আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জয়জয়কার। তবে এআইয়ের কারণে মানুষের কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আর এ বিষয়ে স্পষ্ট ও বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য দিয়েছেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কিছু পেশা রয়েছে, যেগুলো শিগগিরই এআই দখল করবে আবার কিছু পেশায় মানুষের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন বজায় থাকবে।
বিপদে কাস্টমার সাপোর্ট
অল্টম্যান স্পষ্টভাবে বলেন, ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত গ্রাহকসেবা খাতে চাকরি হারানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বর্তমানে যেসব গ্রাহকসেবা দেওয়া হয়, তার অনেকটাই এআই ভালোভাবে করতে পারবে। ফলে এই খাতে চাকরি করা বহু মানুষ তাঁদের কাজ হারাবেন।’
প্রোগ্রামার
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং পেশার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় অল্টম্যান। যদিও অনেকে আশঙ্কা করেন, কোডিংয়ের চাকরিগুলো এআই দখল করবে। তবে অল্টম্যান মনে করেন, এআই এই পেশার মান বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার হওয়ার মানে দুই বছর আগের চেয়ে অনেক আলাদা। এখন আপনি এআই টুল ব্যবহার করে অনেক বেশি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারেন। বিশ্বে যত সফটওয়্যার দরকার, অতটা তৈরি করার সক্ষমতা আগে ছিল না। এখন তা অনেক বাড়ছে।’
যে চাকরি সবচেয়ে নিরাপদ
মানবিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত পেশাগুলোকে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করেন অল্টম্যান। তাঁর মতে, নার্সিং এমন একটি পেশা, যা সহজে প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, নার্সদের কাজ খুব বেশি প্রভাবিত হবে না। যখন কেউ স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন অনুভব করে, তখন সে কোনো মানুষের সান্নিধ্যই চায়। এআই যতই ভালো পরামর্শ দিক না কেন, এই সময়ে একজন মানুষ আরেক মানুষের সঙ্গ চায়।
বড় পরিবর্তনের পূর্বাভাস
অল্টম্যান আরও বলেন, ইতিহাস বলছে, প্রতি ৭৫ বছরে অর্ধেক চাকরির ধরন বদলে যায়। তবে এআই সেই গতি অনেক বাড়িয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমার বিতর্কিত মত হলো—এটি হবে একটি ‘পাংচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম’ মুহূর্ত। অর্থাৎ, খুব অল্প সময়ে বিশাল পরিবর্তন আসবে।
তবে পাশাপাশি আশার কথাও বলেন অল্টম্যান। তাঁর মতে, যেমন আজ থেকে ২০ বছর আগে চ্যাটজিপিটির কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, তেমনি নতুন ধরনের বহু কাজ তৈরি হবে, যা এখনো আমাদের কল্পনার বাইরে।
প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ব
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। কর্মীদের নতুন দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে হবে এবং এআইকে ব্যবহার লাগাতে হবে তাদের দৈনন্দিন কাজে।
এই প্রেক্ষাপটে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ইতিমধ্যে তাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় এআই অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এআইয়ের মৌলিক ধারণা, ব্যবহার ও নৈতিক দিক সম্পর্কে শিক্ষা পাবে।
দুবাইয়ের অর্থনীতি ও পর্যটন বিভাগ (ডিইটি) এবং জ্ঞান ও মানব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেএইচডিএ) এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব পেশা এআই যুগে নিরাপদ থাকবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ, রোবটিকস ইঞ্জিনিয়ার, নার্স, শিক্ষক ও চিকিৎসক।
অন্যদিকে, কাস্টমার সাপোর্ট, টেলিমার্কেটিং ও ব্যাংক টেলারের মতো পেশাগুলো রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। এ তথ্য অল্টম্যানের বক্তব্যের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ
বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) জয়জয়কার। তবে এআইয়ের কারণে মানুষের কর্মসংস্থান নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আর এ বিষয়ে স্পষ্ট ও বিশ্লেষণধর্মী বক্তব্য দিয়েছেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কিছু পেশা রয়েছে, যেগুলো শিগগিরই এআই দখল করবে আবার কিছু পেশায় মানুষের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন বজায় থাকবে।
বিপদে কাস্টমার সাপোর্ট
অল্টম্যান স্পষ্টভাবে বলেন, ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত গ্রাহকসেবা খাতে চাকরি হারানোর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বর্তমানে যেসব গ্রাহকসেবা দেওয়া হয়, তার অনেকটাই এআই ভালোভাবে করতে পারবে। ফলে এই খাতে চাকরি করা বহু মানুষ তাঁদের কাজ হারাবেন।’
প্রোগ্রামার
কম্পিউটার প্রোগ্রামিং পেশার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় অল্টম্যান। যদিও অনেকে আশঙ্কা করেন, কোডিংয়ের চাকরিগুলো এআই দখল করবে। তবে অল্টম্যান মনে করেন, এআই এই পেশার মান বাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার হওয়ার মানে দুই বছর আগের চেয়ে অনেক আলাদা। এখন আপনি এআই টুল ব্যবহার করে অনেক বেশি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারেন। বিশ্বে যত সফটওয়্যার দরকার, অতটা তৈরি করার সক্ষমতা আগে ছিল না। এখন তা অনেক বাড়ছে।’
যে চাকরি সবচেয়ে নিরাপদ
মানবিক সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত পেশাগুলোকে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করেন অল্টম্যান। তাঁর মতে, নার্সিং এমন একটি পেশা, যা সহজে প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, নার্সদের কাজ খুব বেশি প্রভাবিত হবে না। যখন কেউ স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন অনুভব করে, তখন সে কোনো মানুষের সান্নিধ্যই চায়। এআই যতই ভালো পরামর্শ দিক না কেন, এই সময়ে একজন মানুষ আরেক মানুষের সঙ্গ চায়।
বড় পরিবর্তনের পূর্বাভাস
অল্টম্যান আরও বলেন, ইতিহাস বলছে, প্রতি ৭৫ বছরে অর্ধেক চাকরির ধরন বদলে যায়। তবে এআই সেই গতি অনেক বাড়িয়ে দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমার বিতর্কিত মত হলো—এটি হবে একটি ‘পাংচুয়েটেড ইকুইলিব্রিয়াম’ মুহূর্ত। অর্থাৎ, খুব অল্প সময়ে বিশাল পরিবর্তন আসবে।
তবে পাশাপাশি আশার কথাও বলেন অল্টম্যান। তাঁর মতে, যেমন আজ থেকে ২০ বছর আগে চ্যাটজিপিটির কথা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, তেমনি নতুন ধরনের বহু কাজ তৈরি হবে, যা এখনো আমাদের কল্পনার বাইরে।
প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ব
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মক্ষেত্রকে নতুনভাবে সাজাতে হবে। কর্মীদের নতুন দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে হবে এবং এআইকে ব্যবহার লাগাতে হবে তাদের দৈনন্দিন কাজে।
এই প্রেক্ষাপটে, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ইতিমধ্যে তাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় এআই অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এআইয়ের মৌলিক ধারণা, ব্যবহার ও নৈতিক দিক সম্পর্কে শিক্ষা পাবে।
দুবাইয়ের অর্থনীতি ও পর্যটন বিভাগ (ডিইটি) এবং জ্ঞান ও মানব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেএইচডিএ) এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব পেশা এআই যুগে নিরাপদ থাকবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—এআই ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ, রোবটিকস ইঞ্জিনিয়ার, নার্স, শিক্ষক ও চিকিৎসক।
অন্যদিকে, কাস্টমার সাপোর্ট, টেলিমার্কেটিং ও ব্যাংক টেলারের মতো পেশাগুলো রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। এ তথ্য অল্টম্যানের বক্তব্যের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ
চীনা ইলেকট্রনিকস নির্মাতা অ্যাংকর আবারও তাদের একাধিক মডেলের পাওয়ার ব্যাংক বাজার থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। আগুন লাগা ও অতিরিক্ত গরম হওয়ার ঝুঁকির কারণে এই রিকল বা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চালু করেছে। এবার কোম্পানিটি প্রায় ৫ লাখ ইউনিট বাজার থেকে প্রত্যাহার করবে।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের নতুন আইফোন ১৭ প্রো এবং ১৭ প্রো ম্যাক্স বাজারে আসার পর সাধারণত ভক্তদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তবে এবারের মডেল ঘিরে ইতিমধ্যেই কিছু অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো—মডেলগুলোতে খুব সহজেই আঁচড় ও দাগ পড়ছে। বিশেষ করে ক্যামেরা বাম্পের ধারালো প্রান্তগুলোতে।
৬ ঘণ্টা আগেকনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য এখন দারুণ সব এআই টুলস ও ফিচার আছে অনলাইনে। যে কনটেন্ট তৈরি করতে আগে ব্যাপক আয়োজন করতে হতো, একই কাজ এখন অল্প পরিশ্রমে সম্ভব করে দিচ্ছে বিভিন্ন এআই টুল। তবে বলে রাখা ভালো, এআই টুলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে সেটি মাস বা বছরের জন্য কিনতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেমাত্র ২৮ বছর বয়সে ফ্রিল্যান্সিং জগতে শক্ত অবস্থান গড়েছেন মো. ফারুক হোসেন। কোরআনে হাফেজ এই তরুণ বর্তমানে মাসে গড়ে ১০ লাখ টাকা আয় করেন। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ৫ হাজার মানুষকে ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়েছেন তিনি, যাঁদের মধ্যে ৩ হাজার এরই মধ্যে আয় করছেন।
৭ ঘণ্টা আগে