ফুল

ফুল চাষ করতে গিয়ে বড্ড ‘ভুল’ করেছে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। বাগানে চাষ করা হয়েছিল নিষিদ্ধ পপি ফুল। এই ফুলের রস থেকেই তৈরি হয় আফিম, মরফিন ও হেরোইনের মতো মাদকদ্রব্য। বাংলাদেশের আইনে পপি ফুল চাষ নিষিদ্ধ।

ফুলের রাজধানীখ্যাত ঝিকরগাছার গদখালীর অদূরে ফুল কানন পানিসারা-হাড়িয়া মোড় পর্যন্ত পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এ এলাকার ফুলখেত দেখতে হাজারো মানুষ ঘুরতে আসেন। এখানে গড়ে উঠেছে আধুনিক রেস্তোরাঁ ও বিনোদন কেন্দ্র। তাই জমির দাম বেড়ে গেছে ৭-৮ গুণ পর্যন্ত।

ফাগুন ফুরিয়ে এলো; বসন্তের আবহে গাছে গাছে পরিপক্ব শিমুল ফুল। গাছতলায়ও বিছানো অজস্র ফুল। কাকডাকা ভোরে গাছে থোকায় থোকায় ফুল আর রাস্তায় ঝরে পড়া ফুলগুলো দেখে মনে অন্য রকম এক অনুভূতি জাগে। মনে হয় যেন রক্তিম রাঙা পথ। এ পথ ব্যস্ত পথিকের নজর এড়িয়ে চলা কষ্টকর।

অবিবাহিত তাইকো অকাজিমা তাঁর ২৭ বছরের পুরোটাই কাটিয়েছেন টোকিওতে। চাকরি করছেন শহরের একটা কোম্পানিতে। শহরের একঘেয়েমি কাটাতে হঠাৎ তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁর বোনের শ্বশুরবাড়ি ইয়ামাগাতা গ্রামে বেড়াতে যাবেন এবং কুসুমের মতো দেখতে একধরনের ফুল ফলাতে সাহায্য করবেন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ রণচণ্ডী ইউনিয়নের বাফলা গ্রামের কৃষক গুপিনাথ রায় ফুলের চাষ করে ভাগ্য বদল করেছেন। তাঁর পরিবারের অভাব-অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। আর্থিক দৈন্য ঘোচাতে ২০০১ সালে তিনি বাড়ির আঙিনায় শুরু করেন ফুল চাষ।

ফাগুন হাওয়ায় গাছে গাছে দুলছে ফুল। ফুলের সমারোহ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থী। সুনামগঞ্জের সদর উপজেলায় গড়ে উঠেছে ফ্লাওয়ার লেক। লেকপাড়ে বিভিন্ন ধরনের ফুল দিয়ে বাগান তৈরি করেছেন সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের সাত যুবক।

বসন্তের ফুলবাগানে ঢের আলো ছড়াচ্ছিলেন সূর্যমামা। ওদিকে মেঘরাজ দেখলেন, আরে ফুলগাছের গোড়ায় মাটি প্রায় শুকিয়ে গেছে। সূর্যকে একটু ঠেলে দিয়ে মেঘরাজ বললেন, দেখি সরো তো ভাই, আর তেজ দিয়ো না! মেঘের এই মৃদু গর্জন শুনল ফুলেরাও।

সূর্যমুখী চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন বগুড়া সারিয়াকান্দির কৃষক। ভালো তেল পেতে সূর্যমুখীর চাষ বেড়েছে। এদিকে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং নিজেকে সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী করতে ছুটছেন অনেকে।

ঝালকাঠিতে সড়ক, অলিগলিতে ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে নানান প্রজাতির ফুল। দেশি প্রজাতির পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বিদেশি ফুলের চারাও। এসব ফুলের চারা আনা হয় পাশের পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা থেকে। জেলার বিভিন্ন হাটের দিন উপলক্ষে এ চারা সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

‘আপনার প্রিয় মানুষটির জন্য আমাদের এই ভাসমান দোকান থেকে একটি ফুল কিনবেন। ‘‘পটুয়াখালীবাসী’’ সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা দাঁড়িয়ে আছে ফুল বিক্রির জন্য। এ ফুল বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে শতবর্ষের একজন বৃদ্ধ পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’

গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের গুজিখা গ্রামে সূর্যমুখী ফুলের খেত দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তাঁরা ফুলের সঙ্গে ছবি তুলছেন, বাগানের ভেতরে প্রবেশ করে ফুল ছুঁয়ে দেখছেন। এতে গাছ ও ফুলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

করোনায় দুই বছর লোকসানের পর এবার আশার আলো দেখছেন নীলফামারীর ফুল ব্যবসায়ীরা। পয়লা ফাগুন ও ভালোবাসা দিবসের আগে রোববার সকাল থেকে ফুলের দোকানে বেড়ে গেছে বেচাবিক্রি। ইতিমধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ফুল নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।

আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিবসটি বরণ করে নিতে চাই রঙিন ফুল। বিশেষ করে তরুণীরা সাজে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ক্রাউন পরে। ক্রাউন থাকবে মাথায়। ক্রাউনে ফুলের মধ্যে প্রধানত থাকবে একটি লাল গোলাপ।

ও পলাশ...ও শিমুল কেন এ মন মোর রাঙালে/ জানি না জানি না আমার এ ঘুম কেন ভাঙালে...লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া কালজয়ী এ গান শিমুল-পলাশকে ভীষণভাবে মনে করিয়ে দেয়। এমন অজস্র গানে, কবিতার ছন্দে উঠে এসেছে বসন্তের এই প্রতীক। বাঙালির সংস্কৃতির আবাহনে হৃদয়কে সাজানো বসন্তের স্মারক শিমুল-পলাশ দিন দিন কমে যাচ্ছে।

দরজায় কড়া নাড়ছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’। ভালোবাসার মানুষকে আকৃষ্ট করতে দিনটিকে বেছে নেয় মানুষ। এই দিনে রংবেরঙের উপহারসামগ্রী একে অন্যকে দিয়ে থাকে। দিনটিকে ঘিরে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয় হাসি ফোটে ব্যবসায়ীদের মুখেও 

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টিউলিপ ফুলের বাগান পরিদর্শন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

শীতকালীন নানা ফুলের কারণে এ সময় নার্সারিতে চারা বিক্রি অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুন বেড়ে যায়। মানিকগঞ্জে বেড়েছে শীতকালীন ফুলের চারা বিক্রি। এর ফলে লাভবান হচ্ছেন জেলার নার্সারি মালিকেরা। চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, ডালিয়া, কসমস, সিলভিয়া, গ্লাডিওলাস, গাদা ফুলের চারা বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নার্সারি মা