মৌনতা আমিন
ছবি তোলা নেশা থেকে পেশায় পরিণত হয়েছে, আমাদের দেশে এমন গল্প নতুন কিছু নয়। তবে কিছু গল্প থাকে খানিক অন্য রকম। চট্টগ্রামের চকবাজারের মেয়ে ফারহানা ইয়াসমিন পুষ্পিতার গল্পটা তেমনই। তাঁর লেন্সে ধরা পড়ে নতুন জীবনের গল্প, ভালোবাসা আর মানুষের ছোট ছোট অনুভবের গভীর রং।
পুষ্পিতা পড়াশোনা করছেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগ, পঞ্চম সেমিস্টারে। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি গড়ে তুলেছেন ইনফোকাস নামের নিজস্ব একটি ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম। চট্টগ্রামে খ্যাতি পেয়েছেন ওয়েডিং ফটোগ্রাফার হিসেবে। গত এক বছরে তুলেছেন ৭১টি বিয়ের অসংখ্য ছবি।
ভিন্ন এক অনুপ্রেরণার গল্প
পুষ্পিতার ফটোগ্রাফার হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে দারুণ এক গল্প। তাঁর বিয়ে হয় প্রকৌশলী ও ফটোগ্রাফার আম্ফি কবিরের সঙ্গে। পুষ্পিতা তাঁর কাছেই শেখেন ক্যামেরার কারিগরি দিক, কম্পোজিশন ও আলোর খেলা। পুষ্পিতার মা চিকিৎসক। অথচ তাঁর মায়ের নিজের পথচলা শুরু হয়েছিল অনেকটাই ব্যতিক্রমভাবে। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হয় তাঁর। এরপর স্বামীর উৎসাহে চালিয়ে যান পড়াশোনা এবং একসময় হয়ে ওঠেন চিকিৎসক। পুষ্পিতার এই মা-ই তাঁর বড় অনুপ্রেরণা। পুষ্পিতা বলেন, ‘আম্মু সব সময় বলে, পেশা বড় নয়, মেয়ে হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।’ চিকিৎসক মা, ব্যাংকার বাবা আর প্রকৌশলী ও ফটোগ্রাফার স্বামী—এই তিনজনের সমর্থনেই তিনি সাহস করে পা রেখেছেন ওয়েডিং ফটোগ্রাফির দুনিয়ায়।
বাধা এখনো রয়ে গেছে
ওয়েডিং ফটোগ্রাফি বা বিয়ের ছবি তোলা মানেই অনেক রাত জাগা, বাইরে থাকা। নারী ফটোগ্রাফারদের সেখানেই বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। পুষ্পিতা নিজের টিমে নারীদের যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিবার বা সমাজের ভয়ে তাঁরা নিয়মিত কাজ করতে পারেননি। পুষ্পিতা জানান, অনেকে দারুণ ছবি তোলে। কিন্তু রাতের কাজ শুনে অভিভাবকেরা না করে দেন।
বাড়ছে নারী ফটোগ্রাফারের চাহিদা
নারী ফটোগ্রাফার হিসেবে পুষ্পিতা অনেক সময় দেখেছেন, কনেদের পক্ষে পুরুষ ফটোগ্রাফারের সামনে স্বচ্ছন্দে দাঁড়ানোর বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নারী ফটোগ্রাফারদের প্রতি আলাদা আস্থা থাকে ক্লায়েন্টদের। তাই এই পেশায় নারীদের এগিয়ে আসার জায়গা রয়েছে। ‘সবাই বলে, মেয়ে হয়ে এসব কেন? রাতের বেলায় বাইরে কাজ করা যায় না। কিন্তু আমি বলি, জীবনে কিছু করতে হলে নিজের পথ নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়’—বলছিলেন পুষ্পিতা।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে চান পুষ্পিতা। তবে ফটোগ্রাফি থাকবে তাঁর সঙ্গী হয়ে। প্রতিটি ক্লিকে, প্রতিটি ফ্রেমে তিনি বাঁধতে চান মানুষের ভালোবাসার গল্প, আবেগ আর জীবনের রং।
পুষ্পিতার গল্প যেন শুধু একজন নারীর পেশা গড়ে তোলার গল্প নয়; বরং একটি পরিবারের, একটি সমাজের এবং একজন মানুষের নিজের ওপর বিশ্বাস রাখার গল্প।
ছবি তোলা নেশা থেকে পেশায় পরিণত হয়েছে, আমাদের দেশে এমন গল্প নতুন কিছু নয়। তবে কিছু গল্প থাকে খানিক অন্য রকম। চট্টগ্রামের চকবাজারের মেয়ে ফারহানা ইয়াসমিন পুষ্পিতার গল্পটা তেমনই। তাঁর লেন্সে ধরা পড়ে নতুন জীবনের গল্প, ভালোবাসা আর মানুষের ছোট ছোট অনুভবের গভীর রং।
পুষ্পিতা পড়াশোনা করছেন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগ, পঞ্চম সেমিস্টারে। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি গড়ে তুলেছেন ইনফোকাস নামের নিজস্ব একটি ফটোগ্রাফি প্ল্যাটফর্ম। চট্টগ্রামে খ্যাতি পেয়েছেন ওয়েডিং ফটোগ্রাফার হিসেবে। গত এক বছরে তুলেছেন ৭১টি বিয়ের অসংখ্য ছবি।
ভিন্ন এক অনুপ্রেরণার গল্প
পুষ্পিতার ফটোগ্রাফার হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে দারুণ এক গল্প। তাঁর বিয়ে হয় প্রকৌশলী ও ফটোগ্রাফার আম্ফি কবিরের সঙ্গে। পুষ্পিতা তাঁর কাছেই শেখেন ক্যামেরার কারিগরি দিক, কম্পোজিশন ও আলোর খেলা। পুষ্পিতার মা চিকিৎসক। অথচ তাঁর মায়ের নিজের পথচলা শুরু হয়েছিল অনেকটাই ব্যতিক্রমভাবে। দশম শ্রেণিতে পড়াকালে বিয়ে হয় তাঁর। এরপর স্বামীর উৎসাহে চালিয়ে যান পড়াশোনা এবং একসময় হয়ে ওঠেন চিকিৎসক। পুষ্পিতার এই মা-ই তাঁর বড় অনুপ্রেরণা। পুষ্পিতা বলেন, ‘আম্মু সব সময় বলে, পেশা বড় নয়, মেয়ে হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।’ চিকিৎসক মা, ব্যাংকার বাবা আর প্রকৌশলী ও ফটোগ্রাফার স্বামী—এই তিনজনের সমর্থনেই তিনি সাহস করে পা রেখেছেন ওয়েডিং ফটোগ্রাফির দুনিয়ায়।
বাধা এখনো রয়ে গেছে
ওয়েডিং ফটোগ্রাফি বা বিয়ের ছবি তোলা মানেই অনেক রাত জাগা, বাইরে থাকা। নারী ফটোগ্রাফারদের সেখানেই বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। পুষ্পিতা নিজের টিমে নারীদের যুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পরিবার বা সমাজের ভয়ে তাঁরা নিয়মিত কাজ করতে পারেননি। পুষ্পিতা জানান, অনেকে দারুণ ছবি তোলে। কিন্তু রাতের কাজ শুনে অভিভাবকেরা না করে দেন।
বাড়ছে নারী ফটোগ্রাফারের চাহিদা
নারী ফটোগ্রাফার হিসেবে পুষ্পিতা অনেক সময় দেখেছেন, কনেদের পক্ষে পুরুষ ফটোগ্রাফারের সামনে স্বচ্ছন্দে দাঁড়ানোর বিষয়টি কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নারী ফটোগ্রাফারদের প্রতি আলাদা আস্থা থাকে ক্লায়েন্টদের। তাই এই পেশায় নারীদের এগিয়ে আসার জায়গা রয়েছে। ‘সবাই বলে, মেয়ে হয়ে এসব কেন? রাতের বেলায় বাইরে কাজ করা যায় না। কিন্তু আমি বলি, জীবনে কিছু করতে হলে নিজের পথ নিজেকেই খুঁজে নিতে হয়’—বলছিলেন পুষ্পিতা।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন
ভবিষ্যতে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে চান পুষ্পিতা। তবে ফটোগ্রাফি থাকবে তাঁর সঙ্গী হয়ে। প্রতিটি ক্লিকে, প্রতিটি ফ্রেমে তিনি বাঁধতে চান মানুষের ভালোবাসার গল্প, আবেগ আর জীবনের রং।
পুষ্পিতার গল্প যেন শুধু একজন নারীর পেশা গড়ে তোলার গল্প নয়; বরং একটি পরিবারের, একটি সমাজের এবং একজন মানুষের নিজের ওপর বিশ্বাস রাখার গল্প।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ক্রিস্ট্রুন মজল ফ্রস্টাডোত্তির। ৩৬ বছর বয়সে তিনি আইসল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এদিকে নিজের দেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দেশে ফিরে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নামিবিয়ার সাবেক
১ দিন আগেআমি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আমার বাবা-মা প্রায় চার বছর ধরে আলাদা থাকছেন। বাবা একাধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কারণে মাকে মারধর করতেন। শেষমেশ মা বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। এর পর থেকে বাবা আমার খরচ দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে কখনো কখনো পারিবারিক চাপের কারণে কিছু দেন, আবার বন্ধ করে দেন।
১ দিন আগেতার কোনো সাম্রাজ্য নেই, রাজপ্রাসাদ নেই। কখনো স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন বানানো, কখনো বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি, কখনো ইভ টিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুক প্রথা বন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কতা গড়ে তোলাতেই তার আগ্রহ বেশি। মেয়েটির নাম মীনা। আমরা জানি না মীনার বয়স কত, তার বাড়ি কোথায়। কোথায় সেই
১ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকার সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ ও বর্ণবাদবিরোধী সংগ্রামের নেত্রী উইনি ম্যান্ডেলা। তিনি ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যবিরোধী সংগ্রামের এক কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি নেলসন ম্যান্ডেলার দ্বিতীয় স্ত্রী। যখন ম্যান্ডেলা প্রায় ২৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন, তখন উইনি বাইরে থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১ দিন আগে