আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান (এআই) ওপেনএআইতে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে এআই ডেটা সেন্টারের জন্য চিপ সরবরাহও করবে বলে গতকাল সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে দুই কোম্পানি। এই চুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দৌড়ে দুই প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ও আধিপত্যকে নির্দেশ করছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ওপেনএআইতে নন-ভোটিং (ভোট করার ক্ষমতা থাকবে না) শেয়ারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করবে এনভিডিয়া। এরপর ওপেনএআই সেই অর্থ ব্যবহার করবে এনভিডিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক চিপ কিনতে।
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘সবকিছু শুরু হয় কম্পিউট থেকে। কম্পিউট অবকাঠামো ভবিষ্যতের অর্থনীতির ভিত্তি হবে এবং আমরা এনভিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে যা তৈরি করছি, তা দিয়ে নতুন এআই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং মানুষ ও ব্যবসার উপকার সম্ভব হবে।’
চুক্তির অংশ হিসেবে এনভিডিয়া ওপেনএআইয়ের জন্য অন্তত ১০ গিগাওয়াট ক্ষমতার সিস্টেম সরবরাহ করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ লাখ ঘরের বিদ্যুৎ চাহিদার সমান। প্রতিষ্ঠান দুটি বলেছে, তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে।
ঘোষণার পর এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম এক দিনের লেনদেন ৪ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। অন্যদিকে, ডেটা সেন্টার নির্মাতা ওরাকল শেয়ারের দাম ৬ শতাংশ বাড়ে।
ওরাকল বর্তমানে ওপেনএআই, সফট ব্যাংক এবং মাইক্রোসফটের সঙ্গে ‘স্টারগেট’ নামে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পে কাজ করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো—বিশাল এআই ডেটা সেন্টার তৈরি।
চুক্তি অনুযায়ী, এনভিডিয়া প্রাথমিকভাবে ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।
এনভিডিয়ার চিপ সরবরাহ শুরু হবে ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ। এ ছাড়া আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ধাপে এনভিডিয়ার ১ গিগাওয়াট কম্পিউটিং ক্ষমতা চালু হবে ‘ভেরা রুবিন’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই চুক্তি এনভিডিয়ার জন্য ইতিবাচক। তবে, কিছু বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই বিনিয়োগের অর্থ শেষ পর্যন্ত চিপ কেনার মাধ্যমে আবার এনভিডিয়ার কাছেই ফিরে আসবে কিনা।
গুগল, আমাজনসহ অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব এআই চিপ তৈরির পরিকল্পনায় কাজ করছে। ওপেনএআইও ব্যতিক্রম নয়। সূত্র জানায়, এই চুক্তি ওপেনএআইয়ের বর্তমান কম্পিউট পরিকল্পনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এসব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নিজস্ব চিপ তৈরির প্রচেষ্টা বা মাইক্রোসফটের সঙ্গে অংশীদারত্ব।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওপেনএআই বর্তমানে ব্রডকম এবং তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে একটি কাস্টম চিপ নিয়ে কাজ করছে। এ খবর প্রকাশের পর ব্রডকমের শেয়ারের দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে।
চলতি মাসের শুরুতে এনভিডিয়া ইন্টেলে ৫০০ কোটি ডলার এবং গত বছর অক্টোবরে ওপেনএআইকে ৬৬০ কোটি ডলারের তহবিল জোগাড়ে সহায়তা করেছে।
তবে এনভিডিয়ার এই বিনিয়োগের আকার এত বড় যে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও ফেডারেল ট্রেড কমিশনের নজর পড়তে পারে।
২০২৪ সালের মাঝামাঝি এ দুই সংস্থা মাইক্রোসফট, ওপেনএআই এবং এনভিডিয়ার ভূমিকা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতাবিষয়ক নীতিতে আগের বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় অনেক নমনীয়।
সম্প্রতি ওপেনএআই ও মাইক্রোসফট একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তিতে সই করেছে, যার মাধ্যমে ওপেনএআইকে একটি লাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অ্যান্টি ট্রাস্ট আইন বিশেষজ্ঞ আন্দ্রে বারলো বলেন, ‘এই চুক্তি এনভিডিয়ার চিপ আধিপত্য ও ওপেনএআইয়ের সফটওয়্যার নেতৃত্বকে একত্রিত করতে পারে। এতে এনভিডিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন—এএমডি বা ওপেনএআইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।’
তবে তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ব্যবসাবান্ধব ও উদ্ভাবন-সহায়ক নীতির পক্ষে, যা এআই শিল্পকে ত্বরান্বিত করছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান (এআই) ওপেনএআইতে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিকে এআই ডেটা সেন্টারের জন্য চিপ সরবরাহও করবে বলে গতকাল সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে দুই কোম্পানি। এই চুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দৌড়ে দুই প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক ও আধিপত্যকে নির্দেশ করছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ওপেনএআইতে নন-ভোটিং (ভোট করার ক্ষমতা থাকবে না) শেয়ারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করবে এনভিডিয়া। এরপর ওপেনএআই সেই অর্থ ব্যবহার করবে এনভিডিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক চিপ কিনতে।
ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বলেন, ‘সবকিছু শুরু হয় কম্পিউট থেকে। কম্পিউট অবকাঠামো ভবিষ্যতের অর্থনীতির ভিত্তি হবে এবং আমরা এনভিডিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে যা তৈরি করছি, তা দিয়ে নতুন এআই প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং মানুষ ও ব্যবসার উপকার সম্ভব হবে।’
চুক্তির অংশ হিসেবে এনভিডিয়া ওপেনএআইয়ের জন্য অন্তত ১০ গিগাওয়াট ক্ষমতার সিস্টেম সরবরাহ করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ৮০ লাখ ঘরের বিদ্যুৎ চাহিদার সমান। প্রতিষ্ঠান দুটি বলেছে, তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে।
ঘোষণার পর এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম এক দিনের লেনদেন ৪ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। অন্যদিকে, ডেটা সেন্টার নির্মাতা ওরাকল শেয়ারের দাম ৬ শতাংশ বাড়ে।
ওরাকল বর্তমানে ওপেনএআই, সফট ব্যাংক এবং মাইক্রোসফটের সঙ্গে ‘স্টারগেট’ নামে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পে কাজ করছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো—বিশাল এআই ডেটা সেন্টার তৈরি।
চুক্তি অনুযায়ী, এনভিডিয়া প্রাথমিকভাবে ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে।
এনভিডিয়ার চিপ সরবরাহ শুরু হবে ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ। এ ছাড়া আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ধাপে এনভিডিয়ার ১ গিগাওয়াট কম্পিউটিং ক্ষমতা চালু হবে ‘ভেরা রুবিন’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই চুক্তি এনভিডিয়ার জন্য ইতিবাচক। তবে, কিছু বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই বিনিয়োগের অর্থ শেষ পর্যন্ত চিপ কেনার মাধ্যমে আবার এনভিডিয়ার কাছেই ফিরে আসবে কিনা।
গুগল, আমাজনসহ অনেক প্রতিষ্ঠান নিজস্ব এআই চিপ তৈরির পরিকল্পনায় কাজ করছে। ওপেনএআইও ব্যতিক্রম নয়। সূত্র জানায়, এই চুক্তি ওপেনএআইয়ের বর্তমান কম্পিউট পরিকল্পনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। এসব পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নিজস্ব চিপ তৈরির প্রচেষ্টা বা মাইক্রোসফটের সঙ্গে অংশীদারত্ব।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওপেনএআই বর্তমানে ব্রডকম এবং তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সঙ্গে একটি কাস্টম চিপ নিয়ে কাজ করছে। এ খবর প্রকাশের পর ব্রডকমের শেয়ারের দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে।
চলতি মাসের শুরুতে এনভিডিয়া ইন্টেলে ৫০০ কোটি ডলার এবং গত বছর অক্টোবরে ওপেনএআইকে ৬৬০ কোটি ডলারের তহবিল জোগাড়ে সহায়তা করেছে।
তবে এনভিডিয়ার এই বিনিয়োগের আকার এত বড় যে, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও ফেডারেল ট্রেড কমিশনের নজর পড়তে পারে।
২০২৪ সালের মাঝামাঝি এ দুই সংস্থা মাইক্রোসফট, ওপেনএআই এবং এনভিডিয়ার ভূমিকা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতাবিষয়ক নীতিতে আগের বাইডেন প্রশাসনের তুলনায় অনেক নমনীয়।
সম্প্রতি ওপেনএআই ও মাইক্রোসফট একটি নন-বাইন্ডিং চুক্তিতে সই করেছে, যার মাধ্যমে ওপেনএআইকে একটি লাভজনক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অ্যান্টি ট্রাস্ট আইন বিশেষজ্ঞ আন্দ্রে বারলো বলেন, ‘এই চুক্তি এনভিডিয়ার চিপ আধিপত্য ও ওপেনএআইয়ের সফটওয়্যার নেতৃত্বকে একত্রিত করতে পারে। এতে এনভিডিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন—এএমডি বা ওপেনএআইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।’
তবে তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন ব্যবসাবান্ধব ও উদ্ভাবন-সহায়ক নীতির পক্ষে, যা এআই শিল্পকে ত্বরান্বিত করছে।
অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭ প্রো এবং ১৭ প্রো ম্যাক্স বাজারে আসার পর সাধারণত ভক্তদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তবে এবারের মডেল ঘিরে ইতিমধ্যেই কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো—মডেলগুলোতে খুব সহজেই আঁচড় ও দাগ পড়ছে। বিশেষ করে ক্যামেরা বাম্পের ধারালো প্রান্তগুলোতে।
১ ঘণ্টা আগেকনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য এখন দারুণ সব এআই টুলস ও ফিচার আছে অনলাইনে। যে কনটেন্ট তৈরি করতে আগে ব্যাপক আয়োজন করতে হতো, একই কাজ এখন অল্প পরিশ্রমে সম্ভব করে দিচ্ছে বিভিন্ন এআই টুল। তবে বলে রাখা ভালো, এআই টুলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে সেটি মাস বা বছরের জন্য কিনতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেমাত্র ২৮ বছর বয়সে ফ্রিল্যান্সিং জগতে শক্ত অবস্থান গড়েছেন মো. ফারুক হোসেন। কোরআনে হাফেজ এই তরুণ বর্তমানে মাসে গড়ে ১০ লাখ টাকা আয় করেন। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ৫ হাজার মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন তিনি, যাঁদের মধ্যে ৩ হাজার এরই মধ্যে আয় করছেন।
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ইউটিউবের বার্ষিক ‘মেড অন ইউটিউব’। এই আয়োজনে কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য একাধিক নতুন ফিচার ও টুলের ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলো কনটেন্ট নির্মাণের কাজকে আরও সহজ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে