আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে বিটকয়েন মাইনিং রিগ তৈরি করছে শীর্ষ তিন চীনা কোম্পানি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির চাপ মোকাবিলায় বিটমেইন, ক্যানান ও মাইক্রোবিট এই কৌশল নিয়েছে। শুল্ক এড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া এই পদক্ষেপ এখন আর কেবল অর্থনৈতিক নয়—এটি যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রযুক্তির উপস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা ঘিরে নতুন উদ্বেগ ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি মাইনিং রিগ (ক্রিপ্টোকারেন্সির মাইনিংয়ের জন্য বিশেষ কম্পিউটার সিস্টেম) তৈরি করে এই তিন কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি গড়ে তোলার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো শুল্ক এড়াতে পারলেও এতে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ক্রিপ্টো প্রযুক্তি সংস্থা কনফ্লাক্স নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিপ্রধান গুয়াং ইয়াং বলেন, এই বাণিজ্যযুদ্ধ কেবল শুল্কের বিষয় নয়, এটি একটি কাঠামোগত পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ‘রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য’ হার্ডওয়্যার চায়।
চীনা কোম্পানিদের মধ্যে বিটমেইন গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মাইনিং শুরু করে। ক্যানান পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্র তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রে—ট্যারিফ এড়ানোর লক্ষ্যেই। কোম্পানির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী লিও ওয়াং বলেন, এই উদ্যোগ এখনো পরীক্ষামূলক। কারণ শুল্ক পরিস্থিতি খুব অনিশ্চিত।
আরেক কোম্পানি মাইক্রোবিট জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় উৎপাদন কৌশল জোরদার করছে ট্যারিফের প্রভাব এড়াতে।
২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভান জানায়, এই তিন নির্মাতার হাতে কম্পিউটিং শক্তির বিচারে ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাজার দখল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ডওয়্যার প্রতিযোগী অরাডাইন বলছে, বিশ্বের ৩০ শতাংশ বিটকয়েন মাইনিং যুক্তরাষ্ট্রে হলেও ৯০ শতাংশ রিগ এখনো চীন থেকে আসে।
অরাডাইনের প্রধান কৌশল কর্মকর্তা সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিডে লাখ লাখ চীনা যন্ত্র যুক্ত হওয়া নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।
ক্যানানের হেড অব ক্যাপিটাল মার্কেটস লিও ওয়াং বলছেন, মাইনিং রিগ কেবল বিটকয়েন উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, তাই এগুলো নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রযুক্তি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি নির্মাতারা এড়াতে পারছে না। ইতিমধ্যে বিটমেইনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোপগোকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
একসময় বিটকয়েন খাতের পুরো শৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ করত চীন—রিগ নির্মাণ থেকে শুরু করে মাইনিং ও লেনদেন পর্যন্ত। তবে ২০২১ সালে চীন মূল ভূখণ্ডে ক্রিপ্টো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলে সেই আধিপত্যে ফাটল ধরে। তবে রিগ নির্মাণে তাদের নেতৃত্ব বজায় রয়েছে।
এখন ক্যানান তাদের সদর দপ্তর চীন থেকে সরিয়ে সিঙ্গাপুরে নিলেও উৎপাদন ও বাজারে চীনের উপস্থিতি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেই তাদের ৪০ শতাংশ রাজস্ব আসে।
কোম্পানির করপোরেট উপসভাপতি ওয়াং বলেন, ‘আমাদের ও আমাদের গ্রাহকদের জন্য খরচ কমানোই মূল লক্ষ্য। তবে ট্যারিফের বাস্তবতায় আমরা সব বিকল্প ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।’
২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশের ওপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এমনকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনা কোম্পানিগুলো যেসব কারখানা স্থাপন করছে, সেসব দেশ থেকেও আমদানির ওপর শুল্ক বাড়তে পারে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে ‘ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা দিয়েছেন এবং তাঁর ছেলে এরিক ট্রাম্প ‘আমেরিকান বিটকয়েন’ নামে একটি উদ্যোগ শুরু করেছেন, যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুত গড়ে তোলা।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগই চীনের প্রযুক্তি আধিপত্যকে সামনে এনে দিচ্ছে। মার্কিন আইনজীবী জন ডিটন বলেন, যদি চীন রপ্তানি সীমিত করে বা সরবরাহে প্রভাব ফেলে, তবে বিটকয়েন নেটওয়ার্কের স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মাইনিং কোম্পানি—মার, কোর সায়েন্টিফিক, ক্লিনস্পার্ক ও রায়ট প্ল্যাটফর্মস–সবই মার্কিনভিত্তিক। তাই চীনা হার্ডওয়্যারের ওপর নির্ভরতা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ইস্যু হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্ম কোমোডোর প্রযুক্তিপ্রধান কাদান স্ট্যাডলম্যান বলেন, এটা শিল্পকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং অনেক আগে যেটা হওয়া দরকার ছিল, সেই পরিবর্তন আনার জন্য।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রে বিটকয়েন মাইনিং রিগ তৈরি করছে শীর্ষ তিন চীনা কোম্পানি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির চাপ মোকাবিলায় বিটমেইন, ক্যানান ও মাইক্রোবিট এই কৌশল নিয়েছে। শুল্ক এড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া এই পদক্ষেপ এখন আর কেবল অর্থনৈতিক নয়—এটি যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রযুক্তির উপস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা ঘিরে নতুন উদ্বেগ ও বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে।
বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি মাইনিং রিগ (ক্রিপ্টোকারেন্সির মাইনিংয়ের জন্য বিশেষ কম্পিউটার সিস্টেম) তৈরি করে এই তিন কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রে ঘাঁটি গড়ে তোলার মাধ্যমে কোম্পানিগুলো শুল্ক এড়াতে পারলেও এতে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ক্রিপ্টো প্রযুক্তি সংস্থা কনফ্লাক্স নেটওয়ার্কের প্রযুক্তিপ্রধান গুয়াং ইয়াং বলেন, এই বাণিজ্যযুদ্ধ কেবল শুল্কের বিষয় নয়, এটি একটি কাঠামোগত পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ‘রাজনৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য’ হার্ডওয়্যার চায়।
চীনা কোম্পানিদের মধ্যে বিটমেইন গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মাইনিং শুরু করে। ক্যানান পরীক্ষামূলকভাবে যন্ত্র তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রে—ট্যারিফ এড়ানোর লক্ষ্যেই। কোম্পানির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী লিও ওয়াং বলেন, এই উদ্যোগ এখনো পরীক্ষামূলক। কারণ শুল্ক পরিস্থিতি খুব অনিশ্চিত।
আরেক কোম্পানি মাইক্রোবিট জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় উৎপাদন কৌশল জোরদার করছে ট্যারিফের প্রভাব এড়াতে।
২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রস্ট অ্যান্ড সালিভান জানায়, এই তিন নির্মাতার হাতে কম্পিউটিং শক্তির বিচারে ৯৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাজার দখল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ডওয়্যার প্রতিযোগী অরাডাইন বলছে, বিশ্বের ৩০ শতাংশ বিটকয়েন মাইনিং যুক্তরাষ্ট্রে হলেও ৯০ শতাংশ রিগ এখনো চীন থেকে আসে।
অরাডাইনের প্রধান কৌশল কর্মকর্তা সঞ্জয় গুপ্ত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিডে লাখ লাখ চীনা যন্ত্র যুক্ত হওয়া নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।
ক্যানানের হেড অব ক্যাপিটাল মার্কেটস লিও ওয়াং বলছেন, মাইনিং রিগ কেবল বিটকয়েন উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, তাই এগুলো নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রযুক্তি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি নির্মাতারা এড়াতে পারছে না। ইতিমধ্যে বিটমেইনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোপগোকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
একসময় বিটকয়েন খাতের পুরো শৃঙ্খল নিয়ন্ত্রণ করত চীন—রিগ নির্মাণ থেকে শুরু করে মাইনিং ও লেনদেন পর্যন্ত। তবে ২০২১ সালে চীন মূল ভূখণ্ডে ক্রিপ্টো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করলে সেই আধিপত্যে ফাটল ধরে। তবে রিগ নির্মাণে তাদের নেতৃত্ব বজায় রয়েছে।
এখন ক্যানান তাদের সদর দপ্তর চীন থেকে সরিয়ে সিঙ্গাপুরে নিলেও উৎপাদন ও বাজারে চীনের উপস্থিতি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রেই তাদের ৪০ শতাংশ রাজস্ব আসে।
কোম্পানির করপোরেট উপসভাপতি ওয়াং বলেন, ‘আমাদের ও আমাদের গ্রাহকদের জন্য খরচ কমানোই মূল লক্ষ্য। তবে ট্যারিফের বাস্তবতায় আমরা সব বিকল্প ভাবতে বাধ্য হচ্ছি।’
২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে আমদানি করা যন্ত্রাংশের ওপর অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এমনকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনা কোম্পানিগুলো যেসব কারখানা স্থাপন করছে, সেসব দেশ থেকেও আমদানির ওপর শুল্ক বাড়তে পারে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেকে ‘ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা দিয়েছেন এবং তাঁর ছেলে এরিক ট্রাম্প ‘আমেরিকান বিটকয়েন’ নামে একটি উদ্যোগ শুরু করেছেন, যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুত গড়ে তোলা।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের এই উদ্যোগই চীনের প্রযুক্তি আধিপত্যকে সামনে এনে দিচ্ছে। মার্কিন আইনজীবী জন ডিটন বলেন, যদি চীন রপ্তানি সীমিত করে বা সরবরাহে প্রভাব ফেলে, তবে বিটকয়েন নেটওয়ার্কের স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মাইনিং কোম্পানি—মার, কোর সায়েন্টিফিক, ক্লিনস্পার্ক ও রায়ট প্ল্যাটফর্মস–সবই মার্কিনভিত্তিক। তাই চীনা হার্ডওয়্যারের ওপর নির্ভরতা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ইস্যু হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্ম কোমোডোর প্রযুক্তিপ্রধান কাদান স্ট্যাডলম্যান বলেন, এটা শিল্পকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং অনেক আগে যেটা হওয়া দরকার ছিল, সেই পরিবর্তন আনার জন্য।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি, মোবাইল স্ট্রিট ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রিকো ইমেজিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর চীনের বেইজিংয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অংশীদারত্বের ঘোষণা দেওয়া হবে।
২ দিন আগেদেশে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক জাতীয় প্রতিযোগিতা ‘ভিশনএক্সন: এআই-পাওয়ার্ড ন্যাশনাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৫’ আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ (সিএসইডিইউ)।
২ দিন আগেজনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি ফিচার চালু করেছে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইল লিংক সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে যুক্ত করতে পারবেন। ফলে মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে (যেমন—হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক) কোনো ব্যবহারকারীকে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে।
২ দিন আগেতথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
৫ দিন আগে