ডিজিটাল যুগে আমরা কেবল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি না—আমরা প্রযুক্তির কাছে নিজেদের মনোযোগ, অনুভূতি, এমনকি চিন্তার স্বাধীনতাও তুলে দিচ্ছি। অ্যালগরিদম এখন আমাদের সিদ্ধান্ত, সম্পর্ক ও চেতনার গভীর স্তরে হস্তক্ষেপ করছে। শোষণ আজ আর কেবল শ্রমের ওপর নির্ভরশীল নয়—এখন তা মন ও মনোযোগের বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের যে আগ্রাসন, সেটা হচ্ছে- সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের আগ্রাসন। এটা ধর্মীয়ভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না। ধর্মীয়ভাবে যদি আগ্রাসন মোকাবিলা করা সম্ভব হতো, তাহলে সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলো এ রকম নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করত না...
পুঁজিবাদের দুঃশাসনের কালে পাকিস্তানের অবস্থা তো দেখা যাচ্ছে আরও করুণ। ইমরান খান পদচ্যুত হয়েছেন, ‘দুর্নীতিতে দক্ষ’ প্রমাণিত হওয়ায়। তাঁর জায়গায় এসেছেন পুরোনো মুসলিম লীগের
যে ধরনের সমাজের জন্য তিনি লড়াই করেছেন এবং যে ধরনের সমাজের আকাঙ্ক্ষা ক্রমশ বাড়ছে, তা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে তাঁর নাম উচ্চারিত হতে থাকবে। শুধু তা-ই নয়, কার্ল মার্ক্সের ধারণা ও তত্ত্ব নিয়েও তত দিন পর্যন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকবে।