রেমিট্যান্স

করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এরপর গত জানুয়ারিতে প্রায় ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। তবে সেই ধারা অব্যাহত থাকেনি। আবারও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। তবে, রমজানের আগে বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। রমজান মাসে মানুষের প্রয়োজনী

প্রবাসে থাকা স্বামী মিজানুর রহমানের কাছে অনেক দিন ধরেই ডায়মন্ডের নাকফুল আবদার করেছেন কক্সবাজারের টুম্পা। সময় সুযোগ মিলিয়ে সেই নাকফুল আর কেনা হয়নি, তবে স্ত্রীর বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে জিতে নিয়েছেন ডায়মন্ডের লকেট।

ব্র্যাক ব্যাংক এবং সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স ও আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের বৈঠকে দুই ব্যাংকের পারস্পরিক অংশীদারত্ব নতুন গতি পেয়েছে। 

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে ভারত। দেশটির ২০২২ সালে প্রবাসী আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ২ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স আয়ে বাংলাদেশের

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। গত ১৭ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন তিনি। সেখানেই একটি বিষয় তাঁকে খুব স্পর্শ করেছে। আজ সোমবার ফেসবুকে সেটিই প্রকাশ করেছেন শাকিব। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব (পিএস) মিয়া নুর উদ্দিন অপু ও তাঁর সহযোগীরা ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চারটি দেশের প্রবাসীদের রেমিট্যান্স গায়েব করে দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন। দেশ চারটি হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন।

রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের পাঠানো আয় বিদেশেই গায়েব করে দেয় অর্থ পাচারকারী ও হুন্ডি কারবারি চক্র। প্রবাসী আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ দেশে না আসার কারণ খুঁজতে গত বছরের শেষ দিকে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। ফিরে এসে দলটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রধানত ৯টি কারণে প্রবাসীরা ব্

করোনা মহামারীর শুরুতে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন বড় ধাক্কা খেলেও আবার চাঙা হয়ে উঠতে শুরু করেছে। চলতি বছর বাংলাদেশি শ্রমিক অভিবাসীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সকল রেকর্ড। শ্রম অভিবাসন বাড়লেও সেই তুলনায় প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স তো বাড়েইনি, উল্টো কমেছে।

করোনার পর থেকেই প্রবাসী আয় ওঠানামা করছে। এই আয় বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে তাঁর ইতিবাচক ফল পাওয়া শুরু হয়েছে। সেই উদ্যোগের অংশ হিসাবে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে দাবি করে ‘গ্রাহকেরা নগদ টাকা তুলতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে’ গুজব নিয়ে সতর্ক করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)।

ডলারের কবজায় এখন দেশ। আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়), রাজস্ব আয়—সবই নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডলার। সরকার কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই একে বাগে আনতে পারছে না। সব নীতি-কৌশল আর কড়াকড়ি সত্ত্বেও বাড়ছে ডলার খরচ...

ডলারের জন্য ব্যাংকে হাহাকার চলছে। ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানির ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। এর মধ্যেও রেমিট্যান্সে ভাটার টান অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বর মাসের প্রথম ১১ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৬৬ কোটি ডলারের মতো, যা আগের মাসের এই সময়ের চেয়ে ১১ কোটি ডলার কম।

দুই মাস ধরে কমছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়। ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না। এমন সংকটের মধ্যেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

করোনা ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের একটি কারণ উল্লেখ করে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, ‘যুদ্ধ না হলেও হয়ত দেশে এই অর্থনৈতিক মন্দা আসত। সে ক্ষেত্রে হয়ত মন্দা আসতে আরও কিছু সময় লাগত....

চলমান ডলার সংকটে বৈধভাবে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রবাসীদের আয় পাঠাতে আর কোন চার্জ লাগবে না। এ সিদ্ধান্ত সোমবার (৭ নভেম্বর) থেকে কার্যকর করা হবে। আর বিদেশে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বাড়াতে ছুটির দিনেও নিজস্ব এক্সচেঞ্জ হাউস খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো

ব্যাংকগুলো বর্তমানে এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ডলার কেনায় ১০৭ টাকা দিলেও সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে রপ্তানি বিল নগদায়নের আদলে দিচ্ছে ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। এতে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতে অনেকে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

চাল বাদে বেশির ভাগ পণ্যের ওপরই আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। তার মধ্যে অন্যতম গম। গমের জন্য আমরা ইউক্রেন-রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক যুদ্ধের কারণে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আমাদের জন্য তৃতীয় বাজার হতে পারে ভারত।