জাতীয় পার্টি

নাটকের যেন শেষ নেই। কিছুদিন পরপরই নতুন দৃশ্যের অবতারণা করে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সর্বশেষ দৃশ্যটি সামনে এনেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। গতকাল গুলশানে নিজের বাসভবনে এক সভা ডেকে জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে দল

আজ রোববার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে দেওয়া দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যোগ দেওয়া বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোট গঠন 

নানান জল্পনা-কল্পনার পরে অবশেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিরোধীদলীয় নেতা পেয়েছে। প্রথমবারের মতো বিরোধী দলের নেতার আসনে বসতে যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলের উপনেতা হয়েছেন।

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধান পৃষ্ঠপোষক চেয়ারম্যান বা মহাসচিবসহ দলের কোনো নেতা-কর্মীকেই দল থেকে বাদ দিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি আরও বলেন, ‘আগেও উনি (রওশন) দুইবার নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে আমাদের বাদ দিয়েছিলেন। ওনার বক্তব্য আমরা আমলে নিচ্ছি না...

নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করে ঐক্য ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে গঠনতন্ত্রের ২০-এর ১ ধারা অনুযায়ী অব্যাহতি দিয়েছেন রওশন এরশাদ। এ ছাড়া মহাসচিব হিসেবে কাজী মামুনুর রশিদের নাম ঘোষণা করেছেন তিনি। রওশন বলেন, দলের অব্যাহতিপ্রাপ্ত এবং পদত্যাগকারী

বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মেয়র পদের জন্য ছয়জন ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ছাত্রসমাজের এক নেতাও আছেন। তবে মাঠে নেই বিএনপি ও জামায়াতের কেউ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে অবশেষে। বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টিই (জাপা) বসবে– এমন তথ্য গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় বিরোধী দলের গুরুত্ব অপরিসীম। এই ব্যবস্থায় সুনির্দিষ্ট বিরোধী দল সংসদের হৃৎপিণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ বিরোধী দল ছাড়া সংসদীয় পদ্ধতি কখনোই সফলভাবে কাজ করতে পারে না। বিরোধী দল ও সরকার সাইকেলের দুটি চাকার মতো। দুটি চাকা সচল হলে গণতন্ত্র সচল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টিই বসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান

‘হঠকারিতা সিদ্ধান্ত নিয়ে সব সময় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। দূরদর্শিতা থাকতে হয় রাজনীতিতে। দূরদর্শিতার অভাব হলে, অনেক সময় অনেক বেশি সাহসিকতা দেখাতে গিয়ে অনেকে ইতিহাস থেকে হারিয়ে গেছে। আমরা ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে চাই না।’

১৯৮৩ সালের কথা। সে সময় বিটিভিতে প্রচারিত একটি দর্শকপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হয়েছিল ‘ভাঙনের শব্দ শুনি’। সেলিম আল দীন রচিত এবং নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রযোজিত সেই নাটকে ‘সেরাজ তালুকদার’ নামের এক গ্রাম্য মাতব্বরের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়

বিরোধী দল হচ্ছি কি না, এখন পর্যন্ত কোনো সিগন্যাল পাইনি—এমনটি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশনে কে হচ্ছে বিরোধী দল, তা স্পিকার জানাবেন। 

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দল কারা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছেই। তবে সার্বিক দিক বিবেচনায় জাতীয় পার্টিই সংসদের একমাত্র বিরোধী দল বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। 

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে দলেরই কিছু নেতা যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেছেন মহাসচিব।

জাতীয় পার্টির আরও দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ দুই নেতা হলেন—দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াহ ইয়া চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. শফিকুল ইসলাম। আজ রোববার জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২০টিতে জিতেছেন নারী প্রার্থীরা। এখন দলগুলোর প্রাপ্য অনুযায়ী, নারীদের জন্য ৫০টি সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী ঠিক করা হবে। এসব আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে এরই মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, শরিক দল ও জাতীয় পার্টির অনেকে।