সানজিদা সামরিন
একটা গল্প বলে নিই, সত্যিকারের গল্প। ঠিক ছয় বছর আগের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে থাকত ছোট্ট মেয়ে গ্যাবি মান। তখন তার আট বছর বয়স। পাখি কমবেশি সবার পছন্দ হলেও তার মধ্যে কাক যে পড়ে না, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কাক তার আচরণ বা গলার স্বর কোনোটা দিয়েই যেন মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারেনি এতকাল। তবে গ্যাবির কী হলো? গ্যাবির সঙ্গে পাড়ার সব কাকেরই বন্ধুত্ব ছিল বটে! শুধু তাই নয় কাকেরাও ভালোবাসার বিনিময়ে গ্যাবিকে উপহার দিয়ে যেত। কথা মোটেও মিথ্যে নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কাক বন্ধুত্বের প্রতিদান দেয়।
রোজ সকালে গ্যাবি বাড়ির পেছনের উঠোনে কাকদের গোসলের জন্য স্বচ্ছ পরিষ্কার পানি, আর খাবার ছড়িয়ে আশপাশের কাকগুলোকে ডাকত খাওয়ার জন্য।
নিমন্ত্রণে এলে কি কেউ খালি হাতে আসে নাকি! কাকেরাও গ্যাবির জন্য ঠোঁটে করে এটা ওটা উপহার নিয়ে আসত! ভাঙা কাচের টুকরো, ছোট রূপালি বল, কালো ও হলুদ বোতাম, কাগজের ক্লিপ, ফোম আরও কত কী! গ্যাবি যত্ন করে তা বাক্সে তুলে রাখত।
গবেষকেরা বলছেন, এটা অভিনব কিছু নয়। প্রাণী জগতে উপহার দেওয়া–নেওয়ার চল নতুন কিছু নয়। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ওয়াইল্ডলাইফ সায়েন্সের অধ্যাপক জন মার্জলাফ বলেন, অনেক প্রাণীই তাদের নিজ গোত্রের সদস্যকে উপহার দেয়। কিন্তু কাক হচ্ছে এমন একটি পাখি, যা মানুষকেও উপহার দেয়। তাদের যেসব মানুষ খাবার দেয়, তাদের প্রতি মনোযোগী হয় ও তাদের প্রাণ বাঁচায়, তারা সেসব মানুষদের মনে রাখে ও উপহার দিতে ভোলে না।
কাকদের সঙ্গে গ্যাবির বন্ধুত্ব ২০১১ সাল থেকে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। একবার গ্যাবি গাড়ি থেকে বরে হওয়ার সময় তার কোলের ওপর রাখা চিকেন নাগেট মাটিতে পড়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের সব কাক ভিড় জমাল চিকেন নাগেটটি লুফে নিতে। এর পর থেকেই তারা গ্যাবির আশপাশেই থাকে। যদি আরেকবার চিকেন নাগেট ভোজের সুযোগ হয়।
গ্যাবি যত বড় হতে লাগল, তারও মায়া হতে লাগল কাকদের প্রতি। বাসস্টপে দাঁড়িয়ে নিজের লাঞ্চপ্যাক থেকে খাবার আশপাশে ছড়িয়ে দিত। আর কাকেরাও রোজ গ্যাবির অপেক্ষায় বাসস্টপে এসে হাজির হতো। ২০১৩ সাল থেকে গ্যাবি ও তার মা লিসা দৈনিক রুটিন মেনেই কাকদের খাবার দিতে শুরু করেন।
মার্জলাফ ও তার সহকর্মী মার্ক মিলার কাকের ওপর করা একটি গবেষণার ফল হিসেবে জানান, কাকদের যারা খাবার দেন, তাদের সঙ্গে কাকদের এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা একে অপরের সংকেত খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে।
তারা জানান, পাখিরা তাদের ওড়ার ভঙ্গি, দূরত্ব ও বসার স্থান দ্বারা তাদের ইতিবাচক সংকেত দেয়। অনেক সময় কাক তাদের খাবার দানকারীদের জন্য উপহারও নিয়ে আসে।
গ্যাবির সঙ্গে কাকদের এই বন্ধুত্বের কথা ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশ পায়। কিন্তু কাকদের জন্য এত এত খাবার ছড়ানোয় বিরক্ত হয়ে দুই প্রতিবেশী গ্যাবির পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে এক বছর। এর পর আর কী হয়েছিল তা জানা যায়নি।
তবে যাই হোক, কাক যেহেতু তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের চেহারা মনে রাখে সেহেতু গ্যাবিকেও তারা ভোলেনি নিশ্চয়ই!
একটা গল্প বলে নিই, সত্যিকারের গল্প। ঠিক ছয় বছর আগের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে থাকত ছোট্ট মেয়ে গ্যাবি মান। তখন তার আট বছর বয়স। পাখি কমবেশি সবার পছন্দ হলেও তার মধ্যে কাক যে পড়ে না, তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কাক তার আচরণ বা গলার স্বর কোনোটা দিয়েই যেন মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারেনি এতকাল। তবে গ্যাবির কী হলো? গ্যাবির সঙ্গে পাড়ার সব কাকেরই বন্ধুত্ব ছিল বটে! শুধু তাই নয় কাকেরাও ভালোবাসার বিনিময়ে গ্যাবিকে উপহার দিয়ে যেত। কথা মোটেও মিথ্যে নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, কাক বন্ধুত্বের প্রতিদান দেয়।
রোজ সকালে গ্যাবি বাড়ির পেছনের উঠোনে কাকদের গোসলের জন্য স্বচ্ছ পরিষ্কার পানি, আর খাবার ছড়িয়ে আশপাশের কাকগুলোকে ডাকত খাওয়ার জন্য।
নিমন্ত্রণে এলে কি কেউ খালি হাতে আসে নাকি! কাকেরাও গ্যাবির জন্য ঠোঁটে করে এটা ওটা উপহার নিয়ে আসত! ভাঙা কাচের টুকরো, ছোট রূপালি বল, কালো ও হলুদ বোতাম, কাগজের ক্লিপ, ফোম আরও কত কী! গ্যাবি যত্ন করে তা বাক্সে তুলে রাখত।
গবেষকেরা বলছেন, এটা অভিনব কিছু নয়। প্রাণী জগতে উপহার দেওয়া–নেওয়ার চল নতুন কিছু নয়। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ওয়াইল্ডলাইফ সায়েন্সের অধ্যাপক জন মার্জলাফ বলেন, অনেক প্রাণীই তাদের নিজ গোত্রের সদস্যকে উপহার দেয়। কিন্তু কাক হচ্ছে এমন একটি পাখি, যা মানুষকেও উপহার দেয়। তাদের যেসব মানুষ খাবার দেয়, তাদের প্রতি মনোযোগী হয় ও তাদের প্রাণ বাঁচায়, তারা সেসব মানুষদের মনে রাখে ও উপহার দিতে ভোলে না।
কাকদের সঙ্গে গ্যাবির বন্ধুত্ব ২০১১ সাল থেকে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র চার বছর। একবার গ্যাবি গাড়ি থেকে বরে হওয়ার সময় তার কোলের ওপর রাখা চিকেন নাগেট মাটিতে পড়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের সব কাক ভিড় জমাল চিকেন নাগেটটি লুফে নিতে। এর পর থেকেই তারা গ্যাবির আশপাশেই থাকে। যদি আরেকবার চিকেন নাগেট ভোজের সুযোগ হয়।
গ্যাবি যত বড় হতে লাগল, তারও মায়া হতে লাগল কাকদের প্রতি। বাসস্টপে দাঁড়িয়ে নিজের লাঞ্চপ্যাক থেকে খাবার আশপাশে ছড়িয়ে দিত। আর কাকেরাও রোজ গ্যাবির অপেক্ষায় বাসস্টপে এসে হাজির হতো। ২০১৩ সাল থেকে গ্যাবি ও তার মা লিসা দৈনিক রুটিন মেনেই কাকদের খাবার দিতে শুরু করেন।
মার্জলাফ ও তার সহকর্মী মার্ক মিলার কাকের ওপর করা একটি গবেষণার ফল হিসেবে জানান, কাকদের যারা খাবার দেন, তাদের সঙ্গে কাকদের এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারা একে অপরের সংকেত খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারে।
তারা জানান, পাখিরা তাদের ওড়ার ভঙ্গি, দূরত্ব ও বসার স্থান দ্বারা তাদের ইতিবাচক সংকেত দেয়। অনেক সময় কাক তাদের খাবার দানকারীদের জন্য উপহারও নিয়ে আসে।
গ্যাবির সঙ্গে কাকদের এই বন্ধুত্বের কথা ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে প্রকাশ পায়। কিন্তু কাকদের জন্য এত এত খাবার ছড়ানোয় বিরক্ত হয়ে দুই প্রতিবেশী গ্যাবির পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলা নিষ্পত্তিতে সময় লাগে এক বছর। এর পর আর কী হয়েছিল তা জানা যায়নি।
তবে যাই হোক, কাক যেহেতু তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের চেহারা মনে রাখে সেহেতু গ্যাবিকেও তারা ভোলেনি নিশ্চয়ই!
প্রথমে জিন সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু বিক্রয়কর্মী তাঁকে আশ্বস্ত করেন। জিন বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, যদি দুই মাসের মধ্যে বিক্রি না হয়, সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
২ দিন আগেডলফিনকে প্রাণিজগতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রজাতির একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। সমুদ্রজীব বিজ্ঞানীদের মতে, ডলফিন শুধু শিকার ধরতে নয়, নিজেদের আনন্দ কিংবা কৌতূহল মেটাতেও নানা ধরনের বুদ্ধি খাটায়। এবার সেই বুদ্ধিমত্তার নতুন এক দিক উঠে এসেছে বিবিসি ওয়ানের নতুন তথ্যচিত্রে—যেখানে দেখা গেছে, তরুণ ডলফিনেরা পাফার মাছ।
৩ দিন আগেতবে এটি মোটেও শখ করে বাজানো হয় না। বরং, নতুন এই ফ্যাশন গরুকে আরামদায়ক রাখার চেষ্টার পাশাপাশি দুধের মান এবং উৎপাদন বাড়ানোর নতুন উপায় হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই প্রবণতা টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং কোটি কোটি দর্শক এর ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
৪ দিন আগেগত ১৫ বছরে ব্রিটেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একমাত্র স্থিতিশীলতার প্রতীক ল্যারি—ডাউনিং স্ট্রিটের বিখ্যাত বিড়াল। এই ট্যাবি বিড়াল এরই মধ্যে পাঁচ প্রধানমন্ত্রীর ‘অধীনে’ ডাউনিং স্ট্রিটের ‘চিফ মাউজার’ বা প্রধান ইঁদুর শিকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে। বর্তমানে সে ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে দায়িত্ব
৫ দিন আগে