অনলাইন ডেস্ক
বহু বছর ধরেই ফেসবুকে ও ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীদের আপলোড করা পাবলিক ছবি দিয়ে নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রোগ্রামকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে মেটা। এবার সেই একই প্রযুক্তির জন্য মেটা নজর দিচ্ছে এমন সব ছবির দিকে, যেগুলো ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন থেকে কখনো ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আপলোডই করেননি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জকে মেটা জানায়, তারা আপাতত ব্যবহারকারীদের ক্যামেরা রোলে থাকা, অপ্রকাশিত ছবিগুলোর ওপর এআই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে তারা এমন কিছু করবে কি না—সেই প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানটি কোনো স্পষ্ট জবাব দেয়নি। একই সঙ্গে এটি-ও জানায়নি, এসব ব্যক্তিগত ছবির ওপর ঠিক কী কী অধিকার রাখবে মেটা।
এদিকে গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে টেকক্রাঞ্চ জানায়, ফেসবুক স্টোরি ফিচার ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক ব্যবহারকারী একটি পপ-আপ মেসেজ পাচ্ছেন, যেখানে ক্যামেরা রোল থেকে ছবি ‘ক্লাউড প্রসেসিং’-এর মাধ্যমে মেটার সার্ভারে নিয়মিত আপলোড করার অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। এই ফিচার চালু করলে ব্যবহারকারীরা সম্মতি দিচ্ছেন মেটা এআইয়ের শর্তে, যার আওতায় ব্যবহারকারীর ছবি ও মুখাবয়ব বিশ্লেষণ করতে পারবে এআই। এমনকি, ছবির তারিখ, ছবিতে থাকা অন্যান্য মানুষ বা বস্তু সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে মেটা।
কোম্পানিটি বলছে, এটি একটি ‘খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে’র পরীক্ষা এবং এটি ব্যবহারকারীর সম্মতি নিয়েই করা হবে।
ভার্জকে ফেসবুকের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক রায়ান ড্যানিয়েলস বলেন, ‘এই পরীক্ষার অংশ হিসেবে আমরা এই ছবিগুলোর ওপর এআই প্রশিক্ষণ দিচ্ছি না।’
মেটার যোগাযোগ ব্যবস্থাপক মারিয়া কিউবেটা জানিয়েছেন, ‘আমরা ফেসবুকে কনটেন্ট শেয়ার করা আরও সহজ করতে চেষ্টা করছি। এ জন্যই ক্যামেরা রোল থেকে সাজেস্ট করা কনটেন্টের একটি ফিচার পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি একান্তই ব্যবহারকারীর সম্মতির ভিত্তিতে এবং আপনি শেয়ার না করা পর্যন্ত ছবিগুলো কেবল আপনাকেই দেখানো হবে। চাইলে এটি যেকোনো সময় বন্ধ করে দিতে পারবেন।’
তবে মেটার এই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। কারণ, মেটার এআই নীতি অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা সম্মতি দিলে মেটা ক্যামেরা রোলের মিডিয়া এবং তাতে থাকা ব্যক্তিগত উপাত্ত ‘সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ করতে পারবে। যদিও মেটা বলছে, আপাতত তারা এআই প্রশিক্ষণের জন্য এসব ছবি ব্যবহার করছে না, তবে তাদের শর্তে ভবিষ্যৎ ব্যবহারের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এ প্রসঙ্গে গুগল ফটোসের বিবৃতির তুলনা করা যায়। গুগল পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, গুগল ফটোসে থাকা ব্যক্তিগত ছবি এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু মেটার ক্ষেত্রে এই স্পষ্টতা এখনো অনুপস্থিত।
মেটা দাবি করেছে, ব্যবহারকারীর সম্মতিতে তারা সর্বোচ্চ ৩০ দিনের ক্যামেরা রোলের ছবি সংগ্রহ করে। তবে টেকক্রাঞ্চ জানায়, ‘মেটা নিজেই বলেছে—কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩০ দিনের পুরোনো ছবিও এই ফিচারে ব্যবহৃত হতে পারে।’
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা চাইলে ক্যামেরা রোল ক্লাউড প্রসেসিং বন্ধ করতে পারেন সেটিংসে গিয়ে। একবার এই ফিচার বন্ধ করলে মেটার ক্লাউড থেকে অপ্রকাশিত ছবিগুলো ৩০ দিনের মধ্যে মুছে ফেলা শুরু হবে।
মেটা সম্প্রতি স্বীকার করেছে, তারা ২০০৭ সাল থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত সব কনটেন্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যদিও কোম্পানিটি জানায়, শুধু প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্টই এতে ব্যবহৃত হয়েছে, তবে ‘পাবলিক’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে এবং ২০০৭ সালে ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ নির্ধারণের মানদণ্ড কী ছিল, তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
রেডিটে এক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, মেটা তাদের বিয়ের ছবিগুলো ‘স্টুডিও জিবলি’ স্টাইলে রিস্টাইল করেছে, অথচ তারা এমন কোনো ফিচার চালুই করেনি। অর্থাৎ, ব্যবহারকারী অজান্তেই মেটার এআই কাজ করে গেছে।
সার্বিকভাবে মেটার এই উদ্যোগ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য একটি নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ, এত দিন ব্যবহারকারীদের ছবি ‘পাবলিক’ না করলে এআই মডেলের জন্য ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। এবার মেটা ব্যবহারকারীর সম্মতি চেয়ে সেই বাধাও পার হতে চাইছে—একেবারে ব্যবহারকারীর ফোনের গ্যালারি অবধি পৌঁছে যেতে চাইছে।
বহু বছর ধরেই ফেসবুকে ও ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীদের আপলোড করা পাবলিক ছবি দিয়ে নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রোগ্রামকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে মেটা। এবার সেই একই প্রযুক্তির জন্য মেটা নজর দিচ্ছে এমন সব ছবির দিকে, যেগুলো ব্যবহারকারীরা তাদের ফোন থেকে কখনো ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে আপলোডই করেননি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জকে মেটা জানায়, তারা আপাতত ব্যবহারকারীদের ক্যামেরা রোলে থাকা, অপ্রকাশিত ছবিগুলোর ওপর এআই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না। তবে ভবিষ্যতে তারা এমন কিছু করবে কি না—সেই প্রশ্নে প্রতিষ্ঠানটি কোনো স্পষ্ট জবাব দেয়নি। একই সঙ্গে এটি-ও জানায়নি, এসব ব্যক্তিগত ছবির ওপর ঠিক কী কী অধিকার রাখবে মেটা।
এদিকে গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে টেকক্রাঞ্চ জানায়, ফেসবুক স্টোরি ফিচার ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক ব্যবহারকারী একটি পপ-আপ মেসেজ পাচ্ছেন, যেখানে ক্যামেরা রোল থেকে ছবি ‘ক্লাউড প্রসেসিং’-এর মাধ্যমে মেটার সার্ভারে নিয়মিত আপলোড করার অনুমতি চাওয়া হচ্ছে। এই ফিচার চালু করলে ব্যবহারকারীরা সম্মতি দিচ্ছেন মেটা এআইয়ের শর্তে, যার আওতায় ব্যবহারকারীর ছবি ও মুখাবয়ব বিশ্লেষণ করতে পারবে এআই। এমনকি, ছবির তারিখ, ছবিতে থাকা অন্যান্য মানুষ বা বস্তু সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে মেটা।
কোম্পানিটি বলছে, এটি একটি ‘খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে’র পরীক্ষা এবং এটি ব্যবহারকারীর সম্মতি নিয়েই করা হবে।
ভার্জকে ফেসবুকের জনসংযোগ ব্যবস্থাপক রায়ান ড্যানিয়েলস বলেন, ‘এই পরীক্ষার অংশ হিসেবে আমরা এই ছবিগুলোর ওপর এআই প্রশিক্ষণ দিচ্ছি না।’
মেটার যোগাযোগ ব্যবস্থাপক মারিয়া কিউবেটা জানিয়েছেন, ‘আমরা ফেসবুকে কনটেন্ট শেয়ার করা আরও সহজ করতে চেষ্টা করছি। এ জন্যই ক্যামেরা রোল থেকে সাজেস্ট করা কনটেন্টের একটি ফিচার পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি একান্তই ব্যবহারকারীর সম্মতির ভিত্তিতে এবং আপনি শেয়ার না করা পর্যন্ত ছবিগুলো কেবল আপনাকেই দেখানো হবে। চাইলে এটি যেকোনো সময় বন্ধ করে দিতে পারবেন।’
তবে মেটার এই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন। কারণ, মেটার এআই নীতি অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা সম্মতি দিলে মেটা ক্যামেরা রোলের মিডিয়া এবং তাতে থাকা ব্যক্তিগত উপাত্ত ‘সংরক্ষণ ও ব্যবহার’ করতে পারবে। যদিও মেটা বলছে, আপাতত তারা এআই প্রশিক্ষণের জন্য এসব ছবি ব্যবহার করছে না, তবে তাদের শর্তে ভবিষ্যৎ ব্যবহারের ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এ প্রসঙ্গে গুগল ফটোসের বিবৃতির তুলনা করা যায়। গুগল পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, গুগল ফটোসে থাকা ব্যক্তিগত ছবি এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু মেটার ক্ষেত্রে এই স্পষ্টতা এখনো অনুপস্থিত।
মেটা দাবি করেছে, ব্যবহারকারীর সম্মতিতে তারা সর্বোচ্চ ৩০ দিনের ক্যামেরা রোলের ছবি সংগ্রহ করে। তবে টেকক্রাঞ্চ জানায়, ‘মেটা নিজেই বলেছে—কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩০ দিনের পুরোনো ছবিও এই ফিচারে ব্যবহৃত হতে পারে।’
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা চাইলে ক্যামেরা রোল ক্লাউড প্রসেসিং বন্ধ করতে পারেন সেটিংসে গিয়ে। একবার এই ফিচার বন্ধ করলে মেটার ক্লাউড থেকে অপ্রকাশিত ছবিগুলো ৩০ দিনের মধ্যে মুছে ফেলা শুরু হবে।
মেটা সম্প্রতি স্বীকার করেছে, তারা ২০০৭ সাল থেকে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত সব কনটেন্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তাদের জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। যদিও কোম্পানিটি জানায়, শুধু প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্টই এতে ব্যবহৃত হয়েছে, তবে ‘পাবলিক’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে এবং ২০০৭ সালে ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ নির্ধারণের মানদণ্ড কী ছিল, তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।
রেডিটে এক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, মেটা তাদের বিয়ের ছবিগুলো ‘স্টুডিও জিবলি’ স্টাইলে রিস্টাইল করেছে, অথচ তারা এমন কোনো ফিচার চালুই করেনি। অর্থাৎ, ব্যবহারকারী অজান্তেই মেটার এআই কাজ করে গেছে।
সার্বিকভাবে মেটার এই উদ্যোগ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য একটি নতুন হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। কারণ, এত দিন ব্যবহারকারীদের ছবি ‘পাবলিক’ না করলে এআই মডেলের জন্য ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। এবার মেটা ব্যবহারকারীর সম্মতি চেয়ে সেই বাধাও পার হতে চাইছে—একেবারে ব্যবহারকারীর ফোনের গ্যালারি অবধি পৌঁছে যেতে চাইছে।
পুরোনো ল্যাপটপ ও ফোনের বেশির ভাগ অংশের ঠাঁই হয় ভাগাড়ে। এর মধ্যে কিছু অংশ কেবল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হয়। এর ফলে প্রতিবছর বাড়ছে প্রযুক্তিগত বর্জ্র। তবে অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক জাস্টিন এম চকলার ও তাঁর সহকর্মীদের উদ্ভাবিত নতুন এক পদ্ধতি এই পরিস্থিতি বদলে
৩ ঘণ্টা আগেবিলিয়ন ইউরো জরিমানা এড়াতে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কড়া নজরদারির মুখে অবশেষে ইউরোপের ব্যবহারকারীদের জন্য বড় পরিবর্তন আনল অ্যাপল। ইইউভুক্ত ২৭টি দেশের বাসিন্দারা এখন থেকে অ্যাপলের নিজস্ব অ্যাপ স্টোর ছাড়াও অন্য মার্কেটপ্লেস বা সরাসরি ডেভেলপারের ওয়েবসাইট থেকে আইফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
৬ ঘণ্টা আগেমাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে বহুল পরিচিত ‘ব্লু স্ক্রিন অব ডেথ’ বা বিএসওডি (BSOD) বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার একটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, উইন্ডোজ ১১-তে পুরোনো নীল রঙের ওই ত্রুটিপূর্ণ স্ক্রিনের জায়গায় আসছে নতুন কালো রঙের ‘আনএক্সপেক্টেড রিস্টার্ট স্ক্রিন’।
৬ ঘণ্টা আগেচীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কোম্পানি ডিপসিক-এর অ্যাপ জার্মানির অ্যাপ স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলতে অ্যাপল ও গুগলকে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির ডেটা সুরক্ষা কমিশনার। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চীনে বেআইনিভাবে স্থানান্তরের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার মেইকে ক্যাম্প।
৯ ঘণ্টা আগে