কনকচাঁপা চাকমা
আমার মা সরত মালা চাকমা। তিনি একজন অসাধারণ কোমরতাঁতের বুননশিল্পী ছিলেন। মায়ের বয়স যখন সাত, তখন থেকে তিনি কাপড় বুনতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অনেক কঠিন নকশা তৈরি করতে পারতেন। বিয়ের পর রাঙামাটি শহরে শুরু হয়েছিল মায়ের বুননশিল্পের যাত্রা, নতুন করে। প্রথমে এলাকাভিত্তিক, এরপর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহু পুরস্কার, সম্মাননা ও পদক পেয়েছেন আমার মা। মায়ের বিপুল শিল্পকর্ম চাকমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
আমার মা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গত পয়লা বৈশাখ। দীর্ঘ তিন বছর রোগটির সঙ্গে যুদ্ধ করেন তিনি। নিজের বুননশিল্পের পাশাপাশি তিনি তৈরি করেন অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শিষ্য। আশা করি, তাঁরা মায়ের দেখানো পথে আরও এগিয়ে যাবেন।
আমি মনে করি, আমার মা মানুষ হিসেবে, মা হিসেবে একজন অসম্ভব বুদ্ধিমতী ছিলেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তাঁর বুদ্ধি, মেধা আর সৃষ্টিশীলতা তাঁকে এক উচ্চ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি তাঁর সন্তানদের সুশিক্ষিত করেছেন। আমি তাঁকে আমার কাজের অনুপ্রেরণা হিসেবে বেছে নিয়েছি। মাকে দেখেছি তাঁর বুননপ্রতিভা নকশার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে। আর আমার আশপাশের প্রকৃতিকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছি রংতুলির মাধ্যমে। এভাবেই মায়ের কাজের সঙ্গে নিজের কাজের মিল খুঁজে পাই।
আমার অন্যান্য ভাইবোনও পড়ালেখা করে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত ছিল। ১০ বছর আগে আমার বড় বোন ও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তখন সন্তান হারানোর ব্যথা মাকে শক্তিতে পরিণত করতে দেখেছি। জীবনে যত ঝড়ই আসুক, এক দিনের জন্যও আমার মায়ের কাজ থেমে থাকেনি। স্বামী মিঠুর মৃত্যুর
পর খুব একা হয়ে পড়েছিলাম।
তখন ছায়াসঙ্গী ছিলেন আমার মা। তিনি আমাকে সাহস দিয়েছেন, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
খুব কাছ থেকে আমার মায়ের জীবনসংগ্রাম দেখেছি। আমার মা আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়। আমার জীবনের সব সংগ্রামে তাঁকে পাশে পেয়েছি। নারীদের শত বাধার মুখেও লড়াই করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার শিক্ষাই তিনি আমাকে দিয়েছেন। আমার মা আমার আদর্শ। তাঁর দেওয়া অনুপ্রেরণা আমাকে জীবনে আলো দেখিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেখাবে।
লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী
আমার মা সরত মালা চাকমা। তিনি একজন অসাধারণ কোমরতাঁতের বুননশিল্পী ছিলেন। মায়ের বয়স যখন সাত, তখন থেকে তিনি কাপড় বুনতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অনেক কঠিন নকশা তৈরি করতে পারতেন। বিয়ের পর রাঙামাটি শহরে শুরু হয়েছিল মায়ের বুননশিল্পের যাত্রা, নতুন করে। প্রথমে এলাকাভিত্তিক, এরপর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহু পুরস্কার, সম্মাননা ও পদক পেয়েছেন আমার মা। মায়ের বিপুল শিল্পকর্ম চাকমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
আমার মা লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গত পয়লা বৈশাখ। দীর্ঘ তিন বছর রোগটির সঙ্গে যুদ্ধ করেন তিনি। নিজের বুননশিল্পের পাশাপাশি তিনি তৈরি করেন অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শিষ্য। আশা করি, তাঁরা মায়ের দেখানো পথে আরও এগিয়ে যাবেন।
আমি মনে করি, আমার মা মানুষ হিসেবে, মা হিসেবে একজন অসম্ভব বুদ্ধিমতী ছিলেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও তাঁর বুদ্ধি, মেধা আর সৃষ্টিশীলতা তাঁকে এক উচ্চ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি তাঁর সন্তানদের সুশিক্ষিত করেছেন। আমি তাঁকে আমার কাজের অনুপ্রেরণা হিসেবে বেছে নিয়েছি। মাকে দেখেছি তাঁর বুননপ্রতিভা নকশার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে। আর আমার আশপাশের প্রকৃতিকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছি রংতুলির মাধ্যমে। এভাবেই মায়ের কাজের সঙ্গে নিজের কাজের মিল খুঁজে পাই।
আমার অন্যান্য ভাইবোনও পড়ালেখা করে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত ছিল। ১০ বছর আগে আমার বড় বোন ও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তখন সন্তান হারানোর ব্যথা মাকে শক্তিতে পরিণত করতে দেখেছি। জীবনে যত ঝড়ই আসুক, এক দিনের জন্যও আমার মায়ের কাজ থেমে থাকেনি। স্বামী মিঠুর মৃত্যুর
পর খুব একা হয়ে পড়েছিলাম।
তখন ছায়াসঙ্গী ছিলেন আমার মা। তিনি আমাকে সাহস দিয়েছেন, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।
খুব কাছ থেকে আমার মায়ের জীবনসংগ্রাম দেখেছি। আমার মা আমাকে শিখিয়েছেন কীভাবে সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়। আমার জীবনের সব সংগ্রামে তাঁকে পাশে পেয়েছি। নারীদের শত বাধার মুখেও লড়াই করে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার শিক্ষাই তিনি আমাকে দিয়েছেন। আমার মা আমার আদর্শ। তাঁর দেওয়া অনুপ্রেরণা আমাকে জীবনে আলো দেখিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেখাবে।
লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী
বান্দরবানের থানচিতে ৫ মে সকালে পাহাড়ের জুমখেতে ধান রোপণ করতে গিয়েছিলেন এক খেয়াং নারী। দুপুরে বাড়ি ফিরে ভাত খাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা বিকেলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নির্মাণাধীন থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের পাশের একটি নালায় তাঁর লাশ খুঁজে
১ দিন আগেবাকি দুনিয়ার কাছে নাম না জানা কাবুলের এক সরু গলির ভেতর অখ্যাত এক স্কুলে সংগোপনে হয়ে গেল দুই দিনের এক প্রদর্শনী। কাবুল শুনেই বুঝতে পারছেন, সেখানে এসব প্রদর্শনী সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু সেটি হয়ে গেল।
১ দিন আগেআমার মামারা মায়ের সম্পত্তি দিচ্ছেন না। দিই-দিচ্ছি করে ঘোরাচ্ছেন অনেক বছর ধরে। এই কাজ কীভাবে করা সম্ভব? মায়ের নামে জমি খারিজ করতে গেলে মামাদের এনআইডি লাগবে। কীভাবে সেটা বের করতে পারি?
১ দিন আগেশিশুরা ভালোভাবে তখন শেখে, যখন তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলোকে তাদের নিজস্ব ধারণার মাধ্যমে বুঝতে দেওয়া হয়। নিজস্ব ধারণা এবং আগ্রহ বিকাশের সুযোগ দেওয়া হলে শিশুরা কেবল জ্ঞান অর্জন করবে না, বরং সেই জ্ঞানকে ব্যবহার করাও শিখবে। এই পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ১৯১৫ সালে নিউইয়র্ক সিটিতে একটি স্কুল খোলা হয়।
১ দিন আগে