Ajker Patrika

অ্যাপলের ফোল্ডেবল ফোন হবে দুটি আইফোন এয়ারের মতো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আইফোন এয়ারের ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার পুরু। ছবি: অ্যাপল
আইফোন এয়ারের ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার পুরু। ছবি: অ্যাপল

অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল বা ভাঁজযোগ্য আইফোন আসছে—এমন গুঞ্জন এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি ব্লুমবার্গের বিশ্লেষক মার্ক গুরম্যান জানিয়েছেন, এই ফোনটির ডিজাইন হবে অনেকটা ‘দুই আইফোন এয়ার একসঙ্গে জোড়া লাগানোর’ মতো।

এর মানে দাঁড়াচ্ছে, ফোল্ডেবল আইফোনটি হতে পারে বেশ পাতলা। তবে সম্পূর্ণ ভাঁজ খোলা অবস্থায় গুগল পিক্সেল ফোল্ড (১০ দশমিক ৮ মিলিমিটার) ও স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৭ (৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার)-এর তুলনায় কিছুটা মোটা হতে পারে। কারণ, একটি আইফোন এয়ারের ৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার পুরু।

তবে বিশ্লেষক মিং-চি কুয়ের সূত্র বলছে, এই ফোল্ডেবল আইফোনটি খোলা অবস্থায় হতে পারে আরও পাতলা—মাত্র ৪ দশমিক ৫ মিলিমিটার।

গুরম্যান জানান, এই ডিভাইসটির দাম হবে গুগল পিক্সেল ফোল্ডের চেয়েও বেশি। অর্থাৎ, এর শুরুর দাম হতে পারে কমপক্ষে দুই হাজার মার্কিন ডলার বা তারও বেশি।

ডিজাইন আইফোন এয়ার থেকে নেওয়া হলে একটি বড় সুবিধা হতে পারে টেকসই গঠন। এখন পর্যন্ত বাজারের ফোল্ডেবল ফোনগুলো তুলনামূলক ভঙ্গুর। আর আইফোন এয়ার তৈরি হয়েছে টাইটানিয়ামের মতো মজবুত ধাতু দিয়ে।

সম্প্রতি কিছু প্রতিবেদন ইঙ্গিত দিয়েছিল, অ্যাপল তাদের ফোল্ডেবল আইফোন ভারতে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে। তবে গুরম্যান জানিয়েছেন, ডিভাইসটি মূলত চীনেই তৈরি হবে। যদিও তিনি এটাও বলেন, ‘কমপক্ষে কিছু উৎপাদন’ চীনে হবে। তাই ভারতে উৎপাদনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

গুরম্যানের তথ্যমতে, ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আসতে পারে ২০২৬ সালের শরতে, অর্থাৎ আইফোন ১৮ সিরিজের সঙ্গেই। তবে চূড়ান্ত বাজারজাতকরণ হতে পারে অক্টোবর বা নভেম্বরের দিকে। ২০১৭ সালে আইফোন এক্সও উন্মোচনের কয়েক মাস পরে বাজারজাতকরণ হয়েছিল।

এ ছাড়া গুর‍ম্যান জানান, তিনি ‘প্রায় নিশ্চিত’ যে ফোল্ডেবল আইফোনটি আগামী বছরের সেপ্টেম্বরেই উন্মোচন করা হবে।

এদিকে অ্যাপল কমিউনিটির অনেকের ধারণা, আইফোন এয়ারের ডিজাইন ছিল মূলত একটি পরীক্ষামূলক উদ্যোগ। ভবিষ্যতের ফোল্ডেবল আইফোনের জন্য প্রস্তুতি হিসেবেই এটি তৈরি করেছে অ্যাপল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত