নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শত শত মেয়ের অমোঘ নিয়তির মতো, অষ্টম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি মাজেদা খানমের। কিশোরী বয়সেই বিয়ে হয় তাঁর। সেই সঙ্গে পাথরচাপা পড়ে যায় জীবন নামের জিনিসটি।
স্বামীর ঘরে যাওয়ার পর শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। প্রথমে মোটরসাইকেল কিনতে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেটা পাওয়ার পর প্রবাসে যাওয়ার জন্য চাওয়া হয় তিন লাখ টাকা। মাজেদার দরিদ্র মা-বাবা তা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে মারধর করেন তাঁকে। নির্যাতন সইতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন হবিগঞ্জের এই নারী। কিন্তু বাবার বাড়ি ফিরে লাঞ্ছনা-গঞ্জনার মধ্যে কাটতে থাকে তাঁর দিন। একপর্যায়ে কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রজেক্টে ট্রেনিং নেন তিনি। ৪০ হাজার টাকা পান সেখান থেকে। সেই টাকায় মাছ চাষ শুরু করেন মাজেদা।
শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন আর বাবার বাড়ির লাঞ্ছনায় দিন কাটানো মাজেদা এখন স্বাবলম্বী। পাশাপাশি অন্যদেরও তিনি আয়ের পথ দেখাচ্ছেন। কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সেবাদানকারী (এলএসপি) হিসেবে কাজ করছেন তিনি। গত সোমবার, ৩ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সেলিব্রেটিং অ্যান্ড লঞ্চিং লোকাল সার্ভিস প্রোভাইডারস নেটওয়ার্ক: সাপোর্টিং আ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে নিজের জীবন বদলে ফেলার গল্প শোনান মাজেদা।
অনুষ্ঠানে সৌহার্দ্য প্রকল্পের আওতায় ‘উদ্যোক্তা তৈরি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত স্থানীয় সেবাদানকারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আয়োজকেরা জানান, ইউএসএআইডির অর্থায়নে সৌহার্দ্য প্রকল্প বেসরকারি খাতের সঙ্গে স্থানীয় সেবাদানকারীদের সম্পৃক্ততা জোরদার করতে কাজ করছে। এই প্রকল্প ২ হাজার ৩০০ স্থানীয় সেবাদানকারীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। প্রকল্পটি ৪৫০ জন স্থানীয় সেবাদানকারীকে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘উদ্যোক্তা তৈরি’ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে এলএসপিরা রোগ, সঠিক টিকা এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানে। তারাই সৌহার্দ্যের আলোকিত মানুষ।’
কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাস বলেন, সৌহার্দ্য প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগণ তাদের জীবন-জীবিকার উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে।
শত শত মেয়ের অমোঘ নিয়তির মতো, অষ্টম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি মাজেদা খানমের। কিশোরী বয়সেই বিয়ে হয় তাঁর। সেই সঙ্গে পাথরচাপা পড়ে যায় জীবন নামের জিনিসটি।
স্বামীর ঘরে যাওয়ার পর শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। প্রথমে মোটরসাইকেল কিনতে ৭০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেটা পাওয়ার পর প্রবাসে যাওয়ার জন্য চাওয়া হয় তিন লাখ টাকা। মাজেদার দরিদ্র মা-বাবা তা দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়ির সবাই মিলে মারধর করেন তাঁকে। নির্যাতন সইতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন হবিগঞ্জের এই নারী। কিন্তু বাবার বাড়ি ফিরে লাঞ্ছনা-গঞ্জনার মধ্যে কাটতে থাকে তাঁর দিন। একপর্যায়ে কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রজেক্টে ট্রেনিং নেন তিনি। ৪০ হাজার টাকা পান সেখান থেকে। সেই টাকায় মাছ চাষ শুরু করেন মাজেদা।
শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন আর বাবার বাড়ির লাঞ্ছনায় দিন কাটানো মাজেদা এখন স্বাবলম্বী। পাশাপাশি অন্যদেরও তিনি আয়ের পথ দেখাচ্ছেন। কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সেবাদানকারী (এলএসপি) হিসেবে কাজ করছেন তিনি। গত সোমবার, ৩ জুন রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সেলিব্রেটিং অ্যান্ড লঞ্চিং লোকাল সার্ভিস প্রোভাইডারস নেটওয়ার্ক: সাপোর্টিং আ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে নিজের জীবন বদলে ফেলার গল্প শোনান মাজেদা।
অনুষ্ঠানে সৌহার্দ্য প্রকল্পের আওতায় ‘উদ্যোক্তা তৈরি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত স্থানীয় সেবাদানকারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আয়োজকেরা জানান, ইউএসএআইডির অর্থায়নে সৌহার্দ্য প্রকল্প বেসরকারি খাতের সঙ্গে স্থানীয় সেবাদানকারীদের সম্পৃক্ততা জোরদার করতে কাজ করছে। এই প্রকল্প ২ হাজার ৩০০ স্থানীয় সেবাদানকারীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। প্রকল্পটি ৪৫০ জন স্থানীয় সেবাদানকারীকে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ‘উদ্যোক্তা তৈরি’ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে এলএসপিরা রোগ, সঠিক টিকা এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানে। তারাই সৌহার্দ্যের আলোকিত মানুষ।’
কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাস বলেন, সৌহার্দ্য প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার দরিদ্র ও অতিদরিদ্র জনগণ তাদের জীবন-জীবিকার উন্নতি করতে সক্ষম হয়েছে।
মানুষ স্বপ্নবাজ প্রাণী। যুদ্ধ ও সংঘাতময় পৃথিবীতে ভিটে চ্যুত মানুষও স্বপ্ন দেখে। এই স্বার্থ আর সংঘাতময় পৃথিবীতে মানুষ তার জীবনের চেয়েও বড়। নইলে বেঁচে থাকে কীভাবে! বিশ্ব শরণার্থী দিবসে তেমনি কিছু নারীর গল্প রইল, যাঁরা উদ্বাস্তু জীবনেও স্বপ্ন দেখেছেন জীবনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
৩ দিন আগেকারও কোলে শিশুসন্তান, কেউ অন্তঃসত্ত্বা, কারও হাতে স্যালাইনের ক্যানুলা। চাকরি বাঁচাতে এই অবস্থায় ২১ দিন ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন তাঁরা। করবেন নাই-বা কেন, তাঁদের কেউ সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, কারও বেতনের টাকায় চলছে পরিবারের অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসা; কেউ আবার বেতনের টাকায় সন্তানের জন্য...
৬ দিন আগেযুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা এবং দৈনন্দিন আতঙ্ক ইসরায়েলি নারীদের গভীরভাবে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন তথ্যের আভাস পাওয়া গেছে।
৬ দিন আগেঅনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় মাত্র ২০ হাজার টাকায় বোরকার ব্যবসা শুরু করেন। ডিজাইন, কাপড় সংগ্রহ, ডেলিভারি—সবই এক হাতে সামলাতেন তিনি। বর্তমানে ঢাকায় তাঁর দুটি শোরুম রয়েছে। বিনিয়োগের পরিমাণ বহু আগেই কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, জাপান, সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে...
৬ দিন আগে