ডিসেম্বরে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ছয় ঘণ্টার মতো দিনের আলো থাকে। কিন্তু দেশটির সবচেয়ে উত্তরের এলাকাগুলোতে এ সময় কয়েক সপ্তাহ সূর্যের দেখা মেলে কালেভদ্রে।
এই বিষণ্ন, নিরানন্দ বাস্তবতা একটি সুইডিশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বা উৎসবের জন্ম দিয়েছে। দিনকে দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে শীতকালীন এই উৎসবের। সুইডিশদের বসবাস আছে বিশ্বের এমন বিভিন্ন জায়গায়ও এটি ছড়িয়ে পড়ছে।
ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে উদ্যাপিত এই উৎসবের নাম লুসিয়াদাগেন বা ‘লুসিয়া ডে’। এই দিন অন্ধকারের রাজ্যে আলোর আগমন উদ্যাপন করেন সুইডিশরা। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে দিনটি মূলত মধ্য শীতকালে উদ্যাপিত হতো। উৎসবের এখনকার দিনের তুলনায় সেটা ছিল কয়েকটি দিন পরে (২১ বা ২২ ডিসেম্বর)। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
উৎসবের শুরু সকাল বেলায়। তখন একজন নির্বাচিত মানুষ ঐতিহ্যবাহী গান গাইতে গাইতে লাল ফিতা কোমরে জড়ানো ও সাদা গাউন পরিহিত তরুণ-তরুণীদের একটি শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন। ঐতিহ্যগতভাবে লুসিয়া একজন নারী হলেও এখন তরুণ-তরুণী যে কাউকে একই চরিত্রে দেখা যাওয়াটা সাধারণ একটি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এমনকি বিখ্যাত সুইডিশ ফুটবলার জাতান ইব্রাহিমোভিচ একবার লুসিয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শোভাযাত্রা বা সমাবেশ, যেকোনো জায়গায় হতে পারে—স্কুল, গির্জা, অফিস, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদি।
লুসিয়া মাথায় আলোর একটি মুকুট পরে দলটির নেতৃত্ব দেন। কখনো কখনো এটি বৈদ্যুতিক হয়, কখনো আবার মোমবাতিতে আলোকিত থাকে একটি মুকুট। মোমবাতিসহ ফুলের মালা পরিধানকারীদের আরেকটি দল এবং লাঠিতে তারা আকৃতির কাঠামো বহন করা ও কাগজের টুপি পরা তরুণেরা যোগ দেন তাঁর সঙ্গে। উৎসবে গান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সান্তা লুসিয়ার বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী গানও আছে।
এভাবে আলো ও আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া এই ঐতিহ্য শত শত বছর ধরে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। সুইডেনের পর্যটন ও ভ্রমণ তথ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ভিজিট সুইডেনের মতে, জুনের মধ্য গ্রীষ্মের উৎসবগুলোর শীতকালীন সংস্করণ বলা যায় একে।
প্রকৃতপক্ষে, উৎসবের এমন নামকরণ চতুর্থ শতাব্দীতেও নিয়ে যেতে পারে আপনাকে। কিংবদন্তি অনুসারে সিরাকিউজের লুসিয়া রোমান ক্যাটাকম্বে (ভূগর্ভস্থ গোরস্থান) লুকিয়ে থাকা খ্রিষ্টানদের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় মাথায় মোমবাতির মালা দিয়ে পথ আলোকিত করেছিলেন।
উৎসবটি আরও আধুনিক আকারে উদ্যাপনের শুরু ১৭৬৪ সালে, সুইডেনের একটি বাড়িতে এটি হয় বলে জানা গেছে। তবে প্রথাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পরের শতাব্দীতে। সুইডিশ লোককাহিনি অনুসারে, ১৩ ডিসেম্বরের দীর্ঘ রাতটি বিপজ্জনক, তখন অন্ধকার আত্মা বেরিয়ে পড়ে। এ সময় জেগে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।
গান ও শোভাযাত্রার পরে অংশগ্রহণকারীরা কেক, বিস্কুট, মিষ্টি, জাফরান-গন্ধের বানের সঙ্গে হট চকলেট, কফি পান করেন।
গোটা সুইডেনেই উদ্যাপিত হয় উৎসবটি। তবে স্টকহোমে এটি উপভোগের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি ঐতিহাসিক ক্যাথেড্রাল স্টোকিকান এবং স্ক্যানসেন জাদুঘরে অবস্থিত প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো কাঠের সেগলোরা কারকান (সেগলোরা গির্জা)। সেগলোরা গির্জায় এটি ১৮৯৩ সাল থেকে উদ্যাপিত হচ্ছে। সুইডেনের বাইরেও বিভিন্ন দেশের সুইডিশ প্রবাসীদের লুসিয়া উৎসব উদ্যাপন দিনে দিনে বাড়ছে।
ডিসেম্বরে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ছয় ঘণ্টার মতো দিনের আলো থাকে। কিন্তু দেশটির সবচেয়ে উত্তরের এলাকাগুলোতে এ সময় কয়েক সপ্তাহ সূর্যের দেখা মেলে কালেভদ্রে।
এই বিষণ্ন, নিরানন্দ বাস্তবতা একটি সুইডিশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বা উৎসবের জন্ম দিয়েছে। দিনকে দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে শীতকালীন এই উৎসবের। সুইডিশদের বসবাস আছে বিশ্বের এমন বিভিন্ন জায়গায়ও এটি ছড়িয়ে পড়ছে।
ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে উদ্যাপিত এই উৎসবের নাম লুসিয়াদাগেন বা ‘লুসিয়া ডে’। এই দিন অন্ধকারের রাজ্যে আলোর আগমন উদ্যাপন করেন সুইডিশরা। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে দিনটি মূলত মধ্য শীতকালে উদ্যাপিত হতো। উৎসবের এখনকার দিনের তুলনায় সেটা ছিল কয়েকটি দিন পরে (২১ বা ২২ ডিসেম্বর)। এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
উৎসবের শুরু সকাল বেলায়। তখন একজন নির্বাচিত মানুষ ঐতিহ্যবাহী গান গাইতে গাইতে লাল ফিতা কোমরে জড়ানো ও সাদা গাউন পরিহিত তরুণ-তরুণীদের একটি শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন। ঐতিহ্যগতভাবে লুসিয়া একজন নারী হলেও এখন তরুণ-তরুণী যে কাউকে একই চরিত্রে দেখা যাওয়াটা সাধারণ একটি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এমনকি বিখ্যাত সুইডিশ ফুটবলার জাতান ইব্রাহিমোভিচ একবার লুসিয়ার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শোভাযাত্রা বা সমাবেশ, যেকোনো জায়গায় হতে পারে—স্কুল, গির্জা, অফিস, কমিউনিটি সেন্টার ইত্যাদি।
লুসিয়া মাথায় আলোর একটি মুকুট পরে দলটির নেতৃত্ব দেন। কখনো কখনো এটি বৈদ্যুতিক হয়, কখনো আবার মোমবাতিতে আলোকিত থাকে একটি মুকুট। মোমবাতিসহ ফুলের মালা পরিধানকারীদের আরেকটি দল এবং লাঠিতে তারা আকৃতির কাঠামো বহন করা ও কাগজের টুপি পরা তরুণেরা যোগ দেন তাঁর সঙ্গে। উৎসবে গান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সান্তা লুসিয়ার বেশ কিছু ঐতিহ্যবাহী গানও আছে।
এভাবে আলো ও আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া এই ঐতিহ্য শত শত বছর ধরে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। সুইডেনের পর্যটন ও ভ্রমণ তথ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ভিজিট সুইডেনের মতে, জুনের মধ্য গ্রীষ্মের উৎসবগুলোর শীতকালীন সংস্করণ বলা যায় একে।
প্রকৃতপক্ষে, উৎসবের এমন নামকরণ চতুর্থ শতাব্দীতেও নিয়ে যেতে পারে আপনাকে। কিংবদন্তি অনুসারে সিরাকিউজের লুসিয়া রোমান ক্যাটাকম্বে (ভূগর্ভস্থ গোরস্থান) লুকিয়ে থাকা খ্রিষ্টানদের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার সময় মাথায় মোমবাতির মালা দিয়ে পথ আলোকিত করেছিলেন।
উৎসবটি আরও আধুনিক আকারে উদ্যাপনের শুরু ১৭৬৪ সালে, সুইডেনের একটি বাড়িতে এটি হয় বলে জানা গেছে। তবে প্রথাটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে পরের শতাব্দীতে। সুইডিশ লোককাহিনি অনুসারে, ১৩ ডিসেম্বরের দীর্ঘ রাতটি বিপজ্জনক, তখন অন্ধকার আত্মা বেরিয়ে পড়ে। এ সময় জেগে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ।
গান ও শোভাযাত্রার পরে অংশগ্রহণকারীরা কেক, বিস্কুট, মিষ্টি, জাফরান-গন্ধের বানের সঙ্গে হট চকলেট, কফি পান করেন।
গোটা সুইডেনেই উদ্যাপিত হয় উৎসবটি। তবে স্টকহোমে এটি উপভোগের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি ঐতিহাসিক ক্যাথেড্রাল স্টোকিকান এবং স্ক্যানসেন জাদুঘরে অবস্থিত প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো কাঠের সেগলোরা কারকান (সেগলোরা গির্জা)। সেগলোরা গির্জায় এটি ১৮৯৩ সাল থেকে উদ্যাপিত হচ্ছে। সুইডেনের বাইরেও বিভিন্ন দেশের সুইডিশ প্রবাসীদের লুসিয়া উৎসব উদ্যাপন দিনে দিনে বাড়ছে।
সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
৮ দিন আগেআজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
১০ দিন আগেসাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
১৪ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
১৬ দিন আগে