অনলাইন ডেস্ক
নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই একটি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সঠিক প্রার্থীকে খুঁজে বের করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণত যুক্তি, মৌখিক দক্ষতা বা আচরণগত মূল্যায়নের মতো পরীক্ষার পাশাপাশি সাক্ষাৎকারের আশ্রয় নিতে হয়। তারপরও গবেষণা বলছে—প্রচলিত এই পদ্ধতিগুলো সব সময় কার্যকর হয় না এবং অনেক সময়ই চাকরিতে সফল হওয়ার প্রকৃত যোগ্যতা নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়।
এই কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব প্রকৃত কাজের অভিজ্ঞতার কাছাকাছি হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান চেষ্টা করছে এমন প্রশ্ন বা পদ্ধতি তৈরি করতে, যেগুলো কর্মস্থলের বাস্তব পরিবেশের আলোকে হবে।
তবে কল্পিত পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানানো কখনোই বাস্তব পরিস্থিতির অভিজ্ঞতার সমান নয়। আবার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীও যদি বাস্তব ঘটনা অনুকরণে দক্ষ না হন, তবে তা আরও সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। এই জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একটি বাস্তবসম্মত ও সময়-সাশ্রয়ী সমাধান দিতে পারে।
‘অ্যাথিনা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এর বাস্তব উদাহরণ। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করে। প্রার্থীদের লিখিত যোগাযোগ, চিন্তাশক্তি ও কম্পিউটার দক্ষতার মূল্যায়নের পাশাপাশি তারা এখন এআই-ভিত্তিক সিমুলেশন যুক্ত করেছে। এসব সিমুলেশনে দেখা যায়—একটিতে একটি চ্যাটবট হয়রানিকর এক নতুন ক্লায়েন্টের ভূমিকায় থাকে, যার সঙ্গে প্রার্থীকে কথোপকথন চালাতে হয়। আরেকটিতে প্রার্থীকে ইমেইলের মাধ্যমে একটি অফিস ইভেন্ট সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোথাও আবার প্রার্থীকে একটি ভার্চুয়াল ইনবক্স দেওয়া হয়, যেখানে তাঁকে বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতির (যেমন ফ্লাইট বাতিল বা ব্যবসায়িক সংকট) মোকাবিলা করতে হয়।
এই সিমুলেশনগুলো শুধু পরিস্থিতি তুলে ধরে না, বরং প্রার্থীর প্রতিক্রিয়াও মূল্যায়ন করে—বিশ্লেষণ করে তারা কতটা যুক্তিবাদী, সচেতন ও লক্ষ্যনির্ভর।
প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অ্যাথিনার ৫৫০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৩.৪ শতাংশকে এই দুটি পদ্ধতির মাধ্যমেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এআই সিমুলেশন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের জন্য কাস্টমাইজ করা সম্ভব—বিনিয়োগকারী, বিক্রয়কর্মী, মানবসম্পদ কর্মকর্তা ইত্যাদি সবার জন্য। অ্যামাজন, ইউনিলিভার, ডেলটা এয়ারলাইনস, সিমেন্স-এর মতো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এআই ব্যবহারে এগিয়ে এসেছে।
তবে সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কার্যকর এআই সিমুলেশন নির্ভুলভাবে তৈরি করতে জানতে হয়। বিশেষ করে, কোন পদের কর্মীরা আসলে কী কাজ করেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হয়।
তবে সুবিধাগুলো উপেক্ষা করা যায় না—পরিবর্তন যোগ্যতা, খরচ কমানো, বাস্তবতাসম্মত পরিস্থিতি তৈরি, যুক্তিসম্মত বিশ্লেষণ ও সময় বাঁচানো। ভবিষ্যতে এই সিমুলেশন আরও নিখুঁত হবে এবং হয়তো এমন কিছু প্রতিভাও খুঁজে বের করতে পারবে, যারা প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে নজরে আসে না।
সব মিলিয়ে বলা যায়, নিয়োগের ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও এর সম্ভাবনা অপরিসীম। এটি শুধু সময়ের অপেক্ষা, কখন প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহার শুরু করবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই একটি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সঠিক প্রার্থীকে খুঁজে বের করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণত যুক্তি, মৌখিক দক্ষতা বা আচরণগত মূল্যায়নের মতো পরীক্ষার পাশাপাশি সাক্ষাৎকারের আশ্রয় নিতে হয়। তারপরও গবেষণা বলছে—প্রচলিত এই পদ্ধতিগুলো সব সময় কার্যকর হয় না এবং অনেক সময়ই চাকরিতে সফল হওয়ার প্রকৃত যোগ্যতা নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়।
এই কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া যতটা সম্ভব প্রকৃত কাজের অভিজ্ঞতার কাছাকাছি হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান চেষ্টা করছে এমন প্রশ্ন বা পদ্ধতি তৈরি করতে, যেগুলো কর্মস্থলের বাস্তব পরিবেশের আলোকে হবে।
তবে কল্পিত পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া জানানো কখনোই বাস্তব পরিস্থিতির অভিজ্ঞতার সমান নয়। আবার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীও যদি বাস্তব ঘটনা অনুকরণে দক্ষ না হন, তবে তা আরও সীমাবদ্ধতা তৈরি করে। এই জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একটি বাস্তবসম্মত ও সময়-সাশ্রয়ী সমাধান দিতে পারে।
‘অ্যাথিনা’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এর বাস্তব উদাহরণ। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করে। প্রার্থীদের লিখিত যোগাযোগ, চিন্তাশক্তি ও কম্পিউটার দক্ষতার মূল্যায়নের পাশাপাশি তারা এখন এআই-ভিত্তিক সিমুলেশন যুক্ত করেছে। এসব সিমুলেশনে দেখা যায়—একটিতে একটি চ্যাটবট হয়রানিকর এক নতুন ক্লায়েন্টের ভূমিকায় থাকে, যার সঙ্গে প্রার্থীকে কথোপকথন চালাতে হয়। আরেকটিতে প্রার্থীকে ইমেইলের মাধ্যমে একটি অফিস ইভেন্ট সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোথাও আবার প্রার্থীকে একটি ভার্চুয়াল ইনবক্স দেওয়া হয়, যেখানে তাঁকে বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতির (যেমন ফ্লাইট বাতিল বা ব্যবসায়িক সংকট) মোকাবিলা করতে হয়।
এই সিমুলেশনগুলো শুধু পরিস্থিতি তুলে ধরে না, বরং প্রার্থীর প্রতিক্রিয়াও মূল্যায়ন করে—বিশ্লেষণ করে তারা কতটা যুক্তিবাদী, সচেতন ও লক্ষ্যনির্ভর।
প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অ্যাথিনার ৫৫০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৩.৪ শতাংশকে এই দুটি পদ্ধতির মাধ্যমেই অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এআই সিমুলেশন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রের জন্য কাস্টমাইজ করা সম্ভব—বিনিয়োগকারী, বিক্রয়কর্মী, মানবসম্পদ কর্মকর্তা ইত্যাদি সবার জন্য। অ্যামাজন, ইউনিলিভার, ডেলটা এয়ারলাইনস, সিমেন্স-এর মতো প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এআই ব্যবহারে এগিয়ে এসেছে।
তবে সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কার্যকর এআই সিমুলেশন নির্ভুলভাবে তৈরি করতে জানতে হয়। বিশেষ করে, কোন পদের কর্মীরা আসলে কী কাজ করেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হয়।
তবে সুবিধাগুলো উপেক্ষা করা যায় না—পরিবর্তন যোগ্যতা, খরচ কমানো, বাস্তবতাসম্মত পরিস্থিতি তৈরি, যুক্তিসম্মত বিশ্লেষণ ও সময় বাঁচানো। ভবিষ্যতে এই সিমুলেশন আরও নিখুঁত হবে এবং হয়তো এমন কিছু প্রতিভাও খুঁজে বের করতে পারবে, যারা প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে নজরে আসে না।
সব মিলিয়ে বলা যায়, নিয়োগের ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও এর সম্ভাবনা অপরিসীম। এটি শুধু সময়ের অপেক্ষা, কখন প্রতিষ্ঠানগুলো এই প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহার শুরু করবে।
চীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৭ ঘণ্টা আগে