
কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা মোট কত? এর আনুমানিক সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও।
সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন। একে সংখ্যায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায় ২০-এর পর ১৫টা শূন্য।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন জার্মানির বুর্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন মুখ্য গবেষক প্যাট্রিক শুলথিস। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্যাবাইন এস নুটন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুনজি ওয়াং ও বেনোইট গিনার্ড।
গবেষকদের অনুমান, এই গ্রহের সকল পিঁপড়া সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন পর্যন্ত শুষ্ক কার্বন উৎপন্ন করতে পারে। এত পরিমাণ কার্বন বিশ্বের জনসংখ্যার মোট ওজনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ!
বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ও উইলসনের মতে, পোকামাকড় এবং অন্যান্য ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণীরাই মূলত বিশ্বকে পরিচালনা করে। বিশেষ করে পিঁপড়া। এই ক্ষুদ্র প্রজাতির জীব প্রকৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পিঁপড়ারা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড ছাড়াও মাটিতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করা, উদ্ভিদের বীজকে ছড়িয়ে দেওয়া, অন্যান্য জীবের জন্য আবাসস্থল তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
পিঁপড়ার মোট সংখ্যার তথ্য পরিবেশের পরিবর্তনের কারণ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবিদরা।
এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে সারা বিশ্বের পিঁপড়ার সংখ্যা গণনা করা হলো?
সারা পৃথিবীতে ১৫ হাজার ৭০০-এরও বেশি প্রজাতি ও উপপ্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে। সামাজিক সংগঠন প্রক্রিয়া অনেক উচ্চমাত্রার হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় কলোনি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
পিঁপড়ার এমন বিস্ময়কর ক্ষমতা অনেক প্রকৃতিবিদকে পৃথিবীতে তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে আগ্রহী করে তোলে। তবে এগুলো কেবল যুক্তিসংগত অনুমান হিসেবেই আপাতত বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণার পদ্ধতিগত এবং প্রমাণভিত্তিক তথ্য এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি।
দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত গবেষণাটি মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের পিঁপড়ার মোট সংখ্যার ওপর করা ৪৮৯টি গবেষণাপত্রের একটি বিশ্লেষণ। এর মধ্যে ইংরেজি গবেষণাপত্রের পাশাপাশি স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, রাশিয়ান, মান্দারিন এবং পর্তুগিজ বিজ্ঞানীদের গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণাটি বন, মরুভূমি, তৃণভূমি, শহরসহ সব মহাদেশ ও জীবের প্রধান আবাসস্থলগুলোতে পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা পিঁপড়া সংগ্রহ এবং গণনার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেমন, পিটফল ট্র্যাপ এবং লিফ লিটার স্যাম্পল ইত্যাদি। ভাবতে পারছেন কত কষ্টকর কাজ এটি!
এত কিছুর পর বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে পুরো পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন, যা তাদের পূর্ববর্তী অনুমানের প্রায় বিশ গুন!
পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে মোট কীটপতঙ্গের মাত্র ১ শতাংশ হচ্ছে পিঁপড়া। কিন্তু পরে গবেষণাটি ‘বটম-আপ’ প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা হলে আরও নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ, এখানে সরাসরি মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণার পরবর্তী ধাপ ছিল এসব পিঁপড়ার ভর কত, তা নির্ণয় করা। সাধারণত কোনো জীবের ভর নির্ভর করে সেটি কী পরিমাণে কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০ কোয়াড্রিলিয়ন প্রমাণ আকৃতির পিঁপড়া প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে।
এই পরিমাণের বায়োমাস জীববৈচিত্র্যের সকল পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে উৎপন্ন মোট বায়োমাসের চেয়েও অনেক বেশি। এবং তা মানবসৃষ্ট বায়োমাসের প্রায় ২০ শতাংশ।
এখানে কার্বন উৎপন্ন ছাড়া যদি পিঁপড়ার অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ভর পরিমাপ করা হতো, সে ক্ষেত্রে ভরের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা অসমভাবে বিস্তৃত। সাধারণ আবাসস্থলের তুলনায় ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোতে পিঁপড়ার বসবাস ছয়গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, স্বাভাবিক জীবনযাপনে পিঁপড়ার জন্য গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পিঁপড়ারা মানবসৃষ্ট অঞ্চলের চেয়ে শুষ্ক ও বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
তবে ওই গবেষণায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন ডেটা সেটের স্যাম্পল সংগ্রহের জায়গাগুলো ভৌগোলিক দিক থেকে অসমভাবে বিস্তৃত ছিল। তা ছাড়া এখানে কেবল ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা পিঁপড়া নিয়ে গবেষণা করা হয়। ভূগর্ভস্থ এবং গাছে বসবাস করা পিঁপড়া সম্পর্কে কোনো তথ্য বর্তমানে গবেষকদের হাতে নেই। সেই হিসাবে গবেষণাটি এক হিসেবে অসম্পূর্ণই বলা চলে।
পিঁপড়া কেন এত প্রয়োজনীয়? বাস্তুসংস্থানে পিঁপড়া মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের চেয়ে পিঁপড়া অধিক নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা দিতে পারে।
পরিবেশে এমন অনেক প্রাণী আছে, যারা পিঁপড়ার সঙ্গে বেশ ভালো মিথস্ক্রিয়ায় সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পাখি আছে যারা সারিবদ্ধ পিঁপড়ার লাইন অনুসরণ করে নিজেদের শিকারের সন্ধান করে। এ ছাড়া পরিবেশে এমন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পিঁপড়ার ওপর নির্ভরশীল।
উদ্বেগের বিষয় এই যে, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থল ধ্বংস, রাসায়নিকের ব্যবহার্যসহ আরও অনেক কারণে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে।
পরিবেশ রক্ষার খাতিরে সবার উচিত পোকামাকড়ের সংখ্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা। আশা করা যাচ্ছে, পিঁপড়া গণনার এ গবেষণা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিবেশের যাবতীয় পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত করতে সাহায্য করবে।

কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা মোট কত? এর আনুমানিক সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও।
সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন। একে সংখ্যায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায় ২০-এর পর ১৫টা শূন্য।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন জার্মানির বুর্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন মুখ্য গবেষক প্যাট্রিক শুলথিস। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্যাবাইন এস নুটন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুনজি ওয়াং ও বেনোইট গিনার্ড।
গবেষকদের অনুমান, এই গ্রহের সকল পিঁপড়া সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন পর্যন্ত শুষ্ক কার্বন উৎপন্ন করতে পারে। এত পরিমাণ কার্বন বিশ্বের জনসংখ্যার মোট ওজনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ!
বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ও উইলসনের মতে, পোকামাকড় এবং অন্যান্য ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণীরাই মূলত বিশ্বকে পরিচালনা করে। বিশেষ করে পিঁপড়া। এই ক্ষুদ্র প্রজাতির জীব প্রকৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পিঁপড়ারা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড ছাড়াও মাটিতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করা, উদ্ভিদের বীজকে ছড়িয়ে দেওয়া, অন্যান্য জীবের জন্য আবাসস্থল তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
পিঁপড়ার মোট সংখ্যার তথ্য পরিবেশের পরিবর্তনের কারণ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবিদরা।
এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে সারা বিশ্বের পিঁপড়ার সংখ্যা গণনা করা হলো?
সারা পৃথিবীতে ১৫ হাজার ৭০০-এরও বেশি প্রজাতি ও উপপ্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে। সামাজিক সংগঠন প্রক্রিয়া অনেক উচ্চমাত্রার হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় কলোনি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
পিঁপড়ার এমন বিস্ময়কর ক্ষমতা অনেক প্রকৃতিবিদকে পৃথিবীতে তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে আগ্রহী করে তোলে। তবে এগুলো কেবল যুক্তিসংগত অনুমান হিসেবেই আপাতত বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণার পদ্ধতিগত এবং প্রমাণভিত্তিক তথ্য এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি।
দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত গবেষণাটি মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের পিঁপড়ার মোট সংখ্যার ওপর করা ৪৮৯টি গবেষণাপত্রের একটি বিশ্লেষণ। এর মধ্যে ইংরেজি গবেষণাপত্রের পাশাপাশি স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, রাশিয়ান, মান্দারিন এবং পর্তুগিজ বিজ্ঞানীদের গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণাটি বন, মরুভূমি, তৃণভূমি, শহরসহ সব মহাদেশ ও জীবের প্রধান আবাসস্থলগুলোতে পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা পিঁপড়া সংগ্রহ এবং গণনার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেমন, পিটফল ট্র্যাপ এবং লিফ লিটার স্যাম্পল ইত্যাদি। ভাবতে পারছেন কত কষ্টকর কাজ এটি!
এত কিছুর পর বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে পুরো পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন, যা তাদের পূর্ববর্তী অনুমানের প্রায় বিশ গুন!
পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে মোট কীটপতঙ্গের মাত্র ১ শতাংশ হচ্ছে পিঁপড়া। কিন্তু পরে গবেষণাটি ‘বটম-আপ’ প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা হলে আরও নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ, এখানে সরাসরি মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণার পরবর্তী ধাপ ছিল এসব পিঁপড়ার ভর কত, তা নির্ণয় করা। সাধারণত কোনো জীবের ভর নির্ভর করে সেটি কী পরিমাণে কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০ কোয়াড্রিলিয়ন প্রমাণ আকৃতির পিঁপড়া প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে।
এই পরিমাণের বায়োমাস জীববৈচিত্র্যের সকল পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে উৎপন্ন মোট বায়োমাসের চেয়েও অনেক বেশি। এবং তা মানবসৃষ্ট বায়োমাসের প্রায় ২০ শতাংশ।
এখানে কার্বন উৎপন্ন ছাড়া যদি পিঁপড়ার অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ভর পরিমাপ করা হতো, সে ক্ষেত্রে ভরের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা অসমভাবে বিস্তৃত। সাধারণ আবাসস্থলের তুলনায় ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোতে পিঁপড়ার বসবাস ছয়গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, স্বাভাবিক জীবনযাপনে পিঁপড়ার জন্য গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পিঁপড়ারা মানবসৃষ্ট অঞ্চলের চেয়ে শুষ্ক ও বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
তবে ওই গবেষণায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন ডেটা সেটের স্যাম্পল সংগ্রহের জায়গাগুলো ভৌগোলিক দিক থেকে অসমভাবে বিস্তৃত ছিল। তা ছাড়া এখানে কেবল ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা পিঁপড়া নিয়ে গবেষণা করা হয়। ভূগর্ভস্থ এবং গাছে বসবাস করা পিঁপড়া সম্পর্কে কোনো তথ্য বর্তমানে গবেষকদের হাতে নেই। সেই হিসাবে গবেষণাটি এক হিসেবে অসম্পূর্ণই বলা চলে।
পিঁপড়া কেন এত প্রয়োজনীয়? বাস্তুসংস্থানে পিঁপড়া মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের চেয়ে পিঁপড়া অধিক নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা দিতে পারে।
পরিবেশে এমন অনেক প্রাণী আছে, যারা পিঁপড়ার সঙ্গে বেশ ভালো মিথস্ক্রিয়ায় সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পাখি আছে যারা সারিবদ্ধ পিঁপড়ার লাইন অনুসরণ করে নিজেদের শিকারের সন্ধান করে। এ ছাড়া পরিবেশে এমন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পিঁপড়ার ওপর নির্ভরশীল।
উদ্বেগের বিষয় এই যে, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থল ধ্বংস, রাসায়নিকের ব্যবহার্যসহ আরও অনেক কারণে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে।
পরিবেশ রক্ষার খাতিরে সবার উচিত পোকামাকড়ের সংখ্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা। আশা করা যাচ্ছে, পিঁপড়া গণনার এ গবেষণা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিবেশের যাবতীয় পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত করতে সাহায্য করবে।

কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা মোট কত? এর আনুমানিক সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও।
সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন। একে সংখ্যায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায় ২০-এর পর ১৫টা শূন্য।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন জার্মানির বুর্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন মুখ্য গবেষক প্যাট্রিক শুলথিস। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্যাবাইন এস নুটন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুনজি ওয়াং ও বেনোইট গিনার্ড।
গবেষকদের অনুমান, এই গ্রহের সকল পিঁপড়া সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন পর্যন্ত শুষ্ক কার্বন উৎপন্ন করতে পারে। এত পরিমাণ কার্বন বিশ্বের জনসংখ্যার মোট ওজনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ!
বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ও উইলসনের মতে, পোকামাকড় এবং অন্যান্য ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণীরাই মূলত বিশ্বকে পরিচালনা করে। বিশেষ করে পিঁপড়া। এই ক্ষুদ্র প্রজাতির জীব প্রকৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পিঁপড়ারা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড ছাড়াও মাটিতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করা, উদ্ভিদের বীজকে ছড়িয়ে দেওয়া, অন্যান্য জীবের জন্য আবাসস্থল তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
পিঁপড়ার মোট সংখ্যার তথ্য পরিবেশের পরিবর্তনের কারণ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবিদরা।
এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে সারা বিশ্বের পিঁপড়ার সংখ্যা গণনা করা হলো?
সারা পৃথিবীতে ১৫ হাজার ৭০০-এরও বেশি প্রজাতি ও উপপ্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে। সামাজিক সংগঠন প্রক্রিয়া অনেক উচ্চমাত্রার হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় কলোনি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
পিঁপড়ার এমন বিস্ময়কর ক্ষমতা অনেক প্রকৃতিবিদকে পৃথিবীতে তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে আগ্রহী করে তোলে। তবে এগুলো কেবল যুক্তিসংগত অনুমান হিসেবেই আপাতত বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণার পদ্ধতিগত এবং প্রমাণভিত্তিক তথ্য এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি।
দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত গবেষণাটি মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের পিঁপড়ার মোট সংখ্যার ওপর করা ৪৮৯টি গবেষণাপত্রের একটি বিশ্লেষণ। এর মধ্যে ইংরেজি গবেষণাপত্রের পাশাপাশি স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, রাশিয়ান, মান্দারিন এবং পর্তুগিজ বিজ্ঞানীদের গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণাটি বন, মরুভূমি, তৃণভূমি, শহরসহ সব মহাদেশ ও জীবের প্রধান আবাসস্থলগুলোতে পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা পিঁপড়া সংগ্রহ এবং গণনার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেমন, পিটফল ট্র্যাপ এবং লিফ লিটার স্যাম্পল ইত্যাদি। ভাবতে পারছেন কত কষ্টকর কাজ এটি!
এত কিছুর পর বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে পুরো পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন, যা তাদের পূর্ববর্তী অনুমানের প্রায় বিশ গুন!
পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে মোট কীটপতঙ্গের মাত্র ১ শতাংশ হচ্ছে পিঁপড়া। কিন্তু পরে গবেষণাটি ‘বটম-আপ’ প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা হলে আরও নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ, এখানে সরাসরি মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণার পরবর্তী ধাপ ছিল এসব পিঁপড়ার ভর কত, তা নির্ণয় করা। সাধারণত কোনো জীবের ভর নির্ভর করে সেটি কী পরিমাণে কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০ কোয়াড্রিলিয়ন প্রমাণ আকৃতির পিঁপড়া প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে।
এই পরিমাণের বায়োমাস জীববৈচিত্র্যের সকল পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে উৎপন্ন মোট বায়োমাসের চেয়েও অনেক বেশি। এবং তা মানবসৃষ্ট বায়োমাসের প্রায় ২০ শতাংশ।
এখানে কার্বন উৎপন্ন ছাড়া যদি পিঁপড়ার অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ভর পরিমাপ করা হতো, সে ক্ষেত্রে ভরের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা অসমভাবে বিস্তৃত। সাধারণ আবাসস্থলের তুলনায় ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোতে পিঁপড়ার বসবাস ছয়গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, স্বাভাবিক জীবনযাপনে পিঁপড়ার জন্য গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পিঁপড়ারা মানবসৃষ্ট অঞ্চলের চেয়ে শুষ্ক ও বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
তবে ওই গবেষণায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন ডেটা সেটের স্যাম্পল সংগ্রহের জায়গাগুলো ভৌগোলিক দিক থেকে অসমভাবে বিস্তৃত ছিল। তা ছাড়া এখানে কেবল ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা পিঁপড়া নিয়ে গবেষণা করা হয়। ভূগর্ভস্থ এবং গাছে বসবাস করা পিঁপড়া সম্পর্কে কোনো তথ্য বর্তমানে গবেষকদের হাতে নেই। সেই হিসাবে গবেষণাটি এক হিসেবে অসম্পূর্ণই বলা চলে।
পিঁপড়া কেন এত প্রয়োজনীয়? বাস্তুসংস্থানে পিঁপড়া মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের চেয়ে পিঁপড়া অধিক নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা দিতে পারে।
পরিবেশে এমন অনেক প্রাণী আছে, যারা পিঁপড়ার সঙ্গে বেশ ভালো মিথস্ক্রিয়ায় সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পাখি আছে যারা সারিবদ্ধ পিঁপড়ার লাইন অনুসরণ করে নিজেদের শিকারের সন্ধান করে। এ ছাড়া পরিবেশে এমন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পিঁপড়ার ওপর নির্ভরশীল।
উদ্বেগের বিষয় এই যে, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থল ধ্বংস, রাসায়নিকের ব্যবহার্যসহ আরও অনেক কারণে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে।
পরিবেশ রক্ষার খাতিরে সবার উচিত পোকামাকড়ের সংখ্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা। আশা করা যাচ্ছে, পিঁপড়া গণনার এ গবেষণা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিবেশের যাবতীয় পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত করতে সাহায্য করবে।

কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা মোট কত? এর আনুমানিক সংখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে যে কারও।
সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন। একে সংখ্যায় প্রকাশ করলে দাঁড়ায় ২০-এর পর ১৫টা শূন্য।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন জার্মানির বুর্জবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন মুখ্য গবেষক প্যাট্রিক শুলথিস। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক স্যাবাইন এস নুটন, হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রুনজি ওয়াং ও বেনোইট গিনার্ড।
গবেষকদের অনুমান, এই গ্রহের সকল পিঁপড়া সম্মিলিতভাবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন পর্যন্ত শুষ্ক কার্বন উৎপন্ন করতে পারে। এত পরিমাণ কার্বন বিশ্বের জনসংখ্যার মোট ওজনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ!
বিশিষ্ট জীববিজ্ঞানী এডওয়ার্ড ও উইলসনের মতে, পোকামাকড় এবং অন্যান্য ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী প্রাণীরাই মূলত বিশ্বকে পরিচালনা করে। বিশেষ করে পিঁপড়া। এই ক্ষুদ্র প্রজাতির জীব প্রকৃতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পিঁপড়ারা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড ছাড়াও মাটিতে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করা, উদ্ভিদের বীজকে ছড়িয়ে দেওয়া, অন্যান্য জীবের জন্য আবাসস্থল তৈরিতে সহায়তার মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
পিঁপড়ার মোট সংখ্যার তথ্য পরিবেশের পরিবর্তনের কারণ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবিদরা।
এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে সারা বিশ্বের পিঁপড়ার সংখ্যা গণনা করা হলো?
সারা পৃথিবীতে ১৫ হাজার ৭০০-এরও বেশি প্রজাতি ও উপপ্রজাতির পিঁপড়া রয়েছে। সামাজিক সংগঠন প্রক্রিয়া অনেক উচ্চমাত্রার হওয়ায় পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় কলোনি তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের।
পিঁপড়ার এমন বিস্ময়কর ক্ষমতা অনেক প্রকৃতিবিদকে পৃথিবীতে তাদের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করতে আগ্রহী করে তোলে। তবে এগুলো কেবল যুক্তিসংগত অনুমান হিসেবেই আপাতত বিবেচিত হচ্ছে। গবেষণার পদ্ধতিগত এবং প্রমাণভিত্তিক তথ্য এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা হয়নি।
দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত গবেষণাটি মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের পিঁপড়ার মোট সংখ্যার ওপর করা ৪৮৯টি গবেষণাপত্রের একটি বিশ্লেষণ। এর মধ্যে ইংরেজি গবেষণাপত্রের পাশাপাশি স্প্যানিশ, ফরাসি, জার্মান, রাশিয়ান, মান্দারিন এবং পর্তুগিজ বিজ্ঞানীদের গবেষণাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
গবেষণাটি বন, মরুভূমি, তৃণভূমি, শহরসহ সব মহাদেশ ও জীবের প্রধান আবাসস্থলগুলোতে পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞানীরা পিঁপড়া সংগ্রহ এবং গণনার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করেন। যেমন, পিটফল ট্র্যাপ এবং লিফ লিটার স্যাম্পল ইত্যাদি। ভাবতে পারছেন কত কষ্টকর কাজ এটি!
এত কিছুর পর বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে পুরো পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন, যা তাদের পূর্ববর্তী অনুমানের প্রায় বিশ গুন!
পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে ‘টপ-ডাউন’ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছিল, যেখানে ধারণা করা হয়, পৃথিবীতে মোট কীটপতঙ্গের মাত্র ১ শতাংশ হচ্ছে পিঁপড়া। কিন্তু পরে গবেষণাটি ‘বটম-আপ’ প্রক্রিয়ায় পরিচালনা করা হলে আরও নির্ভরযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়। কারণ, এখানে সরাসরি মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণার পরবর্তী ধাপ ছিল এসব পিঁপড়ার ভর কত, তা নির্ণয় করা। সাধারণত কোনো জীবের ভর নির্ভর করে সেটি কী পরিমাণে কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০ কোয়াড্রিলিয়ন প্রমাণ আকৃতির পিঁপড়া প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন কার্বন উৎপন্নের ক্ষমতা রাখে।
এই পরিমাণের বায়োমাস জীববৈচিত্র্যের সকল পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে উৎপন্ন মোট বায়োমাসের চেয়েও অনেক বেশি। এবং তা মানবসৃষ্ট বায়োমাসের প্রায় ২০ শতাংশ।
এখানে কার্বন উৎপন্ন ছাড়া যদি পিঁপড়ার অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ভর পরিমাপ করা হতো, সে ক্ষেত্রে ভরের পরিমাণ আরও বেশি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা অসমভাবে বিস্তৃত। সাধারণ আবাসস্থলের তুলনায় ক্রান্তীয় বা গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলগুলোতে পিঁপড়ার বসবাস ছয়গুণ বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ থেকে বোঝা যায়, স্বাভাবিক জীবনযাপনে পিঁপড়ার জন্য গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চল কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, পিঁপড়ারা মানবসৃষ্ট অঞ্চলের চেয়ে শুষ্ক ও বনাঞ্চল সমৃদ্ধ এলাকাগুলোতে বসবাসে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
তবে ওই গবেষণায় বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। যেমন ডেটা সেটের স্যাম্পল সংগ্রহের জায়গাগুলো ভৌগোলিক দিক থেকে অসমভাবে বিস্তৃত ছিল। তা ছাড়া এখানে কেবল ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে থাকা পিঁপড়া নিয়ে গবেষণা করা হয়। ভূগর্ভস্থ এবং গাছে বসবাস করা পিঁপড়া সম্পর্কে কোনো তথ্য বর্তমানে গবেষকদের হাতে নেই। সেই হিসাবে গবেষণাটি এক হিসেবে অসম্পূর্ণই বলা চলে।
পিঁপড়া কেন এত প্রয়োজনীয়? বাস্তুসংস্থানে পিঁপড়া মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফসল উৎপাদনে কীটনাশকের চেয়ে পিঁপড়া অধিক নির্ভরযোগ্য সুরক্ষা দিতে পারে।
পরিবেশে এমন অনেক প্রাণী আছে, যারা পিঁপড়ার সঙ্গে বেশ ভালো মিথস্ক্রিয়ায় সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, কিছু পাখি আছে যারা সারিবদ্ধ পিঁপড়ার লাইন অনুসরণ করে নিজেদের শিকারের সন্ধান করে। এ ছাড়া পরিবেশে এমন অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে, যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পিঁপড়ার ওপর নির্ভরশীল।
উদ্বেগের বিষয় এই যে, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থল ধ্বংস, রাসায়নিকের ব্যবহার্যসহ আরও অনেক কারণে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে।
পরিবেশ রক্ষার খাতিরে সবার উচিত পোকামাকড়ের সংখ্যার ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা। আশা করা যাচ্ছে, পিঁপড়া গণনার এ গবেষণা সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের পরিবেশের যাবতীয় পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত করতে সাহায্য করবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ বিষয়ে এক হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হাবারলারের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এইচবি নামে এক নারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মৌখিক অপমান এবং আর্থিক ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ আনেন। ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর সময় কাটাতেন এবং সেখানে নিয়মিত অন্য নারীদের ছবিতে, এমনকি প্রলুব্ধকর ছবিতেও ‘লাইক’ দিতেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতেন।
এইচবি যুক্তি দেন, এই আচরণ তাঁর স্বামীর দাম্পত্য আনুগত্যের পরিপন্থী। তিনি বিবাহবিচ্ছেদের পাশাপাশি খোরপোশ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেন। স্বামী এসবি অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনিও পাল্টা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী তাঁর বাবাকে অপমান করেছেন এবং অতিরিক্ত ঈর্ষাপরায়ণ। স্ত্রীর এসব অভিযোগ তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আদালত এই মামলায় স্বামীকেই বেশি দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। তাঁকে প্রতি মাসে ৭৫০ লিরা বা ২০ মার্কিন ডলার খোরপোশ এবং ৮০ হাজার লিরা ২ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এসবি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দাবি করেন, এই পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
বিচারকেরা জানান, অন্য নারীদের ছবিতে ওই ব্যক্তির ‘লাইক’ দেওয়ার বিষয়টি বৈবাহিক বিশ্বাস ভেঙে দিয়েছে। তাঁরা মন্তব্য করেন, ‘অনলাইনে এই আপাত নিরীহ মিথস্ক্রিয়াগুলো মূলত মানসিক নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।’
তুর্কি আইনজীবী ইমামোগ্লু স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল যে অনলাইন কর্মকাণ্ড এখন বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে স্ক্রিনশট, মেসেজ এবং সব ধরনের ডিজিটাল কার্যক্রম উভয় পক্ষের দোষ নির্ধারণে বিবেচনায় নেওয়া হবে। নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সময় বিষয়টি মাথায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছি।’
এই মামলা অনলাইনে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘যদি একটি লাইক আপনার সম্পর্ক ধ্বংস করতে পারে, তবে আপনাদের বিয়ে কখনোই মজবুত ছিল না।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এখন পরিচয় লুকিয়ে লাইক দেওয়ার ফিচার চালু করার সময় এসেছে।’ তবে তৃতীয় একজন ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, ‘যদি অনলাইনে প্রতিটি লাইক বা ভিউকে অবিশ্বস্ততা হিসেবে দেখা হয়, তবে মানুষ সারাক্ষণ ভয়ে থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হওয়া উচিত মতপ্রকাশের মুক্ত জায়গা।’
তুরস্কের আদালতে অদ্ভুত কারণে বিবাহবিচ্ছেদের রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে এক ব্যক্তিকে তাঁর সাবেক স্ত্রীকে ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ‘মোটু’ নামে সেভ করার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা অসম্মানজনক হিসেবে বিবেচিত হয়।

সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ বিষয়ে এক হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জংলান নিউজের বরাত দিয়ে হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট ৯ ডিসেম্বর এই যুগলকে নিয়ে আদালতের একটি শুনানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। হে পদবির ওই ব্যক্তি তাঁর বান্ধবী ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় হে দাবি করেন, তাঁর পরিবার কনেপক্ষকে অগ্রিম যৌতুক (ব্রাইড প্রাইস) হিসেবে যে ২০ হাজার ইউয়ান বা ২ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার দিয়েছিল, তা তিনি ফেরত পেতে চান।
শুধু তা-ই নয়, সম্পর্কের সময় ওয়াংয়ের পেছনে খরচ হওয়া আরও ৩০ হাজার ইউয়ানও (৪ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার) দাবি করেন হে। এই খরচের তালিকায় তাঁর কেনা কালো টাইটস এবং অন্তর্বাসও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের একই গ্রামের বাসিন্দা হে এবং ওয়াং। এক ঘটকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় এবং পরে বাগ্দান সম্পন্ন হয়। বাগ্দানের পর তাঁরা উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশে হের পরিবারের মালিকানাধীন একটি রেস্তোরাঁ চালাতে যান।
উল্লেখ্য, মালাতাং চীনের একটি জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড, যা মাংস, সবজি ও নুডলসের ঝাল ঝোলে তৈরি করা হয়। ওয়াং সেখানে ছয় মাস কাজ করেন। তবে হের অভিযোগ, ওয়াং ‘সহজ কাজগুলো’ করতেন। হেইলংজিয়াং টিভিকে হে বলেন, ‘সে প্রতিদিন আমাদের মালাতাং খেত। আমাদের বিক্রির জন্য যা থাকত, তা-ও তার খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।’ তিনি আরও যোগ করেন, তাঁর পরিবারও ওয়াংয়ের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছে মেয়েটি বদলে গেছে।
আদালতে হে সেসব জিনিসের তালিকা পেশ করেন, যা তিনি ওয়াংয়ের জন্য কিনেছিলেন। জবাবে ওয়াং বলেন, ‘ও বড্ড বেশি হিসাবি। আমি তো ওর বান্ধবী ছিলাম।’ আদালতে তিনি হেকে প্রশ্ন করেন, ‘তুমি আমাকে যে টাইটস আর অন্তর্বাস কিনে দিয়েছিলে, সেগুলো কি তুমি নিজেও উপভোগ করনি?’
আদালত ৩০ হাজার ইউয়ান ফেরত দেওয়ার দাবিটি খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, এগুলো ব্যক্তিগত জিনিস, যা উভয় পক্ষকেই আবেগীয় তৃপ্তি দিয়েছে। তবে অগ্রিম দেওয়া ২০ হাজার ইউয়ান যৌতুকের অর্ধেক টাকা ওয়াংকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
চীনে যৌতুক বা ‘ব্রাইড প্রাইস’ একটি প্রাচীন প্রথা। বিয়ের সময় বরের পরিবার কনের পরিবারকে উপহার হিসেবে এই টাকা দেয়, যা মূলত মেয়েটিকে পরিবারে স্বাগত জানানোর একটি আন্তরিক প্রথা। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রথা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ একে সেকেলে এবং নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করার নামান্তর মনে করেন। আবার অনেকে একে বিয়ের পর নারীর ত্যাগের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখেন।
২০২১ সালে কার্যকর হওয়া চীনের সিভিল কোড অনুযায়ী, যদি বিয়ে সম্পন্ন না হয় কিংবা বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী একত্রে বসবাস না করেন, তবে যৌতুকের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি আদালত সমর্থন করতে পারেন।
ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ও যদি এতই হিসাবি হয়, তবে কেন মেয়েটিকে বেতন দিল না?’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘ওর বউ নয়, একজন আয়া দরকার ছিল।’ তৃতীয় আরেকজন লিখেছেন, ‘মেয়েটিকে অভিনন্দন যে সে এমন এক সংকীর্ণমনা মানুষের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।’

সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ বিষয়ে এক হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সম্প্রতি দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ বিষয়ে এক হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, পৃথিবীতে পিঁপড়ার সংখ্যা প্রায় ২০ কোয়াড্রিলিয়ন...
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
২ দিন আগে
তুরস্কের একটি আদালত এক চাঞ্চল্যকর রায়ে জানিয়েছেন, স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীদের অনলাইন পোস্টে স্বামীর বারবার ‘লাইক’ দেওয়া বৈবাহিক বিশ্বাস নষ্ট করতে পারে এবং তা বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হিসেবে গণ্য হতে পারে। মধ্যতুরস্কের কায়সেরি শহরের একটি মামলায় এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত এসেছে।
২ দিন আগে
এক চীনা ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বাগ্দত্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর বাগ্দত্তা ‘খুব বেশি খাবার খেতেন।’ তাই সম্পর্কের পেছনে ব্যয় করা সব টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে।
৫ দিন আগে