আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর মাধ্যমে বৈশ্বিক নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে চীন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কায়রোর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি অত্যাধুনিক মহাকাশ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে আফ্রিকার প্রথম স্থানীয় স্যাটেলাইট তৈরি করার কথা ছিল। তবে গবেষণাগারে প্রবেশ করলে চীনের প্রভাবটিই বেশি চোখে পড়ে। বেইজিং থেকে কাঠের বাক্সে করে স্যাটেলাইটের বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আফ্রিকায় এসে পৌঁছায়। ল্যাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ওপর চোখ রাখেন চীনা বিজ্ঞানীরা এবং মিসরীয় প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে বলে দাবি করে মিশর। তবে এটি মূলত চীনে তৈরি হয়েছিল এবং এটি বেইজিংয়ের মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে আফ্রিকায় একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় চীন এবং মহাকাশে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যদিও চীন অনেক মহাকাশ সহায়তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে। তবে বেইজিং আফ্রিকার দেশগুলোর কাছ থেকে যে ডেটা ও চিত্র সংগ্রহ করছে, তা তারা প্রকাশ্যে আলোচনা করে না।
চীন মিসরকে বিভিন্ন মহাকাশ প্রযুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী দুটি টেলিস্কোপ, একটি নতুন মহাকাশ পর্যবেক্ষণকেন্দ্র এবং দুটি নজরদারি স্যাটেলাইট রয়েছে। ২০২৩ সালে চীন থেকে আরও একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে মিশর, যা সামরিক মানের নজরদারি ক্ষমতাসম্পন্ন।
স্যাটেলাইট সুবিধাটি ‘স্পেস সিটি’ নামক একটি বৃহৎ প্রকল্পের অংশ। এটি কায়রোর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্বে মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানীর কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্প মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মিশর ছাড়াও মহাকাশ প্রকল্প চালাচ্ছে চীন। আফ্রিকায় ২৩টি দ্বিপক্ষীয় মহাকাশ অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে চীন, যার মধ্যে স্যাটেলাইট ও মহাকাশ স্টেশন নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। গত এক বছরে মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেনেগাল চীনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ চন্দ্রযান প্রকল্পে অংশীদারত্বে সম্মত হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ পরিকল্পনার প্রতিদ্বন্দ্বী।
সেপ্টেম্বর মাসে বেইজিংয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শি চিনপিং ঘোষণা করেছেন যে, আফ্রিকার জন্য চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও বিনিয়োগে স্যাটেলাইট, চন্দ্র অভিযান এবং গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শি প্রশাসন প্রকাশ্যে বলছে, তারা আফ্রিকার মহাকাশ কর্মসূচি শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে। কারণ কোনো দেশ পিছিয়ে পড়ুক তা চায় না চীন।
তবে চীন তার বিনিয়োগের মাধ্যমে গোপনে আরও অনেক কিছু লাভ করছে। এর মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট ও টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে সংগৃহীত নজরদারির তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এবং চীনা মহাকাশ প্রকল্পের প্রতি বিশেষজ্ঞ নিকোলাস এফটিমিয়াদেস জানান, চীন এর মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক তৈরি করছে, যা তার স্বৈরশাসক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা যেখানে কমছে, সেখানে আফ্রিকার সঙ্গে তার মহাকাশ সম্পর্ক দৃঢ় করছে চীন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়া চীনের মহাকাশ স্টেশন-সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে। কারণ তারা রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে।
চীন আফ্রিকায় প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে যাচ্ছে। বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক ট্রাম্পের সরকারের অধীনে ফেডারেল সরকার সংকুচিত করার চেষ্টা করছেন, তার প্রথম লক্ষ্য ছিল ইউএসএআইডি। পেন্টাগন জানায়, আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ প্রকল্পগুলো নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। কারণ চীন সেখানে সংবেদনশীল ডেটা সংগ্রহ করতে পারে এবং নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তবে, চীন আফ্রিকায় যেসব মহাকাশ পর্যবেক্ষণ টুল স্থাপন করছে, তা শুধু সামরিক কাজে নয়, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং মহাকাশযাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, যা মার্কিন সামরিক স্যাটেলাইটের গতিপথ নিরীক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এদিকে ইথিওপিয়া ও নামিবিয়ায় অবস্থিত চীনের মহাকাশ স্থল স্টেশনগুলো সামরিক কার্যক্রম সমন্বয় এবং অন্যান্য দেশের মহাকাশ সম্পদের পর্যবেক্ষণেও ব্যবহৃত হতে পারে।
আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ বিনিয়োগের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনের এই কর্মকাণ্ড ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মহাকাশ সম্পর্কিত মার্কিন নীতিতে এখনো স্পষ্টভাবে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য কোনো সহযোগিতা প্রস্তাব করা হয়নি।
আফ্রিকায় মহাকাশ প্রযুক্তি প্রসারের বিষয়টি বুঝতে চীনের প্রকল্প নিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স। এর মধ্যে রয়েছেন কূটনীতিক, মহাকাশ প্রকৌশলী, পরামর্শক এবং সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ ছাড়া বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনাকারী চীনা সরকার ও সামরিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত শতাধিক পেটেন্ট এবং গবেষণাপত্রও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর মাধ্যমে বৈশ্বিক নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে চীন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কায়রোর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি অত্যাধুনিক মহাকাশ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে আফ্রিকার প্রথম স্থানীয় স্যাটেলাইট তৈরি করার কথা ছিল। তবে গবেষণাগারে প্রবেশ করলে চীনের প্রভাবটিই বেশি চোখে পড়ে। বেইজিং থেকে কাঠের বাক্সে করে স্যাটেলাইটের বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আফ্রিকায় এসে পৌঁছায়। ল্যাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ওপর চোখ রাখেন চীনা বিজ্ঞানীরা এবং মিসরীয় প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে বলে দাবি করে মিশর। তবে এটি মূলত চীনে তৈরি হয়েছিল এবং এটি বেইজিংয়ের মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে আফ্রিকায় একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় চীন এবং মহাকাশে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যদিও চীন অনেক মহাকাশ সহায়তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে। তবে বেইজিং আফ্রিকার দেশগুলোর কাছ থেকে যে ডেটা ও চিত্র সংগ্রহ করছে, তা তারা প্রকাশ্যে আলোচনা করে না।
চীন মিসরকে বিভিন্ন মহাকাশ প্রযুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী দুটি টেলিস্কোপ, একটি নতুন মহাকাশ পর্যবেক্ষণকেন্দ্র এবং দুটি নজরদারি স্যাটেলাইট রয়েছে। ২০২৩ সালে চীন থেকে আরও একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে মিশর, যা সামরিক মানের নজরদারি ক্ষমতাসম্পন্ন।
স্যাটেলাইট সুবিধাটি ‘স্পেস সিটি’ নামক একটি বৃহৎ প্রকল্পের অংশ। এটি কায়রোর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্বে মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানীর কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্প মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মিশর ছাড়াও মহাকাশ প্রকল্প চালাচ্ছে চীন। আফ্রিকায় ২৩টি দ্বিপক্ষীয় মহাকাশ অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে চীন, যার মধ্যে স্যাটেলাইট ও মহাকাশ স্টেশন নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। গত এক বছরে মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেনেগাল চীনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ চন্দ্রযান প্রকল্পে অংশীদারত্বে সম্মত হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ পরিকল্পনার প্রতিদ্বন্দ্বী।
সেপ্টেম্বর মাসে বেইজিংয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শি চিনপিং ঘোষণা করেছেন যে, আফ্রিকার জন্য চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও বিনিয়োগে স্যাটেলাইট, চন্দ্র অভিযান এবং গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শি প্রশাসন প্রকাশ্যে বলছে, তারা আফ্রিকার মহাকাশ কর্মসূচি শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে। কারণ কোনো দেশ পিছিয়ে পড়ুক তা চায় না চীন।
তবে চীন তার বিনিয়োগের মাধ্যমে গোপনে আরও অনেক কিছু লাভ করছে। এর মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট ও টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে সংগৃহীত নজরদারির তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এবং চীনা মহাকাশ প্রকল্পের প্রতি বিশেষজ্ঞ নিকোলাস এফটিমিয়াদেস জানান, চীন এর মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক তৈরি করছে, যা তার স্বৈরশাসক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা যেখানে কমছে, সেখানে আফ্রিকার সঙ্গে তার মহাকাশ সম্পর্ক দৃঢ় করছে চীন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়া চীনের মহাকাশ স্টেশন-সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে। কারণ তারা রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে।
চীন আফ্রিকায় প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে যাচ্ছে। বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক ট্রাম্পের সরকারের অধীনে ফেডারেল সরকার সংকুচিত করার চেষ্টা করছেন, তার প্রথম লক্ষ্য ছিল ইউএসএআইডি। পেন্টাগন জানায়, আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ প্রকল্পগুলো নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। কারণ চীন সেখানে সংবেদনশীল ডেটা সংগ্রহ করতে পারে এবং নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তবে, চীন আফ্রিকায় যেসব মহাকাশ পর্যবেক্ষণ টুল স্থাপন করছে, তা শুধু সামরিক কাজে নয়, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং মহাকাশযাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, যা মার্কিন সামরিক স্যাটেলাইটের গতিপথ নিরীক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এদিকে ইথিওপিয়া ও নামিবিয়ায় অবস্থিত চীনের মহাকাশ স্থল স্টেশনগুলো সামরিক কার্যক্রম সমন্বয় এবং অন্যান্য দেশের মহাকাশ সম্পদের পর্যবেক্ষণেও ব্যবহৃত হতে পারে।
আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ বিনিয়োগের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনের এই কর্মকাণ্ড ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মহাকাশ সম্পর্কিত মার্কিন নীতিতে এখনো স্পষ্টভাবে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য কোনো সহযোগিতা প্রস্তাব করা হয়নি।
আফ্রিকায় মহাকাশ প্রযুক্তি প্রসারের বিষয়টি বুঝতে চীনের প্রকল্প নিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স। এর মধ্যে রয়েছেন কূটনীতিক, মহাকাশ প্রকৌশলী, পরামর্শক এবং সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ ছাড়া বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনাকারী চীনা সরকার ও সামরিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত শতাধিক পেটেন্ট এবং গবেষণাপত্রও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর মাধ্যমে বৈশ্বিক নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে চীন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কায়রোর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি অত্যাধুনিক মহাকাশ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে আফ্রিকার প্রথম স্থানীয় স্যাটেলাইট তৈরি করার কথা ছিল। তবে গবেষণাগারে প্রবেশ করলে চীনের প্রভাবটিই বেশি চোখে পড়ে। বেইজিং থেকে কাঠের বাক্সে করে স্যাটেলাইটের বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আফ্রিকায় এসে পৌঁছায়। ল্যাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ওপর চোখ রাখেন চীনা বিজ্ঞানীরা এবং মিসরীয় প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে বলে দাবি করে মিশর। তবে এটি মূলত চীনে তৈরি হয়েছিল এবং এটি বেইজিংয়ের মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে আফ্রিকায় একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় চীন এবং মহাকাশে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যদিও চীন অনেক মহাকাশ সহায়তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে। তবে বেইজিং আফ্রিকার দেশগুলোর কাছ থেকে যে ডেটা ও চিত্র সংগ্রহ করছে, তা তারা প্রকাশ্যে আলোচনা করে না।
চীন মিসরকে বিভিন্ন মহাকাশ প্রযুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী দুটি টেলিস্কোপ, একটি নতুন মহাকাশ পর্যবেক্ষণকেন্দ্র এবং দুটি নজরদারি স্যাটেলাইট রয়েছে। ২০২৩ সালে চীন থেকে আরও একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে মিশর, যা সামরিক মানের নজরদারি ক্ষমতাসম্পন্ন।
স্যাটেলাইট সুবিধাটি ‘স্পেস সিটি’ নামক একটি বৃহৎ প্রকল্পের অংশ। এটি কায়রোর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্বে মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানীর কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্প মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মিশর ছাড়াও মহাকাশ প্রকল্প চালাচ্ছে চীন। আফ্রিকায় ২৩টি দ্বিপক্ষীয় মহাকাশ অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে চীন, যার মধ্যে স্যাটেলাইট ও মহাকাশ স্টেশন নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। গত এক বছরে মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেনেগাল চীনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ চন্দ্রযান প্রকল্পে অংশীদারত্বে সম্মত হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ পরিকল্পনার প্রতিদ্বন্দ্বী।
সেপ্টেম্বর মাসে বেইজিংয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শি চিনপিং ঘোষণা করেছেন যে, আফ্রিকার জন্য চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও বিনিয়োগে স্যাটেলাইট, চন্দ্র অভিযান এবং গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শি প্রশাসন প্রকাশ্যে বলছে, তারা আফ্রিকার মহাকাশ কর্মসূচি শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে। কারণ কোনো দেশ পিছিয়ে পড়ুক তা চায় না চীন।
তবে চীন তার বিনিয়োগের মাধ্যমে গোপনে আরও অনেক কিছু লাভ করছে। এর মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট ও টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে সংগৃহীত নজরদারির তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এবং চীনা মহাকাশ প্রকল্পের প্রতি বিশেষজ্ঞ নিকোলাস এফটিমিয়াদেস জানান, চীন এর মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক তৈরি করছে, যা তার স্বৈরশাসক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা যেখানে কমছে, সেখানে আফ্রিকার সঙ্গে তার মহাকাশ সম্পর্ক দৃঢ় করছে চীন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়া চীনের মহাকাশ স্টেশন-সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে। কারণ তারা রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে।
চীন আফ্রিকায় প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে যাচ্ছে। বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক ট্রাম্পের সরকারের অধীনে ফেডারেল সরকার সংকুচিত করার চেষ্টা করছেন, তার প্রথম লক্ষ্য ছিল ইউএসএআইডি। পেন্টাগন জানায়, আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ প্রকল্পগুলো নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। কারণ চীন সেখানে সংবেদনশীল ডেটা সংগ্রহ করতে পারে এবং নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তবে, চীন আফ্রিকায় যেসব মহাকাশ পর্যবেক্ষণ টুল স্থাপন করছে, তা শুধু সামরিক কাজে নয়, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং মহাকাশযাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, যা মার্কিন সামরিক স্যাটেলাইটের গতিপথ নিরীক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এদিকে ইথিওপিয়া ও নামিবিয়ায় অবস্থিত চীনের মহাকাশ স্থল স্টেশনগুলো সামরিক কার্যক্রম সমন্বয় এবং অন্যান্য দেশের মহাকাশ সম্পদের পর্যবেক্ষণেও ব্যবহৃত হতে পারে।
আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ বিনিয়োগের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনের এই কর্মকাণ্ড ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মহাকাশ সম্পর্কিত মার্কিন নীতিতে এখনো স্পষ্টভাবে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য কোনো সহযোগিতা প্রস্তাব করা হয়নি।
আফ্রিকায় মহাকাশ প্রযুক্তি প্রসারের বিষয়টি বুঝতে চীনের প্রকল্প নিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স। এর মধ্যে রয়েছেন কূটনীতিক, মহাকাশ প্রকৌশলী, পরামর্শক এবং সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ ছাড়া বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনাকারী চীনা সরকার ও সামরিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত শতাধিক পেটেন্ট এবং গবেষণাপত্রও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর মাধ্যমে বৈশ্বিক নজরদারি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে চীন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কায়রোর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে একটি অত্যাধুনিক মহাকাশ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে আফ্রিকার প্রথম স্থানীয় স্যাটেলাইট তৈরি করার কথা ছিল। তবে গবেষণাগারে প্রবেশ করলে চীনের প্রভাবটিই বেশি চোখে পড়ে। বেইজিং থেকে কাঠের বাক্সে করে স্যাটেলাইটের বিভিন্ন উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আফ্রিকায় এসে পৌঁছায়। ল্যাবে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ওপর চোখ রাখেন চীনা বিজ্ঞানীরা এবং মিসরীয় প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করছে বলে দাবি করে মিশর। তবে এটি মূলত চীনে তৈরি হয়েছিল এবং এটি বেইজিংয়ের মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
মহাকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে আফ্রিকায় একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায় চীন এবং মহাকাশে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যদিও চীন অনেক মহাকাশ সহায়তা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে। তবে বেইজিং আফ্রিকার দেশগুলোর কাছ থেকে যে ডেটা ও চিত্র সংগ্রহ করছে, তা তারা প্রকাশ্যে আলোচনা করে না।
চীন মিসরকে বিভিন্ন মহাকাশ প্রযুক্তি দিয়েছে, যার মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী দুটি টেলিস্কোপ, একটি নতুন মহাকাশ পর্যবেক্ষণকেন্দ্র এবং দুটি নজরদারি স্যাটেলাইট রয়েছে। ২০২৩ সালে চীন থেকে আরও একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে মিশর, যা সামরিক মানের নজরদারি ক্ষমতাসম্পন্ন।
স্যাটেলাইট সুবিধাটি ‘স্পেস সিটি’ নামক একটি বৃহৎ প্রকল্পের অংশ। এটি কায়রোর প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্বে মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানীর কাছাকাছি তৈরি হচ্ছে। এই প্রকল্প মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সরকারের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
মিশর ছাড়াও মহাকাশ প্রকল্প চালাচ্ছে চীন। আফ্রিকায় ২৩টি দ্বিপক্ষীয় মহাকাশ অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে চীন, যার মধ্যে স্যাটেলাইট ও মহাকাশ স্টেশন নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প রয়েছে। গত এক বছরে মিশর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সেনেগাল চীনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ চন্দ্রযান প্রকল্পে অংশীদারত্বে সম্মত হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ পরিকল্পনার প্রতিদ্বন্দ্বী।
সেপ্টেম্বর মাসে বেইজিংয়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে শি চিনপিং ঘোষণা করেছেন যে, আফ্রিকার জন্য চীনের ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ও বিনিয়োগে স্যাটেলাইট, চন্দ্র অভিযান এবং গভীর মহাকাশ অনুসন্ধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শি প্রশাসন প্রকাশ্যে বলছে, তারা আফ্রিকার মহাকাশ কর্মসূচি শক্তিশালী করতে সহায়তা করছে। কারণ কোনো দেশ পিছিয়ে পড়ুক তা চায় না চীন।
তবে চীন তার বিনিয়োগের মাধ্যমে গোপনে আরও অনেক কিছু লাভ করছে। এর মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট ও টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে সংগৃহীত নজরদারির তথ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর এবং চীনা মহাকাশ প্রকল্পের প্রতি বিশেষজ্ঞ নিকোলাস এফটিমিয়াদেস জানান, চীন এর মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক তৈরি করছে, যা তার স্বৈরশাসক ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা যেখানে কমছে, সেখানে আফ্রিকার সঙ্গে তার মহাকাশ সম্পর্ক দৃঢ় করছে চীন। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সুইডেন ও অস্ট্রেলিয়া চীনের মহাকাশ স্টেশন-সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেছে। কারণ তারা রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে।
চীন আফ্রিকায় প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র পিছিয়ে যাচ্ছে। বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্ক ট্রাম্পের সরকারের অধীনে ফেডারেল সরকার সংকুচিত করার চেষ্টা করছেন, তার প্রথম লক্ষ্য ছিল ইউএসএআইডি। পেন্টাগন জানায়, আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ প্রকল্পগুলো নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। কারণ চীন সেখানে সংবেদনশীল ডেটা সংগ্রহ করতে পারে এবং নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তবে, চীন আফ্রিকায় যেসব মহাকাশ পর্যবেক্ষণ টুল স্থাপন করছে, তা শুধু সামরিক কাজে নয়, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং মহাকাশযাত্রায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, যা মার্কিন সামরিক স্যাটেলাইটের গতিপথ নিরীক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।
এদিকে ইথিওপিয়া ও নামিবিয়ায় অবস্থিত চীনের মহাকাশ স্থল স্টেশনগুলো সামরিক কার্যক্রম সমন্বয় এবং অন্যান্য দেশের মহাকাশ সম্পদের পর্যবেক্ষণেও ব্যবহৃত হতে পারে।
আফ্রিকায় চীনের মহাকাশ বিনিয়োগের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীনের এই কর্মকাণ্ড ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। মহাকাশ সম্পর্কিত মার্কিন নীতিতে এখনো স্পষ্টভাবে আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য কোনো সহযোগিতা প্রস্তাব করা হয়নি।
আফ্রিকায় মহাকাশ প্রযুক্তি প্রসারের বিষয়টি বুঝতে চীনের প্রকল্প নিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স। এর মধ্যে রয়েছেন কূটনীতিক, মহাকাশ প্রকৌশলী, পরামর্শক এবং সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ ছাড়া বেইজিংয়ের মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনাকারী চীনা সরকার ও সামরিক সংস্থাগুলোর প্রকাশিত শতাধিক পেটেন্ট এবং গবেষণাপত্রও পর্যালোচনা করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
১৯ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৩ দিন আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ দিন আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর পরিপন্থী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার একাধিক প্রজ্ঞাপন ও প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের সতর্কতার পর ইতিমধ্যে ক্রিকইনফো, জনকণ্ঠ, ঢাকা পোস্টসহ আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকা তাদের এডসেন্স পরিবর্তন করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। যা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এর পরিপন্থী এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সরকার একাধিক প্রজ্ঞাপন ও প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারের সতর্কতার পর ইতিমধ্যে ক্রিকইনফো, জনকণ্ঠ, ঢাকা পোস্টসহ আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকা তাদের এডসেন্স পরিবর্তন করেছে, এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এ বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ), জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) এবং বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) যৌথভাবে কাজ করছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৩ দিন আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ দিন আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো জানানো যাচ্ছে যে—তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্স-এ না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাতে জুয়া পর্ন গ্যাম্বলিং এবং এতদসংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।’
ফয়েজ আহমেদ আরও লেখেন, ‘মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।’
তিনি আরও জানান, ‘জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে, এবং এব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।’
বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ফয়েজ আহমদ।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানানো হয়েছে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যেকোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো জানানো যাচ্ছে যে—তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্স-এ না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাতে জুয়া পর্ন গ্যাম্বলিং এবং এতদসংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।’
ফয়েজ আহমেদ আরও লেখেন, ‘মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাডসহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।’
তিনি আরও জানান, ‘জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে, এবং এব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।’
বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান ফয়েজ আহমদ।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
১৯ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ দিন আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে দেখা দেওয়া টেকনিক্যাল বা কারিগরি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এর আগে, সারা বিশ্বের শত শত হাজার ব্যবহারকারী ইউটিউবের স্ট্রিমিং সেবায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এশিয়ার সময় এক্সে ইউটিউব লিখেছে, ‘সমস্যাটি এখন ঠিক করা হয়েছে—এখন আপনারা ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে স্বাভাবিকভাবে ভিডিও চালাতে পারবেন!’ তবে ইউটিউব জানায়নি, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ কী ছিল বা এটি কতটা বড় পরিসরে ঘটেছিল।
ওয়েবসাইট ও অ্যাপের রিয়েল টাইম ত্রুটির তথ্য সংগ্রহকারী সাইট ডাউনডিটেকটর জানায়, পূর্ব এশিয়ার সময় সকাল ৭টার কিছু আগে (জিএমটি সময় বুধবার রাত ১১টার দিকে) ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে সমস্যা দেখা দেয়।
এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা দ্রুতই ভিডিও স্ট্রিমিং, ওয়েবসাইটে প্রবেশ ও অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা হওয়ার অভিযোগ জানান। ডাউনডিটেকটরের ব্যবহারকারীদের তৈরি ত্রুটির মানচিত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা রিপোর্ট করা হয়।
জাপান, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্নের খবর পাওয়া যায়। তবে সমস্যার প্রকৃত পরিধি নির্ধারণ করা যায়নি, কারণ ডাউনডিটেকটরের তথ্য মূলত ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
ডাউনডিটেকটরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮ টিতে পৌঁছায়, এরপর তা দ্রুত কমে যায়। একই সময়ের মধ্যে ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এসব প্ল্যাটফর্মে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা ৫ হাজারের নিচেই ছিল বলে জানিয়েছে ডাউনডিটেকটর।
জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইট ও অ্যাপে দেখা দেওয়া টেকনিক্যাল বা কারিগরি সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এর আগে, সারা বিশ্বের শত শত হাজার ব্যবহারকারী ইউটিউবের স্ট্রিমিং সেবায় সমস্যা হচ্ছে বলে জানান।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে এশিয়ার সময় এক্সে ইউটিউব লিখেছে, ‘সমস্যাটি এখন ঠিক করা হয়েছে—এখন আপনারা ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে স্বাভাবিকভাবে ভিডিও চালাতে পারবেন!’ তবে ইউটিউব জানায়নি, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ কী ছিল বা এটি কতটা বড় পরিসরে ঘটেছিল।
ওয়েবসাইট ও অ্যাপের রিয়েল টাইম ত্রুটির তথ্য সংগ্রহকারী সাইট ডাউনডিটেকটর জানায়, পূর্ব এশিয়ার সময় সকাল ৭টার কিছু আগে (জিএমটি সময় বুধবার রাত ১১টার দিকে) ইউটিউব, ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতে সমস্যা দেখা দেয়।
এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা দ্রুতই ভিডিও স্ট্রিমিং, ওয়েবসাইটে প্রবেশ ও অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা হওয়ার অভিযোগ জানান। ডাউনডিটেকটরের ব্যবহারকারীদের তৈরি ত্রুটির মানচিত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা রিপোর্ট করা হয়।
জাপান, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যেও বড় ধরনের বিঘ্নের খবর পাওয়া যায়। তবে সমস্যার প্রকৃত পরিধি নির্ধারণ করা যায়নি, কারণ ডাউনডিটেকটরের তথ্য মূলত ব্যবহারকারীদের রিপোর্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
ডাউনডিটেকটরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫৭ মিনিটে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮ টিতে পৌঁছায়, এরপর তা দ্রুত কমে যায়। একই সময়ের মধ্যে ইউটিউব মিউজিক ও ইউটিউব টিভিতেও কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এসব প্ল্যাটফর্মে ত্রুটি রিপোর্টের সংখ্যা ৫ হাজারের নিচেই ছিল বলে জানিয়েছে ডাউনডিটেকটর।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
১৯ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৩ দিন আগেএআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে এবার প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট রাখার পরিকল্পনা করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংস্থা ওপেনএআই। সংস্থার প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই আচরণ করতে চান, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে অল্টম্যান জানান, চ্যাটবটের আসন্ন সংস্করণগুলোতে এটিকে আরও মানবীয় আচরণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তা কেবল ব্যবহারকারীরা চাইলে, শুধু ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য নয়। ডিসেম্বরে ‘এজ-গেটিং’ (বয়স যাচাই) ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পর, যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিকার (যৌনতা সম্পর্কিত কনটেন্ট) মতো বিষয়বস্তুও উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ইলন মাস্কের এআই সংস্থা এক্সএআই সম্প্রতি গ্রক চ্যাটবটে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট চালু করেছে। এরপরই ওপেনএআই এমন পদক্ষেপ নিল। এই পদক্ষেপ সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।
তবে এই ঘোষণার পেছনে রয়েছে এক গভীর বিতর্ক। চলতি বছরের শুরুতে, ১৬ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরের আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা-মা ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। ম্যাট এবং মারিয়া রেইন নামে ওই দম্পতি অভিযোগ করেন, চ্যাটজিপিটির প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যথেষ্ট কার্যকর নয়। মামলায় কিশোর অ্যাডামের সঙ্গে চ্যাটবটের কথোপকথনের লগ জমা দেওয়া হয়। সেখানে দেখার যায়, আত্মহত্যার ভাবনা নিয়ে সে চ্যাটবটের কথা বলেছিল।
স্যাম অল্টম্যান স্বীকার করেন, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে তাঁরা আগে চ্যাটজিপিটিকে ‘বেশ সীমাবদ্ধ’ রেখেছিলেন। তবে তিনি এখন দাবি করছেন, সংস্থাটি গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রশমিত করতে পেরেছে এবং নতুন টুলের মাধ্যমে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিরাপদে বিধিনিষেধ শিথিল করা সম্ভব।’
ওপেনএআই-এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে। সমালোচকদের মতে, প্ল্যাটফর্মে ইরোটিকা অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্তরে কঠোর আইনের প্রয়োজনীয়তা প্রমাণ করে। আইন সংস্থা বোয়েস শিলার ফ্লেক্সনারের অংশীদার জেনি কিম প্রশ্ন তুলেছেন, ‘তারা কীভাবে নিশ্চিত করবে যে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্ধারিত অংশ বা ইরোটিকায় প্রবেশ করতে পারবে না?’ কিম মন্তব্য করেন, ওপেনএআই-ও অন্যান্য বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো মানুষকে গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এদিকে, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম সম্প্রতি একটি বিলে ভেটো দিয়েছেন, যে আইনে শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক আচরণে উৎসাহিত করতে পারে এমন এআই চ্যাটবট নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার থাকত। তবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, শিশু-কিশোরদের এআই সিস্টেমের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগ করতে শেখা অপরিহার্য।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) চ্যাটবটগুলো কীভাবে শিশুদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করছে, সেটি তদন্ত শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ওপেনএআই-এর এই পদক্ষেপ বাজারে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য একটি প্রচেষ্টামাত্র। ওপেনএআই-এর আয় বাড়ছে, তবে সংস্থাটি এখনো লাভজনক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত বাজার দখলের লড়াইয়ে কোম্পানিটি এই ধরনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে নিচ্ছে।
আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে প্রায় দুই ডজন চুক্তি করে মহাকাশ খাতে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চীন, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আফ্রিকায় নিজের কৌশলগত প্রভাব বাড়ানোর পাশাপাশি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং পর্যবেক্ষণ অবকাঠামোর
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামীকাল ১৯ অক্টোবর থেকে যদি কোনো সংবাদপত্র (অনলাইন ভার্সনসহ), নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ওয়েবসাইটে জুয়া, বেটিং বা পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কনটেন্ট প্রচারিত হয় তবে বিনা নোটিশে সেই সাইট ব্লক করে দেওয়া হবে।
১৯ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে। গতকাল বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
৩ দিন আগেজনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের স্ট্রিমিং প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শত শত ব্যবহারকারী এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ দিন আগে