প্রযুক্তি ডেস্ক

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
চার উদ্যমী ও প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মাজহারুল আলম, মাহাবুব আলম রাকিব ও মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়ার নিরলস শ্রমে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সদ্য আঠারো বছরে পা রাখা প্রতিষ্ঠান স্টার টেক। এই চার তরুণও অন্যান্যদের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশকে আরও ভালোভাবে যুক্ত করতে দরকার প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নতি। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে দরকার নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান।
সে চিন্তা থেকেই রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের নবম তলায় মাত্র ১০০ বর্গফুটের একটি দোকান থেকে শুরু হয় স্টার টেক এর পথচলা। তারপর বাকিটা ইতিহাস। তবে এই ইতিহাস তৈরি করা যে সহজ ছিল না, সেটা না বললেও বোঝা যায়। ঘন ঘন লোড শেডিং এমনকি ক্রেতাদের হেঁটে নবম তলায় ওঠার মতো প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে স্টার টেককে। কিন্তু গ্রাহকদের সর্বোত্তম মানের পণ্য ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার যে লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠাতাদের, তাতে কোনো ছাড় দেননি তাঁরা।
২০০০ থেকে ২০০৫ সালে প্রযুক্তি বাজারে স্থিতিশীল গ্রাহক সেবা ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান খুব কম ছিল ঢাকা শহরে। সে কমতি পূরণের চেষ্টা করে ধীরে ধীরে নিজেদের প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। নিরলস পরিশ্রম ও আপসহীন গ্রাহক সেবার মাধ্যমে স্টার টেক আজ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর বাইরে। গাজীপুর, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৯টি আউটলেট। এ ছাড়া শক্তিশালী ই-কমার্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিকতা ও সেবার ফলে স্টার টেকের সুনাম ছড়িয়েছে মুখে মুখে।
১৭ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে স্টার টেক আজ প্রায় ৯০০ জনের একটি বিশাল পরিবার। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজার হাজার ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ী।
এই জয়যাত্রাকে আরও বেগবান করার জন্য প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মো. সাজেদুর রহমান ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁদের বিচক্ষণতা ও সক্ষম নেতৃত্ব স্টার টেককে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
কোভিড পরবর্তী সময় প্রযুক্তি জগতে এনেছে বিশাল পরিবর্তন। এ সময় অনলাইন সার্ভিসের যে ব্যাপকতা শুরু হয়, স্টার টেক সেটিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ করেছে নিজেদের ও ক্রেতাদের। এখন প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ভিজিটর থাকা। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে স্টার টেকের জনপ্রিয়তা। শুধু ওয়েবসাইট নয়। স্টার টেক দেশজুড়ে সহজে প্রযুক্তি সেবা দিতে এনেছে ১৬৭৯৩ শর্ট কোডটি। এখানে ফোন করলেই পাওয়া যাবে তাদের প্রযুক্তি পণ্য সম্পর্কিত তথ্য, সেবা কিংবা কেনার সুযোগ। এ ছাড়া তাদের রয়েছে নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।
প্রায় শুরুর দিকে, ২০০৯ সালে স্টার টেক তাদের করপোরেট শাখার কাজ শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মেট্রোরেলের স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ (এএফসি) সিস্টেমের প্যাসেঞ্জার স্ক্রিন ডোরের সার্ভার ও হার্ডওয়্যার সহায়তা প্রদানের মতো বড় বড় প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আছে তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিস্ট্রিবিউশন হাব। ২০২২ সালে স্টার টেক লিমিটেড আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
স্টার টেকের উত্থানে গ্রাহকদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন এর প্রতিষ্ঠাতারা। গেমিং কমিউনিটি, প্রযুক্তিপ্রেমীদের সঙ্গে মেলবন্ধন, তা প্রতিষ্ঠানটিকে বহুদূর এগিয়ে দিয়েছে। গত ১৭ বছরে স্টার টেক ক্রেতাদের সর্বোৎকৃষ্ট সেলস ও সার্ভিস দিয়ে আস্থা তৈরি করেছে। তাদের ISO সনদ, ১৯টি আউটলেট, করপোরেট বিভাগ এবং একটি বিশাল ও শক্তিশালী বিতরণ চেইন সেই আস্থার ভিত্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
চার উদ্যমী ও প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মাজহারুল আলম, মাহাবুব আলম রাকিব ও মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়ার নিরলস শ্রমে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সদ্য আঠারো বছরে পা রাখা প্রতিষ্ঠান স্টার টেক। এই চার তরুণও অন্যান্যদের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশকে আরও ভালোভাবে যুক্ত করতে দরকার প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নতি। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে দরকার নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান।
সে চিন্তা থেকেই রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের নবম তলায় মাত্র ১০০ বর্গফুটের একটি দোকান থেকে শুরু হয় স্টার টেক এর পথচলা। তারপর বাকিটা ইতিহাস। তবে এই ইতিহাস তৈরি করা যে সহজ ছিল না, সেটা না বললেও বোঝা যায়। ঘন ঘন লোড শেডিং এমনকি ক্রেতাদের হেঁটে নবম তলায় ওঠার মতো প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে স্টার টেককে। কিন্তু গ্রাহকদের সর্বোত্তম মানের পণ্য ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার যে লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠাতাদের, তাতে কোনো ছাড় দেননি তাঁরা।
২০০০ থেকে ২০০৫ সালে প্রযুক্তি বাজারে স্থিতিশীল গ্রাহক সেবা ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান খুব কম ছিল ঢাকা শহরে। সে কমতি পূরণের চেষ্টা করে ধীরে ধীরে নিজেদের প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। নিরলস পরিশ্রম ও আপসহীন গ্রাহক সেবার মাধ্যমে স্টার টেক আজ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর বাইরে। গাজীপুর, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৯টি আউটলেট। এ ছাড়া শক্তিশালী ই-কমার্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিকতা ও সেবার ফলে স্টার টেকের সুনাম ছড়িয়েছে মুখে মুখে।
১৭ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে স্টার টেক আজ প্রায় ৯০০ জনের একটি বিশাল পরিবার। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজার হাজার ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ী।
এই জয়যাত্রাকে আরও বেগবান করার জন্য প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মো. সাজেদুর রহমান ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁদের বিচক্ষণতা ও সক্ষম নেতৃত্ব স্টার টেককে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
কোভিড পরবর্তী সময় প্রযুক্তি জগতে এনেছে বিশাল পরিবর্তন। এ সময় অনলাইন সার্ভিসের যে ব্যাপকতা শুরু হয়, স্টার টেক সেটিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ করেছে নিজেদের ও ক্রেতাদের। এখন প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ভিজিটর থাকা। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে স্টার টেকের জনপ্রিয়তা। শুধু ওয়েবসাইট নয়। স্টার টেক দেশজুড়ে সহজে প্রযুক্তি সেবা দিতে এনেছে ১৬৭৯৩ শর্ট কোডটি। এখানে ফোন করলেই পাওয়া যাবে তাদের প্রযুক্তি পণ্য সম্পর্কিত তথ্য, সেবা কিংবা কেনার সুযোগ। এ ছাড়া তাদের রয়েছে নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।
প্রায় শুরুর দিকে, ২০০৯ সালে স্টার টেক তাদের করপোরেট শাখার কাজ শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মেট্রোরেলের স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ (এএফসি) সিস্টেমের প্যাসেঞ্জার স্ক্রিন ডোরের সার্ভার ও হার্ডওয়্যার সহায়তা প্রদানের মতো বড় বড় প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আছে তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিস্ট্রিবিউশন হাব। ২০২২ সালে স্টার টেক লিমিটেড আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
স্টার টেকের উত্থানে গ্রাহকদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন এর প্রতিষ্ঠাতারা। গেমিং কমিউনিটি, প্রযুক্তিপ্রেমীদের সঙ্গে মেলবন্ধন, তা প্রতিষ্ঠানটিকে বহুদূর এগিয়ে দিয়েছে। গত ১৭ বছরে স্টার টেক ক্রেতাদের সর্বোৎকৃষ্ট সেলস ও সার্ভিস দিয়ে আস্থা তৈরি করেছে। তাদের ISO সনদ, ১৯টি আউটলেট, করপোরেট বিভাগ এবং একটি বিশাল ও শক্তিশালী বিতরণ চেইন সেই আস্থার ভিত্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রযুক্তি ডেস্ক

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
চার উদ্যমী ও প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মাজহারুল আলম, মাহাবুব আলম রাকিব ও মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়ার নিরলস শ্রমে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সদ্য আঠারো বছরে পা রাখা প্রতিষ্ঠান স্টার টেক। এই চার তরুণও অন্যান্যদের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশকে আরও ভালোভাবে যুক্ত করতে দরকার প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নতি। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে দরকার নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান।
সে চিন্তা থেকেই রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের নবম তলায় মাত্র ১০০ বর্গফুটের একটি দোকান থেকে শুরু হয় স্টার টেক এর পথচলা। তারপর বাকিটা ইতিহাস। তবে এই ইতিহাস তৈরি করা যে সহজ ছিল না, সেটা না বললেও বোঝা যায়। ঘন ঘন লোড শেডিং এমনকি ক্রেতাদের হেঁটে নবম তলায় ওঠার মতো প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে স্টার টেককে। কিন্তু গ্রাহকদের সর্বোত্তম মানের পণ্য ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার যে লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠাতাদের, তাতে কোনো ছাড় দেননি তাঁরা।
২০০০ থেকে ২০০৫ সালে প্রযুক্তি বাজারে স্থিতিশীল গ্রাহক সেবা ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান খুব কম ছিল ঢাকা শহরে। সে কমতি পূরণের চেষ্টা করে ধীরে ধীরে নিজেদের প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। নিরলস পরিশ্রম ও আপসহীন গ্রাহক সেবার মাধ্যমে স্টার টেক আজ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর বাইরে। গাজীপুর, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৯টি আউটলেট। এ ছাড়া শক্তিশালী ই-কমার্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিকতা ও সেবার ফলে স্টার টেকের সুনাম ছড়িয়েছে মুখে মুখে।
১৭ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে স্টার টেক আজ প্রায় ৯০০ জনের একটি বিশাল পরিবার। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজার হাজার ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ী।
এই জয়যাত্রাকে আরও বেগবান করার জন্য প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মো. সাজেদুর রহমান ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁদের বিচক্ষণতা ও সক্ষম নেতৃত্ব স্টার টেককে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
কোভিড পরবর্তী সময় প্রযুক্তি জগতে এনেছে বিশাল পরিবর্তন। এ সময় অনলাইন সার্ভিসের যে ব্যাপকতা শুরু হয়, স্টার টেক সেটিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ করেছে নিজেদের ও ক্রেতাদের। এখন প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ভিজিটর থাকা। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে স্টার টেকের জনপ্রিয়তা। শুধু ওয়েবসাইট নয়। স্টার টেক দেশজুড়ে সহজে প্রযুক্তি সেবা দিতে এনেছে ১৬৭৯৩ শর্ট কোডটি। এখানে ফোন করলেই পাওয়া যাবে তাদের প্রযুক্তি পণ্য সম্পর্কিত তথ্য, সেবা কিংবা কেনার সুযোগ। এ ছাড়া তাদের রয়েছে নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।
প্রায় শুরুর দিকে, ২০০৯ সালে স্টার টেক তাদের করপোরেট শাখার কাজ শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মেট্রোরেলের স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ (এএফসি) সিস্টেমের প্যাসেঞ্জার স্ক্রিন ডোরের সার্ভার ও হার্ডওয়্যার সহায়তা প্রদানের মতো বড় বড় প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আছে তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিস্ট্রিবিউশন হাব। ২০২২ সালে স্টার টেক লিমিটেড আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
স্টার টেকের উত্থানে গ্রাহকদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন এর প্রতিষ্ঠাতারা। গেমিং কমিউনিটি, প্রযুক্তিপ্রেমীদের সঙ্গে মেলবন্ধন, তা প্রতিষ্ঠানটিকে বহুদূর এগিয়ে দিয়েছে। গত ১৭ বছরে স্টার টেক ক্রেতাদের সর্বোৎকৃষ্ট সেলস ও সার্ভিস দিয়ে আস্থা তৈরি করেছে। তাদের ISO সনদ, ১৯টি আউটলেট, করপোরেট বিভাগ এবং একটি বিশাল ও শক্তিশালী বিতরণ চেইন সেই আস্থার ভিত্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
চার উদ্যমী ও প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া, মাজহারুল আলম, মাহাবুব আলম রাকিব ও মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়ার নিরলস শ্রমে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সদ্য আঠারো বছরে পা রাখা প্রতিষ্ঠান স্টার টেক। এই চার তরুণও অন্যান্যদের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় তাঁরা উপলব্ধি করেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশকে আরও ভালোভাবে যুক্ত করতে দরকার প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর উন্নতি। সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে দরকার নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান।
সে চিন্তা থেকেই রাজধানীর মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের নবম তলায় মাত্র ১০০ বর্গফুটের একটি দোকান থেকে শুরু হয় স্টার টেক এর পথচলা। তারপর বাকিটা ইতিহাস। তবে এই ইতিহাস তৈরি করা যে সহজ ছিল না, সেটা না বললেও বোঝা যায়। ঘন ঘন লোড শেডিং এমনকি ক্রেতাদের হেঁটে নবম তলায় ওঠার মতো প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে স্টার টেককে। কিন্তু গ্রাহকদের সর্বোত্তম মানের পণ্য ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার যে লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠাতাদের, তাতে কোনো ছাড় দেননি তাঁরা।
২০০০ থেকে ২০০৫ সালে প্রযুক্তি বাজারে স্থিতিশীল গ্রাহক সেবা ও বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান খুব কম ছিল ঢাকা শহরে। সে কমতি পূরণের চেষ্টা করে ধীরে ধীরে নিজেদের প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। নিরলস পরিশ্রম ও আপসহীন গ্রাহক সেবার মাধ্যমে স্টার টেক আজ ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর বাইরে। গাজীপুর, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনায় এখন প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১৯টি আউটলেট। এ ছাড়া শক্তিশালী ই-কমার্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইনে প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় ও বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিকতা ও সেবার ফলে স্টার টেকের সুনাম ছড়িয়েছে মুখে মুখে।
১৭ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে স্টার টেক আজ প্রায় ৯০০ জনের একটি বিশাল পরিবার। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজার হাজার ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ী।
এই জয়যাত্রাকে আরও বেগবান করার জন্য প্রতিষ্ঠাতাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মো. সাজেদুর রহমান ও মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁদের বিচক্ষণতা ও সক্ষম নেতৃত্ব স্টার টেককে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
কোভিড পরবর্তী সময় প্রযুক্তি জগতে এনেছে বিশাল পরিবর্তন। এ সময় অনলাইন সার্ভিসের যে ব্যাপকতা শুরু হয়, স্টার টেক সেটিকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ করেছে নিজেদের ও ক্রেতাদের। এখন প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ভিজিটর থাকা। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে স্টার টেকের জনপ্রিয়তা। শুধু ওয়েবসাইট নয়। স্টার টেক দেশজুড়ে সহজে প্রযুক্তি সেবা দিতে এনেছে ১৬৭৯৩ শর্ট কোডটি। এখানে ফোন করলেই পাওয়া যাবে তাদের প্রযুক্তি পণ্য সম্পর্কিত তথ্য, সেবা কিংবা কেনার সুযোগ। এ ছাড়া তাদের রয়েছে নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন।
প্রায় শুরুর দিকে, ২০০৯ সালে স্টার টেক তাদের করপোরেট শাখার কাজ শুরু করে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মেট্রোরেলের স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ (এএফসি) সিস্টেমের প্যাসেঞ্জার স্ক্রিন ডোরের সার্ভার ও হার্ডওয়্যার সহায়তা প্রদানের মতো বড় বড় প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আছে তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিস্ট্রিবিউশন হাব। ২০২২ সালে স্টার টেক লিমিটেড আইএসও ৯০০১:২০১৫ সনদ পাওয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
স্টার টেকের উত্থানে গ্রাহকদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন এর প্রতিষ্ঠাতারা। গেমিং কমিউনিটি, প্রযুক্তিপ্রেমীদের সঙ্গে মেলবন্ধন, তা প্রতিষ্ঠানটিকে বহুদূর এগিয়ে দিয়েছে। গত ১৭ বছরে স্টার টেক ক্রেতাদের সর্বোৎকৃষ্ট সেলস ও সার্ভিস দিয়ে আস্থা তৈরি করেছে। তাদের ISO সনদ, ১৯টি আউটলেট, করপোরেট বিভাগ এবং একটি বিশাল ও শক্তিশালী বিতরণ চেইন সেই আস্থার ভিত্তি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
৯ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক, ঢাকা

দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবও এ বিষয়ে দেশীয় আইএসপিগুলোকে সতর্ক করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন। ডিডস কথাটির পূর্ণ রূপ হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস, যার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপির নেটওয়ার্ক অচল করে দেওয়া যায়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ডিডস আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে বিদেশ থেকে পরিচালিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, যার মূল পরিকল্পনায় জড়িত দেশেরই কয়েকটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান। এ আক্রমণের উদ্দেশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভার অচল করে তাদের গ্রাহক হারানো ও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ বিষয়ে বলেছেন, বিটিআরসি তথা সরকারের হাতে এ-সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ এসেছে।
ডিডস হচ্ছে এমন একধরনের সাইবার হামলা, যেখানে আক্রমণকারী লক্ষ্যবস্তুর সার্ভার বা ওয়েবসাইটে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ভুয়া অনুরোধ পাঠিয়ে সেটিকে অচল বা ধীরগতির করে দেয়। এর ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা সেবা নিতে পারেন না, যাতে তাঁদের সুনাম ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, এই অপরাধে জড়িত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা নতুন লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এমনকি বর্তমান লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি আমিনুল হাকিম জানিয়েছেন, দেড় মাস আগেই ডিডস আক্রমণের বিষয়ে বিটিআরসিতে অভিযোগ দিয়েছেন তারা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। ওনাদের তদন্ত করে বের করতে হবে যে বাংলাদেশ থেকে কেউ এটা করছে বা কোনোভাবে জড়িত আছে কি না। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। কিন্তু তদন্তের তো রিপোর্ট দরকার।... প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও জানানো হয়নি।’
সরকার ডিডস আক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। পাশাপাশি তিনি সাইবার হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তা বিনিয়োগে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি অবৈধ আক্রমণকারীদের ধরবে। কিন্তু আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিজেদের নেটওয়ার্ক সুরক্ষায় যথেষ্ট বিনিয়োগ করতে হবে।’
সর্বশেষ গত শুক্রবার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে আইএসপি খাতের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার ব্যাপার আমাদের নজরে এসেছে।’
আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডিডস হামলা নতুন কোনো বিষয় নয়। এ ধরনের হামলা অনেক বছর আগে থেকেই হয়ে আসছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে।
বিটিআরসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো আইএসপি খাতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তারই অংশ হিসেবে ডিডস হামলা চালানো হচ্ছে। আইএসপিএবির ইসি কমিটির কেউ কেউও এর সঙ্গে জড়িত।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে এসেছে যে কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে ছোট আইএসপিগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই আক্রমণগুলোর মাত্রা এত বেশি, যা ছোট নেটওয়ার্কের পক্ষে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবও এ বিষয়ে দেশীয় আইএসপিগুলোকে সতর্ক করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন। ডিডস কথাটির পূর্ণ রূপ হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস, যার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপির নেটওয়ার্ক অচল করে দেওয়া যায়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ডিডস আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে বিদেশ থেকে পরিচালিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, যার মূল পরিকল্পনায় জড়িত দেশেরই কয়েকটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান। এ আক্রমণের উদ্দেশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভার অচল করে তাদের গ্রাহক হারানো ও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ বিষয়ে বলেছেন, বিটিআরসি তথা সরকারের হাতে এ-সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ এসেছে।
ডিডস হচ্ছে এমন একধরনের সাইবার হামলা, যেখানে আক্রমণকারী লক্ষ্যবস্তুর সার্ভার বা ওয়েবসাইটে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ভুয়া অনুরোধ পাঠিয়ে সেটিকে অচল বা ধীরগতির করে দেয়। এর ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা সেবা নিতে পারেন না, যাতে তাঁদের সুনাম ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, এই অপরাধে জড়িত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা নতুন লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এমনকি বর্তমান লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি আমিনুল হাকিম জানিয়েছেন, দেড় মাস আগেই ডিডস আক্রমণের বিষয়ে বিটিআরসিতে অভিযোগ দিয়েছেন তারা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। ওনাদের তদন্ত করে বের করতে হবে যে বাংলাদেশ থেকে কেউ এটা করছে বা কোনোভাবে জড়িত আছে কি না। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। কিন্তু তদন্তের তো রিপোর্ট দরকার।... প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও জানানো হয়নি।’
সরকার ডিডস আক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। পাশাপাশি তিনি সাইবার হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তা বিনিয়োগে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি অবৈধ আক্রমণকারীদের ধরবে। কিন্তু আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিজেদের নেটওয়ার্ক সুরক্ষায় যথেষ্ট বিনিয়োগ করতে হবে।’
সর্বশেষ গত শুক্রবার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে আইএসপি খাতের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার ব্যাপার আমাদের নজরে এসেছে।’
আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডিডস হামলা নতুন কোনো বিষয় নয়। এ ধরনের হামলা অনেক বছর আগে থেকেই হয়ে আসছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে।
বিটিআরসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো আইএসপি খাতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তারই অংশ হিসেবে ডিডস হামলা চালানো হচ্ছে। আইএসপিএবির ইসি কমিটির কেউ কেউও এর সঙ্গে জড়িত।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে এসেছে যে কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে ছোট আইএসপিগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই আক্রমণগুলোর মাত্রা এত বেশি, যা ছোট নেটওয়ার্কের পক্ষে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
০৪ মার্চ ২০২৪
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
৯ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে, অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
নতুন সিরিজে থাকছে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি, আরও পরিশীলিত ডিসপ্লে ডিজাইন এবং অ্যাপলের নিজস্বভাবে তৈরি প্রথম মডেম চিপ। বাহ্যিক দিক থেকে পরিবর্তন খুব বড় না হলেও, ভেতরে (কিছু সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার) আইফোন ১৮ প্রো ও ১৮ প্রো ম্যাক্স হতে পারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্করণ।
ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, আইফোন ১৮ প্রো সিরিজের নকশা আগের আইফোন ১৭ প্রোর মতোই থাকবে। তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন আংশিক স্বচ্ছ ম্যাগসেফ ব্যাক অংশ, আরও সরু ডায়নামিক আইল্যান্ড এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি ‘নচ-ফ্রি’ বা পিনহোল-স্টাইল ডিজাইন সম্ভবত ২০২৬ সালের পরেই বাজারে আনবে অ্যাপল।
এবার ডিভাইসের ভেতরের প্রযুক্তিতেও বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। নতুন আইফোন ১৮ প্রোতে থাকবে অ্যাপলের এ-২০ প্রো চিপ, যা তৈরি হচ্ছে টিএসএমসির উন্নত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ও নতুন ‘চিপ-অন-ওয়েফার-অন-সাবস্ট্রেট’ (CoWoS) প্যাকেজিং ব্যবহার করে। এই চিপ মূলত শক্তি সাশ্রয় ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পারফরম্যান্স উন্নত করার দিকে জোর দেবে। একই সঙ্গে এতে থাকবে অ্যাপলের নিজস্ব সি-২ মডেম, যা দ্রুততর ডাউনলোড স্পিড, মিনিমাম-ফ্রিকুয়েন্সি ও কোয়ালকমের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ক্যামেরায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অ্যাপল সনির পরিবর্তে স্যামসাংয়ের তৈরি নতুন তিন স্তরবিশিষ্ট সেন্সর ব্যবহার করবে, যা দ্রুততর রিডআউট, কম নয়েজ এবং উন্নত ডাইনামিক রেঞ্জ দেবে। পাশাপাশি, অ্যাপল পরীক্ষা করছে ডিএসএলআর-স্টাইলের ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচার সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের হাতে থাকবে আলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো ম্যানুয়াল কন্ট্রোল যুক্ত হতে পারে আইফোনের মূল ক্যামেরায়।
এ ছাড়া, নতুন আইফোনে থাকতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধা, যা ভবিষ্যতে সেল টাওয়ার ছাড়াই ৫-জি ইন্টারনেট চালু করার পথ খুলে দিতে পারে। ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটনেও থাকবে পরিবর্তন। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ক্যাপটিভ টাচ (capacitive touch) সিস্টেমের বদলে ব্যবহার করা হতে পারে প্রেসার-সেনসিটিভ বাটন।
এবার অ্যাপল তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ সূচিতেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একসঙ্গে উন্মোচিত হতে পারে আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ ও বহু প্রতীক্ষিত ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আইফোন ১৮ ও ১৮-ই মডেল বাজারে আসতে পারে ২০২৭ সালের মার্চ মাসে।

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে, অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
নতুন সিরিজে থাকছে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি, আরও পরিশীলিত ডিসপ্লে ডিজাইন এবং অ্যাপলের নিজস্বভাবে তৈরি প্রথম মডেম চিপ। বাহ্যিক দিক থেকে পরিবর্তন খুব বড় না হলেও, ভেতরে (কিছু সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার) আইফোন ১৮ প্রো ও ১৮ প্রো ম্যাক্স হতে পারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্করণ।
ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, আইফোন ১৮ প্রো সিরিজের নকশা আগের আইফোন ১৭ প্রোর মতোই থাকবে। তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন আংশিক স্বচ্ছ ম্যাগসেফ ব্যাক অংশ, আরও সরু ডায়নামিক আইল্যান্ড এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি ‘নচ-ফ্রি’ বা পিনহোল-স্টাইল ডিজাইন সম্ভবত ২০২৬ সালের পরেই বাজারে আনবে অ্যাপল।
এবার ডিভাইসের ভেতরের প্রযুক্তিতেও বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। নতুন আইফোন ১৮ প্রোতে থাকবে অ্যাপলের এ-২০ প্রো চিপ, যা তৈরি হচ্ছে টিএসএমসির উন্নত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ও নতুন ‘চিপ-অন-ওয়েফার-অন-সাবস্ট্রেট’ (CoWoS) প্যাকেজিং ব্যবহার করে। এই চিপ মূলত শক্তি সাশ্রয় ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পারফরম্যান্স উন্নত করার দিকে জোর দেবে। একই সঙ্গে এতে থাকবে অ্যাপলের নিজস্ব সি-২ মডেম, যা দ্রুততর ডাউনলোড স্পিড, মিনিমাম-ফ্রিকুয়েন্সি ও কোয়ালকমের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ক্যামেরায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অ্যাপল সনির পরিবর্তে স্যামসাংয়ের তৈরি নতুন তিন স্তরবিশিষ্ট সেন্সর ব্যবহার করবে, যা দ্রুততর রিডআউট, কম নয়েজ এবং উন্নত ডাইনামিক রেঞ্জ দেবে। পাশাপাশি, অ্যাপল পরীক্ষা করছে ডিএসএলআর-স্টাইলের ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচার সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের হাতে থাকবে আলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো ম্যানুয়াল কন্ট্রোল যুক্ত হতে পারে আইফোনের মূল ক্যামেরায়।
এ ছাড়া, নতুন আইফোনে থাকতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধা, যা ভবিষ্যতে সেল টাওয়ার ছাড়াই ৫-জি ইন্টারনেট চালু করার পথ খুলে দিতে পারে। ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটনেও থাকবে পরিবর্তন। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ক্যাপটিভ টাচ (capacitive touch) সিস্টেমের বদলে ব্যবহার করা হতে পারে প্রেসার-সেনসিটিভ বাটন।
এবার অ্যাপল তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ সূচিতেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একসঙ্গে উন্মোচিত হতে পারে আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ ও বহু প্রতীক্ষিত ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আইফোন ১৮ ও ১৮-ই মডেল বাজারে আসতে পারে ২০২৭ সালের মার্চ মাসে।

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
০৪ মার্চ ২০২৪
দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। এ বছরের ০৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হওয়া এই ডিভাইসটি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জিং ব্যবহারে সর্বাধিক ডিউরেবল ফোন চান এমন বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭৫ এর রেকর্ড-ব্রেকিং সাফল্যের ধারা বজায় রেখে নতুন সি৮৫ প্রো ফোনটি ডিউরেবিলিটি, ব্যাটারি সক্ষমতা, ডিসপ্লে ও প্রসেসিং পারফরম্যান্সে ব্যাপক আপগ্রেড এনেছে। ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং, সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, উজ্জ্বল ৪০০০ নিটসের অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও কার্যকরী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের সমন্বয় সাশ্রয়ী ফোনের ধারণাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্ট রেজিসট্যান্ট সক্ষমতা কেবল বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য প্রয়োজন। এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো রেজিসট্যান্স স্মার্টফোন সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড নিশ্চিত করে, যা আইপি ৬৮ বা আইপি ৬৭ এর প্রথাগত মানদণ্ডকে বহুগুণ ছাড়িয়ে যায়।
অন্যান্য ডিভাইসগুলো যেখানে কেবল হালকা পানির ছিটা সামলাতে পারে, সেখানে আইপি ৬৯ প্রো প্রতিকূল পরিবেশ ও ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। আকস্মিক বর্ষার বৃষ্টি, পানির প্রবল ধারা, দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যাওয়া বা পানিতে ডুবে যাওয়ার পরও ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিভাইসটি মেরামতের খরচ কমিয়ে আনবে; যা এটিকে বাইরে কাজ করেন এমন মানুষ, ডেলিভারি কর্মী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী করে তোলে। এই অনন্য সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিসট্যান্স, যা ফোনটিকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া বা আঘাতের বিপক্ষে সুরক্ষা প্রদান করে এর দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
বাজেট সেগমেন্টে মানসম্মত ফিচার হিসেবে এতে যুক্ত হয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এবারই প্রথম রিয়েলমি সি-সিরিজের ফোনে অ্যামোলেড ডিসপ্লে নিয়ে আসা হয়েছে। একই দামের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিভাইস হিসেবে এতে ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লেতে রংগুলো দারুণভাবে বোঝা যায়, এমনকি প্রখর সূর্যালোকেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল প্রদান করে ফোনটিকে নেভিগেশন বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য একদম যথার্থ করে তোলে। যাত্রাপথের ব্যস্ততায় সমৃদ্ধ অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে এতে ৪০০% আলট্রা বুম স্পিকার ও ৯২.৩% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও নিয়ে আসা হয়েছে, যা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। সব মিলিয়ে ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে সি৮৫ প্রো, যা আর্থিক সাশ্রয়েরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

এ সমস্ত সহনশীলতাকে আরও সক্ষম করে তুলতে এতে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে বড় ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার টাইটান ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। সারা দিন ফোন চার্জ করার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে এই আলট্রা ব্যাটারি, যা এমনকি ব্যস্ততম দিনেও ব্যবহারকারীদের আত্মবিশ্বাসী রাখে। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এটি ১১৮ ঘণ্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ৫৯ ঘণ্টা কলিং ও ১৯ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিমিং করার সক্ষম রাখে। রিচার্জের সময় ফোনটির ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং মাত্র ৩০ মিনিটেই ৫০% চার্জ করতে সক্ষম। এর ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং এই অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে; ব্যবহারকারীদের চলার পথে অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ বা ফোন চার্জ করতে সহায়তা করে এটিকে একটি পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংকে পরিণত করে। ডিভাইসের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিতে ব্যাটারির হেলথ ৬ বছর পর্যন্ত একইরকম কার্যকর থাকবে।
একই প্রাইস-রেঞ্জের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো-তে নির্ভরযোগ্য স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি স্মুথ মাল্টিটাস্কিং, স্থিতিশীল কানেকটিভিটি ও কার্যকর শক্তি ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়। ফোনটিতে মেমোরির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে ৮ জিবি র্যাম (২৪ জিবি পর্যন্ত এক্সপান্ডেবল) ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এর ৫০ মেগাপিক্সেল এআই রেয়ার ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনাকে যেকোনো পরিবেশে স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি তোলার নিশ্চয়তা দেবে; এর ইন্টেলিজেন্ট এআই ইমেজিং টুল ফটোগ্রাফিকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে একাধিক এআই-চালিত অপটিমাইজেশনের সমন্বয় করা হয়েছে। এর এআই নেটওয়ার্ক বুস্ট (ডেটার গতি ২২% পর্যন্ত বাড়ায়) ও এআই কল ভলিউম বুস্ট কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও স্পষ্ট যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো এআই এডিট জিনি, যা ব্যবহারকারীর ভয়েস-সক্ষম ফটো এডিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দ্রুত ছবি এডিটের সুযোগ করে দেয়। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটর ও প্রতিদিনের ব্যবহারকারীদের জন্য ছবি এডিটিং আরও সহজ হয়ে ওঠে।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত অনন্য লাইট ফেদার ডিজাইনে নিয়ে আসা হয়েছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। স্টাইল ও তারুণ্যের অনন্য সমন্বয় হিসেবে প্যারট পার্পল ও পিকক গ্রিন এই দুইটি নজরকাড়া রঙে ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য এই ফোনটির কারণে এখন সবাই উন্নত ফিচারগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এখন তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই ফোনটি। এর ৬ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২০,৯৯৯ টাকা, ৮ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২২,৯৯৯ টাকা ও ৮ জিবি + ২৫৬ জিবির দাম মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকা।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো কেবল একটি সাশ্রয়ী স্মার্টফোন নয়। এ থেকে বোঝা যায়, অ্যামোলেড ডিসপ্লে, সুবিশাল ব্যাটারি ও বিশ্বমানের আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটার প্রুফিংয়ের মতো অনবদ্য উদ্ভাবনগুলো এখন আর প্রিমিয়াম দামের মধ্যে থাকছে না।

রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। এ বছরের ০৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচিত হওয়া এই ডিভাইসটি প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জিং ব্যবহারে সর্বাধিক ডিউরেবল ফোন চান এমন বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭৫ এর রেকর্ড-ব্রেকিং সাফল্যের ধারা বজায় রেখে নতুন সি৮৫ প্রো ফোনটি ডিউরেবিলিটি, ব্যাটারি সক্ষমতা, ডিসপ্লে ও প্রসেসিং পারফরম্যান্সে ব্যাপক আপগ্রেড এনেছে। ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ রেটিং, সুবিশাল ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, উজ্জ্বল ৪০০০ নিটসের অ্যামোলেড ডিসপ্লে ও কার্যকরী স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের সমন্বয় সাশ্রয়ী ফোনের ধারণাকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং ও পরিবর্তনশীল আবহাওয়ায় আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটারপ্রুফ ও ডাস্ট রেজিসট্যান্ট সক্ষমতা কেবল বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য প্রয়োজন। এর ইন্ডাস্ট্রি-লিডিং আইপি ৬৯ প্রো রেজিসট্যান্স স্মার্টফোন সুরক্ষার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড নিশ্চিত করে, যা আইপি ৬৮ বা আইপি ৬৭ এর প্রথাগত মানদণ্ডকে বহুগুণ ছাড়িয়ে যায়।
অন্যান্য ডিভাইসগুলো যেখানে কেবল হালকা পানির ছিটা সামলাতে পারে, সেখানে আইপি ৬৯ প্রো প্রতিকূল পরিবেশ ও ব্যবহারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। আকস্মিক বর্ষার বৃষ্টি, পানির প্রবল ধারা, দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে যাওয়া বা পানিতে ডুবে যাওয়ার পরও ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিভাইসটি মেরামতের খরচ কমিয়ে আনবে; যা এটিকে বাইরে কাজ করেন এমন মানুষ, ডেলিভারি কর্মী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় ব্যবহারকারীদের জন্য আদর্শ সঙ্গী করে তোলে। এই অনন্য সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিসট্যান্স, যা ফোনটিকে হঠাৎ পড়ে যাওয়া বা আঘাতের বিপক্ষে সুরক্ষা প্রদান করে এর দীর্ঘস্থায়ী নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
বাজেট সেগমেন্টে মানসম্মত ফিচার হিসেবে এতে যুক্ত হয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি ১২০ হার্জ এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লে। এবারই প্রথম রিয়েলমি সি-সিরিজের ফোনে অ্যামোলেড ডিসপ্লে নিয়ে আসা হয়েছে। একই দামের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল ডিভাইস হিসেবে এতে ৪০০০ নিটস পিক ব্রাইটনেস ব্যবহার করা হয়েছে। এর ডিসপ্লেতে রংগুলো দারুণভাবে বোঝা যায়, এমনকি প্রখর সূর্যালোকেও নিখুঁত ও ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল প্রদান করে ফোনটিকে নেভিগেশন বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনের জন্য একদম যথার্থ করে তোলে। যাত্রাপথের ব্যস্ততায় সমৃদ্ধ অডিও অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে এতে ৪০০% আলট্রা বুম স্পিকার ও ৯২.৩% স্ক্রিন-টু-বডি রেশিও নিয়ে আসা হয়েছে, যা দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। সব মিলিয়ে ডিসপ্লের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে সি৮৫ প্রো, যা আর্থিক সাশ্রয়েরও নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

এ সমস্ত সহনশীলতাকে আরও সক্ষম করে তুলতে এতে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে বড় ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার টাইটান ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। সারা দিন ফোন চার্জ করার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে এই আলট্রা ব্যাটারি, যা এমনকি ব্যস্ততম দিনেও ব্যবহারকারীদের আত্মবিশ্বাসী রাখে। একবার সম্পূর্ণ চার্জে এটি ১১৮ ঘণ্টা মিউজিক প্লেব্যাক, ৫৯ ঘণ্টা কলিং ও ১৯ ঘণ্টা ভিডিও স্ট্রিমিং করার সক্ষম রাখে। রিচার্জের সময় ফোনটির ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফাস্ট চার্জিং মাত্র ৩০ মিনিটেই ৫০% চার্জ করতে সক্ষম। এর ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিং এই অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করে; ব্যবহারকারীদের চলার পথে অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ বা ফোন চার্জ করতে সহায়তা করে এটিকে একটি পোর্টেবল পাওয়ার ব্যাংকে পরিণত করে। ডিভাইসের দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিতে ব্যাটারির হেলথ ৬ বছর পর্যন্ত একইরকম কার্যকর থাকবে।
একই প্রাইস-রেঞ্জের ফোনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো-তে নির্ভরযোগ্য স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি স্মুথ মাল্টিটাস্কিং, স্থিতিশীল কানেকটিভিটি ও কার্যকর শক্তি ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেয়। ফোনটিতে মেমোরির শক্তিশালী বিকল্প হিসেবে ৮ জিবি র্যাম (২৪ জিবি পর্যন্ত এক্সপান্ডেবল) ও ২৫৬ জিবি স্টোরেজ রয়েছে। এর ৫০ মেগাপিক্সেল এআই রেয়ার ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা আপনাকে যেকোনো পরিবেশে স্পষ্ট ও প্রাণবন্ত ছবি তোলার নিশ্চয়তা দেবে; এর ইন্টেলিজেন্ট এআই ইমেজিং টুল ফটোগ্রাফিকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে এতে একাধিক এআই-চালিত অপটিমাইজেশনের সমন্বয় করা হয়েছে। এর এআই নেটওয়ার্ক বুস্ট (ডেটার গতি ২২% পর্যন্ত বাড়ায়) ও এআই কল ভলিউম বুস্ট কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও স্পষ্ট যোগাযোগ নিশ্চিত করে। এর আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো এআই এডিট জিনি, যা ব্যবহারকারীর ভয়েস-সক্ষম ফটো এডিটিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে দ্রুত ছবি এডিটের সুযোগ করে দেয়। ফলে, সোশ্যাল মিডিয়া ক্রিয়েটর ও প্রতিদিনের ব্যবহারকারীদের জন্য ছবি এডিটিং আরও সহজ হয়ে ওঠে।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত অনন্য লাইট ফেদার ডিজাইনে নিয়ে আসা হয়েছে রিয়েলমি সি৮৫ প্রো। স্টাইল ও তারুণ্যের অনন্য সমন্বয় হিসেবে প্যারট পার্পল ও পিকক গ্রিন এই দুইটি নজরকাড়া রঙে ডিভাইসটি নিয়ে আসা হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে সহজলভ্য এই ফোনটির কারণে এখন সবাই উন্নত ফিচারগুলো ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এখন তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই ফোনটি। এর ৬ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২০,৯৯৯ টাকা, ৮ জিবি + ১২৮ জিবির দাম মাত্র ২২,৯৯৯ টাকা ও ৮ জিবি + ২৫৬ জিবির দাম মাত্র ২৪,৯৯৯ টাকা।
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো কেবল একটি সাশ্রয়ী স্মার্টফোন নয়। এ থেকে বোঝা যায়, অ্যামোলেড ডিসপ্লে, সুবিশাল ব্যাটারি ও বিশ্বমানের আইপি ৬৯ প্রো ওয়াটার প্রুফিংয়ের মতো অনবদ্য উদ্ভাবনগুলো এখন আর প্রিমিয়াম দামের মধ্যে থাকছে না।

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
০৪ মার্চ ২০২৪
দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
৯ ঘণ্টা আগে
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
যদি আগামী এক দশকে মাস্ক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন, তবে তিনি টেসলার ১ ট্রিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৫ লাখ কোটি টাকার সমতুল্য) সমমূল্যের শেয়ারের অধিকারী হবেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো— ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এই বিপুল অঙ্কের ব্যক্তিগত সম্পদ বিশ্বের বহু উন্নত অর্থনীতির বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) থেকেও বেশি। এই সংখ্যাটি বাস্তবে ঠিক কী বোঝায়, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
১ ট্রিলিয়ন ডলারে কী কী কেনা যায়?
ইলন মাস্কের বেতনের এই সম্ভাব্য অর্থ এতই বিশাল যে, বিষয়টির বিশালতা বোঝাতে বিশ্লেষকদের বৃহৎ করপোরেট এমনকি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করতে হচ্ছে। কারণ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো অঙ্ক প্রচলিত যেকোনো তুলনামূলক হিসাবে অর্থ বোঝানোর সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
একটি সাধারণ সময়সীমার হিসেবে, যদি কোনো ব্যক্তি প্রতি সেকেন্ডে ৪০ ডলার খরচ করতে থাকেন, তবে এই অর্থ নিঃশেষ করতে তাঁর প্রায় ৮০০ বছর লাগবে!
সম্পদ ক্রয়ের ভিত্তিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে যা কেনা সম্ভব:
যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের সমস্ত বাড়ি: প্রায় ৫ লাখ ৭২ হাজার বাড়ির গড় মূল্য ৮ লাখ ২৬ হাজার ডলার ধরলে, পুরো রাজ্যের আবাসন খাত এই অর্থের মধ্যে স্বচ্ছন্দেই কেনা সম্ভব।
একাধিক বৈশ্বিক করপোরেশন: পুরো আইভি লিগ-এর তহবিল পাঁচবারের বেশি কেনা যেতে পারে। কোকাকোলা অধিগ্রহণ করার পরও এই অর্থ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থাকবে যা দিয়ে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্য এক বারো-প্যাক কোক কেনা সম্ভব।
বিশ্বের বৃহৎ সব অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা: টয়োটা, ফক্সওয়াগন, স্টেলান্টিস, হুন্দাই, ফোর্ড এবং জেনারেল মোটরস এক সঙ্গে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একক কোম্পানির অধীনে আনা যেতে পারে।
শিল্প-স্তরের অবকাঠামো: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে ৩০০টিরও বেশি অতি-উচ্চ আকাশচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণ করা যেতে পারে, যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। অথবা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ ‘আইকন অব দ্য সিস’ আকারের ৪৬০টিরও বেশি জাহাজ কেনা যেতে পারে।
একটি ব্যক্তিগত নৌবাহিনী-আকারের বহর: বেশ কয়েকশ গভীর সমুদ্রের জাহাজ মোতায়েন করা যেতে পারে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় নৌবহরের আকারের সমান।
অতি-বিলাসবহুল সম্পদ: জেফ বেজোসের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মেগা-ইয়টটি ২ হাজার বার তৈরি করা যেতে পারে, এমনকি প্রতিটি জাহাজের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যা কোটি কোটি ডলারে পৌঁছে, তা সহই।
জ্বালানি শিল্পে বৃহৎ সংস্থা: এক্সনমোবিল, শেভরন এবং কনোকোফিলিপস, অর্থাৎ তিনটি বৃহত্তম পাবলিকলি ট্রেডেড মার্কিন তেল কোম্পানি, সবকটিই সরাসরি কেনা যাবে।
দেশব্যাপী নগদ অর্থ বিতরণ: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে প্রায় ৩ হাজার ডলার নগদ অর্থ দেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের জিডিপির সঙ্গে তুলনা
ইলন মাস্কের বর্তমান মোট সম্পদ ইতিমধ্যে ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মতো বেশ কয়েকটি দেশের বার্ষিক জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে।
যদি মাস্ক সম্পূর্ণ বেতন প্যাকেজটি অর্জন করেন, তবে তাঁর ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থান এমন এক ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করবে, যেখানে কেবল বৃহৎ অর্থনীতিকেই রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সে ক্ষেত্রে তাঁর সম্ভাব্য সম্পদ সুইজারল্যান্ডের বার্ষিক জিডিপির থেকেও বড় হবে এবং তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের জিডিপির চেয়ে সামান্য কম হবে।
টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের এই ভোটের ফলে ইলন মাস্ক আর কেবল একজন করপোরেট নেতা নন। তিনি ইকুইটি এবং বাজার মূল্যের ভিত্তিতে তাঁর আর্থিক অবস্থান এখন এমন এক ‘রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের’ মতো ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়, যিনি কেবল তাঁর আর্থিক সক্ষমতা ও বিশালতার জোরেই বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। টেসলা যদি এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করতে পারে, তবে তাঁর সেই প্রভাব আরও বাড়বে।

বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছেন, যা করপোরেট বিশ্বের ইতিহাসে এর আগে কেউ কল্পনাও করেনি।
যদি আগামী এক দশকে মাস্ক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেন, তবে তিনি টেসলার ১ ট্রিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮৫ লাখ কোটি টাকার সমতুল্য) সমমূল্যের শেয়ারের অধিকারী হবেন। তবে কর ও অন্যান্য কর্তনের পর প্রকৃত মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৮৭৮ বিলিয়ন ডলার। আগামী দশকে মাস্কের লক্ষ্য হলো— ২ কোটি গাড়ি উৎপাদন, ১০ লাখ রোবোট্যাক্সি চালু, ১০ লাখ রোবট বিক্রি এবং ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল মুনাফা অর্জন। তবে এ জন্য টেসলার বাজারমূল্যও বাড়াতে হবে—বর্তমান ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে প্রথমে ২ ট্রিলিয়ন, এরপর ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
এই বিপুল অঙ্কের ব্যক্তিগত সম্পদ বিশ্বের বহু উন্নত অর্থনীতির বার্ষিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) থেকেও বেশি। এই সংখ্যাটি বাস্তবে ঠিক কী বোঝায়, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
১ ট্রিলিয়ন ডলারে কী কী কেনা যায়?
ইলন মাস্কের বেতনের এই সম্ভাব্য অর্থ এতই বিশাল যে, বিষয়টির বিশালতা বোঝাতে বিশ্লেষকদের বৃহৎ করপোরেট এমনকি দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করতে হচ্ছে। কারণ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো অঙ্ক প্রচলিত যেকোনো তুলনামূলক হিসাবে অর্থ বোঝানোর সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
একটি সাধারণ সময়সীমার হিসেবে, যদি কোনো ব্যক্তি প্রতি সেকেন্ডে ৪০ ডলার খরচ করতে থাকেন, তবে এই অর্থ নিঃশেষ করতে তাঁর প্রায় ৮০০ বছর লাগবে!
সম্পদ ক্রয়ের ভিত্তিতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে যা কেনা সম্ভব:
যুক্তরাষ্ট্রের বিলাসবহুল হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের সমস্ত বাড়ি: প্রায় ৫ লাখ ৭২ হাজার বাড়ির গড় মূল্য ৮ লাখ ২৬ হাজার ডলার ধরলে, পুরো রাজ্যের আবাসন খাত এই অর্থের মধ্যে স্বচ্ছন্দেই কেনা সম্ভব।
একাধিক বৈশ্বিক করপোরেশন: পুরো আইভি লিগ-এর তহবিল পাঁচবারের বেশি কেনা যেতে পারে। কোকাকোলা অধিগ্রহণ করার পরও এই অর্থ থেকে শত শত বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থাকবে যা দিয়ে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্য এক বারো-প্যাক কোক কেনা সম্ভব।
বিশ্বের বৃহৎ সব অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা: টয়োটা, ফক্সওয়াগন, স্টেলান্টিস, হুন্দাই, ফোর্ড এবং জেনারেল মোটরস এক সঙ্গে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের একক কোম্পানির অধীনে আনা যেতে পারে।
শিল্প-স্তরের অবকাঠামো: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে ৩০০টিরও বেশি অতি-উচ্চ আকাশচুম্বী অট্টালিকা নির্মাণ করা যেতে পারে, যার প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। অথবা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ ‘আইকন অব দ্য সিস’ আকারের ৪৬০টিরও বেশি জাহাজ কেনা যেতে পারে।
একটি ব্যক্তিগত নৌবাহিনী-আকারের বহর: বেশ কয়েকশ গভীর সমুদ্রের জাহাজ মোতায়েন করা যেতে পারে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় নৌবহরের আকারের সমান।
অতি-বিলাসবহুল সম্পদ: জেফ বেজোসের ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মেগা-ইয়টটি ২ হাজার বার তৈরি করা যেতে পারে, এমনকি প্রতিটি জাহাজের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ যা কোটি কোটি ডলারে পৌঁছে, তা সহই।
জ্বালানি শিল্পে বৃহৎ সংস্থা: এক্সনমোবিল, শেভরন এবং কনোকোফিলিপস, অর্থাৎ তিনটি বৃহত্তম পাবলিকলি ট্রেডেড মার্কিন তেল কোম্পানি, সবকটিই সরাসরি কেনা যাবে।
দেশব্যাপী নগদ অর্থ বিতরণ: এক ট্রিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিককে প্রায় ৩ হাজার ডলার নগদ অর্থ দেওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের জিডিপির সঙ্গে তুলনা
ইলন মাস্কের বর্তমান মোট সম্পদ ইতিমধ্যে ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মতো বেশ কয়েকটি দেশের বার্ষিক জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে।
যদি মাস্ক সম্পূর্ণ বেতন প্যাকেজটি অর্জন করেন, তবে তাঁর ব্যক্তিগত আর্থিক অবস্থান এমন এক ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করবে, যেখানে কেবল বৃহৎ অর্থনীতিকেই রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সে ক্ষেত্রে তাঁর সম্ভাব্য সম্পদ সুইজারল্যান্ডের বার্ষিক জিডিপির থেকেও বড় হবে এবং তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের জিডিপির চেয়ে সামান্য কম হবে।
টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের এই ভোটের ফলে ইলন মাস্ক আর কেবল একজন করপোরেট নেতা নন। তিনি ইকুইটি এবং বাজার মূল্যের ভিত্তিতে তাঁর আর্থিক অবস্থান এখন এমন এক ‘রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের’ মতো ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়, যিনি কেবল তাঁর আর্থিক সক্ষমতা ও বিশালতার জোরেই বিশ্ববাজারকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। টেসলা যদি এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করতে পারে, তবে তাঁর সেই প্রভাব আরও বাড়বে।

২০০৭ থেকে ২০২৪ বিয়োগ করলে উত্তর হয় ১৭। কিন্তু উল্টো করে দেখলে সেটা আঠারোর ঘরে প্রবেশ। সতেরো শেষ হলে আঠারোই হয়। দেশের অন্যতম সেরা প্রযুক্তিপণ্য বিপণন প্রতিষ্ঠান স্টারটেক পদার্পণ করল ১৮ বছরে।
০৪ মার্চ ২০২৪
দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগে
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
৯ ঘণ্টা আগে
রিয়েলমি সি৮৫ প্রো নিয়ে আসার মাধ্যমে বাজেট-সাশ্রয়ী স্মার্টফোনে আবারও নতুন মাত্রা যোগ করল রিয়েলমি। বলে হচ্ছে, এটিই এই সেগমেন্টের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও ওয়াটার-রেজিজট্যান্ট ফোন। এর আগে বিপুলভাবে জনপ্রিয় রিয়েলমি সি৭৫ এর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সি৮৫ প্রো ডিউরেবিলিটি ও পারফরম্যান্সকে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
১৩ ঘণ্টা আগে