ইশতিয়াক হাসান
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাবেন আশ্চর্য এক সৈকত। যেখানে শুধু ছড়িয়ে আছে নানা ধরনের কাচ। এ কারণে এটি পরিচিতি পেয়ে গেছে গ্লাস বিচ বা কাচের সৈকত নামে। শুনে অবাক হবেন, উপকূলীয় এলাকায় বাস করা মানুষের ফেলা নানা ধরনের আবর্জনা আর জঞ্জাল থেকেই সৃষ্টি এমন আশ্চর্য সৈকতের।
কাচের সৈকতের অবস্থান ফোর্ট ব্র্যাগের ধারের ম্যাককেরিচার স্টেট পার্কে। প্রশান্ত মহাসাগর তীরের এই সৈকত অনন্য দুটি কারণে, একটি হলো এটি তৈরিতে বড় অবদান মানুষের। দ্বিতীয় ব্যাপারটি হলো সময় আর সাগরের ঢেউ কীভাবে মানুষের একটি ভুলকে সংশোধন করে দেয় এই সৈকতটি এর উজ্জ্বল উদাহরন।
এবার বরং এ সৈকত সৃষ্টির ইতিহাসটি জেনে নেওয়া যাক। ১৯৪৯-৫০ সালের দিকে এখন যেখানে কাচের সৈকত এর আশপাশের এলাকা ছিল মানুষের আবর্জনা ফেলার জায়গা। ফোর্ট ব্র্যাগের বাসিন্দারা গৃহস্থালি যত জঞ্জাল আছে সব ওপর থেকে ছুড়ে ফেলত এখানে। তাঁদের এ সব অদরকারি জিনিসের মধ্যে ছিল প্রচুর কাচ, নানা ধরনের ভাঙা যন্ত্রপাতি এমনকি পরিত্যক্ত গাড়িও। ১৯৬০-র দশকের গোড়ার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে জঞ্জাল ফেলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু হয়। এ সময় বিষাক্ত যে কোনো দ্রব্য ফেলা নিষিদ্ধ করা হয়। শেষমেশ ১৯৬৭ সালে নর্থ কোস্ট ওয়াটার কোয়ালিটি বোর্ড অর্থাৎ এই উপকূলের পানির দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাদের দায়িত্ব, তারা বুঝতে পারে কত বড় একটা ভুল হয়ে আসছে এত বছর ধরে। জায়গাটিতে এ ধরনের জঞ্জাল ফেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
এর ত্রিশ বছরের বেশি সময় পরে জন্ম এই কাচের সৈকতের। কীভাবে? বছরের পর বছর ধরে সাগরের ঢেউ সৈকতের জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে নিয়ে যায়। তারপর এক সময় জলের তোড়ে এগুলো আবার ফিরে আসে, তবে চেহারা একেবারেই বদলে, মানে নানা রঙের ছোট, মসৃণ টুকরো হিসেবে। যেগুলোকে দেখে রত্নপাথর বলেই মনে হয়। আর জ্বলজ্বলে এই কাচগুলোই এখন দেখতে পান পর্যটকেরা। বিশেষ করে সূর্যের আলো পড়ে যখন জ্বলজ্বল করের ওঠে তখন আপনার মনে হতে পারে গুপ্তধনের কোনো রাজ্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন।
২০০২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পার্ক কর্তৃপক্ষ ৩৮ একরের কাচের সৈকত এলাকাটি কিনে নেয়। প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে একে ম্যাককেরিচার স্টেট পার্কের অন্তর্ভুক্ত করে। তারপর থেকে কাচের সৈকত হয়ে ওঠে পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য।
কাচের সৈকতের বর্ণিল সব কাচ যত ইচ্ছা দেখতে পারবেন। তবে এগুলো সঙ্গে করে স্মারক হিসেবে নিয়ে আসা মানা। অবশ্য অনেকেই এর থোড়াই কেয়ার করেন। ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য লুকিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। বছরের পর বছর ধরে এভাবে সুন্দর সব কাচ নিয়ে আসার কারণে সৈকতের কোনো কোনো জায়গায় কাচের পরিমাণ গিয়েছে কমে। তাই অনেক পর্যটকই সেখানে গিয়ে কিছুটা হতাশ হন। ভাবেন হয়তো ভুল জায়গায় চলে এসেছেন। তবে সত্যি হলো, এখনো সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় বাহারি কাচের মেলা নজর কাড়বে। তবে এ জন্য সঠিক জায়গাটি খুঁজে পেতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পরিচিত ও বিখ্যাত শহরগুলোর একটি সান ফ্রান্সিসকো, সেখান থেকে ঘণ্টা চারেক লাগে কাচের সৈকতে পৌঁছাতে। বছরজুড়ে যে কোনো সময়ই সেখানে যেতে পারেন। তবে পর্যটকের ভিড়-বাট্টা বেশি থাকে জুন, জুলাই আর আগস্টে। সৈকতজুড়ে বিছিয়ে থাকা রং-বেরঙের কাচ দেখার পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগেরও সুযোগ মেলে। চাইলে কোনো একটি ট্রেইল ধরে হাঁটতেও পারবেন বেশ খানিকটা সময়। কাচের সৈকতে গেলে সি গ্লাস মিউজিয়ামটাও দেখতে ভুলবেন না। কাচের সৈকত এলাকা থেকে গাড়িতে মিনিট পাঁচেকে পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। ও একটা সতর্কবাণী, অনেকে লুকিয়ে সৈকতের কাচ পকেটভর্তি করে নিয়ে এলেও আপনি ভুলেও এই কাজ করবেন না যেন! কারণ ধরা পড়লে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা!
সূত্র: অ্যামুজিং প্ল্যানেট, ট্রাভেল টুডে ওয়র্ক টুমরো. কম
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাবেন আশ্চর্য এক সৈকত। যেখানে শুধু ছড়িয়ে আছে নানা ধরনের কাচ। এ কারণে এটি পরিচিতি পেয়ে গেছে গ্লাস বিচ বা কাচের সৈকত নামে। শুনে অবাক হবেন, উপকূলীয় এলাকায় বাস করা মানুষের ফেলা নানা ধরনের আবর্জনা আর জঞ্জাল থেকেই সৃষ্টি এমন আশ্চর্য সৈকতের।
কাচের সৈকতের অবস্থান ফোর্ট ব্র্যাগের ধারের ম্যাককেরিচার স্টেট পার্কে। প্রশান্ত মহাসাগর তীরের এই সৈকত অনন্য দুটি কারণে, একটি হলো এটি তৈরিতে বড় অবদান মানুষের। দ্বিতীয় ব্যাপারটি হলো সময় আর সাগরের ঢেউ কীভাবে মানুষের একটি ভুলকে সংশোধন করে দেয় এই সৈকতটি এর উজ্জ্বল উদাহরন।
এবার বরং এ সৈকত সৃষ্টির ইতিহাসটি জেনে নেওয়া যাক। ১৯৪৯-৫০ সালের দিকে এখন যেখানে কাচের সৈকত এর আশপাশের এলাকা ছিল মানুষের আবর্জনা ফেলার জায়গা। ফোর্ট ব্র্যাগের বাসিন্দারা গৃহস্থালি যত জঞ্জাল আছে সব ওপর থেকে ছুড়ে ফেলত এখানে। তাঁদের এ সব অদরকারি জিনিসের মধ্যে ছিল প্রচুর কাচ, নানা ধরনের ভাঙা যন্ত্রপাতি এমনকি পরিত্যক্ত গাড়িও। ১৯৬০-র দশকের গোড়ার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে জঞ্জাল ফেলা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু হয়। এ সময় বিষাক্ত যে কোনো দ্রব্য ফেলা নিষিদ্ধ করা হয়। শেষমেশ ১৯৬৭ সালে নর্থ কোস্ট ওয়াটার কোয়ালিটি বোর্ড অর্থাৎ এই উপকূলের পানির দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাদের দায়িত্ব, তারা বুঝতে পারে কত বড় একটা ভুল হয়ে আসছে এত বছর ধরে। জায়গাটিতে এ ধরনের জঞ্জাল ফেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।
এর ত্রিশ বছরের বেশি সময় পরে জন্ম এই কাচের সৈকতের। কীভাবে? বছরের পর বছর ধরে সাগরের ঢেউ সৈকতের জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে নিয়ে যায়। তারপর এক সময় জলের তোড়ে এগুলো আবার ফিরে আসে, তবে চেহারা একেবারেই বদলে, মানে নানা রঙের ছোট, মসৃণ টুকরো হিসেবে। যেগুলোকে দেখে রত্নপাথর বলেই মনে হয়। আর জ্বলজ্বলে এই কাচগুলোই এখন দেখতে পান পর্যটকেরা। বিশেষ করে সূর্যের আলো পড়ে যখন জ্বলজ্বল করের ওঠে তখন আপনার মনে হতে পারে গুপ্তধনের কোনো রাজ্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন।
২০০২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট পার্ক কর্তৃপক্ষ ৩৮ একরের কাচের সৈকত এলাকাটি কিনে নেয়। প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে একে ম্যাককেরিচার স্টেট পার্কের অন্তর্ভুক্ত করে। তারপর থেকে কাচের সৈকত হয়ে ওঠে পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য।
কাচের সৈকতের বর্ণিল সব কাচ যত ইচ্ছা দেখতে পারবেন। তবে এগুলো সঙ্গে করে স্মারক হিসেবে নিয়ে আসা মানা। অবশ্য অনেকেই এর থোড়াই কেয়ার করেন। ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য লুকিয়ে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। বছরের পর বছর ধরে এভাবে সুন্দর সব কাচ নিয়ে আসার কারণে সৈকতের কোনো কোনো জায়গায় কাচের পরিমাণ গিয়েছে কমে। তাই অনেক পর্যটকই সেখানে গিয়ে কিছুটা হতাশ হন। ভাবেন হয়তো ভুল জায়গায় চলে এসেছেন। তবে সত্যি হলো, এখনো সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় বাহারি কাচের মেলা নজর কাড়বে। তবে এ জন্য সঠিক জায়গাটি খুঁজে পেতে হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পরিচিত ও বিখ্যাত শহরগুলোর একটি সান ফ্রান্সিসকো, সেখান থেকে ঘণ্টা চারেক লাগে কাচের সৈকতে পৌঁছাতে। বছরজুড়ে যে কোনো সময়ই সেখানে যেতে পারেন। তবে পর্যটকের ভিড়-বাট্টা বেশি থাকে জুন, জুলাই আর আগস্টে। সৈকতজুড়ে বিছিয়ে থাকা রং-বেরঙের কাচ দেখার পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগেরও সুযোগ মেলে। চাইলে কোনো একটি ট্রেইল ধরে হাঁটতেও পারবেন বেশ খানিকটা সময়। কাচের সৈকতে গেলে সি গ্লাস মিউজিয়ামটাও দেখতে ভুলবেন না। কাচের সৈকত এলাকা থেকে গাড়িতে মিনিট পাঁচেকে পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। ও একটা সতর্কবাণী, অনেকে লুকিয়ে সৈকতের কাচ পকেটভর্তি করে নিয়ে এলেও আপনি ভুলেও এই কাজ করবেন না যেন! কারণ ধরা পড়লে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা!
সূত্র: অ্যামুজিং প্ল্যানেট, ট্রাভেল টুডে ওয়র্ক টুমরো. কম
প্রথমে জিন সন্দিহান ছিলেন, কিন্তু বিক্রয়কর্মী তাঁকে আশ্বস্ত করেন। জিন বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, যদি দুই মাসের মধ্যে বিক্রি না হয়, সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
১০ ঘণ্টা আগেডলফিনকে প্রাণিজগতের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রজাতির একটি হিসেবে গণ্য করা হয়। সমুদ্রজীব বিজ্ঞানীদের মতে, ডলফিন শুধু শিকার ধরতে নয়, নিজেদের আনন্দ কিংবা কৌতূহল মেটাতেও নানা ধরনের বুদ্ধি খাটায়। এবার সেই বুদ্ধিমত্তার নতুন এক দিক উঠে এসেছে বিবিসি ওয়ানের নতুন তথ্যচিত্রে—যেখানে দেখা গেছে, তরুণ ডলফিনেরা পাফার মাছ।
২ দিন আগেতবে এটি মোটেও শখ করে বাজানো হয় না। বরং, নতুন এই ফ্যাশন গরুকে আরামদায়ক রাখার চেষ্টার পাশাপাশি দুধের মান এবং উৎপাদন বাড়ানোর নতুন উপায় হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই প্রবণতা টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং কোটি কোটি দর্শক এর ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
৩ দিন আগেগত ১৫ বছরে ব্রিটেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একমাত্র স্থিতিশীলতার প্রতীক ল্যারি—ডাউনিং স্ট্রিটের বিখ্যাত বিড়াল। এই ট্যাবি বিড়াল এরই মধ্যে পাঁচ প্রধানমন্ত্রীর ‘অধীনে’ ডাউনিং স্ট্রিটের ‘চিফ মাউজার’ বা প্রধান ইঁদুর শিকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে। বর্তমানে সে ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে দায়িত্ব
৪ দিন আগে