আজাদুল আদনান, ঢাকা
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই অব্যাহত রয়েছে করোনার ভয়াবহ তাণ্ডব। টানা লকডাউনের ১২তম দিনেও গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাড়ছে রোগীদের হাহাকার। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে আশাবাদী হতে পারছে না কেউই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায়, যা আরও অন্তত এক সপ্তাহ থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শনাক্ত ও মৃদু লক্ষণের রোগীদের চিকিৎসার আওতায় আনতে না পারায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। লকডাউন জারি থাকলেও প্রভাব নেই জনজীবনে। ফলে সংক্রমণের চেইন ভাঙা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি হওয়া প্রায় সব রোগীরই অক্সিজেন লাগছে। কারও কম, কারও বেশি। এর মধ্যে সারাক্ষণ অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় অর্ধেক রোগীর।
এ মাসের শুরুতে রাজধানীর ১৬ হাসপাতালে কোভিড শয্যা খালি ছিল ১ হাজার ৮৫৫টি, গতকাল তা ১ হাজার ২০০–তে নেমেছে। একই সময়ে ২১২টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা ছিল, সেখানে আছে ৭৮টি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাজমুল করিম বলেন, রোগীদের চাপ অনেক বেড়েছে। কোনো শয্যাই এখন খালি নেই। অক্সিজেন সরবরাহে টান টান অবস্থা। এমতাবস্থায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ২০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন অক্সিজেন ট্যাংক বসানো হচ্ছে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অসীম কুমার নাথ বলছেন, সব রোগীর অক্সিজেন–সহায়তা লাগছে। এর মধ্যে অধিকাংশের দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ লিটার অক্সিজেন লাগছে। সব রোগীর যদি ৩০ লিটার করে অক্সিজেন লাগে, তাহলে সরবরাহ অসম্ভব হবে।
এদিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেডিকেলে অক্সিজেনের চাহিদা। গত এপ্রিলে সংক্রমণের দ্বিতীয় চূড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ শতাংশ, বর্তমানে যা ৭ শতাংশের বেশি। এতে করে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, স্বাভাবিক সময়ে দেশে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ১০০ টনের মতো। তবে এপ্রিলে উচ্চ সংক্রমণের সময় চাহিদা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টন পর্যন্ত ওঠে। বর্তমানে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি হওয়ায় গত আড়াই মাসের ব্যবধানে ২০০ থেকে ২১০ টনে দাঁড়িয়েছে, যা এপ্রিলের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেনের মতে, সংকটাপন্ন এই মুহূর্তে মৃত্যু কমাতে হলে মৃদু লক্ষণের রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন ১১ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন খুবই কম। তিনি বলেন, সংক্রমণ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ মাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে হাটবাজার ও মসজিদ। এগুলোতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভাগীয় হাসপাতাল ও যেখানে আইসিইউ স্থাপনের সুযোগ আছে, সেখানেই কেবল আইসিইউ করা যেতে পারে। বাকি স্থানে দ্রুত আইসোলেশন তৈরি করা দরকার বলেও জানান মুশতাক হোসেন।
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই অব্যাহত রয়েছে করোনার ভয়াবহ তাণ্ডব। টানা লকডাউনের ১২তম দিনেও গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ। হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাড়ছে রোগীদের হাহাকার। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে আশাবাদী হতে পারছে না কেউই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বর্তমানে সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায়, যা আরও অন্তত এক সপ্তাহ থাকবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শনাক্ত ও মৃদু লক্ষণের রোগীদের চিকিৎসার আওতায় আনতে না পারায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। লকডাউন জারি থাকলেও প্রভাব নেই জনজীবনে। ফলে সংক্রমণের চেইন ভাঙা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভর্তি হওয়া প্রায় সব রোগীরই অক্সিজেন লাগছে। কারও কম, কারও বেশি। এর মধ্যে সারাক্ষণ অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় অর্ধেক রোগীর।
এ মাসের শুরুতে রাজধানীর ১৬ হাসপাতালে কোভিড শয্যা খালি ছিল ১ হাজার ৮৫৫টি, গতকাল তা ১ হাজার ২০০–তে নেমেছে। একই সময়ে ২১২টি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ফাঁকা ছিল, সেখানে আছে ৭৮টি। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাজমুল করিম বলেন, রোগীদের চাপ অনেক বেড়েছে। কোনো শয্যাই এখন খালি নেই। অক্সিজেন সরবরাহে টান টান অবস্থা। এমতাবস্থায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ২০ হাজার লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন অক্সিজেন ট্যাংক বসানো হচ্ছে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অসীম কুমার নাথ বলছেন, সব রোগীর অক্সিজেন–সহায়তা লাগছে। এর মধ্যে অধিকাংশের দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ লিটার অক্সিজেন লাগছে। সব রোগীর যদি ৩০ লিটার করে অক্সিজেন লাগে, তাহলে সরবরাহ অসম্ভব হবে।
এদিকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেডিকেলে অক্সিজেনের চাহিদা। গত এপ্রিলে সংক্রমণের দ্বিতীয় চূড়ায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ শতাংশ, বর্তমানে যা ৭ শতাংশের বেশি। এতে করে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, স্বাভাবিক সময়ে দেশে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ১০০ টনের মতো। তবে এপ্রিলে উচ্চ সংক্রমণের সময় চাহিদা বেড়ে ১৪০ থেকে ১৫০ টন পর্যন্ত ওঠে। বর্তমানে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি হওয়ায় গত আড়াই মাসের ব্যবধানে ২০০ থেকে ২১০ টনে দাঁড়িয়েছে, যা এপ্রিলের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেনের মতে, সংকটাপন্ন এই মুহূর্তে মৃত্যু কমাতে হলে মৃদু লক্ষণের রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিন ১১ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন খুবই কম। তিনি বলেন, সংক্রমণ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্রামাঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ মাধ্যমগুলোর মধ্যে রয়েছে হাটবাজার ও মসজিদ। এগুলোতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভাগীয় হাসপাতাল ও যেখানে আইসিইউ স্থাপনের সুযোগ আছে, সেখানেই কেবল আইসিইউ করা যেতে পারে। বাকি স্থানে দ্রুত আইসোলেশন তৈরি করা দরকার বলেও জানান মুশতাক হোসেন।
নিরপরাধ একজন যুবকের মূল্যবান জীবন ও অন্যদের নির্যাতন থেকে সুরক্ষায় পুলিশ বিভাগ নৈতিকভাবে দায় এড়াতে পারে না। যেখানে জনিসহ চারজনকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। পুলিশ বিভাগ বা সরকার ভুক্তভোগীর পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য এগিয়ে আসতে পারে। জনি হত্যা মামলায় আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি করে রায়ে এসব পর্যবেক্ষণ
২৪ মিনিট আগেগাজীপুরের বেলাই বিলে ভরাট কার্যক্রমের ওপর ৩ মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে রাজউকের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও গাজীপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সদর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া এবং কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আরএস জরিপ অনুযায়ী...
৩১ মিনিট আগেগত জুলাই মাসে সীমান্ত এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ১৭৪ কোটি ২৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য, মাদক, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ সোমবার (১১ আগস্ট) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
১ ঘণ্টা আগেকারাগারে থাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন ও মামলার কার্যক্রম বাতিল আবেদনের শুনানিতে আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। পরে আদালত এই বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৭ আগস্ট দিন
২ ঘণ্টা আগে