টিএইচ মাহির
বিদ্যুৎ উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোর মধ্যে সৌরশক্তি অন্যতম। সূর্যের আলো ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করার প্রযুক্তি এখন বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে দিন দিন।
তবে প্রথাগত সৌরবিদ্যুতের কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। মেঘলা আকাশ কিংবা রাত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেমে যায়। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এথারফ্লাস্ক এক অভিনব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা সরাসরি মহাকাশ থেকে সৌরশক্তি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাতে চায়।
ধারণার শিকড় কল্পবিজ্ঞানে
মহাকাশ সৌরবিদ্যুতের ধারণা প্রথম জনপ্রিয় হয় বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভের এক গল্পে। তিনি কল্পনা করেছিলেন, মহাকাশে সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠানো সম্ভব। এ ছাড়া মহাকাশ থেকে সৌরবিদ্যুৎ আনার ধারণাটি পোক্ত হয় ১৯৬৮ সালে। চেক-আমেরিকান প্রকৌশলী পিটার গ্লেজার প্রস্তাব করেছিলেন, মহাকাশে সূর্যের আলো সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠানো সম্ভব। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, মানবজাতির অগ্রগতি নির্ভর করবে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প শক্তি ব্যবহারের ওপর। বিজ্ঞানীরা বলেন, সূর্য মাত্র এক ঘণ্টায় মানবজাতির এক বছরের সমান শক্তি উৎপাদন করতে পারে। আর মহাকাশে সূর্যের আলো আরও শক্তিশালী। কারণ, সেখানে আবহাওয়ার কোনো প্রভাব নেই।
ভিন্ন পথে এথারফ্লাস্ক
আগে বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সৌরশক্তি পাঠানোর চেষ্টা করেছে। তবে তাদের পরিকল্পনায় বিশাল ও ব্যয়বহুল কাঠামো তৈরি করতে হতো এবং বিদ্যুৎ পাঠাতে হতো রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে। কিন্তু এথারফ্লাস্ক বেছে নিয়েছে ভিন্ন উপায়। তারা ছোট আকারের উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করবে। এই উপগ্রহগুলো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে, সূর্যালোক সংগ্রহ করবে এবং ইনফ্রারেড লেজারের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠাবে বিদ্যুৎ। পৃথিবীতে তৈরি হবে বিশেষ গ্রাউন্ড স্টেশন, যেগুলো সেই শক্তি গ্রহণ করে ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করবে এবং দূরবর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
কোথায় ব্যবহৃত হবে
প্রথমে এই প্রকল্প চালু করা হবে সামরিক ঘাঁটি বা নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমায়। এরপর দুর্যোগকবলিত অঞ্চল, দুর্গম স্থান, ছোট দ্বীপ কিংবা বিদ্যুৎ অবকাঠামোহীন এলাকায় সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে নাসা, স্পেসএক্সসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে সহযোগিতা করছে।
স্বপ্নের পেছনে বৈজু ভাট
এথারফ্লাস্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন আমেরিকান উদ্যোক্তা বৈজু ভাট। শৈশব থেকে তাঁর মহাকাশের প্রতি আগ্রহ ছিল। কারণ, তাঁর বাবা ছিলেন নাসার বিজ্ঞানী। এখন তিনি সেই শৈশবের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চাইছেন। পরীক্ষামূলকভাবে ২০২৬ সাল থেকে এই প্রকল্প চালুর লক্ষ্য নিয়েছে এথারফ্লাস্ক। এরই মধ্যে তারা ৫ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
তবে সমস্যা হলো খরচ। মহাকাশ সৌরবিদ্যুতের প্রযুক্তি এখনো অনেক ব্যয়বহুল। হেলিওস্ট্যাট পদ্ধতিকে কার্যকর হতে হলে খরচ পৃথিবীর সৌর প্যানেলের তুলনায় প্রায় ১৪ গুণে নামিয়ে আনতে
হবে। আর প্ল্যানার নকশার ক্ষেত্রে সেটি ৯ গুণ হতে হবে। বর্তমানে এই খরচ তার চেয়ে বহু গুণ বেশি।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, মহাকাশ থেকে সৌরশক্তি সংগ্রহের এই প্রযুক্তি এখনো জটিল। তবে এটি সফল হলে পৃথিবীর বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। এখন দেখার বিষয়, এথারফ্লাস্ক শেষ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে কি না।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও স্পেস নিউজ
বিদ্যুৎ উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোর মধ্যে সৌরশক্তি অন্যতম। সূর্যের আলো ব্যবহার করে বিদ্যুৎ তৈরি করার প্রযুক্তি এখন বিশ্বজুড়ে বহুল ব্যবহৃত। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে দিন দিন।
তবে প্রথাগত সৌরবিদ্যুতের কিছু সীমাবদ্ধতা থেকেই যায়। মেঘলা আকাশ কিংবা রাত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেমে যায়। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান এথারফ্লাস্ক এক অভিনব পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তারা সরাসরি মহাকাশ থেকে সৌরশক্তি সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাতে চায়।
ধারণার শিকড় কল্পবিজ্ঞানে
মহাকাশ সৌরবিদ্যুতের ধারণা প্রথম জনপ্রিয় হয় বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভের এক গল্পে। তিনি কল্পনা করেছিলেন, মহাকাশে সূর্যের আলো থেকে শক্তি সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠানো সম্ভব। এ ছাড়া মহাকাশ থেকে সৌরবিদ্যুৎ আনার ধারণাটি পোক্ত হয় ১৯৬৮ সালে। চেক-আমেরিকান প্রকৌশলী পিটার গ্লেজার প্রস্তাব করেছিলেন, মহাকাশে সূর্যের আলো সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে পাঠানো সম্ভব। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, মানবজাতির অগ্রগতি নির্ভর করবে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প শক্তি ব্যবহারের ওপর। বিজ্ঞানীরা বলেন, সূর্য মাত্র এক ঘণ্টায় মানবজাতির এক বছরের সমান শক্তি উৎপাদন করতে পারে। আর মহাকাশে সূর্যের আলো আরও শক্তিশালী। কারণ, সেখানে আবহাওয়ার কোনো প্রভাব নেই।
ভিন্ন পথে এথারফ্লাস্ক
আগে বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সৌরশক্তি পাঠানোর চেষ্টা করেছে। তবে তাদের পরিকল্পনায় বিশাল ও ব্যয়বহুল কাঠামো তৈরি করতে হতো এবং বিদ্যুৎ পাঠাতে হতো রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে। কিন্তু এথারফ্লাস্ক বেছে নিয়েছে ভিন্ন উপায়। তারা ছোট আকারের উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করবে। এই উপগ্রহগুলো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে, সূর্যালোক সংগ্রহ করবে এবং ইনফ্রারেড লেজারের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠাবে বিদ্যুৎ। পৃথিবীতে তৈরি হবে বিশেষ গ্রাউন্ড স্টেশন, যেগুলো সেই শক্তি গ্রহণ করে ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করবে এবং দূরবর্তী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
কোথায় ব্যবহৃত হবে
প্রথমে এই প্রকল্প চালু করা হবে সামরিক ঘাঁটি বা নিয়ন্ত্রিত আকাশসীমায়। এরপর দুর্যোগকবলিত অঞ্চল, দুর্গম স্থান, ছোট দ্বীপ কিংবা বিদ্যুৎ অবকাঠামোহীন এলাকায় সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বর্তমানে নাসা, স্পেসএক্সসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে সহযোগিতা করছে।
স্বপ্নের পেছনে বৈজু ভাট
এথারফ্লাস্ক প্রতিষ্ঠা করেছেন আমেরিকান উদ্যোক্তা বৈজু ভাট। শৈশব থেকে তাঁর মহাকাশের প্রতি আগ্রহ ছিল। কারণ, তাঁর বাবা ছিলেন নাসার বিজ্ঞানী। এখন তিনি সেই শৈশবের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চাইছেন। পরীক্ষামূলকভাবে ২০২৬ সাল থেকে এই প্রকল্প চালুর লক্ষ্য নিয়েছে এথারফ্লাস্ক। এরই মধ্যে তারা ৫ কোটি ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।
তবে সমস্যা হলো খরচ। মহাকাশ সৌরবিদ্যুতের প্রযুক্তি এখনো অনেক ব্যয়বহুল। হেলিওস্ট্যাট পদ্ধতিকে কার্যকর হতে হলে খরচ পৃথিবীর সৌর প্যানেলের তুলনায় প্রায় ১৪ গুণে নামিয়ে আনতে
হবে। আর প্ল্যানার নকশার ক্ষেত্রে সেটি ৯ গুণ হতে হবে। বর্তমানে এই খরচ তার চেয়ে বহু গুণ বেশি।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, মহাকাশ থেকে সৌরশক্তি সংগ্রহের এই প্রযুক্তি এখনো জটিল। তবে এটি সফল হলে পৃথিবীর বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। এখন দেখার বিষয়, এথারফ্লাস্ক শেষ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে কি না।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ ও স্পেস নিউজ
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পৌঁছে গেল এক নতুন উচ্চতায়। প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৩০০ কোটির গণ্ডি। গতকাল বুধবার মেটা চ্যানেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
১০ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটে রীতিমতো ঝড় তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনির নতুন ন্যানো ব্যানানা টুল। প্রচলিত ইমেজ জেনারেটরের চেয়ে ভিন্নভাবে কাজ করে এই এআই। খুব সহজেই সাধারণ ছবি থেকে বাস্তবধর্মী ৩ডি মডেলের ছবি তৈরি করে।
১০ ঘণ্টা আগেভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এক্সের অভিযোগ ছিল, ভারত সরকারের ‘সহযোগ’ নামের পোর্টাল ব্যবহার করে তাদের প্ল্যাটফর্মে নির্বিচারে কনটেন্ট সেন্সর করা হচ্ছে, যা বাক স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিরোধী।
১০ ঘণ্টা আগেআমাদের আধুনিক জীবনের মূল চালিকা শক্তিই যেন এখন ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ। শিক্ষা, অফিস, চিকিৎসা, বিনোদন—সবকিছুই এককভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই দুইটির ওপর। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যান্ত্রিক ত্রুটি, সাইবার হামলা কিংবা জাতীয় সংকটের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট অস্বাভাবিক নয়।
১২ ঘণ্টা আগে