Ajker Patrika

রেস্তোরাঁয় বাচ্চার ‘দুষ্টুমির’ জন্য বাবা-মার ৫০ ডলার জরিমানা

আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২: ৩৪
রেস্তোরাঁয় বাচ্চার ‘দুষ্টুমির’ জন্য বাবা-মার ৫০ ডলার জরিমানা

পরিবার নিয়ে ভালো সময় কাটাতে রেস্তোরাঁয় খেতে যান অনেকে। সঙ্গে শান্তশিষ্ট বাচ্চা থাকলে ভালোভাবেই কাটে সময়। কিন্তু বাচ্চাদের সামলানো না গেলে বা বেশি দুষ্টুমি হলে সুন্দর সময় বিরক্তিতে পরিণত হতে পারে। এই বিরক্তির জন্য বাবা-মাকে জরিমানা দিতে হয় এমনটা কেউ কখনো শোনেননি বোধ হয়।

কিন্তু এমন অদ্ভুত এক রেস্তোরাঁ আছে যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি বাচ্চার ব্যবহারের জন্য এক গ্রাহককে ৫০ ডলার (প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা) জরিমানা গুনতে হয়েছে। যদিও বাচ্চা শান্তশিষ্ট বলে দাবি করেছেন ওই বাবা-মা।

স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টকোয়া রিভারসাইড রেস্তোরাঁয় মেন্যুর নিচে ছোট করে ‘প্রাপ্তবয়স্কদের বাড়তি চার্জ’ নামে একটি অংশ যোগ করা আছে। এখানে সঙ্গে নিয়ে আসা বাচ্চাদের সামলাতে না পারা প্রাপ্তবয়স্কদের বাড়তি অর্থ পরিশোধের কথা উল্লেখ করা আছে।

এ ছাড়া মেন্যুতে লেখা, ‘সম্মান না দিল সেবাও দেওয়া হবে না।’ অনেকেই মেন্যুর এই লেখা খেয়াল না করে বিপদে পড়ছেন। রেস্তোরাঁর বিলের সঙ্গে গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ।

অনলাইনে রিভিউ দেওয়া কাইল ল্যান্ডম্যান নামের এক ভোক্তা বলেন, ‘রেস্তোরাঁর মালিক আমাকে এসে বলেন, আমার বাচ্চাদের ব্যবহারের জন্য বিলের সঙ্গে বাড়তি ৫০ ডলার যোগ করা হচ্ছে। আমার বাচ্চারা খাবার না আসা পর্যন্ত ট্যাবলেট দেখে, খাবার খাওয়ার পর আমি বিল দেওয়ার সময় তারা আমার স্ত্রীর সঙ্গে বাইরে যায়।’

তাঁর স্ত্রী লিন্ডসি ল্যান্ডম্যান যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। বাচ্চারা টেবিলের একপাশে বসে ছিল আর খুব ভালোভাবেই ছিল। আমি খাবার খাওয়ার মধ্যে বলছিলাম, আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, এরা এত ভদ্র।’

খাবার শেষেই রেস্তোরাঁর মালিক তাঁদের টেবিলে আসেন। লিন্ডসি বলেন, ‘তিনি মেন্যু হাতে করে আসেন এবং বাড়তি ফি’র কথা লেখা দেখান। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তিনি আমাদের প্রশংসা করবেন।’

তবে প্রশংসার বদলে বাচ্চারা উচ্চ শব্দ ও বাইরে দৌড়াদৌড়ি করার জন্য তাঁদের উল্টো জরিমানা করা হয়। 

রেস্তোরাঁর এই নীতি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন আরও অনেকে। একজন রিভিউ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আপনার বাচ্চা থাকলে যেকোনো মূল্যে এই রেস্তোরাঁ এড়িয়ে চলুন।’

জরিমানার বিষয়টি নিয়ে রেস্তোরাঁর মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁদের এক কর্মী বলেন, বহু বছর ধরে চলা নীতি নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তাঁরা শুধু শান্তিতে থাকতে ও রান্না করতে চান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত