জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা
বসন্তকালেই বেশ গরম পড়ে গেছে। এর মধ্যে বেড়েছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। একদিকে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, এর মধ্যে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘এল নিনো’র প্রভাবে এবার গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ হবে এবং তাপমাত্রাও রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে গ্রীষ্মকালে বেশি ফ্যান চালাতে হবে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসবে!
তবে ফ্যান জোরে চালালে বা আস্তে চালালে বিদ্যুৎ খরচে হেরফের হয় কি না—এ নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকে বলেন, ফ্যান জোরে ঘুরুক আর আস্তে ঘুরুক বিদ্যুৎ খরচ সমান হয়। আসলেই কি তাই? বিষয়টি বুঝতে হলে কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা দরকার।
একটি ফ্যান কী পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করবে, সেটি বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন—ব্র্যান্ড, কয়েলের মান, পাখার (ব্লেড) দৈর্ঘ্য, দৈনিক গড়ে কতক্ষণ চলে, বাতাস সরবরাহের হার, সরবরাহকৃত বাতাসের গতি, প্রতি মিনিটে ঘূর্ণনের হার ইত্যাদি।
সাধারণত, ৩০ ইঞ্চির ফ্যান ৪২ ওয়াট, ৩৬ ইঞ্চির ৫৫ ওয়াট, ৪২ ইঞ্চির ৬৫ ওয়াট, ৪৮ ইঞ্চির ৭৫ ওয়াট এবং ৫২ ইঞ্চির ফ্যান ৮৪ বিদ্যুৎ খরচ করে।
ফ্যানের শক্তির পরিমাপ করা হয় ওয়াট এবং কিলোওয়াটে। এটি মূলত একটি ডিভাইস যে হারে বিদ্যুৎ খরচ করে তার হিসাব। উদাহরণস্বরূপ, একটি ১০০ ওয়াটের সিলিং ফ্যান প্রতি ঘণ্টায় ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। যেখানে ১০০ ওয়াটে হয় এক কিলোওয়াট।
প্রতি ঘণ্টায় একটি সিলিং ফ্যানের বিদ্যুৎ খরচ কিলোওয়াট–ঘণ্টায় পরিমাপ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ১০০ ওয়াটের ফ্যান ২৪ ঘণ্টা একটানা চললে ২ হাজার ৪০০ ওয়াট–ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা ২ দশমিক ৪ কিলোওয়াট ঘণ্টা। অর্থাৎ এটি দৈনিক ২ দশমিক ৪ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করবে।
ফ্যানের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তিটি তৈরি হয় গতি নিয়ে। অনেকে ভাবেন জোরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। আবার কেউ বলেন, ফ্যানের ঘূর্ণন গতির সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ কমবেশি হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
এই বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করা যাক:
ফ্যানের গতিনিয়ন্ত্রণ করতে যে রেগুলেটর ব্যবহার করা হয় সেটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। একধরনের রেগুলেটরে পটেনশিওমিটার ব্যবহার করা হয়। এই মিটার ফ্যানের লাইনের সঙ্গে সিরিজ (শ্রেণি) বর্তনীতে যুক্ত থাকে। এই মিটারের ভেতরে থাকা বিভিন্ন মানের রোধক (রেসিস্ট্যান্ট) ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে ফ্যানের গতিনিয়ন্ত্রণ করে।
এই মিটার চেনার উপায় হলো: এটি সুইচ বোর্ডের ওপর ধাউস আকৃতির একটি মিটার। এতে একটি নব থাকে। গায়ে দাগ কেটে ০ থেকে ৫ বা ৬ পর্যন্ত মাত্রা লেখা থাকে। এর অর্থ হলো নবের প্রত্যেকটি ধাপের সঙ্গে আলাদা মানের রোধক যুক্ত। বিভিন্ন গতির জন্য বিভিন্ন রোধক ফ্যানের লাইনের সঙ্গে শ্রেণি বর্তনীতে যুক্ত থাকে। এভাবে বেশি মানের রোধক বেশি ভোল্টেজ কমিয়ে দেয়, ফলে ফ্যানে প্রবাহিত বিদ্যুতের ভোল্টেজ নেমে যায়, এতে ফ্যান আস্তে ঘোরে।
এই ধরনের রেগুলেটরের ক্ষেত্রে ফ্যানের গতি যাই হোক না কেন বিদ্যুৎ খরচ একই থাকে। এর কারণ হলো, সব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ প্রবাহে কোনো হেরফের হয় না এবং একই পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় হয়। বাংলাদেশে এসি বিদ্যুতের ভোল্টেজ সাধারণত ২২০ ভোল্ট। রেগুলেটরের ভেতর থাকা রোধক যখন ভোল্টেজ কমিয়ে দেয় তখন সেই হ্রাসকৃত শক্তি তাপ উৎপন্ন করে। এ কারণে এ ধরনের রেগুলেটর গরম হয়।
তবে আজকাল আর পটেনশিওমিটার ধরনের রেগুলেটর ব্যবহার করা হয় না। বাজারে এখন অনেক সস্তায় এর চেয়ে কার্যকর রেগুলেটর পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত রেগুলেটরগুলোতে ট্রায়াক (TRIAC) নিয়ন্ত্রক ব্যবহার করা হয়। এর পূর্ণ নাম ট্রায়োড ফর অলটারনেটিং কারেন্ট। ট্রায়াক হলো একটি দ্বিমুখী তিনটি ইলেকট্রোড বিশিষ্ট এসি সুইচ। এই ধরনের সুইচ নির্দিষ্ট একটি দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহের অনুমতি দেয় বা নিয়ন্ত্রণ করে।
ট্রায়াক রেগুলেটরে ফায়ারিং অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ধরনের রেগুলেটরগুলো হয় বেশ ছোট। সুইচবোর্ডের ওপর একটি সাধারণ সুইচের মতোই যুক্ত করা যায়। এর নব ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ফ্যানের গতি বাড়ানো বা কমানো যায়।
নব ঘুরিয়ে ফায়ারিং অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করার মাধ্যমে মূলত লিমিটার বা জিরো ডিটেক্টর দ্বারা বিদ্যুৎ তরঙ্গ সীমিত করা হয়। ফলে এতে ফ্যানে প্রবাহিত বিদ্যুতের গড় ভোল্টেজও কমে যায়। এভাবে ফ্যানের গতি কমানো হয়। বিদ্যুৎ শক্তির পরিমাপ করা হয় কারেন্ট (প্রবাহ) এবং ভোল্টেজের গুণফল দিয়ে (watt=amp x volt)। সুতরাং এভাবে একই সঙ্গে প্রবাহ এবং ভোল্টেজ কমিয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো যায়।
অতএব, বলা যেতে পারে, ফ্যানের গতি কমিয়ে বিদ্যুৎ খরচ কমানো যাবে কি না সেটি নির্ভর করছে কোন ধরনের রেগুলেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরোনো আমলের রোধকযুক্ত রেগুলেটর ব্যবহার করে ফ্যানের গতিনিয়ন্ত্রণ করলে আসলে বিদ্যুতের ব্যবহার কম-বেশি হয় না। ফলে খরচও বাঁচবে না। কিন্তু ট্রায়াক টাইপের রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ খরচ কমবেশি হবে। অর্থাৎ কম গতিতে ফ্যান ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচও কম হবে।
বসন্তকালেই বেশ গরম পড়ে গেছে। এর মধ্যে বেড়েছে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। একদিকে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, এর মধ্যে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘এল নিনো’র প্রভাবে এবার গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ হবে এবং তাপমাত্রাও রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে গ্রীষ্মকালে বেশি ফ্যান চালাতে হবে। তাতে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বিলও বেশি আসবে!
তবে ফ্যান জোরে চালালে বা আস্তে চালালে বিদ্যুৎ খরচে হেরফের হয় কি না—এ নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। অনেকে বলেন, ফ্যান জোরে ঘুরুক আর আস্তে ঘুরুক বিদ্যুৎ খরচ সমান হয়। আসলেই কি তাই? বিষয়টি বুঝতে হলে কিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা দরকার।
একটি ফ্যান কী পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করবে, সেটি বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। যেমন—ব্র্যান্ড, কয়েলের মান, পাখার (ব্লেড) দৈর্ঘ্য, দৈনিক গড়ে কতক্ষণ চলে, বাতাস সরবরাহের হার, সরবরাহকৃত বাতাসের গতি, প্রতি মিনিটে ঘূর্ণনের হার ইত্যাদি।
সাধারণত, ৩০ ইঞ্চির ফ্যান ৪২ ওয়াট, ৩৬ ইঞ্চির ৫৫ ওয়াট, ৪২ ইঞ্চির ৬৫ ওয়াট, ৪৮ ইঞ্চির ৭৫ ওয়াট এবং ৫২ ইঞ্চির ফ্যান ৮৪ বিদ্যুৎ খরচ করে।
ফ্যানের শক্তির পরিমাপ করা হয় ওয়াট এবং কিলোওয়াটে। এটি মূলত একটি ডিভাইস যে হারে বিদ্যুৎ খরচ করে তার হিসাব। উদাহরণস্বরূপ, একটি ১০০ ওয়াটের সিলিং ফ্যান প্রতি ঘণ্টায় ১০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। যেখানে ১০০ ওয়াটে হয় এক কিলোওয়াট।
প্রতি ঘণ্টায় একটি সিলিং ফ্যানের বিদ্যুৎ খরচ কিলোওয়াট–ঘণ্টায় পরিমাপ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ১০০ ওয়াটের ফ্যান ২৪ ঘণ্টা একটানা চললে ২ হাজার ৪০০ ওয়াট–ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যা ২ দশমিক ৪ কিলোওয়াট ঘণ্টা। অর্থাৎ এটি দৈনিক ২ দশমিক ৪ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করবে।
ফ্যানের বিদ্যুৎ ব্যবহার নিয়ে সবচেয়ে বড় বিভ্রান্তিটি তৈরি হয় গতি নিয়ে। অনেকে ভাবেন জোরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। আবার কেউ বলেন, ফ্যানের ঘূর্ণন গতির সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ কমবেশি হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
এই বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করা যাক:
ফ্যানের গতিনিয়ন্ত্রণ করতে যে রেগুলেটর ব্যবহার করা হয় সেটি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। একধরনের রেগুলেটরে পটেনশিওমিটার ব্যবহার করা হয়। এই মিটার ফ্যানের লাইনের সঙ্গে সিরিজ (শ্রেণি) বর্তনীতে যুক্ত থাকে। এই মিটারের ভেতরে থাকা বিভিন্ন মানের রোধক (রেসিস্ট্যান্ট) ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে ফ্যানের গতিনিয়ন্ত্রণ করে।
এই মিটার চেনার উপায় হলো: এটি সুইচ বোর্ডের ওপর ধাউস আকৃতির একটি মিটার। এতে একটি নব থাকে। গায়ে দাগ কেটে ০ থেকে ৫ বা ৬ পর্যন্ত মাত্রা লেখা থাকে। এর অর্থ হলো নবের প্রত্যেকটি ধাপের সঙ্গে আলাদা মানের রোধক যুক্ত। বিভিন্ন গতির জন্য বিভিন্ন রোধক ফ্যানের লাইনের সঙ্গে শ্রেণি বর্তনীতে যুক্ত থাকে। এভাবে বেশি মানের রোধক বেশি ভোল্টেজ কমিয়ে দেয়, ফলে ফ্যানে প্রবাহিত বিদ্যুতের ভোল্টেজ নেমে যায়, এতে ফ্যান আস্তে ঘোরে।
এই ধরনের রেগুলেটরের ক্ষেত্রে ফ্যানের গতি যাই হোক না কেন বিদ্যুৎ খরচ একই থাকে। এর কারণ হলো, সব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ প্রবাহে কোনো হেরফের হয় না এবং একই পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় হয়। বাংলাদেশে এসি বিদ্যুতের ভোল্টেজ সাধারণত ২২০ ভোল্ট। রেগুলেটরের ভেতর থাকা রোধক যখন ভোল্টেজ কমিয়ে দেয় তখন সেই হ্রাসকৃত শক্তি তাপ উৎপন্ন করে। এ কারণে এ ধরনের রেগুলেটর গরম হয়।
তবে আজকাল আর পটেনশিওমিটার ধরনের রেগুলেটর ব্যবহার করা হয় না। বাজারে এখন অনেক সস্তায় এর চেয়ে কার্যকর রেগুলেটর পাওয়া যায়। এর মধ্যে বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত রেগুলেটরগুলোতে ট্রায়াক (TRIAC) নিয়ন্ত্রক ব্যবহার করা হয়। এর পূর্ণ নাম ট্রায়োড ফর অলটারনেটিং কারেন্ট। ট্রায়াক হলো একটি দ্বিমুখী তিনটি ইলেকট্রোড বিশিষ্ট এসি সুইচ। এই ধরনের সুইচ নির্দিষ্ট একটি দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহের অনুমতি দেয় বা নিয়ন্ত্রণ করে।
ট্রায়াক রেগুলেটরে ফায়ারিং অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ধরনের রেগুলেটরগুলো হয় বেশ ছোট। সুইচবোর্ডের ওপর একটি সাধারণ সুইচের মতোই যুক্ত করা যায়। এর নব ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ফ্যানের গতি বাড়ানো বা কমানো যায়।
নব ঘুরিয়ে ফায়ারিং অ্যাঙ্গেল পরিবর্তন করার মাধ্যমে মূলত লিমিটার বা জিরো ডিটেক্টর দ্বারা বিদ্যুৎ তরঙ্গ সীমিত করা হয়। ফলে এতে ফ্যানে প্রবাহিত বিদ্যুতের গড় ভোল্টেজও কমে যায়। এভাবে ফ্যানের গতি কমানো হয়। বিদ্যুৎ শক্তির পরিমাপ করা হয় কারেন্ট (প্রবাহ) এবং ভোল্টেজের গুণফল দিয়ে (watt=amp x volt)। সুতরাং এভাবে একই সঙ্গে প্রবাহ এবং ভোল্টেজ কমিয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো যায়।
অতএব, বলা যেতে পারে, ফ্যানের গতি কমিয়ে বিদ্যুৎ খরচ কমানো যাবে কি না সেটি নির্ভর করছে কোন ধরনের রেগুলেটর ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরোনো আমলের রোধকযুক্ত রেগুলেটর ব্যবহার করে ফ্যানের গতিনিয়ন্ত্রণ করলে আসলে বিদ্যুতের ব্যবহার কম-বেশি হয় না। ফলে খরচও বাঁচবে না। কিন্তু ট্রায়াক টাইপের রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ খরচ কমবেশি হবে। অর্থাৎ কম গতিতে ফ্যান ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচও কম হবে।
কয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেভূগর্ভস্থ পানির পাইপে কোনো ছিদ্র বা ফাটল খুঁজে বের করা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। প্রায়ই এই কাজের জন্য রাস্তা খুঁড়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে হয়। তবে এ চিত্র বদলে দিতে পারে ক্ষুদ্রাকৃতির এক রোবট, যা নিজে থেকেই পাইপে ঢুকে ছিদ্র শনাক্ত করে মেরামত করতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ তথ্য ফাঁসের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা গবেষকরা। ডেটা ব্রিচ বা তথ্য লঙ্ঘনের এই ঘটনায় ফাঁস (লিক) হয়েছে ১৬ বিলিয়ন বা ১৬ শ কোটি লগইন তথ্য ও পাসওয়ার্ড। সাইবারনিউজ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ফাঁস বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত...
১২ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি মানুষের মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রমাণ পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)-এর বিজ্ঞানীরা। প্রতিষ্ঠানটির খ্যাতনামা মিডিয়া ল্যাব পরিচালিত এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা লেখালেখির কাজে...
১৪ ঘণ্টা আগে