আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুক খুলতেই নাইম দেখলেন, আজ তাঁর বন্ধু তালিকার ২৯৭ জনেরই জন্মদিন। অন্যদিন যেখানে ৫-৬ জনের জন্মদিন থাকে, আজ হুট করেই এত মানুষের জন্মদিন দেখে চমকে ওঠেন তিনি। এই অভিজ্ঞতা তাঁর একার নয়। তৃতীয় বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের জন্মদিন ১ জানুয়ারি। এটা কি শুধুই কাকতালীয়?
এর পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার বলছে, লাখ লাখ মার্কিন অভিবাসীর জন্মদিন ১ জানুয়ারি। কারণ, তাঁদের অনেকে দারিদ্র্য, দুর্যোগ বা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে শিশু জন্মের পরপরই যেভাবে সেটির রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সাধারণত সেটি করা হয় না। সেভাবে প্রয়োজন পড়ে না বলে এসব দেশের মানুষ জন্মসনদকেও ততটা গুরুত্ব দেন না।
তাই আমেরিকায় আশ্রয়প্রার্থী এশিয়া বা আফ্রিকার মানুষেরা আবেদন করার সময় নথিপত্রে এমন কোনো তারিখ দিয়ে দেন, যা মনে রাখা সহজ। এই অভিবাসীদের বেশির ভাগই ১ জানুয়ারি জন্মতারিখ হিসেবে বেছে নেন।
২০০৯ সালের অভিবাসন ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজনেস ইনসাইডার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ হাজার শরণার্থীর মধ্যে ১১ হাজার জনই জন্মতারিখ হিসেবে ১ জানুয়ারি উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ অভিবাসীদের ১৪ শতাংশের জন্মতারিখ বছরের প্রথম দিন। অথচ মার্কিনদের মধ্যে সবচেয়ে কম মানুষের জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি। এই অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, লিথুয়ানিয়ার অভিবাসী।
এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রায় সব মানুষেরই জন্মদিন ১ জানুয়ারি! যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটিতে জন্মনিবন্ধনের ব্যবস্থা ছিল না বহু বছর ধরে। ২০০১ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আর নাগরিকদের নথি তৈরি করতে থাকে, তখন বেশির ভাগ আফগানই জন্মতারিখ হিসেবে ১ জানুয়ারি দাখিল করে। কারণ, বেশির ভাগ আফগানই জানেন না, ইংরেজি বছরের হিসাব অনুযায়ী তাঁদের প্রকৃত জন্মদিন কবে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, নথিপত্রে বছরের প্রথম দিন বেশির ভাগ আফগানের জন্মদিন হওয়ায় দিনটি আফগানিস্তানের অনানুষ্ঠানিক ছুটির দিন হয়ে গেছে!
পাকিস্তানেও অস্বাভাবিক অনুপাতে মানুষের জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি। একই পরিস্থিতি বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে এটি হওয়ার বড় কারণ হলো, বয়স গোপন করা। এমনিতে জন্মসনদ গ্রহণে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে, কিন্তু সরকারি চাকরির চাহিদা শীর্ষে। পড়াশোনা শেষে বেশির ভাগ তরুণ সরকারি চাকরির পেছনে ছোটেন। অভিভাবকেরাও সন্তানকে সরকারি চাকুরে বানানোর আকাঙ্ক্ষা করেন। এ কারণে তাঁরা সন্তানের জন্মসনদ সংগ্রহের সময় জন্মসাল পিছিয়ে একটি আনুমানিক জন্মতারিখ দিয়ে থাকেন।
আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের প্রথম দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফেসবুক খুলতেই নাইম দেখলেন, আজ তাঁর বন্ধু তালিকার ২৯৭ জনেরই জন্মদিন। অন্যদিন যেখানে ৫-৬ জনের জন্মদিন থাকে, আজ হুট করেই এত মানুষের জন্মদিন দেখে চমকে ওঠেন তিনি। এই অভিজ্ঞতা তাঁর একার নয়। তৃতীয় বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের জন্মদিন ১ জানুয়ারি। এটা কি শুধুই কাকতালীয়?
এর পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার বলছে, লাখ লাখ মার্কিন অভিবাসীর জন্মদিন ১ জানুয়ারি। কারণ, তাঁদের অনেকে দারিদ্র্য, দুর্যোগ বা যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে শিশু জন্মের পরপরই যেভাবে সেটির রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সাধারণত সেটি করা হয় না। সেভাবে প্রয়োজন পড়ে না বলে এসব দেশের মানুষ জন্মসনদকেও ততটা গুরুত্ব দেন না।
তাই আমেরিকায় আশ্রয়প্রার্থী এশিয়া বা আফ্রিকার মানুষেরা আবেদন করার সময় নথিপত্রে এমন কোনো তারিখ দিয়ে দেন, যা মনে রাখা সহজ। এই অভিবাসীদের বেশির ভাগই ১ জানুয়ারি জন্মতারিখ হিসেবে বেছে নেন।
২০০৯ সালের অভিবাসন ডেটা বিশ্লেষণ করে বিজনেস ইনসাইডার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ হাজার শরণার্থীর মধ্যে ১১ হাজার জনই জন্মতারিখ হিসেবে ১ জানুয়ারি উল্লেখ করেছেন। অর্থাৎ অভিবাসীদের ১৪ শতাংশের জন্মতারিখ বছরের প্রথম দিন। অথচ মার্কিনদের মধ্যে সবচেয়ে কম মানুষের জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি। এই অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, লিথুয়ানিয়ার অভিবাসী।
এ ছাড়া আফগানিস্তানের প্রায় সব মানুষেরই জন্মদিন ১ জানুয়ারি! যুদ্ধবিধ্বস্ত এ দেশটিতে জন্মনিবন্ধনের ব্যবস্থা ছিল না বহু বছর ধরে। ২০০১ সালে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় আর নাগরিকদের নথি তৈরি করতে থাকে, তখন বেশির ভাগ আফগানই জন্মতারিখ হিসেবে ১ জানুয়ারি দাখিল করে। কারণ, বেশির ভাগ আফগানই জানেন না, ইংরেজি বছরের হিসাব অনুযায়ী তাঁদের প্রকৃত জন্মদিন কবে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, নথিপত্রে বছরের প্রথম দিন বেশির ভাগ আফগানের জন্মদিন হওয়ায় দিনটি আফগানিস্তানের অনানুষ্ঠানিক ছুটির দিন হয়ে গেছে!
পাকিস্তানেও অস্বাভাবিক অনুপাতে মানুষের জন্মতারিখ ১ জানুয়ারি। একই পরিস্থিতি বাংলাদেশেও। বাংলাদেশে এটি হওয়ার বড় কারণ হলো, বয়স গোপন করা। এমনিতে জন্মসনদ গ্রহণে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে, কিন্তু সরকারি চাকরির চাহিদা শীর্ষে। পড়াশোনা শেষে বেশির ভাগ তরুণ সরকারি চাকরির পেছনে ছোটেন। অভিভাবকেরাও সন্তানকে সরকারি চাকুরে বানানোর আকাঙ্ক্ষা করেন। এ কারণে তাঁরা সন্তানের জন্মসনদ সংগ্রহের সময় জন্মসাল পিছিয়ে একটি আনুমানিক জন্মতারিখ দিয়ে থাকেন।
সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
৮ দিন আগেআজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
১০ দিন আগেসাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ ও এশিয়ায় বিপুল পরিমাণে পাচার হচ্ছে বড় আকারের লাখ লাখ পিঁপড়া। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোতে এসব পিঁপড়া পোষা প্রাণী হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। আফ্রিকার দেশ কেনিয়া থেকে সম্প্রতি হাজার হাজার জীবন্ত পিঁপড়া পাচারকালে ৪ চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
১৪ দিন আগেগত বছর একটি রাতের অনুষ্ঠানে এক ভ্লগারের ক্যামেরায় অপ্রত্যাশিত এবং অশালীন মন্তব্য করে রাতারাতি ভাইরাল হন হেইলি ওয়েলচ। দ্রুতই ‘হক তুয়াহ’ নামে খ্যাতি পান তিনি। সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এই তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, নিজের নামে চালু করা বিতর্কিত ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে...
১৬ দিন আগে