আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাব সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার। সংযোগ, সৃজনশীলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলোর এক জটিল সমন্বয়ের চিত্র তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বোঝা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া তরুণদের একদিকে যেমন ক্ষমতায়ন করে, অন্যদিকে তা চ্যালেঞ্জও তৈরি করে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আরও বেশি সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে। দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও এই প্ল্যাটফর্মগুলো সম্পর্ক রক্ষা ও নতুন সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে, এই মাধ্যমগুলো সৃজনশীলতার প্রকাশের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে ৬৩ শতাংশ কিশোর–কিশোরী। তারা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা, চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করা সহজ হয়েছে। প্রান্তিক গোষ্ঠীর তরুণদের ক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়া একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বর্ণের এলজিবিটিকিউ প্লাস তরুণদের জন্য টিকটক, ডিসকর্ড ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলেছে। ট্রেভর প্রজেক্টের এক পৃথক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই মাধ্যমগুলোতে তারা নিজেদের কথা শোনাতে ও বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে, যা তাদের মানসিক সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
সাধারণত, সোশ্যাল মিডিয়াকে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। তবে, এই ধারণার বিপরীতে পিউ রিসার্চের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ কিশোর মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং ৬৩ শতাংশ মনে করে যে এটি এমন তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই তথ্যগুলো ইঙ্গিত দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে সামাজিক সংকোচ রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তা ভাঙতে সাহায্য করছে। অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ট্রেভর প্রজেক্টের তথ্যানুযায়ী, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপদ বোধ করে, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এই পর্যবেক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক প্রভাবকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে। এটি প্রমাণ করে যে শুধু ক্ষতিকর প্রভাব নয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ তরুণদের জন্য মানসিক সহায়তার একটি কার্যকর ও ইতিবাচক মাধ্যম হিসেবেও কাজ করতে পারে।
তবে, পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তরুণদের নিজেদের এবং তাদের সমবয়সীদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে উপলব্ধির মধ্যে চোখে পড়ার মতো বৈপরীত্য দেখা গেছে। মাত্র ১৪ শতাংশ কিশোর মনে করে যে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের ব্যক্তিগতভাবে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, অথচ প্রায় ৪ শতাংশ মনে করে, এটি তাদের বন্ধু বা সমবয়সীদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে।
এই বৈপরীত্য থেকে ধারণা করা যায়, অনেক কিশোর হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নয় অথবা সচেতন হলেও সেটিকে খাটো করে দেখার প্রবণতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল অনলাইন ব্যবহার, তথ্য যাচাই করার গুরুত্ব এবং নিজের ও অন্যের ডিজিটাল আচরণকে সমালোচনা মূলকভাবে মূল্যায়ন করার বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। এসব বিষয় নিয়ে পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথনই কিশোর-কিশোরীদের আরও সচেতন, সংবেদনশীল এবং নিরাপদ ডিজিটাল নাগরিক হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব কিশোরদের জীবনের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া, ৪০ শতাংশ তরুণ স্বীকার করেছে যে, এটি তাদের পড়াশোনা বা ব্যক্তিগত কাজের দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এই তথ্যগুলো দেখায় যে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিমাত্রায় যুক্ত থাকার কারণে সুস্থ ঘুমের অভ্যাস বিঘ্নিত হতে পারে। একই সঙ্গে শিক্ষাগত দায়িত্ব বা ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজনীয় কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। নোটিফিকেশনের অবিরাম ধারা, সব সময় সংযুক্ত থাকার চাপ আর ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ বা ফোমোর মতো মানসিক চাপ কিশোরদের মধ্যে ঘুমের অভাব, মনোযোগে ঘাটতি এবং সামগ্রিক মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার এবং দ্য ট্রেভর প্রজেক্টের গবেষণা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত, ভারসাম্যপূর্ণ চিত্র তুলে ধরে। একদিকে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কিশোরদের জন্য সংযোগ তৈরির সুযোগ, সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যম এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তার উৎস হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে এটি ঘুমের ব্যাঘাত, উৎপাদনশীলতায় ঘাটতি এবং মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলার ঝুঁকিও তৈরি করছে।
এই দ্বৈত বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা, মিডিয়াবিষয়ক শিক্ষা এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও কিশোরদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা কতটা জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা যাতে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায় এবং তার নেতিবাচক প্রভাব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।
তথ্যসূত্র: ডিসইনফরমেশন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালিয়ান্স–ডিশা

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাব সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার। সংযোগ, সৃজনশীলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলোর এক জটিল সমন্বয়ের চিত্র তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বোঝা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া তরুণদের একদিকে যেমন ক্ষমতায়ন করে, অন্যদিকে তা চ্যালেঞ্জও তৈরি করে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আরও বেশি সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে। দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও এই প্ল্যাটফর্মগুলো সম্পর্ক রক্ষা ও নতুন সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে, এই মাধ্যমগুলো সৃজনশীলতার প্রকাশের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে ৬৩ শতাংশ কিশোর–কিশোরী। তারা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা, চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করা সহজ হয়েছে। প্রান্তিক গোষ্ঠীর তরুণদের ক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়া একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বর্ণের এলজিবিটিকিউ প্লাস তরুণদের জন্য টিকটক, ডিসকর্ড ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলেছে। ট্রেভর প্রজেক্টের এক পৃথক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই মাধ্যমগুলোতে তারা নিজেদের কথা শোনাতে ও বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে, যা তাদের মানসিক সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
সাধারণত, সোশ্যাল মিডিয়াকে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। তবে, এই ধারণার বিপরীতে পিউ রিসার্চের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ কিশোর মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং ৬৩ শতাংশ মনে করে যে এটি এমন তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই তথ্যগুলো ইঙ্গিত দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে সামাজিক সংকোচ রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তা ভাঙতে সাহায্য করছে। অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ট্রেভর প্রজেক্টের তথ্যানুযায়ী, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপদ বোধ করে, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এই পর্যবেক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক প্রভাবকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে। এটি প্রমাণ করে যে শুধু ক্ষতিকর প্রভাব নয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ তরুণদের জন্য মানসিক সহায়তার একটি কার্যকর ও ইতিবাচক মাধ্যম হিসেবেও কাজ করতে পারে।
তবে, পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তরুণদের নিজেদের এবং তাদের সমবয়সীদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে উপলব্ধির মধ্যে চোখে পড়ার মতো বৈপরীত্য দেখা গেছে। মাত্র ১৪ শতাংশ কিশোর মনে করে যে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের ব্যক্তিগতভাবে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, অথচ প্রায় ৪ শতাংশ মনে করে, এটি তাদের বন্ধু বা সমবয়সীদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে।
এই বৈপরীত্য থেকে ধারণা করা যায়, অনেক কিশোর হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নয় অথবা সচেতন হলেও সেটিকে খাটো করে দেখার প্রবণতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল অনলাইন ব্যবহার, তথ্য যাচাই করার গুরুত্ব এবং নিজের ও অন্যের ডিজিটাল আচরণকে সমালোচনা মূলকভাবে মূল্যায়ন করার বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। এসব বিষয় নিয়ে পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথনই কিশোর-কিশোরীদের আরও সচেতন, সংবেদনশীল এবং নিরাপদ ডিজিটাল নাগরিক হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব কিশোরদের জীবনের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া, ৪০ শতাংশ তরুণ স্বীকার করেছে যে, এটি তাদের পড়াশোনা বা ব্যক্তিগত কাজের দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এই তথ্যগুলো দেখায় যে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিমাত্রায় যুক্ত থাকার কারণে সুস্থ ঘুমের অভ্যাস বিঘ্নিত হতে পারে। একই সঙ্গে শিক্ষাগত দায়িত্ব বা ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজনীয় কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। নোটিফিকেশনের অবিরাম ধারা, সব সময় সংযুক্ত থাকার চাপ আর ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ বা ফোমোর মতো মানসিক চাপ কিশোরদের মধ্যে ঘুমের অভাব, মনোযোগে ঘাটতি এবং সামগ্রিক মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার এবং দ্য ট্রেভর প্রজেক্টের গবেষণা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত, ভারসাম্যপূর্ণ চিত্র তুলে ধরে। একদিকে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কিশোরদের জন্য সংযোগ তৈরির সুযোগ, সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যম এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তার উৎস হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে এটি ঘুমের ব্যাঘাত, উৎপাদনশীলতায় ঘাটতি এবং মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলার ঝুঁকিও তৈরি করছে।
এই দ্বৈত বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা, মিডিয়াবিষয়ক শিক্ষা এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও কিশোরদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা কতটা জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা যাতে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায় এবং তার নেতিবাচক প্রভাব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।
তথ্যসূত্র: ডিসইনফরমেশন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালিয়ান্স–ডিশা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাব সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার। সংযোগ, সৃজনশীলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলোর এক জটিল সমন্বয়ের চিত্র তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বোঝা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া তরুণদের একদিকে যেমন ক্ষমতায়ন করে, অন্যদিকে তা চ্যালেঞ্জও তৈরি করে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আরও বেশি সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে। দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও এই প্ল্যাটফর্মগুলো সম্পর্ক রক্ষা ও নতুন সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে, এই মাধ্যমগুলো সৃজনশীলতার প্রকাশের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে ৬৩ শতাংশ কিশোর–কিশোরী। তারা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা, চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করা সহজ হয়েছে। প্রান্তিক গোষ্ঠীর তরুণদের ক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়া একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বর্ণের এলজিবিটিকিউ প্লাস তরুণদের জন্য টিকটক, ডিসকর্ড ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলেছে। ট্রেভর প্রজেক্টের এক পৃথক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই মাধ্যমগুলোতে তারা নিজেদের কথা শোনাতে ও বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে, যা তাদের মানসিক সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
সাধারণত, সোশ্যাল মিডিয়াকে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। তবে, এই ধারণার বিপরীতে পিউ রিসার্চের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ কিশোর মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং ৬৩ শতাংশ মনে করে যে এটি এমন তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই তথ্যগুলো ইঙ্গিত দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে সামাজিক সংকোচ রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তা ভাঙতে সাহায্য করছে। অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ট্রেভর প্রজেক্টের তথ্যানুযায়ী, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপদ বোধ করে, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এই পর্যবেক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক প্রভাবকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে। এটি প্রমাণ করে যে শুধু ক্ষতিকর প্রভাব নয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ তরুণদের জন্য মানসিক সহায়তার একটি কার্যকর ও ইতিবাচক মাধ্যম হিসেবেও কাজ করতে পারে।
তবে, পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তরুণদের নিজেদের এবং তাদের সমবয়সীদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে উপলব্ধির মধ্যে চোখে পড়ার মতো বৈপরীত্য দেখা গেছে। মাত্র ১৪ শতাংশ কিশোর মনে করে যে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের ব্যক্তিগতভাবে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, অথচ প্রায় ৪ শতাংশ মনে করে, এটি তাদের বন্ধু বা সমবয়সীদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে।
এই বৈপরীত্য থেকে ধারণা করা যায়, অনেক কিশোর হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নয় অথবা সচেতন হলেও সেটিকে খাটো করে দেখার প্রবণতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল অনলাইন ব্যবহার, তথ্য যাচাই করার গুরুত্ব এবং নিজের ও অন্যের ডিজিটাল আচরণকে সমালোচনা মূলকভাবে মূল্যায়ন করার বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। এসব বিষয় নিয়ে পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথনই কিশোর-কিশোরীদের আরও সচেতন, সংবেদনশীল এবং নিরাপদ ডিজিটাল নাগরিক হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব কিশোরদের জীবনের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া, ৪০ শতাংশ তরুণ স্বীকার করেছে যে, এটি তাদের পড়াশোনা বা ব্যক্তিগত কাজের দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এই তথ্যগুলো দেখায় যে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিমাত্রায় যুক্ত থাকার কারণে সুস্থ ঘুমের অভ্যাস বিঘ্নিত হতে পারে। একই সঙ্গে শিক্ষাগত দায়িত্ব বা ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজনীয় কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। নোটিফিকেশনের অবিরাম ধারা, সব সময় সংযুক্ত থাকার চাপ আর ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ বা ফোমোর মতো মানসিক চাপ কিশোরদের মধ্যে ঘুমের অভাব, মনোযোগে ঘাটতি এবং সামগ্রিক মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার এবং দ্য ট্রেভর প্রজেক্টের গবেষণা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত, ভারসাম্যপূর্ণ চিত্র তুলে ধরে। একদিকে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কিশোরদের জন্য সংযোগ তৈরির সুযোগ, সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যম এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তার উৎস হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে এটি ঘুমের ব্যাঘাত, উৎপাদনশীলতায় ঘাটতি এবং মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলার ঝুঁকিও তৈরি করছে।
এই দ্বৈত বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা, মিডিয়াবিষয়ক শিক্ষা এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও কিশোরদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা কতটা জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা যাতে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায় এবং তার নেতিবাচক প্রভাব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।
তথ্যসূত্র: ডিসইনফরমেশন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালিয়ান্স–ডিশা

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাব সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টার। সংযোগ, সৃজনশীলতা, মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলোর এক জটিল সমন্বয়ের চিত্র তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বোঝা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া তরুণদের একদিকে যেমন ক্ষমতায়ন করে, অন্যদিকে তা চ্যালেঞ্জও তৈরি করে।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আরও বেশি সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে। দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও এই প্ল্যাটফর্মগুলো সম্পর্ক রক্ষা ও নতুন সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে, এই মাধ্যমগুলো সৃজনশীলতার প্রকাশের ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে ৬৩ শতাংশ কিশোর–কিশোরী। তারা বলেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা, চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করা সহজ হয়েছে। প্রান্তিক গোষ্ঠীর তরুণদের ক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়া একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বিভিন্ন বর্ণের এলজিবিটিকিউ প্লাস তরুণদের জন্য টিকটক, ডিসকর্ড ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলেছে। ট্রেভর প্রজেক্টের এক পৃথক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই মাধ্যমগুলোতে তারা নিজেদের কথা শোনাতে ও বোঝাতে সক্ষম হচ্ছে, যা তাদের মানসিক সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
সাধারণত, সোশ্যাল মিডিয়াকে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। তবে, এই ধারণার বিপরীতে পিউ রিসার্চের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ কিশোর মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং ৬৩ শতাংশ মনে করে যে এটি এমন তথ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই তথ্যগুলো ইঙ্গিত দেয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে সামাজিক সংকোচ রয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া তা ভাঙতে সাহায্য করছে। অর্থাৎ, সোশ্যাল মিডিয়া মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ট্রেভর প্রজেক্টের তথ্যানুযায়ী, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিরাপদ বোধ করে, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এই পর্যবেক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিবাচক প্রভাবকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে। এটি প্রমাণ করে যে শুধু ক্ষতিকর প্রভাব নয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ তরুণদের জন্য মানসিক সহায়তার একটি কার্যকর ও ইতিবাচক মাধ্যম হিসেবেও কাজ করতে পারে।
তবে, পিউ রিসার্চ সেন্টারের প্রতিবেদনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিক নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। তরুণদের নিজেদের এবং তাদের সমবয়সীদের ওপর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে উপলব্ধির মধ্যে চোখে পড়ার মতো বৈপরীত্য দেখা গেছে। মাত্র ১৪ শতাংশ কিশোর মনে করে যে, সোশ্যাল মিডিয়া তাদের ব্যক্তিগতভাবে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে, অথচ প্রায় ৪ শতাংশ মনে করে, এটি তাদের বন্ধু বা সমবয়সীদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে।
এই বৈপরীত্য থেকে ধারণা করা যায়, অনেক কিশোর হয়তো সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন নয় অথবা সচেতন হলেও সেটিকে খাটো করে দেখার প্রবণতা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল অনলাইন ব্যবহার, তথ্য যাচাই করার গুরুত্ব এবং নিজের ও অন্যের ডিজিটাল আচরণকে সমালোচনা মূলকভাবে মূল্যায়ন করার বিষয়ে আলোচনা প্রয়োজন। এসব বিষয় নিয়ে পরিবার, বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথনই কিশোর-কিশোরীদের আরও সচেতন, সংবেদনশীল এবং নিরাপদ ডিজিটাল নাগরিক হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক প্রভাব কিশোরদের জীবনের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ৪৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরী জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এ ছাড়া, ৪০ শতাংশ তরুণ স্বীকার করেছে যে, এটি তাদের পড়াশোনা বা ব্যক্তিগত কাজের দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
এই তথ্যগুলো দেখায় যে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিমাত্রায় যুক্ত থাকার কারণে সুস্থ ঘুমের অভ্যাস বিঘ্নিত হতে পারে। একই সঙ্গে শিক্ষাগত দায়িত্ব বা ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজনীয় কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। নোটিফিকেশনের অবিরাম ধারা, সব সময় সংযুক্ত থাকার চাপ আর ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ বা ফোমোর মতো মানসিক চাপ কিশোরদের মধ্যে ঘুমের অভাব, মনোযোগে ঘাটতি এবং সামগ্রিক মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার এবং দ্য ট্রেভর প্রজেক্টের গবেষণা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব নিয়ে একটি সুপরিকল্পিত, ভারসাম্যপূর্ণ চিত্র তুলে ধরে। একদিকে এই প্ল্যাটফর্মগুলো কিশোরদের জন্য সংযোগ তৈরির সুযোগ, সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যম এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তার উৎস হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে এটি ঘুমের ব্যাঘাত, উৎপাদনশীলতায় ঘাটতি এবং মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলার ঝুঁকিও তৈরি করছে।
এই দ্বৈত বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা, মিডিয়াবিষয়ক শিক্ষা এবং অভিভাবক, শিক্ষক ও কিশোরদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা কতটা জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা যাতে পুরোপুরি কাজে লাগানো যায় এবং তার নেতিবাচক প্রভাব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে জন্য প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি।
তথ্যসূত্র: ডিসইনফরমেশন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালিয়ান্স–ডিশা

হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৮ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৯ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
২০ ঘণ্টা আগে
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়ার হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং তানভীর আহমেদের মুখোমুখি হয়েছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু।
মোস্তাফিজ মিঠু

বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকেরা স্মার্টফোন দিয়ে হুয়াওয়েকে চেনে। যদিও এটি হুয়াওয়ের একটি অংশমাত্র। পুরো প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরুতে সংক্ষেপে জানতে চাইব।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে হুয়াওয়ের জনপ্রিয়তা আসে মোবাইল ফোন দিয়েই। আমাদের হ্যান্ডসেটগুলো বরাবরই জনপ্রিয়। ডিভাইসের ডিজাইন, টেক্সচার, ক্যামেরা কোয়ালিটি—সবকিছুই গ্রাহকের কাছে আকর্ষণীয় ছিল। আমি বহু মানুষকে এখনো হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেখছি। কিন্তু হুয়াওয়ের যাত্রাটা আসলে মোবাইল ফোন দিয়ে শুরু হয়নি। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেই ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশি মুদ্রায় মাত্র তিন লাখের মতো টাকা দিয়ে চীনে হুয়াওয়ের যাত্রা শুরু করেন। আমাদের মূল ব্যবসা টেলিকম নেটওয়ার্ক সল্যুশন। টেলিকম প্রযুক্তি আর প্রজন্ম নিয়ে আমরা কাজ করি। এই যে টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি, ফাইভ-জি বা সিক্স-জি—এমন প্রতিটি টেলিকম জেনারেশন উদ্ভাবনে আমরা সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখি এবং এই প্রযুক্তিগুলো সরবরাহ করি। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে আমাদের সরঞ্জাম প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে মোবাইল টাওয়ারগুলোয় জিএসএম সল্যুশন ব্যবহার করা হয়।
এখন তো বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ের মোবাইল ফোন নেই। বর্তমানে আপনারা কোন সেবাগুলো নিয়ে কাজ করছেন?
নেটওয়ার্ক সল্যুশন থেকে প্রযুক্তি, বিভিন্ন খাতে হুয়াওয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট ক্যামেরা সল্যুশন দিয়েছি; যার মাধ্যমে পুলিশ কন্ট্রোল রুম মনিটর করতে পারছে, কোনো নির্দিষ্ট রুটে কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটল কি না, কোনো আইন কেউ ভাঙল কি না ইত্যাদি বিষয়। আমরা শুধু হার্ডওয়্যারই দিই না। এর সঙ্গে সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, ডেটা সেন্টার, ক্লাউড সল্যুশনসহ কাস্টমাইজড সমাধান দিয়ে থাকি। যেমন বিকাশকে আমরা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সরবরাহ করছি। বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেটওয়ার্কিং ল্যাব গড়ে তুলেছি। মেডিকেল সেক্টরে ডেটাবেইস ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট দিয়ে থাকি; যাতে হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট সেবা আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হয়।
আপনারা দেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতেরও একটি সহযোগী। এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।
নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে প্রযুক্তি সরবরাহ করাও আমাদের বড় একটি ব্যবসায়িক দিক। ২০২০ সালে ময়মনসিংহে বাংলাদেশের তৎকালীন সবচেয়ে বড় সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়। আমরা সেই প্রকল্পে পিভি ইনভার্টার প্রযুক্তি ও সমাধান দিয়েছি। সেখানে এখন প্রতিদিন প্রায় ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে রুফটপ সোলার সল্যুশন, পিভি ইনভার্টার এবং এনার্জি স্টোরেজ সল্যুশন সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আমরা ইউআইইউ ও সিইআরের সঙ্গে ইউআইইউতে সম্মিলিতভাবে একটি সোলার পাওয়ার ল্যাব চালু করেছি। সেখানে শিক্ষানবিশ ও পেশাদারেরা সোলার এনার্জি উৎপাদন, প্রকল্পের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে টেলিকম অপারেটরদের যে টাওয়ারগুলো রয়েছে, সেগুলোকে সৌরবিদ্যুৎনির্ভর করে তুলতে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় ও তরুণদের জন্য আপনাদের কয়েকটি উদ্যোগ রয়েছে। সেগুলোর উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম বিষয়ে জানতে চাই।
সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরই সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। আমরা এ ক্ষেত্রে তরুণদের উন্নয়নের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মাধ্যমে যেন তারা একটি গাইডলাইন বা প্ল্যাটফর্ম পায়। এ রকম আমাদের বেশ কিছু আয়োজন আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বেশ জনপ্রিয় একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১২ জনের একটি ব্যাচ বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়। এখানে নারী-পুরুষের সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা ডিজাইন থিংকিং, ডিপ-থিংকিং মেথডোলজি, টিমওয়ার্ক, সেলফ প্রেজেন্টেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে উৎকর্ষ অর্জন করেন। এগুলো ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ারে কাজে লাগে। সাবেক অংশগ্রহণকারীরা গ্লোবাল এবং রিজিওনাল রাউন্ডে অংশ নেয়। অন্যদিকে আমরা নিয়মিত ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম করি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে এখন ফাইভ-জি চলে এসেছে। এর সঙ্গেও হুয়াওয়ের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের ভূমিকার বিষয়টি পাঠকদের জানাতে চাই।
সম্প্রতি বাংলাদেশে দুটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান ফাইভ-জি ঘোষণার পর মূলত এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে; যাদের সল্যুশন দিচ্ছে হুয়াওয়ে। যদিও এই আলোচনার শুরু ২০১৮ সালে। বাংলাদেশে প্রথম ফাইভ-জি ট্রায়াল পরিচালনা করে হুয়াওয়ে। তখন আমাদের
সঙ্গে ছিল রবি। ২০২০ সালে আমরা এক প্রদর্শনীতে ফাইভ-জি নিয়ে জনসমক্ষে এর অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেছিলাম। সম্প্রতি দুই টেলিকম অপারেটর বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি বাজারে নিয়ে আসে। এখন যেকোনো অপারেটরকেই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সাপোর্ট দিতে হুয়াওয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এআইকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগাচ্ছে। আপনারা কোন ধরনের কাজে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন?
এখন আসলে এআইয়ের সময়। আমাদের বিভিন্ন সমাধানের উচ্চক্ষমতা নিশ্চিত করতে সেগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী এআই রয়েছে। যেমন সোলার পাওয়ার সিস্টেমে পিভি
ইনভার্টার ও উৎপাদন ডিস্ট্রিবিউশন ম্যানেজমেন্টের অ্যালগরিদমগুলো এআইভিত্তিক। এতে উৎপাদন, ম্যানেজমেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউশন আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা যায়। হুয়াওয়ে ক্লাউডেও অনেক রকম এআইয়ের ইন্টিগ্রেশন রয়েছে, যা এর ব্যবহারকারীদের বাড়তি সুবিধা ও নিরাপত্তা দেয়।
বাংলাদেশে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? নতুন বছরে বিশেষ কিছু আসছে?
বাংলাদেশের প্রযুক্তি অবকাঠামো, বিশেষত ক্লাউড, নবায়নযোগ্য শক্তি, এআই ও শিক্ষা খাতে আরও অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার। স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ ও শিল্প খাতের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন সল্যুশন নিয়ে কাজ করে যেতে চাই। লক্ষ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং কর্মসংস্থান বাড়ানো। আমরা প্রথম থেকে বাংলাদেশের আইসিটির অগ্রযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে চেয়েছি। আমাদের মূল ভিশন হলো ‘বিল্ডিং আ ফুললি কানেক্টেড, ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ’। এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজ করে যাব।

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাবকে সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৮ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৯ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
২০ ঘণ্টা আগেটি এইচ মাহির

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটগুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা। নতুন এই কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো থেকে ৩০ সেকেন্ডের কম সময়ে তারা তথ্য চুরি করতে সক্ষম।
‘পিক্সন্যাপিং’ নামে নতুন ধরনের এই হ্যাকিং কীভাবে হচ্ছে, তা আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ও কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাইওয়ানের ৩২তম এসিএম কম্পিউটার ও যোগাযোগ সুরক্ষা সম্মেলনে এই গবেষণা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুমতি ছাড়া তথ্য চুরি সম্ভব
পিক্সন্যাপিং নামে এই নতুন হ্যাকিং কৌশলে একধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ দিয়ে তথ্য চুরি করা হয়। অ্যাপটির জন্য মোবাইল ফোনসেটের কোনো সিস্টেমের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এই ক্ষতিকর অ্যাপ ডিভাইসে থাকা অন্যান্য অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ভিজিটের তথ্য পড়তে পারে। পাশাপাশি জিমেইল ও গুগল অথেনটিকেটরের মতো নন-ব্রাউজার অ্যাপ থেকেও তথ্য চুরি করতে পারে। গবেষকেরা পাঁচটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেটকে গবেষণায় ব্যবহার করেছেন। গুগল পিক্সেল সিরিজের ৬, ৭, ৮, ৯ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৫, এই ডিভাইসগুলোতে ঝুঁকি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। অন্যান্য ফোনসেট এখনো আক্রমণের শিকার হয়নি। কিন্তু হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি গবেষকেরা। গুগল ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিলেও গবেষকেরা বলছেন, হ্যাকাররা পরিবর্তিত কৌশল ব্যবহার করতে পারে।
লিংক পাঠানোর কৌশল
হ্যাকাররা এই আক্রমণ করার সময় প্রথমে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে লিংক পাঠিয়ে এই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হতে পারে। ভুক্তভোগী এসব লিংকে ক্লিক করলে ফোনসেটে অ্যাপ ইনস্টল হয়ে যাবে। কখনো নকল অ্যাপ স্টোর, বিজ্ঞাপন, কিউআর কোডের মাধ্যমেও ফোনসেট ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হতে পারে। মোবাইল ফোনসেটে হ্যাকারদের অ্যাপ ইনস্টল হলে তার পিক্সেলের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তথ্য চুরি করা হয়।
পিক্সন্যাপিং হলো একটি চতুর কৌশল, যেখানে একটি ক্ষতিকর অ্যাপ ফোনসেটের গ্রাফিকস সিস্টেম থেকে ক্ষুদ্র সংকেতগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং ধাপে ধাপে অন্য অ্যাপগুলো স্ক্রিনে কী করছে তা বের করে।
এটি টু ফ্যাক্টর কোড বা মেসেজ প্রিভিউর
মতো সংক্ষিপ্ত এবং সংবেদনশীল জিনিসগুলো দেখতে পারে। এটি সিস্টেমের কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই কাজ করে। এই সাইবার আক্রমণ অনেকটা ২০২৩ সালের জিপিইউ ডট জিপ আক্রমণের মতো।
পিক্সন্যাপিং নামে নতুন এই সাইবার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসেট যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অ্যান্ড্রয়েডের নতুন প্যাচ, আপডেট বা সিকিউরিটি আপডেট এলে তা ইনস্টল করা উচিত। বেনামি অ্যাপ স্টোর এবং ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। ফোনসেট ডাউনলোড করা সব অ্যাপের সিস্টেম পারমিশন যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে একাধিক সিকিউরিটি ব্যবহার করতে হবে। যেমন পিন বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের পাশাপাশি আলাদা একটি অ্যাপ লক ব্যবহার করা যায়। যদি সম্ভব হয়, তাহলে ফিজিক্যাল কি ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: দ্য হ্যাকার নিউজ, দ্য রেজিস্ট্রার

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাবকে সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৯ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
নতুন এই মডেল ডিজাইনের লেয়ার ও ফরম্যাট বুঝে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি এনেছে নতুন কিছু ফিচার, স্প্রেডশিট টুলস, মিনি অ্যাপ তৈরির সুবিধা।
ডিজাইন মডেলে বড় পরিবর্তন
ক্যানভা জানিয়েছে, তাদের নতুন ডিজাইন মডেলটি নিজেরাই তৈরি করেছে। এটি সাধারণ বা সমতল ছবি তৈরি করা ছাড়াও লেয়ার, অবজেক্টসহ ডিজাইন করতে পারে। এর ফলে যাঁরা অ্যাপটি ব্যবহার করবেন, তাঁরা চাইলে সহজে নিজের মতো সম্পাদনা করতে পারবেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্ট, প্রেজেন্টেশন, হোয়াইট বোর্ড বা ওয়েবসাইট—সব জায়গায় কাজ করবে। ক্যানভার প্রোডাক্টের প্রধান রবার্ট কাওয়ালস্কি বলেছেন, ‘আগে আমরা শুধু সাধারণ ছবি তৈরি করতাম। তবে এখন ব্যবহারকারীরা চান প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করতে এবং সেটি তাঁদের নিজের মতো সম্পাদনা করতে; যাতে ডিজাইন আরও প্রয়োজন অনুযায়ী হয়।’
আরও উন্নত ক্যানভা এআই
ক্যানভায় এর আগেও এআই-সুবিধা চালু ছিল। যাকে বলা হতো ক্যানভা এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট। এখানে শুধু লেখা প্রম্পট দিয়ে ছবি বা ডিজাইন তৈরি করা যেত। কিন্তু নতুন আপডেটে ব্যবহারকারীরা আরও উন্নত উপায়ে ছবি তৈরি করতে পারবেন।

স্প্রেডশিট ও অ্যাপ সংযুক্তির নতুন সুবিধা
ক্যানভা তাদের স্প্রেডশিট ও মিনি অ্যাপ ফিচার এনেছে একসঙ্গে। এর ফলে স্প্রেডশিটে রাখা তথ্য ব্যবহার করে সহজে চার্ট, গ্রাফ বা অন্যান্য ভিজ্যুয়াল উইজেট তৈরি করা যাবে। এটি ডিজাইন কিংবা প্রেজেন্টেশনে ব্যবহার করা যাবে। ফলে ডেটা উপস্থাপনা অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।
ক্যানভা বলছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে তারা শুধু একটি সাধারণ ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম নয়, এআই-চালিত সম্পূর্ণ ডিজাইন ইকোসিস্টেমে পরিণত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাডোবির মতো পেশাদার টুলসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্যানভা।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাবকে সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৮ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়। তাই সারা রাত ধরে শতভাগ চার্জ দেওয়া হয়। বিষয়টি ফোনসেটের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।
আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, ব্যাটারির স্বাভাবিক বয়স বেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোনসেটে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলোর ভেতরে থাকে দুটি স্তর—একটি গ্রাফাইট, আরেকটি লিথিয়াম-কোবাল্ট অক্সাইড। এই দুই স্তরের মাঝামাঝি থাকে একটি তরল ইলেকট্রোলাইট।
সমস্যার মূল কারণ হলো, ইলেকট্রোলাইট ক্রিস্টালাইজেশন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট সলিউশনে থাকা লবণ জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। সেগুলো আয়নের পথ আটকে দেয়। আয়ন চলতে না পারলে ইলেকট্রন তৈরি হয় কম। তাতে ব্যাটারি আগের মতো শক্তি দিতে পারে না।
সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয় না। তবে কিছুটা হলেও এই প্রক্রিয়া ধীর করা যায় কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে—
ধীরে ধীরে, প্রতিটি চার্জ সাইকেলের সঙ্গে একটু একটু করে শক্তি হারায়।
সূত্র: পিসিম্যাগ

মোবাইল ফোনসেট কেনার বছরখানেকের মধ্যে দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আবার এক-দুই বছর পর ব্যাটারিতে চার্জ আর আগের মতো থাকে না। প্রথমটির কারণ, সঠিক নিয়মে চার্জ না দেওয়া। অনেকে মনে করেন, ফোনসেটে ১০০ শতাংশ চার্জ দিতে হয়। তাই সারা রাত ধরে শতভাগ চার্জ দেওয়া হয়। বিষয়টি ফোনসেটের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।
আর দ্বিতীয় সমস্যাটি হলো, ব্যাটারির স্বাভাবিক বয়স বেড়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোনসেটে ব্যবহৃত হয় লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। এই ব্যাটারিগুলোর ভেতরে থাকে দুটি স্তর—একটি গ্রাফাইট, আরেকটি লিথিয়াম-কোবাল্ট অক্সাইড। এই দুই স্তরের মাঝামাঝি থাকে একটি তরল ইলেকট্রোলাইট।
সমস্যার মূল কারণ হলো, ইলেকট্রোলাইট ক্রিস্টালাইজেশন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির ইলেকট্রোলাইট সলিউশনে থাকা লবণ জমে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়। সেগুলো আয়নের পথ আটকে দেয়। আয়ন চলতে না পারলে ইলেকট্রন তৈরি হয় কম। তাতে ব্যাটারি আগের মতো শক্তি দিতে পারে না।
সম্পূর্ণভাবে ব্যাটারি অবক্ষয় রোধ করা সম্ভব হয় না। তবে কিছুটা হলেও এই প্রক্রিয়া ধীর করা যায় কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করলে—
ধীরে ধীরে, প্রতিটি চার্জ সাইকেলের সঙ্গে একটু একটু করে শক্তি হারায়।
সূত্র: পিসিম্যাগ

আধুনিক যুগে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার) এবং টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিশোর-কিশোরীদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এই মাধ্যমগুলোর সম্ভাব্য ক্ষতির দিক নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার বহুমাত্রিক প্রভাবকে সামনে এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান...
২৪ এপ্রিল ২০২৫
হুয়াওয়ে বলতে সাধারণ মানুষ একটি মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে তাদের নতুন কোনো মোবাইল ফোন যদিও আসেনি। তবু দেশে গ্রাহক সমাধান, টেলিকম নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি, শিক্ষা ও সামাজিক উদ্যোগে হুয়াওয়ে বেশ বড় পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড ফোনসেট গুলোতে একধরনের সাইবার আক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে। হ্যাকারদের এক বিশেষ ধরনের আক্রমণের শিকার হয়েছে কিছু মোবাইল ফোনসেট। ব্যক্তিগত তথ্যসহ টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড পর্যন্ত চুরি করছে হ্যাকাররা।
১৮ ঘণ্টা আগে
গ্রাফিক ডিজাইনে যাঁরা পারদর্শী নন, তাঁদের কাছে ক্যানভা নতুন এক দুয়ার খুলে দিয়েছে। যে কেউ এখন এটি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত অথবা পেশাদার কাজ করতে পারেন। সময়ের সঙ্গে আরও উন্নত হয়েছে এই ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার তাতে যোগ হলো তাদের নিজস্ব এআই-চালিত মডেল।
১৯ ঘণ্টা আগে