মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিশেষ করে গত বছরের নভেম্বরে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর থেকে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষ এআইকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছেন।
পরিসংখ্যান বলছে, এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন নারীরা। চাকরি সন্ধানবিষয়ক ওয়েবসাইট ফ্লেক্সজবসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে ৫৪ শতাংশ পুরুষ এআই ব্যবহার করছেন। যেখানে বিশ্বের মাত্র ৩৫ শতাংশ নারী এআই ব্যবহার করেন।
পুরুষদের মতো নারীদের এআই প্রযুক্তি গ্রহণ না করার পেছনে অনেক কারণ আছে। পুরুষদের চেয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নারীদের বেশি ভাবতে হয়। এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ে নারীরা বেশ উদ্বিগ্ন। তবে এই উদ্বেগ একেবারে অমূলক নয়। ডিপফেক নামের এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর চেহারা অপ্রীতিকর ভিডিওতে জুড়ে দেওয়ায় ঘটনা হরহামেশা দেখা যায়। এ রকম অনেক ঘটনায় সামগ্রিকভাবে এআইয়ের ওপর নেতিবাচক ধারণা জন্মেছে নারীদের মনে।
তা ছাড়া প্রথাগতভাবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের মতো বিষয়ে নারীরা এখনো পিছিয়ে। এআই বিশেষজ্ঞ জোডি কুক বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলেন, এসব খাতে যুক্তরাজ্যের মোট কর্মশক্তির মাত্র ২৪ শতাংশ নারী। সামাজিকভাবে নারীদের মনস্তত্ত্ব এমনভাবে তৈরি হয়েছে, ফলে এসব বিষয়ে তাঁদের আগ্রহ কম দেখা যায়। প্রযুক্তির ব্যবহারে নারীদের আত্মবিশ্বাসও কম। যদিও এআই টুল ব্যবহারে খুব বেশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন নেই, তা-ও অনেক নারী এটির ব্যবহারে নিজেদের দক্ষ মনে করেন না।
যুক্তরাজ্যের মনোবিজ্ঞানী লি চেম্বার্স বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের চিন্তাভাবনা এআই প্রযুক্তি গ্রহণ থেকে বিরত রাখে। এসব টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে নারীরা মনে করেন। এ জন্য নারীরা এসব টুল ব্যবহার করতে চান না। যেকোনো সেক্টরে পুরুষদের চেয়ে নারীদের যোগ্যতা বারবার প্রমাণ করতে হয়। এসব নেতিবাচক অনুভূতি ও চিন্তা নারীদের এআই ব্যবহার থেকে দূরে রাখছে।
এ ছাড়া কোনো বিষয়ে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন না করলে নারীরা সেই কাজে অংশগ্রহণ করতে চান না। পুরুষেরা যেমন কোনো কাজে খুব সহজে যুক্ত হন; কিন্তু নিরাপত্তা ও পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় বিবেচনা করে নারীরা হুট করেই কোনো কাজে যুক্ত হতে পারেন না।
পেশা হিসেবেও এআই শিল্পে নারীরা কম অংশগ্রহণ করছেন। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে, এআই প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বে মাত্র ৩০ শতাংশ নারী কাজ করেন। এই প্রযুক্তিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব খুব ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০১৬ থেকে এআই শিল্পে নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪ শতাংশ বেড়েছে।
এআই শিল্পে কাজ করলেও নারীরা বেশি দিন এই সেক্টরে থাকেন না। পুরুষ-আধিপত্য কর্মসংস্কৃতি, বেতনবৈষম্য এবং উচ্চ স্তরের পদে নারী ‘রোল মডেলের’ অভাব—এমন নানা বিষয় এর জন্য দায়ী। এ ধরনের কর্মক্ষেত্রে নিজেদের ক্যারিয়ার উন্নয়নে কোনো পথ না পেয়ে নারীরা ভিন্ন সেক্টরে চলে যান বা সম্পূর্ণভাবে কাজ ছেড়ে দেন।
ডেটা সায়েন্স ও এআইতে ক্যারিয়ার বেছে না নেওয়ার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ—দীর্ঘ কর্মঘণ্টা। প্রযুক্তির ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তনশীল। এ জন্য নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতেও এ সেক্টরে অনেক সময় দিতে হয়। এ ছাড়া নারীদের ঘরের বাইরে কাজের সঙ্গে সঙ্গে বাসার কাজও করতে হয়। এ জন্য নারীরা সাধারণত এ ধরনের কাজ বেছে নিতে চান না।
কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও ব্যবসার বিভিন্ন কাজের জন্য এখন এআই টুল অপরিহার্য হয়ে উঠছে। এর ব্যবহারে আগ্রহ তৈরি না হলে সামাজিক ও পেশাগত জীবনে নারীরা পিছিয়ে পড়বেন।
এ জন্য নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টিগুলো এআইয়ের বিকাশে পর্যাপ্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রযুক্তির সঙ্গে নারীদের যুক্ত না করতে পারলে ‘অ্যালগরিদম’ পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এআই শিল্পে আনুপাতিক সংখ্যক নারী প্রকৌশলী, গবেষক ও ডেভেলপার না থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক তৈরি পণ্য এবং সেবায় জীবনের সত্যিকার প্রতিফলন ঘটবে না।
মানুষের জীবনকে অনেক সহজ করে তুলছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিশেষ করে গত বছরের নভেম্বরে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি বাজারে আসার পর থেকে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ অনেক শ্রেণি-পেশার মানুষ এআইকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করছেন।
পরিসংখ্যান বলছে, এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে পুরুষদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন নারীরা। চাকরি সন্ধানবিষয়ক ওয়েবসাইট ফ্লেক্সজবসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে ৫৪ শতাংশ পুরুষ এআই ব্যবহার করছেন। যেখানে বিশ্বের মাত্র ৩৫ শতাংশ নারী এআই ব্যবহার করেন।
পুরুষদের মতো নারীদের এআই প্রযুক্তি গ্রহণ না করার পেছনে অনেক কারণ আছে। পুরুষদের চেয়ে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে নারীদের বেশি ভাবতে হয়। এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ে নারীরা বেশ উদ্বিগ্ন। তবে এই উদ্বেগ একেবারে অমূলক নয়। ডিপফেক নামের এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর চেহারা অপ্রীতিকর ভিডিওতে জুড়ে দেওয়ায় ঘটনা হরহামেশা দেখা যায়। এ রকম অনেক ঘটনায় সামগ্রিকভাবে এআইয়ের ওপর নেতিবাচক ধারণা জন্মেছে নারীদের মনে।
তা ছাড়া প্রথাগতভাবে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতের মতো বিষয়ে নারীরা এখনো পিছিয়ে। এআই বিশেষজ্ঞ জোডি কুক বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলেন, এসব খাতে যুক্তরাজ্যের মোট কর্মশক্তির মাত্র ২৪ শতাংশ নারী। সামাজিকভাবে নারীদের মনস্তত্ত্ব এমনভাবে তৈরি হয়েছে, ফলে এসব বিষয়ে তাঁদের আগ্রহ কম দেখা যায়। প্রযুক্তির ব্যবহারে নারীদের আত্মবিশ্বাসও কম। যদিও এআই টুল ব্যবহারে খুব বেশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন নেই, তা-ও অনেক নারী এটির ব্যবহারে নিজেদের দক্ষ মনে করেন না।
যুক্তরাজ্যের মনোবিজ্ঞানী লি চেম্বার্স বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের চিন্তাভাবনা এআই প্রযুক্তি গ্রহণ থেকে বিরত রাখে। এসব টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে বলে নারীরা মনে করেন। এ জন্য নারীরা এসব টুল ব্যবহার করতে চান না। যেকোনো সেক্টরে পুরুষদের চেয়ে নারীদের যোগ্যতা বারবার প্রমাণ করতে হয়। এসব নেতিবাচক অনুভূতি ও চিন্তা নারীদের এআই ব্যবহার থেকে দূরে রাখছে।
এ ছাড়া কোনো বিষয়ে অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন না করলে নারীরা সেই কাজে অংশগ্রহণ করতে চান না। পুরুষেরা যেমন কোনো কাজে খুব সহজে যুক্ত হন; কিন্তু নিরাপত্তা ও পারিপার্শ্বিক নানা বিষয় বিবেচনা করে নারীরা হুট করেই কোনো কাজে যুক্ত হতে পারেন না।
পেশা হিসেবেও এআই শিল্পে নারীরা কম অংশগ্রহণ করছেন। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৩ অনুসারে, এআই প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বে মাত্র ৩০ শতাংশ নারী কাজ করেন। এই প্রযুক্তিতে নারীদের প্রতিনিধিত্ব খুব ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০১৬ থেকে এআই শিল্পে নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪ শতাংশ বেড়েছে।
এআই শিল্পে কাজ করলেও নারীরা বেশি দিন এই সেক্টরে থাকেন না। পুরুষ-আধিপত্য কর্মসংস্কৃতি, বেতনবৈষম্য এবং উচ্চ স্তরের পদে নারী ‘রোল মডেলের’ অভাব—এমন নানা বিষয় এর জন্য দায়ী। এ ধরনের কর্মক্ষেত্রে নিজেদের ক্যারিয়ার উন্নয়নে কোনো পথ না পেয়ে নারীরা ভিন্ন সেক্টরে চলে যান বা সম্পূর্ণভাবে কাজ ছেড়ে দেন।
ডেটা সায়েন্স ও এআইতে ক্যারিয়ার বেছে না নেওয়ার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ—দীর্ঘ কর্মঘণ্টা। প্রযুক্তির ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তনশীল। এ জন্য নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতেও এ সেক্টরে অনেক সময় দিতে হয়। এ ছাড়া নারীদের ঘরের বাইরে কাজের সঙ্গে সঙ্গে বাসার কাজও করতে হয়। এ জন্য নারীরা সাধারণত এ ধরনের কাজ বেছে নিতে চান না।
কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও ব্যবসার বিভিন্ন কাজের জন্য এখন এআই টুল অপরিহার্য হয়ে উঠছে। এর ব্যবহারে আগ্রহ তৈরি না হলে সামাজিক ও পেশাগত জীবনে নারীরা পিছিয়ে পড়বেন।
এ জন্য নারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, অভিজ্ঞতা ও অন্তর্দৃষ্টিগুলো এআইয়ের বিকাশে পর্যাপ্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রযুক্তির সঙ্গে নারীদের যুক্ত না করতে পারলে ‘অ্যালগরিদম’ পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এআই শিল্পে আনুপাতিক সংখ্যক নারী প্রকৌশলী, গবেষক ও ডেভেলপার না থাকলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক তৈরি পণ্য এবং সেবায় জীবনের সত্যিকার প্রতিফলন ঘটবে না।
প্রকাশ্য সমাবেশে নারীদের গালিগালাজের ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম দুঃখপ্রকাশ করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন সংগঠনটিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো ৬ নারী। একই সঙ্গে ট্যাগিংয়ের রাজনীতি থেকে হেফাজতকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রকাশ্য জনসভায় নারীর প্রতি অবমাননার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তিন নেত্রী ও তিন নারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই নেত্রীর দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গ্রাফিক ডিজাইনে পড়ার সময়ের কথা। অনেকটা শখের বশে শুরু করেন শরদিন্দু নামে একটি শপ। বিক্রি করেছেন হাতে আঁকা টি-শার্ট। ক্রেতা ছিলেন তাঁরই পরিচিত লোকজন। এরই মধ্যে চারুকলায় পড়াশোনা শেষ হলে লন্ডনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টসে স্নাতকোত্তর করতে পাড়ি জমান। তত দিনে
৭ দিন আগেকথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালালবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। জাহানারা ইমামের জন্ম ১৯২৯ সালের ৩ মে।
৭ দিন আগে