মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
ফ্রিল্যান্সিং শিল্পে এখন কাজের মান বজায় রেখে সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করাই হলো বড় প্রতিযোগিতা। এ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা এআই ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে ডেটা এক্সট্রাকশন, কনটেন্ট রাইটিংসহ প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল কাজে এআই ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস ফুয়াদ আবির নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে এআই ব্যবহার করে সময় ও খরচ কমিয়ে বাড়িয়েছেন আয়। পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেন আবির। তাঁর মাসিক আয় এখন ৮০০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ডলার।
এআই নিয়ে তিন মাসের কাজ এক সপ্তাহে
আগে ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে দলবদ্ধভাবে দু-তিন মাস সময় লাগত। আবির এখন এআই ব্যবহার করে একাই সে কাজ করেন এক সপ্তাহে। তিনি জানিয়েছেন, আগে ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট মিলিয়ে আলাদা দুটি দল কাজ করত। তাই সময় বেশি লাগত। এখন তিনি এআই টুলসের সাহায্যে একাই ডিজাইন থেকে ডেপ্লয়মেন্ট পর্যন্ত কাজ করেন। ফলে সময় ও ব্যয়—দুটোই কমেছে।
ফ্রিল্যান্সিং ও পড়াশোনা একসঙ্গে
আবিরের জন্য এআইভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ শুধু কাজের গতি বাড়ায়নি, পড়াশোনায় আরও সময় দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হতে পারে। তিনি তাঁর তিন বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘তৈরাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট’ নামের একটি এজেন্সি। এই এজেন্সির মাধ্যমে তাঁরা অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করেন।
প্রম্পটিং: এআই সফলতার চাবিকাঠি
নাফিস ফুয়াদ আবির মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিশালী দিক হলো প্রম্পটিং। অর্থাৎ, এআইকে সঠিক এবং বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া। এআইকে যত স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যাবে, সেটি তত ভালো ফল দেবে। আবির নতুন যাঁরা এআই ব্যবহার করতে চান, তাঁদের জন্য পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
এআই ব্যবহার করে নতুন নতুন কাজের সুযোগ
আবির ও তাঁর দল আপওয়ার্ক বা ফাইভারের মতো প্রচলিত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন। পাশাপাশি ডেটা এক্সট্রাকশন, গবেষণা ও ক্লায়েন্ট রিসার্চের জন্য গুগল ডোর্কিং পদ্ধতি এবং বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করে সরাসরি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এতে প্রতিযোগিতার চাপ কমে যায়। অন্যদিকে বেড়ে যায় ভালো প্রকল্প পাওয়ার সম্ভাবনা। আবির আরও বলেন, ‘ধৈর্য ও আগ্রহ থাকলে নতুনেরা সহজে এসব প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে পারবেন।’
ভুল ধারণা ও বাধা
অনেকে মনে করেন, এআই দিয়ে করা কাজের মান কম। আবির জানিয়েছেন, এটি একেবারেই ভুল ধারণা। সঠিক প্রম্পটিং এবং টুল ব্যবহার করে এআইয়ের সাহায্যে একই মানের কাজ দ্রুত করা সম্ভব। যাঁরা এআই ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন, তাঁরা পিছিয়ে পড়বেন। যাঁরা গ্রহণ করবেন, তাঁরা আরও দক্ষ ও প্রফেশনাল হবেন।
এআই ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহায়ক, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়
এআইকে মানুষের চাকরি কেড়ে নেওয়ার একটি বিপদ হিসেবে দেখার বদলে এখন দক্ষতা বৃদ্ধির একটি সহায়ক টুল হিসেবে নিতে হবে। যাঁরা এ পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবেন এবং নিজেদের দক্ষতা সঙ্গে এআইকে কাজে লাগাবেন, তাঁরাই ভবিষ্যতে সফল হবেন।
এআই টুলস ও ব্যবহার
ফ্রিল্যান্সিংয়ে এআইভিত্তিক অসংখ্য টুলকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। যেমন চ্যাটজিপিটি বা ক্লোড দিয়ে কনটেন্ট লেখা, প্রম্পটিং ও আইডিয়া জেনারেশন করা যায়। মিডজার্নি ও ড্যাল. ই গ্রাফিকস এবং ইলাস্ট্রেশন ডিজাইনে সাহায্য করে। ওয়েব এবং অ্যাপ ডিজাইনের জন্য ফিগমার এআই প্লাগইন ব্যবহার করা যেতে পারে। কোড লেখা ও ডিবাগিংয়ে সহায়ক হবে গিটহাব কো-পাইলট। ভিডিও এডিটিং এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরির জন্য রয়েছে রানওয়ে এমএল। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও নোট সংরক্ষণে কাজে লাগে নোশন এআই। ডেটা সার্চ ও তথ্য বিশ্লেষণে সহায়ক গুগল বার্ড। গবেষণা ও তথ্য যাচাইয়ের জন্য রয়েছে পারপ্লেক্সিটি এআই। প্রেজেন্টেশন তৈরিতে বিউটিফুল এআই এবং কাজের অটোমেশন ও ওয়ার্কফ্লো অপটিমাইজেশনের জন্য আছে জ্যাপিয়ার+এআই।
এআই এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাফল্য পাওয়ার অন্যতম টুল। দক্ষতার সঙ্গে এআই কাজে লাগাতে পারলে শুধু আয়ই নয়, কর্মজীবনের গুণগত মানও বাড়বে। অতএব যাঁরা এআই গ্রহণ করবেন, ভবিষ্যতে তাঁরাই এগিয়ে যাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শিল্পে এখন কাজের মান বজায় রেখে সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করাই হলো বড় প্রতিযোগিতা। এ পরিস্থিতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিংবা এআই ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আধুনিক হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে ডেটা এক্সট্রাকশন, কনটেন্ট রাইটিংসহ প্রায় সব ধরনের ডিজিটাল কাজে এআই ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিস ফুয়াদ আবির নিজের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে এআই ব্যবহার করে সময় ও খরচ কমিয়ে বাড়িয়েছেন আয়। পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেন আবির। তাঁর মাসিক আয় এখন ৮০০ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ডলার।
এআই নিয়ে তিন মাসের কাজ এক সপ্তাহে
আগে ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে দলবদ্ধভাবে দু-তিন মাস সময় লাগত। আবির এখন এআই ব্যবহার করে একাই সে কাজ করেন এক সপ্তাহে। তিনি জানিয়েছেন, আগে ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট মিলিয়ে আলাদা দুটি দল কাজ করত। তাই সময় বেশি লাগত। এখন তিনি এআই টুলসের সাহায্যে একাই ডিজাইন থেকে ডেপ্লয়মেন্ট পর্যন্ত কাজ করেন। ফলে সময় ও ব্যয়—দুটোই কমেছে।
ফ্রিল্যান্সিং ও পড়াশোনা একসঙ্গে
আবিরের জন্য এআইভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ শুধু কাজের গতি বাড়ায়নি, পড়াশোনায় আরও সময় দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হতে পারে। তিনি তাঁর তিন বন্ধুকে নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘তৈরাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট’ নামের একটি এজেন্সি। এই এজেন্সির মাধ্যমে তাঁরা অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করেন।
প্রম্পটিং: এআই সফলতার চাবিকাঠি
নাফিস ফুয়াদ আবির মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তিশালী দিক হলো প্রম্পটিং। অর্থাৎ, এআইকে সঠিক এবং বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া। এআইকে যত স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া যাবে, সেটি তত ভালো ফল দেবে। আবির নতুন যাঁরা এআই ব্যবহার করতে চান, তাঁদের জন্য পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো হলো:
এআই ব্যবহার করে নতুন নতুন কাজের সুযোগ
আবির ও তাঁর দল আপওয়ার্ক বা ফাইভারের মতো প্রচলিত ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন। পাশাপাশি ডেটা এক্সট্রাকশন, গবেষণা ও ক্লায়েন্ট রিসার্চের জন্য গুগল ডোর্কিং পদ্ধতি এবং বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহার করে সরাসরি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এতে প্রতিযোগিতার চাপ কমে যায়। অন্যদিকে বেড়ে যায় ভালো প্রকল্প পাওয়ার সম্ভাবনা। আবির আরও বলেন, ‘ধৈর্য ও আগ্রহ থাকলে নতুনেরা সহজে এসব প্রযুক্তি আয়ত্ত করতে পারবেন।’
ভুল ধারণা ও বাধা
অনেকে মনে করেন, এআই দিয়ে করা কাজের মান কম। আবির জানিয়েছেন, এটি একেবারেই ভুল ধারণা। সঠিক প্রম্পটিং এবং টুল ব্যবহার করে এআইয়ের সাহায্যে একই মানের কাজ দ্রুত করা সম্ভব। যাঁরা এআই ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন, তাঁরা পিছিয়ে পড়বেন। যাঁরা গ্রহণ করবেন, তাঁরা আরও দক্ষ ও প্রফেশনাল হবেন।
এআই ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহায়ক, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়
এআইকে মানুষের চাকরি কেড়ে নেওয়ার একটি বিপদ হিসেবে দেখার বদলে এখন দক্ষতা বৃদ্ধির একটি সহায়ক টুল হিসেবে নিতে হবে। যাঁরা এ পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবেন এবং নিজেদের দক্ষতা সঙ্গে এআইকে কাজে লাগাবেন, তাঁরাই ভবিষ্যতে সফল হবেন।
এআই টুলস ও ব্যবহার
ফ্রিল্যান্সিংয়ে এআইভিত্তিক অসংখ্য টুলকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। যেমন চ্যাটজিপিটি বা ক্লোড দিয়ে কনটেন্ট লেখা, প্রম্পটিং ও আইডিয়া জেনারেশন করা যায়। মিডজার্নি ও ড্যাল. ই গ্রাফিকস এবং ইলাস্ট্রেশন ডিজাইনে সাহায্য করে। ওয়েব এবং অ্যাপ ডিজাইনের জন্য ফিগমার এআই প্লাগইন ব্যবহার করা যেতে পারে। কোড লেখা ও ডিবাগিংয়ে সহায়ক হবে গিটহাব কো-পাইলট। ভিডিও এডিটিং এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরির জন্য রয়েছে রানওয়ে এমএল। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও নোট সংরক্ষণে কাজে লাগে নোশন এআই। ডেটা সার্চ ও তথ্য বিশ্লেষণে সহায়ক গুগল বার্ড। গবেষণা ও তথ্য যাচাইয়ের জন্য রয়েছে পারপ্লেক্সিটি এআই। প্রেজেন্টেশন তৈরিতে বিউটিফুল এআই এবং কাজের অটোমেশন ও ওয়ার্কফ্লো অপটিমাইজেশনের জন্য আছে জ্যাপিয়ার+এআই।
এআই এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাফল্য পাওয়ার অন্যতম টুল। দক্ষতার সঙ্গে এআই কাজে লাগাতে পারলে শুধু আয়ই নয়, কর্মজীবনের গুণগত মানও বাড়বে। অতএব যাঁরা এআই গ্রহণ করবেন, ভবিষ্যতে তাঁরাই এগিয়ে যাবেন।
গুগল ক্রোম ইনস্টল করার সময় উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের ‘এখনই নিরাপদে ব্রাউজ করুন’ লিখে সতর্ক করছে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটির দাবি, ‘মাইক্রোসফট-এজ’ও ক্রোমের মতো একই প্রযুক্তিতে চলে, তবে এর সঙ্গে আছে মাইক্রোসফটের বিশ্বাসযোগ্যতা।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের এয়ারপডসে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক নতুন যুগান্তকারী ফিচার ‘লাইভ ট্রান্সলেশন’। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোনকলের পাশাপাশি সামনে থাকা ব্যক্তির কথাও অনুবাদ করে দেবে এয়ারপডসটি।
১০ ঘণ্টা আগেসাধারণ ছবিকে এবার সরাসরি থ্রিডি মডেলে রূপ দেওয়া যাবে। এমনই এক চমকপ্রদ প্রযুক্তি এনেছে মাইক্রোসফট। ‘কোপাইলট থ্রিডি’ নামের এই নতুন এআই টুলটি তৈরি করেছে কোপাইলট ল্যাবস। এর মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ইমেজ, পিএনজি বা জেপিজি ফরম্যাটের ১০ মেগাবাইটের নিচের যেকোনো ছবি দিয়ে তৈরি করা যাবে থ্রিডি মডেল।
১২ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে