভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা আদালতে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন না, যা বিচারপ্রক্রিয়ায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
মুক্ত আলোচনায় আরও অংশ নেন সংবাদের নাসরিন গীতি, সমকালের দ্রোহী তারা ও আজকের পত্রিকার সেলিনা আক্তার।
মধ্যপ্রাচ্যে সর্বপ্রথম নারীদের নিয়ে সি রেঞ্জার বাহিনী গঠন করেছে সৌদি আরব। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিশ্ব রেঞ্জার দিবস উপলক্ষে এই রেঞ্জার বাহিনীর কথা জানান সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রয়্যাল রিজার্ভ। সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও নারী ক্ষমতায়নের প্রতি দেশটির প্রতিশ্র
৪ দিন আগেচব্বিশের জুলাই। ৩১ দিনে নয়, শেষ হয়েছিল ৩৬ দিনে। সেই উত্তাল সময় তৈরি করেছে নানা আনন্দের স্মৃতি ও বেদনার ক্ষত। তৈরি হয়েছে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। কেউ কেউ জীবনের পরোয়া না করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন সে সময়। কেউ পানি দিয়েছিলেন, কেউ আহত ব্যক্তিদের নিজের রিকশায় নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে...
৫ দিন আগে৩০ বছর ধরে পাঁপড় বানিয়ে চলেছেন! সেই পাঁপড় বিক্রি করে চলছে সংসার, প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসা ও ছেলের পড়াশোনা। বলছি মাদারীপুর শহরের পাকদি এলাকার হারুন-অর-রশীদ (৬৫) ও মজিদা বেগম (৫০) দম্পতির গল্প।
৫ দিন আগেসুতার নাম কেভলার। সুতি বা কটন, রেশম, রেয়ন ইত্যাদি সুতার কথা আমরা জানি। সেগুলো দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পোশাক ব্যবহারও করি। কিন্তু কেভলার? না, সাধারণ মানুষ এই সুতায় তৈরি পোশাক ব্যবহার করে না। বিশেষ অবস্থার জন্য বিশেষ ধরনের পোশাক তৈরিতেই শুধু এই কেভলার ফাইবার ব্যবহার করা হয়।
৫ দিন আগে