আইসিইউ

রাজধানীর উত্তরার শিন-শিন জাপান হাসপাতালের নার্সসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাত করা সবুজ পিরিজ (৩৫) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। সবুজ পিরিজ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার গুলপুর গ্রামের মৃত সেন্টি পিরিজের ছেলে

ঢাকার তিনটি হাসপাতালে ঘুরেও আইসিইউ না পেয়ে করোনায় আক্রান্ত ভাইকে নিয়ে রোববার এনাম মেডিকেলে যান ধামরাইয়ের আব্দুর রহমান (৭০)। বললেন, ‘১০-১২ দিনে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হইয়া গেছে। এখন আরও যে কত লাগবো! জীবনটা তো বাঁচুক।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীর কোভিড ডেডিকেটেড ১৬ হাসপাতালের মধ্যে ১৩ টিতে আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। এসব হাসপাতালে ৩৯৩টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে...

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত তারেকুল ইসলাম (২০) সোমবার (১২ জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) আসরের নামাজের পর আজিমপুর গ্রামের শেখ পাড়া জুনায়েদ মাতবর জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। 

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই অব্যাহত রয়েছে করোনার ভয়াবহ তাণ্ডব। টানা লকডাউনের ১২তম দিনেও গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা মানুষের বেপরোয়া মনোভাব ও ভাবলেশহীন চলাচলকে দায়ী করছেন। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও নানা ছলে বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। পালন করছেন না স্বাস্থ্যবিধি। 

গভীর রাতে মোবাইল ফোনে আসা কলে কাঁচা ঘুম ভাঙে আবদুল কাদেরের। অচেনা নম্বর, অজানা আশঙ্কা। তবু ফোন ধরেন তিনি। ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘আপনার রকেট অ্যাকাউন্টে সমস্যা, এখনই বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা একটি পাঁচ ডিজিটের নম্বর দিচ্ছি। সেই নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে আপনার কাছে যাওয়া কোড নম্বরটি দ্রুত বলুন

আইসিইউয়ের সংকট যে তীব্র আকার ধারণ করবে সেটাতো আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু যেভাবে ঘটছে তাতে নতুন করে বাংলাদেশেই করোনার নতুন ধরন তৈরি হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করতে পারি, যেখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া একেবারে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে

হাসপাতালটিতে এর আগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন সুবিধা ছিল না। এখানে ভর্তির পর রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজন হলে অন্য হাসপাতালে ছুটতে হতো। 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ১০টি শয্যার বিপরীতে পাঁচটি শয্যা খালি থাকা সত্ত্বেও আইসিইউ পাননি গার্মেন্টসকর্মী খালেদা (৩৫)। আইসিইউর অভাবে সাধারণ শয্যায় চার দিন ছটফট করে আজ রোববার মারা গেলেন তিনি। 

গত সোমবার খালেদাকে ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা চমেকে রেফার করেন। চমেকে চিকিৎসকেরা দেখে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু চমেকের আইসিইউ ইউনিট থেকে বলা হয় শয্যা খালি নেই। পরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউর জন্য