প্রায় দেড় শ বছর আগে আজকের এই দিনে বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি স্থাপিত হয়। লাল, সবুজ, হলুদ এই তিনটি রঙের সংকেতে সড়কের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন করা হয়। তবে এই ব্যবস্থা খুব সহজে তৈরি হয়নি। কারণ এখনকার মতো প্রযুক্তি আগের যুগে ছিল না। ট্রাফিক বাতি কীভাবে আবিষ্কার হলো হলো, তা জানতে দেড় শ বছর আগের ইতিহাসের পাতায় নজর দিতে হবে।
ইংল্যান্ডে প্রথম ট্রাফিক বাতি স্থাপন
প্রথম ট্রাফিক বাতি উদ্ভাবন করেন যুক্তরাজ্যের জে পি নাইট নামের একজন রেলওয়ে সিগন্যালিং ইঞ্জিনিয়ার। ১৮৬৮ সালের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনের সামনের চত্বরে প্রথম ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। এটি দেখতে ট্রেনের সিগন্যালের মতো ছিল। এতে লাল ও সবুজ রঙের দুটি সিগন্যাল লাগানো ছিল।
সেসময় বিদ্যুৎ ছিল না। তাই সংকেতগুলো ছিল রং করা হাতলের মতো। দূর থেকে লিভারের সাহায্যে নাড়ানো যেত। দূর থেকে এবং রাতেও যাতে চোখে পড়ে সে জন্য এতে যুক্ত ছিল একটি গ্যাস বাতি।
এই পদ্ধতিটি মাত্র দুই মাস ব্যবহার করা হয়। কারণ দুই মাস পর ট্রাফিক গ্যাসের বাতিটি বিস্ফোরিত হয় এবং এর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ মারা যান।
বিদ্যুৎ চালিত ট্রাফিক বাতি
নতুন বিদ্যুৎ চালিত ট্রাফিক বাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ৪৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। লাল ও সবুজ রঙের বিদ্যুৎ চালিত ট্রাফিক বাতিটি প্রথম ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ডে স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে ডেট্রয়েট এবং নিউইয়র্কে লাল ও সবুজ রঙের সঙ্গে হলুদ বাতিও যুক্ত করা হয়।
১৯২৫ সালে যুক্তরাজ্যে সেন্ট জেমস স্ট্রিট ও পিকাডিলির সড়কের সংযোগস্থলে এই ধরনের প্রথম বাতি দেখা যায়। সড়কে থেকে সুইচের সাহায্যে পুলিশ সদস্যরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৯২৬ সালে উলভারহ্যাম্পটনে স্বয়ংক্রিয় সংকেতের বাতি স্থাপিত হয়।
ইউরোপে ট্রাফিক বাতি (১৯২০–১৯৩০)
১৯২৩ সালে প্যারিসের বুলভার্দ দে স্ট্রাসবুর্গ ও গ্র্যান্ডস বুলভার্দের সংযোগস্থলে প্রথম যান্ত্রিক ট্রাফিক লাইট স্থাপন করা হয়। শিগগিরই ইউরোপের বেশির ভাগ বড় শহরগুলো এটি অনুসরণ করে। ১৯২৪ সালে বার্লিন, ১৯২৫ সালে মিলান, ১৯২৬ সালে রোম, ১৯২৭ সালে লন্ডন, ১৯২৮ সালে প্রাগ, ১৯৩০ সালে বার্সেলোনাতে স্থাপন করা হয়। এই সিস্টেম ১৯৩১ সালে টোকিওতে রপ্তানি করা হয়েছিল। এগুলো চলতো বিদ্যুতে।ট্রাফিক বাতির মানদণ্ড ও নিয়ম (১৯৩০)
১৯৩১ সালের ৩০ মার্চ জেনেভায় এক কনভেনশনে ট্রাফিক সিগন্যালের মানদণ্ড নির্ধারণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল ট্রাফিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিকভাবে সড়কে অভিন্ন সংকেত ব্যবস্থার প্রচলন করা। এগুলো এখন সর্বজনীনভাবে গৃহীত। আজকের যুগের ট্রাফিক বাতির বিভিন্ন নিয়ম এই চুক্তির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখন থেকে লাল, হলুদ, সবুজ–এই তিনটি রং ট্রাফিক বাতির মানদণ্ড হয়ে ওঠে।
পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট আলো
যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ত্রিবর্ণের ট্রাফিক লাইটের পরে পথচারীদের জন্যও সংকেত তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য প্রথমে ভিন্ন রং বাছাই করা হয়েছিল। পরবর্তীতে যানবাহনের সংকেতের সঙ্গে মিলিয়ে লাল ও সবুজ রং বাছাই করা হয়। লাল রং দিয়ে ‘অপেক্ষা’ করা বোঝায় ও সবুজের মাধ্যমে ‘হাঁটার’ নির্দেশনা দেয়। মূলত বিভিন্ন দেশে ভাষার ভিন্নতার কারণে ১৯৭৪ সালে এই মানদণ্ডগুলো নির্ধারণ করা হয়। তবে প্রথম দিকে স্থাপনের ব্যয় ও ব্যবহার উপযোগিতা নিয়ে বিতর্কের কারণে পথচারীদের জন্য সমন্বিত ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়নি। ১৯৫৫ সাল থেকে প্যারিসে সড়কের মোড়ে এই বাতিগুলো স্থাপন করা হয়।
ট্র্যাফিক লাইটের পদ্ধতিগত ব্যবহার
১৯৫০ ও ১৯৮০ সালের মধ্যে রাস্তার ট্রাফিক বাতির ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। ২০১১ সালে ফ্রান্সের শহরগুলোতে প্রতি ১ হাজার বাসিন্দার জন্য গড়ে একটি ট্রাফিক লাইট স্থাপন করা হয়।
যদিও দীর্ঘকাল ধরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বাতিগুলো সর্বোত্তম সমাধান হিসেবে বিবেচিত কয়েছে, এরপরও কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা খুব বেশি কমানো যাচ্ছে না। তাই অনেক শহর কর্তৃপক্ষ যানবাহনের গতি কমানোর জন্য ট্র্যাফিক লাইটের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতির কথা বিবেচনা করছে।
প্রায় দেড় শ বছর আগে আজকের এই দিনে বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি স্থাপিত হয়। লাল, সবুজ, হলুদ এই তিনটি রঙের সংকেতে সড়কের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের একটি ব্যবস্থা উদ্ভাবন করা হয়। তবে এই ব্যবস্থা খুব সহজে তৈরি হয়নি। কারণ এখনকার মতো প্রযুক্তি আগের যুগে ছিল না। ট্রাফিক বাতি কীভাবে আবিষ্কার হলো হলো, তা জানতে দেড় শ বছর আগের ইতিহাসের পাতায় নজর দিতে হবে।
ইংল্যান্ডে প্রথম ট্রাফিক বাতি স্থাপন
প্রথম ট্রাফিক বাতি উদ্ভাবন করেন যুক্তরাজ্যের জে পি নাইট নামের একজন রেলওয়ে সিগন্যালিং ইঞ্জিনিয়ার। ১৮৬৮ সালের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পার্লামেন্ট ভবনের সামনের চত্বরে প্রথম ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। এটি দেখতে ট্রেনের সিগন্যালের মতো ছিল। এতে লাল ও সবুজ রঙের দুটি সিগন্যাল লাগানো ছিল।
সেসময় বিদ্যুৎ ছিল না। তাই সংকেতগুলো ছিল রং করা হাতলের মতো। দূর থেকে লিভারের সাহায্যে নাড়ানো যেত। দূর থেকে এবং রাতেও যাতে চোখে পড়ে সে জন্য এতে যুক্ত ছিল একটি গ্যাস বাতি।
এই পদ্ধতিটি মাত্র দুই মাস ব্যবহার করা হয়। কারণ দুই মাস পর ট্রাফিক গ্যাসের বাতিটি বিস্ফোরিত হয় এবং এর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ মারা যান।
বিদ্যুৎ চালিত ট্রাফিক বাতি
নতুন বিদ্যুৎ চালিত ট্রাফিক বাতির জন্য পৃথিবীকে আরও ৪৬ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। লাল ও সবুজ রঙের বিদ্যুৎ চালিত ট্রাফিক বাতিটি প্রথম ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ডে স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে ডেট্রয়েট এবং নিউইয়র্কে লাল ও সবুজ রঙের সঙ্গে হলুদ বাতিও যুক্ত করা হয়।
১৯২৫ সালে যুক্তরাজ্যে সেন্ট জেমস স্ট্রিট ও পিকাডিলির সড়কের সংযোগস্থলে এই ধরনের প্রথম বাতি দেখা যায়। সড়কে থেকে সুইচের সাহায্যে পুলিশ সদস্যরা সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন। ১৯২৬ সালে উলভারহ্যাম্পটনে স্বয়ংক্রিয় সংকেতের বাতি স্থাপিত হয়।
ইউরোপে ট্রাফিক বাতি (১৯২০–১৯৩০)
১৯২৩ সালে প্যারিসের বুলভার্দ দে স্ট্রাসবুর্গ ও গ্র্যান্ডস বুলভার্দের সংযোগস্থলে প্রথম যান্ত্রিক ট্রাফিক লাইট স্থাপন করা হয়। শিগগিরই ইউরোপের বেশির ভাগ বড় শহরগুলো এটি অনুসরণ করে। ১৯২৪ সালে বার্লিন, ১৯২৫ সালে মিলান, ১৯২৬ সালে রোম, ১৯২৭ সালে লন্ডন, ১৯২৮ সালে প্রাগ, ১৯৩০ সালে বার্সেলোনাতে স্থাপন করা হয়। এই সিস্টেম ১৯৩১ সালে টোকিওতে রপ্তানি করা হয়েছিল। এগুলো চলতো বিদ্যুতে।ট্রাফিক বাতির মানদণ্ড ও নিয়ম (১৯৩০)
১৯৩১ সালের ৩০ মার্চ জেনেভায় এক কনভেনশনে ট্রাফিক সিগন্যালের মানদণ্ড নির্ধারণের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর লক্ষ্য ছিল ট্রাফিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিকভাবে সড়কে অভিন্ন সংকেত ব্যবস্থার প্রচলন করা। এগুলো এখন সর্বজনীনভাবে গৃহীত। আজকের যুগের ট্রাফিক বাতির বিভিন্ন নিয়ম এই চুক্তির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত ছিল। তখন থেকে লাল, হলুদ, সবুজ–এই তিনটি রং ট্রাফিক বাতির মানদণ্ড হয়ে ওঠে।
পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট আলো
যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ত্রিবর্ণের ট্রাফিক লাইটের পরে পথচারীদের জন্যও সংকেত তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য প্রথমে ভিন্ন রং বাছাই করা হয়েছিল। পরবর্তীতে যানবাহনের সংকেতের সঙ্গে মিলিয়ে লাল ও সবুজ রং বাছাই করা হয়। লাল রং দিয়ে ‘অপেক্ষা’ করা বোঝায় ও সবুজের মাধ্যমে ‘হাঁটার’ নির্দেশনা দেয়। মূলত বিভিন্ন দেশে ভাষার ভিন্নতার কারণে ১৯৭৪ সালে এই মানদণ্ডগুলো নির্ধারণ করা হয়। তবে প্রথম দিকে স্থাপনের ব্যয় ও ব্যবহার উপযোগিতা নিয়ে বিতর্কের কারণে পথচারীদের জন্য সমন্বিত ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়নি। ১৯৫৫ সাল থেকে প্যারিসে সড়কের মোড়ে এই বাতিগুলো স্থাপন করা হয়।
ট্র্যাফিক লাইটের পদ্ধতিগত ব্যবহার
১৯৫০ ও ১৯৮০ সালের মধ্যে রাস্তার ট্রাফিক বাতির ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায়। ২০১১ সালে ফ্রান্সের শহরগুলোতে প্রতি ১ হাজার বাসিন্দার জন্য গড়ে একটি ট্রাফিক লাইট স্থাপন করা হয়।
যদিও দীর্ঘকাল ধরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বাতিগুলো সর্বোত্তম সমাধান হিসেবে বিবেচিত কয়েছে, এরপরও কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা খুব বেশি কমানো যাচ্ছে না। তাই অনেক শহর কর্তৃপক্ষ যানবাহনের গতি কমানোর জন্য ট্র্যাফিক লাইটের পরিবর্তে অন্য পদ্ধতির কথা বিবেচনা করছে।
গুগল ক্রোম ইনস্টল করার সময় উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের ‘এখনই নিরাপদে ব্রাউজ করুন’ লিখে সতর্ক করছে মাইক্রোসফট। কোম্পানিটির দাবি, ‘মাইক্রোসফট-এজ’ও ক্রোমের মতো একই প্রযুক্তিতে চলে, তবে এর সঙ্গে আছে মাইক্রোসফটের বিশ্বাসযোগ্যতা।
১ ঘণ্টা আগেঅ্যাপলের এয়ারপডসে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক নতুন যুগান্তকারী ফিচার ‘লাইভ ট্রান্সলেশন’। এই ফিচারটি চালু থাকলে ফোনকলের পাশাপাশি সামনে থাকা ব্যক্তির কথাও অনুবাদ করে দেবে এয়ারপডসটি।
১০ ঘণ্টা আগেসাধারণ ছবিকে এবার সরাসরি থ্রিডি মডেলে রূপ দেওয়া যাবে। এমনই এক চমকপ্রদ প্রযুক্তি এনেছে মাইক্রোসফট। ‘কোপাইলট থ্রিডি’ নামের এই নতুন এআই টুলটি তৈরি করেছে কোপাইলট ল্যাবস। এর মাধ্যমে দ্বিমাত্রিক ইমেজ, পিএনজি বা জেপিজি ফরম্যাটের ১০ মেগাবাইটের নিচের যেকোনো ছবি দিয়ে তৈরি করা যাবে থ্রিডি মডেল।
১২ ঘণ্টা আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির পরামর্শ মেনে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করায় নিউইয়র্কের ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকদের মতে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে প্রায় সম্পূর্ণভাবে লবণ বাদ দিয়ে ফেলেন ওই ব্যক্তি, যার ফলে তার শরীরে বিপজ্জনকভাবে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়।
১৫ ঘণ্টা আগে