শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ব্যবসাও করেন। এই সবকিছুর চাপ সামলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার আছিম কুটিরা গ্রামে তিনি তৈরি করেছেন কুটিরা জ্ঞানের আলো পাঠাগার। নিজের উপার্জনের কিছু অংশ পাঠাগারের পেছনে ব্যয় করেন তিনি। তাঁর নাম শিল্পী খাতুন। এই নারীর সাফল্যের গল্প লিখেছেন মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
যেভাবে শুরু
স্বামী ও দুই ছেলে নিয়ে শিল্পী খাতুনের পরিবার। একসময় ঢাকায় থাকলেও কোভিডের পর আছিম কুটিরা গ্রামে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। কুটিরা ডিএস ক্যাডেট একাডেমিতে পড়ানোর পাশাপাশি প্রচুর বই পড়তেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে অনেকে বই নিয়ে পড়তেন। আবার ফেরতও দিয়ে যেতেন। মানুষের এমন আগ্রহ দেখে শিল্পী বই জমিয়ে অল্প দিনেই তৈরি করলেন একটি পাঠাগার। গ্রামের নামেই তার নাম দিলেন কুটিরা জ্ঞানের আলো পাঠাগার।
পাঠাগার পরিচালনায় নারীরা গ্রামে ফিরে এসে পাঠাগার করার বিষয়টি আশপাশের অনেকে মেনে নিতে পারেনি।
স্কুলে পড়াতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েন তিনি। শত বাধা আর মানুষের কটাক্ষ গায়ে মাখেননি শিল্পী খাতুন। তিনি নিজের মতো করে এগিয়ে গেছেন। ধীরে ধীরে সখ্য গড়ে তুলেছেন গ্রামের নারীদের সঙ্গে। বর্তমানে এই পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সবাই নারী।
পাঠাগারে যা আছে
কুটিরা জ্ঞানের আলো পাঠাগারে ১৪ জন পাঠকের বসার ব্যবস্থা আছে একসঙ্গে। এখন এর সদস্যসংখ্যা ১৩৭ জন। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, গৃহিণীসহ প্রায় সব ধরনের মানুষ পাঠাগারে বই পড়তে আসেন। নিজের উপার্জনের টাকায় কিছু বই কিনেছেন শিল্পী খাতুন। আর কিছু পেয়েছেন উপহার।
মানবিক শিল্পী
শুধু পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেই শিল্পী খাতুনের কাজ থেমে নেই। যতটা সম্ভব মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করেন তিনি। রোজার সময় এতিম ও বিধবাদের মধ্যে ইফতারি এবং ঈদসামগ্রী বিতরণ কিংবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বিধবাদের সহযোগিতা করেন তিনি নিয়মিত। এ ছাড়া শিল্পী খাতুন নিজের গ্রামের মানুষদের চালের কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তিনি উদ্যোক্তাও
গ্রামে এসে শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যবসা করার চিন্তা করেন শিল্পী। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি মুদি ও মনিহারি দোকান চালু করেন। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। এই ব্যবসা তাঁর পরিবারে সচ্ছলতায় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
আগামীদিনের ভাবনা
স্কুল ও পাঠাগারের কার্যক্রম ছড়িয়ে দিয়ে আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে এ ধরনের কাজে যুক্ত করা শিল্পী খাতুনের ভবিষ্যৎ চিন্তা। এ জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
যেভাবে শুরু
স্বামী ও দুই ছেলে নিয়ে শিল্পী খাতুনের পরিবার। একসময় ঢাকায় থাকলেও কোভিডের পর আছিম কুটিরা গ্রামে স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। কুটিরা ডিএস ক্যাডেট একাডেমিতে পড়ানোর পাশাপাশি প্রচুর বই পড়তেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে অনেকে বই নিয়ে পড়তেন। আবার ফেরতও দিয়ে যেতেন। মানুষের এমন আগ্রহ দেখে শিল্পী বই জমিয়ে অল্প দিনেই তৈরি করলেন একটি পাঠাগার। গ্রামের নামেই তার নাম দিলেন কুটিরা জ্ঞানের আলো পাঠাগার।
পাঠাগার পরিচালনায় নারীরা গ্রামে ফিরে এসে পাঠাগার করার বিষয়টি আশপাশের অনেকে মেনে নিতে পারেনি।
স্কুলে পড়াতে গিয়েও বাধার মুখে পড়েন তিনি। শত বাধা আর মানুষের কটাক্ষ গায়ে মাখেননি শিল্পী খাতুন। তিনি নিজের মতো করে এগিয়ে গেছেন। ধীরে ধীরে সখ্য গড়ে তুলেছেন গ্রামের নারীদের সঙ্গে। বর্তমানে এই পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সবাই নারী।
পাঠাগারে যা আছে
কুটিরা জ্ঞানের আলো পাঠাগারে ১৪ জন পাঠকের বসার ব্যবস্থা আছে একসঙ্গে। এখন এর সদস্যসংখ্যা ১৩৭ জন। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, গৃহিণীসহ প্রায় সব ধরনের মানুষ পাঠাগারে বই পড়তে আসেন। নিজের উপার্জনের টাকায় কিছু বই কিনেছেন শিল্পী খাতুন। আর কিছু পেয়েছেন উপহার।
মানবিক শিল্পী
শুধু পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেই শিল্পী খাতুনের কাজ থেমে নেই। যতটা সম্ভব মানুষকে সহায়তার চেষ্টা করেন তিনি। রোজার সময় এতিম ও বিধবাদের মধ্যে ইফতারি এবং ঈদসামগ্রী বিতরণ কিংবা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও বিধবাদের সহযোগিতা করেন তিনি নিয়মিত। এ ছাড়া শিল্পী খাতুন নিজের গ্রামের মানুষদের চালের কার্ডের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তিনি উদ্যোক্তাও
গ্রামে এসে শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যবসা করার চিন্তা করেন শিল্পী। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি একটি মুদি ও মনিহারি দোকান চালু করেন। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যায়। এই ব্যবসা তাঁর পরিবারে সচ্ছলতায় মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।
আগামীদিনের ভাবনা
স্কুল ও পাঠাগারের কার্যক্রম ছড়িয়ে দিয়ে আরও বেশিসংখ্যক মানুষকে এ ধরনের কাজে যুক্ত করা শিল্পী খাতুনের ভবিষ্যৎ চিন্তা। এ জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
২ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৪ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৪ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৪ দিন আগে