Ajker Patrika

ই-কমার্স ব্যবসায় মেয়ে, যে কারণে বিনিয়োগ করলেন না বিল গেটস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২: ২১
তবে মেয়ের উদ্যোগে অন্যভাবে সাহায্য করেছেন গেটস। ছবি: ভিএন এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনল
তবে মেয়ের উদ্যোগে অন্যভাবে সাহায্য করেছেন গেটস। ছবি: ভিএন এক্সপ্রেস ইন্টারন্যাশনল

উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন বিলিয়নিয়ার বিল গেটসের মেয়ে ফোবি গেটস। সাবেক রুমমেট সোফিয়া কিয়ানির সঙ্গে যৌথভাবে তিনি চালু করেছেন নতুন এআইভিত্তিক শপিং অ্যাপ ‘ফিয়া’। এই অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটাকে আরও সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী করে তোলা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে অ্যাপটি তৈরিতে সরাসরি অর্থায়ন করেননি বিল গেটস।

নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম, ও তো এখন এসে টাকা চাইবে!’ এর পরই জানান, ইচ্ছা করেই মেয়ের এই উদ্যোগে অর্থ বিনিয়োগ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন তিনি।

এর কারণ জানিয়ে বিল গেটস বলেন, ‘যদি আমি বিনিয়োগ করতাম, তাহলে হয়তো ব্যবসার খুঁটিনাটি সবকিছুতে নজর রাখতাম, যা একদিক থেকে থিয়ার জন্য কঠিন হতো এবং অন্যদিকে হয়তো আমি অতিরিক্ত নরম হতাম, অথচ ভাবতাম—এটা কি ঠিক সিদ্ধান্ত?’

তবে মেয়ের উদ্যোগে অন্যভাবে সাহায্য করেছেন গেটস। তিনি কর্মী নিয়োগ ও দলে সঠিক মানুষ নির্বাচন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। গেটস আরও বলেন, ‘শপিং আমার বিষয় না, তাই এ বিষয়ে আমি মূলত টার্গেট অডিয়েন্স নই।’

সন্তানদের আত্মনির্ভরশীল হতে সব সময় উৎসাহ দিয়েছেন বিল গেটস। তাঁর বিপুল সম্পদের মাত্র ১ শতাংশেরও কম ভাগ দিয়েছেন সন্তানদের। তবে এই ১ শতাংশও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। গেটসের মূল লক্ষ্য ছিল তাদের নিজেদের পথ গড়ে তোলার সুযোগ দেওয়া।

তবে সন্তানদের জন্য বিলাসবহুল উপহারও দিয়েছেন বিল গেটস। যেমন—২০১৮ সালে বড় মেয়ে জেনিফার গেটসকে গ্র্যাজুয়েশনের উপহার হিসেবে নিউইয়র্কের নর্থ সালেমে ১৫ দশমিক ৮২ মিলিয়ন ডলারের একটি ঘোড়ার খামার উপহার দেন তিনি।

বর্তমানে আইওএস এবং গুগলের ক্রোম ব্রাউজার এক্সটেনশনে ব্যবহারের জন্য ‘ফিয়া’ অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে। ছবি: দ্য ভার্জ
বর্তমানে আইওএস এবং গুগলের ক্রোম ব্রাউজার এক্সটেনশনে ব্যবহারের জন্য ‘ফিয়া’ অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে। ছবি: দ্য ভার্জ

বর্তমানে আইওএস ও গুগলক্রোম ব্রাউজার এক্সটেনশনে ব্যবহারের জন্য ‘ফিয়া’ অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে। অ্যাপ বা এক্সটেনশনটি ইনস্টল করার পর ব্যবহারকারীরা যখন কোনো পণ্যের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন, তখন সেখানে ‘শুড আই বাই দিস?’ নামে একটি বাটন দেখা যাবে। ওই বাটনে ক্লিক করলে ফিয়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখাবে সেই পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি, কম, নাকি গড়ের মধ্যে পড়ে।

পরীক্ষামূলকভাবে একটি লুই ভুইতোঁর ১ হাজার ৯৫০ ডলারের ব্যাগের পেজে গিয়ে দেখা যায়, ফিয়া জানাচ্ছে সেটি ‘এই মূল্যের যোগ্য’। সেই সঙ্গে ফ্যাশনফাইল ও ইবের মতো সাইট থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪৫৩ ডলারে ব্যবহৃত ব্যাগের লিংকও দেখায় অ্যাপটি। শুধু তাই নয়, ব্যবহারকারীদের ফিয়ার নিজস্ব ওয়েবসাইটেও পাঠিয়ে দেয়, যেখানে একই ধরনের কমদামি ব্যাগগুলোর একটি তুলনামূলক তালিকা পাওয়া যায়।

ফিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের অ্যাপটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বর্তমান বাজার প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এবং দেড় কোটিরও বেশি পুরোনো পণ্যের ডেটাবেইসের সঙ্গে তুলনা করে ফলাফল দেখায়। এই ডেটাবেইসে আছে দ্য রিয়েলরিয়েল, ভেস্টিয়্যার কালেকটিভ, থ্রেডআপ, স্টকএক্স, ইবে এবং পশমার্কের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের তথ্য।

মূল্য তুলনা ও ছাড় পাওয়ার সুবিধা দিতে ক্যাপিটাল ওয়ান শপিং, রাকুটেন ও হানির মতো অ্যাপ আগে থেকেই জনপ্রিয়। তবে ফিয়া মূলত ফ্যাশনের ওপর জোর দিয়ে এবং পরিবেশবান্ধব থ্রিফটিংকে (ব্যবহৃত বা পুরোনো পণ্য কম দামে কেনার প্রক্রিয়া) গুরুত্ব দিয়ে নিজেকে আলাদা করে তুলে ধরতে চাইছে।

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত