অনলাইন ডেস্ক
প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৬৯ সালে সত্য পাল আসিজা নামের এক ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার। তাঁর সফটওয়্যারটির নাম ছিল ‘সুইফট অ্যানসার’। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারকে সম্পূর্ণ বাক্য বা বিবরণভিত্তিক তথ্য যুক্ত নির্দেশনা দেওয়া যেত। পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজন মতো পুনরুদ্ধারও করা যেত।
এই সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার থেকে এমনভাবে তথ্য খুঁজে পেতে সহায়তা করত, যেন তারা মানুষের মতো প্রশ্ন করে এবং উত্তর পায়। অর্থাৎ এটি ছিল একধরনের প্রাথমিক প্রাকৃতিক ভাষা (ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ—এটিকে আজকের এআই ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন বা ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টের আদি রূপ বলেও অভিহিত করেন কেউ কেউ।
সত্য পাল আসিজা বিশ্বাস করতেন, সফটওয়্যারও একটি উদ্ভাবন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের মতো এটিও পেটেন্ট সুরক্ষার আওতায় থাকা উচিত। তাই তিনি সুইফট অ্যানসারের পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন। তবে সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সফটওয়্যার পেটেন্টের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল, ফলে সফটওয়্যারকে কেবল কপিরাইটের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া হতো।
তবে আসিজা বিশ্বাস করতেন, কপিরাইট সফটওয়্যারের মৌলিক ধারণাকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই তিনি আইন বিষয়ে ডিগ্রি নেন এবং পেটেন্ট আইন পড়ে বার পরীক্ষা উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৭৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আবার সুইফট অ্যানসারের পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন। এরপর দীর্ঘ সাত বছর আইনি লড়াই চলে। আইনজীবী হিসেবে একাই লড়েন সত্য পাল।
অবশেষে ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে (২৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট নম্বর ৪,২৭০, ১৮২ অর্জন করেন সত্য পাল। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম সফটওয়্যার পেটেন্ট। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের প্রথম সফটওয়্যার পেটেন্ট প্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেন। সফটওয়্যার পেটেন্টের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয় এই অর্জন।
এই অভিজ্ঞতা থেকে ‘হাউ টু প্রটেক্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামস: অ্যা কেস হিস্ট্রি অব ফার্স্ট পিওর সফটওয়্যার’ নামে একটি বই লেখেন সত্য পাল। ১৯৮৬ প্রকাশিত হয় বইটি। বইটিতে নিজের আইনি লড়াইয়ের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
সত্য পাল আসিজা ১৯৪২ সালের ২৬ এপ্রিল ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। ১৯৭২ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান। তাঁর পেশাগত জীবন শুরু হয় একজন প্রকৌশলী হিসেবে। পরে, সফটওয়্যার আইন নিয়ে পড়াশোনার পর পেশা পরিবর্তন করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের শেলটনে পেটেন্ট আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন সত্য পাল।
প্রায় ৪০ বছর আগে ১৯৬৯ সালে সত্য পাল আসিজা নামের এক ব্যক্তি তৈরি করেছিলেন একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার। তাঁর সফটওয়্যারটির নাম ছিল ‘সুইফট অ্যানসার’। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারকে সম্পূর্ণ বাক্য বা বিবরণভিত্তিক তথ্য যুক্ত নির্দেশনা দেওয়া যেত। পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজন মতো পুনরুদ্ধারও করা যেত।
এই সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার থেকে এমনভাবে তথ্য খুঁজে পেতে সহায়তা করত, যেন তারা মানুষের মতো প্রশ্ন করে এবং উত্তর পায়। অর্থাৎ এটি ছিল একধরনের প্রাথমিক প্রাকৃতিক ভাষা (ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির প্রয়োগ—এটিকে আজকের এআই ভিত্তিক সার্চ ইঞ্জিন বা ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্টের আদি রূপ বলেও অভিহিত করেন কেউ কেউ।
সত্য পাল আসিজা বিশ্বাস করতেন, সফটওয়্যারও একটি উদ্ভাবন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের মতো এটিও পেটেন্ট সুরক্ষার আওতায় থাকা উচিত। তাই তিনি সুইফট অ্যানসারের পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন। তবে সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সফটওয়্যার পেটেন্টের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল, ফলে সফটওয়্যারকে কেবল কপিরাইটের মাধ্যমে সুরক্ষা দেওয়া হতো।
তবে আসিজা বিশ্বাস করতেন, কপিরাইট সফটওয়্যারের মৌলিক ধারণাকে যথাযথ সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই তিনি আইন বিষয়ে ডিগ্রি নেন এবং পেটেন্ট আইন পড়ে বার পরীক্ষা উত্তীর্ণ হন। এরপর ১৯৭৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আবার সুইফট অ্যানসারের পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন। এরপর দীর্ঘ সাত বছর আইনি লড়াই চলে। আইনজীবী হিসেবে একাই লড়েন সত্য পাল।
অবশেষে ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে (২৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পেটেন্ট নম্বর ৪,২৭০, ১৮২ অর্জন করেন সত্য পাল। এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম সফটওয়্যার পেটেন্ট। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের প্রথম সফটওয়্যার পেটেন্ট প্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেন। সফটওয়্যার পেটেন্টের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয় এই অর্জন।
এই অভিজ্ঞতা থেকে ‘হাউ টু প্রটেক্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামস: অ্যা কেস হিস্ট্রি অব ফার্স্ট পিওর সফটওয়্যার’ নামে একটি বই লেখেন সত্য পাল। ১৯৮৬ প্রকাশিত হয় বইটি। বইটিতে নিজের আইনি লড়াইয়ের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন তিনি।
সত্য পাল আসিজা ১৯৪২ সালের ২৬ এপ্রিল ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। ১৯৭২ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান। তাঁর পেশাগত জীবন শুরু হয় একজন প্রকৌশলী হিসেবে। পরে, সফটওয়্যার আইন নিয়ে পড়াশোনার পর পেশা পরিবর্তন করেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের শেলটনে পেটেন্ট আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন সত্য পাল।
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে