অনলাইন ডেস্ক
দিল্লির সুলতানপুরে গত ১৯ জুন ২৫ বছর বয়সী এক যুবক অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেল আরোহী তাঁর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তখন ওই যুবক ভেবেছিলেন, এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু না। কিন্তু ১৫ দিন পর পুলিশ ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করে। একই সঙ্গে যিনি ছিনতাইয়ের পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন, তাঁকেও শনাক্ত করে। তিনি আর কেউ নন, ওই যুবকেরই স্ত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, তদন্তকারীদের দাবি—ওই যুবকের স্ত্রীর পরপুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি ছিল ওই যুবকের ফোনে। সেই ছবি গোপন রাখতে স্ত্রীই পরিকল্পিতভাবে ফোন ছিনতাইয়ের ব্যবস্থা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীকে আদালত ‘বাউন্ড ডাউন’ ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ, তদন্তকারী কর্মকর্তা বা আদালত যখনই ডেকে পাঠাবেন, তাঁকে সাড়া দিতে হবে। পুলিশ আরও বলেছে, রাজস্থান থেকে দিল্লিতে আসা এই দম্পতির বিয়ে হয়েছে দেড় বছর আগে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিয়ের আগেই ওই নারীর প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক শেষ হয়নি। তাঁরা মাঝে মাঝেই দেখা করতেন। কয়েক মাস আগে স্বামী বিষয়টি আঁচ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্ত্রী যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন স্বামী তাঁর ফোনে ওই সব ঘনিষ্ঠ ছবি খুঁজে পান এবং নিজের ফোনে সেগুলো ট্রান্সফার করেন। স্ত্রী বুঝতে পারেন, স্বামী ছবিগুলো দেখে ফেলেছেন এবং এটা যদি পরিবারের সামনে ফাঁস হয়, তাহলে বড় বিপদ হবে। তাই তিনি সেই প্রেমিককে ফোন করে পুরো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, জুনের প্রথম সপ্তাহে সেই প্রেমিক ও তাঁর এক বন্ধু রাজস্থান থেকে দিল্লিতে আসেন। এ বিষয়ে সেই কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা ওই যুবকের চলাচল নজরদারিতে রাখেন। কোন পথে যাতায়াত করেন, তা জেনে নেন। ভাড়া গাড়ির তথ্য ও হোটেল বুকিংয়ের কাজ সেরে রাজস্থানে ফিরে যান। ১৮ জুন আবার তারা দিল্লি ফেরেন এবং পরদিন দুই মুখোশধারী যুবক স্বামীর ফোন ছিনতাই করেন।’
ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে ১৯ জুন, দিল্লির সুলতানপুর এলাকার একটি কারখানার কাছে। দিল্লি দক্ষিণ জেলার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) অঙ্কিত চৌহান বলেন, ‘পুরোনো ইউকে পেইন্ট ফ্যাক্টরির কাছে এক ব্যক্তির ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফতেপুর বেরি থানায় একটি পিসিআর কল আসে। ভুক্তভোগী জানান, মুখোশধারী দুই ব্যক্তি স্কুটারে করে এসে তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।’
ঘটনার তদন্তে ফতেপুর বেরি থানার হাউস স্টেশন অফিসার (এসএইচও) রাজেশ শর্মার নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। তারা প্রায় ৭০টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে। একটি ফুটেজে দেখা যায়—নীল টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি স্কুটারের পেছনে বসে বসন্ত কুঞ্জের দিকে যাচ্ছেন। স্কুটারটির নম্বর প্লেট দেখে জানা যায়, সেটি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছিল।
ডিসিপি চৌহান বলেন, ‘স্কুটারটি ১৯ জুন এক দিনের জন্য দারিয়াগঞ্জ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। আমরা ভাড়ার দোকানে গিয়ে অভিযুক্তের আধার কার্ডের ভিত্তিতে পরিচয় শনাক্ত করি। তাদের দেওয়া ফোন নম্বর নজরদারিতে রাখা হয় এবং জানা যায়, ছিনতাইয়ের পর অভিযুক্তরা রাজস্থানে পালিয়ে গেছে।’
পুলিশ জানায়, স্কুটার ভাড়া ও রাজস্থানের বারমের জেলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাতায়াতের খরচ দেখে তারা বুঝতে পারে, এটি মোটেও টাকার জন্য করা হয়নি। সিপি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বারমের জেলার বালত্রায় শনাক্ত করা হয়। পুলিশের একটি দল রাজস্থানে পাঠানো হয় এবং ওই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকেই ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
জিজ্ঞাসাবাদে ওই বন্ধু স্বীকার করেন, ছিনতাইয়ের নির্দেশ এসেছিল ভুক্তভোগীর স্ত্রীর কাছ থেকে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি তাদের জানিয়ে দেন, তাঁর স্বামী কখন অফিস থেকে ফিরবেন এবং কোন পথে যাবেন।’ পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার ওই নারীকে ‘বাউন্ড ডাউন’ করা হয়। তিনি দোষ স্বীকার করেছেন।
দিল্লির সুলতানপুরে গত ১৯ জুন ২৫ বছর বয়সী এক যুবক অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেল আরোহী তাঁর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। তখন ওই যুবক ভেবেছিলেন, এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া কিছু না। কিন্তু ১৫ দিন পর পুলিশ ছিনতাই হওয়া ফোনটি উদ্ধার করে। একই সঙ্গে যিনি ছিনতাইয়ের পুরো ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন, তাঁকেও শনাক্ত করে। তিনি আর কেউ নন, ওই যুবকেরই স্ত্রী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, তদন্তকারীদের দাবি—ওই যুবকের স্ত্রীর পরপুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের কিছু ছবি ছিল ওই যুবকের ফোনে। সেই ছবি গোপন রাখতে স্ত্রীই পরিকল্পিতভাবে ফোন ছিনতাইয়ের ব্যবস্থা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীকে আদালত ‘বাউন্ড ডাউন’ ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ, তদন্তকারী কর্মকর্তা বা আদালত যখনই ডেকে পাঠাবেন, তাঁকে সাড়া দিতে হবে। পুলিশ আরও বলেছে, রাজস্থান থেকে দিল্লিতে আসা এই দম্পতির বিয়ে হয়েছে দেড় বছর আগে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘বিয়ের আগেই ওই নারীর প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পরও সেই সম্পর্ক শেষ হয়নি। তাঁরা মাঝে মাঝেই দেখা করতেন। কয়েক মাস আগে স্বামী বিষয়টি আঁচ করতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্ত্রী যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন স্বামী তাঁর ফোনে ওই সব ঘনিষ্ঠ ছবি খুঁজে পান এবং নিজের ফোনে সেগুলো ট্রান্সফার করেন। স্ত্রী বুঝতে পারেন, স্বামী ছবিগুলো দেখে ফেলেছেন এবং এটা যদি পরিবারের সামনে ফাঁস হয়, তাহলে বড় বিপদ হবে। তাই তিনি সেই প্রেমিককে ফোন করে পুরো ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, জুনের প্রথম সপ্তাহে সেই প্রেমিক ও তাঁর এক বন্ধু রাজস্থান থেকে দিল্লিতে আসেন। এ বিষয়ে সেই কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা ওই যুবকের চলাচল নজরদারিতে রাখেন। কোন পথে যাতায়াত করেন, তা জেনে নেন। ভাড়া গাড়ির তথ্য ও হোটেল বুকিংয়ের কাজ সেরে রাজস্থানে ফিরে যান। ১৮ জুন আবার তারা দিল্লি ফেরেন এবং পরদিন দুই মুখোশধারী যুবক স্বামীর ফোন ছিনতাই করেন।’
ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে ১৯ জুন, দিল্লির সুলতানপুর এলাকার একটি কারখানার কাছে। দিল্লি দক্ষিণ জেলার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) অঙ্কিত চৌহান বলেন, ‘পুরোনো ইউকে পেইন্ট ফ্যাক্টরির কাছে এক ব্যক্তির ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে ফতেপুর বেরি থানায় একটি পিসিআর কল আসে। ভুক্তভোগী জানান, মুখোশধারী দুই ব্যক্তি স্কুটারে করে এসে তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।’
ঘটনার তদন্তে ফতেপুর বেরি থানার হাউস স্টেশন অফিসার (এসএইচও) রাজেশ শর্মার নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। তারা প্রায় ৭০টি সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে। একটি ফুটেজে দেখা যায়—নীল টি-শার্ট পরা এক ব্যক্তি স্কুটারের পেছনে বসে বসন্ত কুঞ্জের দিকে যাচ্ছেন। স্কুটারটির নম্বর প্লেট দেখে জানা যায়, সেটি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছিল।
ডিসিপি চৌহান বলেন, ‘স্কুটারটি ১৯ জুন এক দিনের জন্য দারিয়াগঞ্জ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। আমরা ভাড়ার দোকানে গিয়ে অভিযুক্তের আধার কার্ডের ভিত্তিতে পরিচয় শনাক্ত করি। তাদের দেওয়া ফোন নম্বর নজরদারিতে রাখা হয় এবং জানা যায়, ছিনতাইয়ের পর অভিযুক্তরা রাজস্থানে পালিয়ে গেছে।’
পুলিশ জানায়, স্কুটার ভাড়া ও রাজস্থানের বারমের জেলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাতায়াতের খরচ দেখে তারা বুঝতে পারে, এটি মোটেও টাকার জন্য করা হয়নি। সিপি বলেন, ‘অভিযুক্তদের বারমের জেলার বালত্রায় শনাক্ত করা হয়। পুলিশের একটি দল রাজস্থানে পাঠানো হয় এবং ওই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকেই ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
জিজ্ঞাসাবাদে ওই বন্ধু স্বীকার করেন, ছিনতাইয়ের নির্দেশ এসেছিল ভুক্তভোগীর স্ত্রীর কাছ থেকে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি তাদের জানিয়ে দেন, তাঁর স্বামী কখন অফিস থেকে ফিরবেন এবং কোন পথে যাবেন।’ পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার ওই নারীকে ‘বাউন্ড ডাউন’ করা হয়। তিনি দোষ স্বীকার করেছেন।
তবে এটি মোটেও শখ করে বাজানো হয় না। বরং, নতুন এই ফ্যাশন গরুকে আরামদায়ক রাখার চেষ্টার পাশাপাশি দুধের মান এবং উৎপাদন বাড়ানোর নতুন উপায় হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই প্রবণতা টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং কোটি কোটি দর্শক এর ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেগত ১৫ বছরে ব্রিটেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একমাত্র স্থিতিশীলতার প্রতীক ল্যারি—ডাউনিং স্ট্রিটের বিখ্যাত বিড়াল। এই ট্যাবি বিড়াল এরই মধ্যে পাঁচ প্রধানমন্ত্রীর ‘অধীনে’ ডাউনিং স্ট্রিটের ‘চিফ মাউজার’ বা প্রধান ইঁদুর শিকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে। বর্তমানে সে ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে দায়িত্ব
২ দিন আগেডেনমার্কের একটি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেখানকার মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে ছোট পোষা প্রাণী দান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
৩ দিন আগেচীনের ঐতিহ্যবাহী শাওলিন মঠে নতুন বিধিনিষেধ চালু হওয়ার পর ৩০ জনেরও বেশি সন্ন্যাসী ও কর্মচারী মঠ ছেড়ে চলে গেছেন। নতুন নিযুক্ত মঠাধ্যক্ষ শি ইয়েইনলে কঠোর নিয়ম চালু করায় এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। নতুন নিয়মে মোবাইল ব্যবহারের সময় কমানো, কঠোর খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘ কর্মঘণ্টা বাধ্যতামূলক করা...
৩ দিন আগে