ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন ডিজিটাল নীতির পরিপ্রেক্ষিতে আইফোনে প্রথম পর্নোগ্রাফি অ্যাপের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাপল। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে কোম্পানিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের বিষয় ইউরোপীয় বাজারে গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২০০৮ সালে আইফোনে অ্যাপ স্টোর চালু করার পর থেকে ডিভাইসটিতে অ্যাপ ডাউনলোডের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে অ্যাপল। ২০১০ সালে সাবেক সিইও স্টিভ জবস বলেছিলেন, ‘আইফোন থেকে পর্নোগ্রাফি দূরে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’ এবং এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নেওয়াই অ্যাপলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।
তবে, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ) চালুর পর অ্যাপলের এই নিয়ন্ত্রণে পরিবর্তন আসে, যার ফলে এখন বিকল্প অ্যাপ স্টোরগুলো রাখার অনুমতি দিতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। এই নতুন নিয়মের আওতায় ‘অ্যাল্টস্টোর’ নামক একটি স্টোর থেকে ‘হট টাব’ নামের একটি পর্নোগ্রাফি অ্যাপ আইফোনে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। এই অ্যাপ নিজেকে ‘একটি ব্যক্তিগত, সুরক্ষিত এবং মার্জিত উপায়ে পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট ব্রাউজ করার উপায়’ হিসেবে উল্লেখ করে।
বিবৃতিতে অ্যাপল জানায়, ‘আমরা এ ধরনের অ্যাপ ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের জন্য সুরক্ষা ঝুঁকি, বিশেষত শিশুদের জন্য বিপদ সৃষ্টির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই অ্যাপের মতো অন্যান্য অ্যাপের উপস্থিতি আমাদের ইকোসিস্টেমে গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট করবে।’
এর আগে অ্যাপলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ট্রাস্ট অভিযোগ দায়ের করেছে এপিক গেমস, যার মাধ্যমে তারা অ্যাপলের ব্যবসায়িক শর্তাবলি এবং একচেটিয়া শক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
অ্যাল্টস্টোর জানায় যে, তারা ‘ফোর্টনাইট’ ভিডিও গেম নির্মাতা এপিক গেমসের সমর্থন পেয়েছে। এই অর্থ অ্যাপলের ফি পরিশোধে ব্যবহার করেছে অ্যাল্টস্টোর। কারণ বিকল্প অ্যাপ স্টোরগুলো থেকে ফি নেয় অ্যাপল।
অ্যাল্টস্টোর দাবি করেছে, তারা ‘হট টাব’ অ্যাপটি অ্যাপলের দ্বারা নোটারাইজড (প্রমাণিত) করেছে, যার ফলে এটি বিশ্বের প্রথম ‘অ্যাপল অনুমোদিত পর্নোগ্রাফি অ্যাপ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, অ্যাপল যখন কোনো অ্যাপকে ‘নোটারাইজ’ করে, তখন তারা মূলত সেই অ্যাপের নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি যাচাই করে। যেমন: কোনো ম্যালওয়্যার (ভাইরাস বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার) থাকছে কি না, সেগুলো পরীক্ষা করা হয়।
তবে, এ ব্যাপারে একেবারে ভিন্ন মত প্রকাশ করে অ্যাপল বলেছে, ‘আমরা এই অ্যাপের অনুমোদন দিইনি এবং কখনোই এটি আমাদের অ্যাপ স্টোরে থাকতে দিতাম না। বর্তমানে ইউরোপীয় কমিশনের নির্দেশের কারণে আমরা এটি আইফোনে রাখার অনুমতি দিতে বাধ্য।’
এক পোস্টে এপিক গেমসের সিইও টিম সুইনি বলেন, তার সংস্থা ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের (ডিএমএ) মতো আইনগুলোর সমর্থন করে। কারণ ‘যখন অ্যাপলকে প্রতিযোগী অ্যাপ এবং স্টোরের নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায়, তখন তারা ওই ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তিনি আরও যোগ করেন, এপিক গেমসের নিজস্ব অ্যাপ স্টোর রয়েছে, যা গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে চালু হয়েছে। তবে সেখানে ‘হট টাব’ অ্যাপটি নেই এবং কখনোই পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনো অ্যাপ সেখানে রাখা হয়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন ডিজিটাল নীতির পরিপ্রেক্ষিতে আইফোনে প্রথম পর্নোগ্রাফি অ্যাপের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাপল। গত সোমবার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে কোম্পানিটি। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের বিষয় ইউরোপীয় বাজারে গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২০০৮ সালে আইফোনে অ্যাপ স্টোর চালু করার পর থেকে ডিভাইসটিতে অ্যাপ ডাউনলোডের বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে অ্যাপল। ২০১০ সালে সাবেক সিইও স্টিভ জবস বলেছিলেন, ‘আইফোন থেকে পর্নোগ্রাফি দূরে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব’ এবং এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নেওয়াই অ্যাপলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল।
তবে, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট (ডিএমএ) চালুর পর অ্যাপলের এই নিয়ন্ত্রণে পরিবর্তন আসে, যার ফলে এখন বিকল্প অ্যাপ স্টোরগুলো রাখার অনুমতি দিতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। এই নতুন নিয়মের আওতায় ‘অ্যাল্টস্টোর’ নামক একটি স্টোর থেকে ‘হট টাব’ নামের একটি পর্নোগ্রাফি অ্যাপ আইফোনে ডাউনলোড করা যাচ্ছে। এই অ্যাপ নিজেকে ‘একটি ব্যক্তিগত, সুরক্ষিত এবং মার্জিত উপায়ে পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট ব্রাউজ করার উপায়’ হিসেবে উল্লেখ করে।
বিবৃতিতে অ্যাপল জানায়, ‘আমরা এ ধরনের অ্যাপ ইউরোপীয় ব্যবহারকারীদের জন্য সুরক্ষা ঝুঁকি, বিশেষত শিশুদের জন্য বিপদ সৃষ্টির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এই অ্যাপের মতো অন্যান্য অ্যাপের উপস্থিতি আমাদের ইকোসিস্টেমে গ্রাহকদের আস্থা নষ্ট করবে।’
এর আগে অ্যাপলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ট্রাস্ট অভিযোগ দায়ের করেছে এপিক গেমস, যার মাধ্যমে তারা অ্যাপলের ব্যবসায়িক শর্তাবলি এবং একচেটিয়া শক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।
অ্যাল্টস্টোর জানায় যে, তারা ‘ফোর্টনাইট’ ভিডিও গেম নির্মাতা এপিক গেমসের সমর্থন পেয়েছে। এই অর্থ অ্যাপলের ফি পরিশোধে ব্যবহার করেছে অ্যাল্টস্টোর। কারণ বিকল্প অ্যাপ স্টোরগুলো থেকে ফি নেয় অ্যাপল।
অ্যাল্টস্টোর দাবি করেছে, তারা ‘হট টাব’ অ্যাপটি অ্যাপলের দ্বারা নোটারাইজড (প্রমাণিত) করেছে, যার ফলে এটি বিশ্বের প্রথম ‘অ্যাপল অনুমোদিত পর্নোগ্রাফি অ্যাপ’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, অ্যাপল যখন কোনো অ্যাপকে ‘নোটারাইজ’ করে, তখন তারা মূলত সেই অ্যাপের নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি যাচাই করে। যেমন: কোনো ম্যালওয়্যার (ভাইরাস বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার) থাকছে কি না, সেগুলো পরীক্ষা করা হয়।
তবে, এ ব্যাপারে একেবারে ভিন্ন মত প্রকাশ করে অ্যাপল বলেছে, ‘আমরা এই অ্যাপের অনুমোদন দিইনি এবং কখনোই এটি আমাদের অ্যাপ স্টোরে থাকতে দিতাম না। বর্তমানে ইউরোপীয় কমিশনের নির্দেশের কারণে আমরা এটি আইফোনে রাখার অনুমতি দিতে বাধ্য।’
এক পোস্টে এপিক গেমসের সিইও টিম সুইনি বলেন, তার সংস্থা ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের (ডিএমএ) মতো আইনগুলোর সমর্থন করে। কারণ ‘যখন অ্যাপলকে প্রতিযোগী অ্যাপ এবং স্টোরের নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায়, তখন তারা ওই ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিযোগিতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
তিনি আরও যোগ করেন, এপিক গেমসের নিজস্ব অ্যাপ স্টোর রয়েছে, যা গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে চালু হয়েছে। তবে সেখানে ‘হট টাব’ অ্যাপটি নেই এবং কখনোই পর্নোগ্রাফি সম্পর্কিত কোনো অ্যাপ সেখানে রাখা হয়নি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
৯ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
৯ ঘণ্টা আগেনতুন চিপসেট ‘স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট ২’ নিয়ে কাজ করছে চিপ নির্মাতা কোম্পানি কোয়ালকম। এই চিপ পরবর্তী প্রজন্মের একটি শক্তিশালী প্রসেসর, যা নতুন আইফোন ১৭-এর পারফরম্যান্সকেও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
১২ ঘণ্টা আগেব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কনস্টেলেশন প্রকল্প ‘প্রজেক্ট কুইপার’-এর প্রথম ২৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ই–কমার্স জায়ান্ট আমাজন। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারলিংককে চ্যালেঞ্জ জানাল কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে স্যাটেলাইটগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে