রেমিট্যান্স

বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ এবং রপ্তানি বিল কেনার ক্ষেত্রে একক নীতি অনুসরণ করছে ব্যাংকগুলো। আজ সোমবার গৃহীত নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ৫০ পয়সায় রেমিট্যান্স সংগ্রহ করবে ব্যাংকগুলো।

রিজার্ভের সংকট কাটাতে সরকার আমদানিতে কড়াকড়ি, কৃচ্ছ্র সাধন এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এতসবের পরেও রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েই চলছে। এমনকি গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ কমে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। আজ বুধবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার। এটিই গ

অর্থনৈতিক মন্দার অশনিসংকেত দেশে দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের উন্নত দেশের পাশাপাশি মন্দা আর ঋণ সংকটের কবলে পড়তে যাচ্ছে উঠতি ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অনেকেই।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে বিদেশগামী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতে ‘ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠান, নিজের ও দেশের সমৃদ্ধি বাড়ান’ শীর্ষক এক আলোচনা ও মত বিনিময় সভা রাজধানীর বারিধারায় অনুষ্ঠিত হয়েছে...

মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কাছে এসব হুন্ডি ব্যবসায়ী, খোলা বাজারে ডলার বিক্রি ও কারসাজির সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের তথ্য চেয়েছে পুলিশের এই তদন্ত সংস্থা। সিআইডির এমন আহ্বানে সাড়া দিয়েছে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ১০৮ টাকা দরে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করবে। আর রপ্তানি বিল নগদায়ন হবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকা দরে। অর্থাৎ রেমিট্যান্স আহরণ ও রপ্তানি বিল নগদায়নের মোট খরচ গড় করে তা ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করবে।

জুলাইয়ের ধারাবাহিকতায় আগস্টেও প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগস্ট মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এটি আগের বছরের আগস্টের চেয়ে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত বছরের আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮১ কোটি ডলার।

ডলারের সরবরাহ বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে চড়া দরে রেমিট্যান্স কিনতে হচ্ছে। কিন্তু ডলারের দর যখন স্থিতিশীল ও এখনকার চেয়ে কম ছিল, তখনকার আমদানি দায় শোধ করতে হচ্ছে এই দামি ডলার দিয়ে। এভাবে আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে বাধ্য ব্যাংকগুলো বেশি দামে ডলার কিনে কম দামে বিক্রি করে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জান

এখনো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখনো রেমিট্যান্স আছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এখনো ৪০ থেকে ৪২ এ আমাদের রিজার্ভ। বললাম কেন? বাংলাদেশে এখন রিকশাচালকেরাও রিজার্ভের কথা বলে

চলতি আগস্টের প্রথম সাত দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৫৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। বর্তমান বিনিময় হার প্রতি ডলার ৯৫ টাকা ধরে যার পরিমাণ ৫ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। এই অঙ্ক গত বছরের আগস্টের একই সময়ের চেয়ে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯২০ মিলিয়ন ডলার। সেখানে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৮৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রেকর্ড পরিমানে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাইয়ে দেশে ২ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন (২০৯ কোটি ৬৯ লাখ) ডলার পাঠিয়েছেন তাঁরা। দেশীয় মুদ্রায় যা...

আমাদের পণ্য যাতে বিদেশে রপ্তানি হয় সে জন্য পণ্যের বহুমুখীকরণ করা এবং পণ্যের জন্য নতুন নতুন বাজার আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। যেখানে যে পণ্যের চাহিদা সেই ধরনের পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি করেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পদক্ষেপ আমরা নেব।

একদিকে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি, অন্যদিকে কমছে রেমিট্যান্স। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম এবং পরিবহনের খরচ বাড়তে থাকায় আমদানি ব্যয়ের লাগামও টানতে পারছে না সরকার। এর চাপ গিয়ে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে আমদানি ব্যয় কমাতে এবং রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

করোনাকালে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হলেও পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এর প্রবাহ কমতে থাকে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনা বৃদ্ধি করা হয় এবং বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাস ও মিশনেও তাগাদা দেয় সরকার।তবে সদ্য বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১

বিশ্ব অর্থনীতির অস্থির পরিস্থিতি ও মূল্যস্ফীতির মতো চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেছেন। ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বিশাল এ বাজেট দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম।

প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আয় কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত সরকার। তাই প্রবাসী আয়ের ধারা আগের অবস্থানে নিতে বৈধ পথে অর্থ দেশে প্রেরণে ২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়।