বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের দেশটিতে ফেরত পাঠাতে একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগের সূচনা করেছিল চীন। চীন এ উদ্যোগ স্থগিত করেছে। চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় এ কথা জানান।
রাখাইনে মানবিক করিডর বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে চীন যুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন আগের মতোই সহায়তা করতে প্রস্তুত এবং রাখাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে। তিস্তা প্রকল্পসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের স
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, রাখাইনে ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে বাংলাদেশের কোনো চুক্তি হয়নি এবং শব্দ দুটি বিভ্রান্তিকরভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি জানান, আরাকান আর্মির সঙ্গে মানবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সংঘর্ষবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধ না থাকার পরিবেশ তৈরি করতে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ ও নিরাপত্তাহীনতার প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এই দীর্ঘদিনের সংকটের সমাধান সম্ভব নয় এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা
ফেরত যাওয়ার যোগ্য ১ লাখ ৮০ হাজার জন রোহিঙ্গা আগামী বছরের মধ্যে নিজেদের দেশে যেতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত নয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে এই সংশয়ের কথা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রত্যাবাসন যোগ্যতা যাচাই শুরু করেছে মিয়ানমার। প্রথম ধাপে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা দেশে ফেরত যাওয়ার যোগ্য বলে চিহ্নিত করেছে দেশটির সরকার।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনে যতটুকু সহায়তা দরকার তা করবে থাইল্যান্ড। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে তাঁর থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। তবু থাইল্যান্ড চেষ্টা চালাবে রোহ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অগ্রগতি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জবাবে সন্তুষ্ট নয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
নাগরিকত্ব নিয়ে নিরাপদে এক বছরের মধ্যে মিয়ানমারে ফেরার দাবিতে কক্সবাজারের উখিয়া আশ্রয়শিবিরে সমাবেশ করেছে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার লম্বাশিয়া এক নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ থেকে ‘এনাফ ইজ এনাফ’ স্লোগান তোলা হয়।
১৯তম ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিশ্বের সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং শান্তির সংস্কৃতিকে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে দেড় হাজারের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক গিয়ে পৌঁছায়। ওই সময় আচেহের স্থানীয় বাসিন্দারা কিছু নৌকা ফিরিয়েও দেয়।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের ফেরত নিতে ছয় বছর আগে একটি চুক্তি সই করেছিল মিয়ানমার। ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর সই করা ওই চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া শুরু করার কথা ছিল। চুক্তিটি সইয়ের ষষ্ঠবার্ষিকী পার হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। কিন্তু চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত
নিজদেশে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজারের টেকনাফে সর্বশেষ দফায় আসা মিয়ানমার প্রতিনিধি দল আজ বুধবার ফিরে গেছে। এর আগে আজ সকালে ২৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে আসে।
স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের টেকনাফে এসেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন বিভাগের ৩৪ সদস্যের এই প্রতিনিধিদল রাখাইন স্টেটের মংডু টাউনশিপ থেকে স্পিডবোটে করে টেকনাফের ট্রানজিট ঘাটে এসে পৌঁছায়।
দেশে ফেরার দাবিসহ গণহত্যার বিচার চেয়ে ‘ষষ্ঠ গণহত্যা স্মরণ দিবস’ পালন করেছে কক্সবাজারের ৩৩টি ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। আজ শুক্রবার সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো রোহিঙ্গার উপস্থিতিতে উখিয়া-টেকনাফের ১২টি ক্যাম্পে পৃথক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ছয় বছর হয়ে গেল, বাংলাদেশে আশ্রয়ে আছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রায় ১০ লাখ মানুষ। তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে তিনটি চুক্তি করেছে, তা-ও প্রায় ছয় বছর আগে। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থার আওতায় এই সময়ে একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরানো যায়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে, সে বিষয়েও নিশ্চি
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য ও উপসাগরীয় দেশগুলোর কাছে আরও সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে। কক্সবাজারে বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান আরব নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।