পল্লব শাহরিয়ার
তরুণ প্রজন্মের অনেকে এখন আর ‘চাকরি খুঁজছি’ বলে কথা শুরু করেন না; বরং বলেন, আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর! একসময় বিনোদনের মাধ্যম ছিল চলচ্চিত্র, টেলিভিশন বা পত্রিকায় সীমাবদ্ধ; এখন সেটি আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চলে এসেছে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ এখন নতুন যুগের মঞ্চ। তবে এই মঞ্চে জায়গা পেতে হলে শুধু সাহস কিংবা সৃজনশীলতাই নয়, দরকার কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা; যা একজন কনটেন্ট নির্মাতাকে আলাদা করে তুলতে পারে। এ জন্য যা করতে হবে—
ক্যামেরার সঙ্গে বন্ধুত্ব
কনটেন্ট শুরুই হয় ক্যামেরা দিয়ে। ডিএসএলআর বা মোবাইল ফোন, ক্যামেরা—যা-ই হোক না কেন, তার ভাষা বুঝতে শিখতে হবে। আলো কোথা থেকে পড়লে ভিডিও সুন্দর দেখায়, কোন অ্যাঙ্গেলে দাঁড়ালে ফ্রেম ভারসাম্যপূর্ণ হয়, সেটাই সিনেমাটিক লুক তৈরি করে—এসব বুঝতে হবে। তাই আলো, ফ্রেমিং ও কম্পোজিশন শেখা খুবই জরুরি। তবে শেখার কিছু সহজ দিক হলো—
আলো: ক্যামেরা আলোর খেলা। চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক আলো (যেমন জানালার পাশে সকাল বা বিকেলের সূর্যালোক) ব্যবহার করতে। এতে ভিডিওর আবহই পাল্টে যাবে।অ্যাঙ্গেল: চোখের সমান উচ্চতায় ক্যামেরা রাখলে ভিডিও স্বাভাবিক লাগে, আর নিচ থেকে ধরলে শক্তিশালী দেখায়। এ ছাড়া ওপর থেকে ধরলে দেখায় কোমল।
ফ্রেমিং: ‘রুলস অব থার্ড’ মেনে চললে ভিডিও কিংবা ছবির ভারসাম্য সুন্দর হয়। আপনার মুখ বা মূল বিষয়টি ফ্রেমের মাঝখানে না রেখে সামান্য এক পাশে রাখুন।স্ট্যাবিলিটি: কাঁপা ভিডিও দেখলে দর্শকের মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই হাত কাঁপলে ট্রাইপড বা গিম্বল ব্যবহার করুন। না হলে টেবিলের ওপর কিছুর সঙ্গে রেখে দিন।
গল্প বলার জাদু: স্ক্রিপ্টিং
প্রতিটি ভালো ভিডিওর পেছনে থাকে চমৎকার একটি স্ক্রিপ্ট। কোনো কিছুর রিভিউ যদি আপনি দেন, মোটিভেশনাল কথা বলেন কিংবা মজার কিছু করেন, এই ধরনের সব ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট দরকার। স্ক্রিপ্ট মানে শুধু সংলাপ নয়; বরং এটি ভিডিওর ভাবনা, ফ্লো আর আবেগের পরিকল্পনা। দর্শক এক মিনিটেও বিরক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রিপ্টে থাকতে হবে ‘হুক’, মানে এমন কিছু, যা প্রথমেই দর্শককে থামিয়ে দেয়। স্মার্ট ক্রিয়েটররা জানেন, একটা গল্পই পারে লাখো মানুষের মন ছুঁতে।
ভালো স্ক্রিপ্টের গঠন
প্রতিটি স্ক্রিপ্টে থাকতে হবে তিনটি ধাপ।হুক বা আকর্ষণ: ভিডিওর প্রথম ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডে দর্শকের মনোযোগ কাড়তে হবে। যেমন ‘আপনি জানেন কি, প্রতিদিন এক মিনিটেই নিজের জীবন বদলে দেওয়া যায়?’ এ ধরনের বাক্য দর্শককে ধরে রাখে।
বডি বা মূল বার্তা: এখানেই আপনার গল্প, তথ্য বা শিক্ষা থাকতে হবে। চেষ্টা করবেন কথার ফ্লো স্বাভাবিক রাখতে—অতিরিক্ত জটিল নয় আবার ফাঁপাও নয়। কল টু অ্যাকশন বা শেষ বার্তা: ভিডিও করা শেষ হলে দর্শককে কিছু করার অনুপ্রেরণা দিতে হবে। যেমন ‘আজই আপনি চেষ্টা করে দেখুন, পরের সপ্তাহে নিজেই পরিবর্তনটা টের পাবেন!’
নিজের কণ্ঠের স্টাইল: অন্য কারও মতো হওয়ার চেষ্টা করবেন না, বরং নিজের কথা বলার নির্দিষ্ট শৈলী কিংবা স্টাইল তৈরি করুন।
এডিটিং: কাঁচা ভিডিওকে শিল্পে পরিণত করা
ভিডিও ধারণ করা মানে শুধু উপকরণ সংগ্রহ করা। কিন্তু সেই কাঁচা ফুটেজ প্রাণবন্ত করে তোলাই হলো এডিটিংয়ের জাদু। এডিটিংয়ের মাধ্যমে আপনি গল্পের গতি, আবেগ ও রং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। একটি সাধারণ ভিডিওতে সঠিক কাট, ট্রানজিশন ও শব্দ যোগ করে আপনি তৈরি করতে পারেন দর্শকের মনে গেঁথে থাকা শিল্পকর্ম। আজকের যুগে সফটওয়্যার; যেমন অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো, দ্য ভিঞ্চি রিসলভ, ক্যাপ কাট বা ভিএন—সবই এখন তরুণদের হাতের নাগালে। তবে টুল নয়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দৃষ্টিভঙ্গি। তবে একজন ভালো এডিটর জানেন, কোথায় দৃশ্য থামাতে হবে, কোথায় মিউজিক বাড়াতে হবে এবং কোথায় নীরবতা শক্তিশালী ভাষা।
এআই যুগের স্মার্ট ক্রিয়েটর
এআই এখন কনটেন্ট নির্মাতাদের বড় শক্তি। একজন স্মার্ট নির্মাতা জানেন, কীভাবে প্রযুক্তিকে নিজের সহকর্মী বানাতে হয়। যেমন চ্যাটজিপিটি দিয়ে স্ক্রিপ্ট আইডিয়া তৈরি করা, মিডজার্নি বা লিওনার্দো দিয়ে থাম্বনেইল ডিজাইন করা, রানওয়ে দিয়ে ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড বদলে ফেলা কিংবা ডিস্ক্রিপ্ট দিয়ে ভয়েস ক্লিন করা—সবই এখন সম্ভব কয়েক মিনিটের মধ্যে। আগে একটি ভিডিও বানাতে সময় লাগত পুরো দিন কিংবা তারও বেশি সময়, এখন এআইয়ের সাহায্য নিয়ে কয়েক ঘণ্টায় তা শেষ করা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বোঝা
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হলো মঞ্চ, দর্শক, বাজার—সব একসঙ্গে। আপনি যত ভালো ভিডিও তৈরি করুন
না কেন, যদি সেটি ঠিক সময়ে মানুষের কাছে না পৌঁছায়, তাহলে সেটি হারিয়ে যাবে অ্যালগরিদমের ভিড়ে। তাই এখন শুধু কনটেন্ট তৈরি নয়, কনটেন্ট প্রকাশের সময় ও কৌশল জানা জরুরি। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব দর্শক ও সময় থাকে—
ইউটিউব: সপ্তাহের মাঝামাঝি অর্থাৎ বুধবার ও শুক্রবার বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পোস্ট করলে অনেক বেশি রিচ পাওয়া যায়। কারণ, ওই সময় ব্যবহারকারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ভিডিও দেখেন। ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক: সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে পোস্ট করলে এনগেজমেন্ট বেশি হয়।
ফেসবুক: দুপুরের পর থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে পোস্ট করলে বেশি ভিউ আসে।
লিংকডইন: অফিস সময়ের শুরুতে অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে কনটেন্ট পোস্ট করলে ভালো ফল মেলে।
তবে সময় একা কিছু নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করা। যদি নির্দিষ্ট সময় ধরে প্রতিনিয়ত আপনি পোস্ট করেন, প্ল্যাটফর্ম আপনার কনটেন্টকে ‘বিশ্বস্ত’ ধরে নেয় এবং বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়। স্মার্ট ক্রিয়েটররা কনটেন্ট বানানোর মতো ডেটা বিশ্লেষণেও মনোযোগী। তাঁরা দেখেন, কোন সময় ভিডিও বেশি দেখা হচ্ছে, কোথায় দর্শক থেমে যাচ্ছে আর কখন স্ক্রল করে চলে যাচ্ছে। এই বিশ্লেষণই পরবর্তী কনটেন্ট পরিকল্পনায় তাঁদের দিকনির্দেশনা দেয়।
তরুণ প্রজন্মের অনেকে এখন আর ‘চাকরি খুঁজছি’ বলে কথা শুরু করেন না; বরং বলেন, আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর! একসময় বিনোদনের মাধ্যম ছিল চলচ্চিত্র, টেলিভিশন বা পত্রিকায় সীমাবদ্ধ; এখন সেটি আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চলে এসেছে। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ এখন নতুন যুগের মঞ্চ। তবে এই মঞ্চে জায়গা পেতে হলে শুধু সাহস কিংবা সৃজনশীলতাই নয়, দরকার কিছু নির্দিষ্ট দক্ষতা; যা একজন কনটেন্ট নির্মাতাকে আলাদা করে তুলতে পারে। এ জন্য যা করতে হবে—
ক্যামেরার সঙ্গে বন্ধুত্ব
কনটেন্ট শুরুই হয় ক্যামেরা দিয়ে। ডিএসএলআর বা মোবাইল ফোন, ক্যামেরা—যা-ই হোক না কেন, তার ভাষা বুঝতে শিখতে হবে। আলো কোথা থেকে পড়লে ভিডিও সুন্দর দেখায়, কোন অ্যাঙ্গেলে দাঁড়ালে ফ্রেম ভারসাম্যপূর্ণ হয়, সেটাই সিনেমাটিক লুক তৈরি করে—এসব বুঝতে হবে। তাই আলো, ফ্রেমিং ও কম্পোজিশন শেখা খুবই জরুরি। তবে শেখার কিছু সহজ দিক হলো—
আলো: ক্যামেরা আলোর খেলা। চেষ্টা করবেন প্রাকৃতিক আলো (যেমন জানালার পাশে সকাল বা বিকেলের সূর্যালোক) ব্যবহার করতে। এতে ভিডিওর আবহই পাল্টে যাবে।অ্যাঙ্গেল: চোখের সমান উচ্চতায় ক্যামেরা রাখলে ভিডিও স্বাভাবিক লাগে, আর নিচ থেকে ধরলে শক্তিশালী দেখায়। এ ছাড়া ওপর থেকে ধরলে দেখায় কোমল।
ফ্রেমিং: ‘রুলস অব থার্ড’ মেনে চললে ভিডিও কিংবা ছবির ভারসাম্য সুন্দর হয়। আপনার মুখ বা মূল বিষয়টি ফ্রেমের মাঝখানে না রেখে সামান্য এক পাশে রাখুন।স্ট্যাবিলিটি: কাঁপা ভিডিও দেখলে দর্শকের মনোযোগ নষ্ট হয়। তাই হাত কাঁপলে ট্রাইপড বা গিম্বল ব্যবহার করুন। না হলে টেবিলের ওপর কিছুর সঙ্গে রেখে দিন।
গল্প বলার জাদু: স্ক্রিপ্টিং
প্রতিটি ভালো ভিডিওর পেছনে থাকে চমৎকার একটি স্ক্রিপ্ট। কোনো কিছুর রিভিউ যদি আপনি দেন, মোটিভেশনাল কথা বলেন কিংবা মজার কিছু করেন, এই ধরনের সব ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট দরকার। স্ক্রিপ্ট মানে শুধু সংলাপ নয়; বরং এটি ভিডিওর ভাবনা, ফ্লো আর আবেগের পরিকল্পনা। দর্শক এক মিনিটেও বিরক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই স্ক্রিপ্টে থাকতে হবে ‘হুক’, মানে এমন কিছু, যা প্রথমেই দর্শককে থামিয়ে দেয়। স্মার্ট ক্রিয়েটররা জানেন, একটা গল্পই পারে লাখো মানুষের মন ছুঁতে।
ভালো স্ক্রিপ্টের গঠন
প্রতিটি স্ক্রিপ্টে থাকতে হবে তিনটি ধাপ।হুক বা আকর্ষণ: ভিডিওর প্রথম ৩ থেকে ৫ সেকেন্ডে দর্শকের মনোযোগ কাড়তে হবে। যেমন ‘আপনি জানেন কি, প্রতিদিন এক মিনিটেই নিজের জীবন বদলে দেওয়া যায়?’ এ ধরনের বাক্য দর্শককে ধরে রাখে।
বডি বা মূল বার্তা: এখানেই আপনার গল্প, তথ্য বা শিক্ষা থাকতে হবে। চেষ্টা করবেন কথার ফ্লো স্বাভাবিক রাখতে—অতিরিক্ত জটিল নয় আবার ফাঁপাও নয়। কল টু অ্যাকশন বা শেষ বার্তা: ভিডিও করা শেষ হলে দর্শককে কিছু করার অনুপ্রেরণা দিতে হবে। যেমন ‘আজই আপনি চেষ্টা করে দেখুন, পরের সপ্তাহে নিজেই পরিবর্তনটা টের পাবেন!’
নিজের কণ্ঠের স্টাইল: অন্য কারও মতো হওয়ার চেষ্টা করবেন না, বরং নিজের কথা বলার নির্দিষ্ট শৈলী কিংবা স্টাইল তৈরি করুন।
এডিটিং: কাঁচা ভিডিওকে শিল্পে পরিণত করা
ভিডিও ধারণ করা মানে শুধু উপকরণ সংগ্রহ করা। কিন্তু সেই কাঁচা ফুটেজ প্রাণবন্ত করে তোলাই হলো এডিটিংয়ের জাদু। এডিটিংয়ের মাধ্যমে আপনি গল্পের গতি, আবেগ ও রং নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। একটি সাধারণ ভিডিওতে সঠিক কাট, ট্রানজিশন ও শব্দ যোগ করে আপনি তৈরি করতে পারেন দর্শকের মনে গেঁথে থাকা শিল্পকর্ম। আজকের যুগে সফটওয়্যার; যেমন অ্যাডোবি প্রিমিয়ার প্রো, দ্য ভিঞ্চি রিসলভ, ক্যাপ কাট বা ভিএন—সবই এখন তরুণদের হাতের নাগালে। তবে টুল নয়, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দৃষ্টিভঙ্গি। তবে একজন ভালো এডিটর জানেন, কোথায় দৃশ্য থামাতে হবে, কোথায় মিউজিক বাড়াতে হবে এবং কোথায় নীরবতা শক্তিশালী ভাষা।
এআই যুগের স্মার্ট ক্রিয়েটর
এআই এখন কনটেন্ট নির্মাতাদের বড় শক্তি। একজন স্মার্ট নির্মাতা জানেন, কীভাবে প্রযুক্তিকে নিজের সহকর্মী বানাতে হয়। যেমন চ্যাটজিপিটি দিয়ে স্ক্রিপ্ট আইডিয়া তৈরি করা, মিডজার্নি বা লিওনার্দো দিয়ে থাম্বনেইল ডিজাইন করা, রানওয়ে দিয়ে ভিডিওর ব্যাকগ্রাউন্ড বদলে ফেলা কিংবা ডিস্ক্রিপ্ট দিয়ে ভয়েস ক্লিন করা—সবই এখন সম্ভব কয়েক মিনিটের মধ্যে। আগে একটি ভিডিও বানাতে সময় লাগত পুরো দিন কিংবা তারও বেশি সময়, এখন এআইয়ের সাহায্য নিয়ে কয়েক ঘণ্টায় তা শেষ করা যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বোঝা
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হলো মঞ্চ, দর্শক, বাজার—সব একসঙ্গে। আপনি যত ভালো ভিডিও তৈরি করুন
না কেন, যদি সেটি ঠিক সময়ে মানুষের কাছে না পৌঁছায়, তাহলে সেটি হারিয়ে যাবে অ্যালগরিদমের ভিড়ে। তাই এখন শুধু কনটেন্ট তৈরি নয়, কনটেন্ট প্রকাশের সময় ও কৌশল জানা জরুরি। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব দর্শক ও সময় থাকে—
ইউটিউব: সপ্তাহের মাঝামাঝি অর্থাৎ বুধবার ও শুক্রবার বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পোস্ট করলে অনেক বেশি রিচ পাওয়া যায়। কারণ, ওই সময় ব্যবহারকারীরা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ভিডিও দেখেন। ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক: সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এবং রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে পোস্ট করলে এনগেজমেন্ট বেশি হয়।
ফেসবুক: দুপুরের পর থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে পোস্ট করলে বেশি ভিউ আসে।
লিংকডইন: অফিস সময়ের শুরুতে অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে কনটেন্ট পোস্ট করলে ভালো ফল মেলে।
তবে সময় একা কিছু নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করা। যদি নির্দিষ্ট সময় ধরে প্রতিনিয়ত আপনি পোস্ট করেন, প্ল্যাটফর্ম আপনার কনটেন্টকে ‘বিশ্বস্ত’ ধরে নেয় এবং বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছে দেয়। স্মার্ট ক্রিয়েটররা কনটেন্ট বানানোর মতো ডেটা বিশ্লেষণেও মনোযোগী। তাঁরা দেখেন, কোন সময় ভিডিও বেশি দেখা হচ্ছে, কোথায় দর্শক থেমে যাচ্ছে আর কখন স্ক্রল করে চলে যাচ্ছে। এই বিশ্লেষণই পরবর্তী কনটেন্ট পরিকল্পনায় তাঁদের দিকনির্দেশনা দেয়।
অনেক কারণে চীনের চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে পারছে না। তাই দেশটি এখন ইউরোপকে নতুন বাজার হিসেবে বেছে নিচ্ছে। তারা ইউরোপে অফিস খুলছে, তথ্য ভাগাভাগির চুক্তি করছে এবং রাস্তায় তাদের চালকবিহীন গাড়ির প্রযুক্তি পরীক্ষার কাজ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে উদ্বোধন করা হলো এআই সুপার কম্পিউটার। নাম ইসামবার্ড-এআই। প্রায় ২২৫ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয়ে তৈরি এই সুপার কম্পিউটার অসুস্থ গাভি শনাক্ত করা থেকে শুরু করে মানুষের ত্বকের ক্যানসার চিহ্নিত করা পর্যন্ত নানান কাজে ব্যবহৃত হবে। এমনকি এটি পুলিশকে বিপদ শনাক্তে সহায়তা করবে।
৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে কৃষিক্ষেত্রে পানির ব্যবহার বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, পৃথিবীর সুপেয় পানির প্রায় ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় কৃষিতে। আবার ভারত বা চিলির মতো দেশে এই হার ৯০ শতাংশের বেশি। তাই পানির সংকট কৃষকদের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে। চিলির কৃষক মারিও বুস্তামান্ত এটি কাছ থেকে অনুভব করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে বাজারে এসেছে স্মার্টফোন অপো এ৬ প্রো। দেশের জনপ্রিয় টিভি শো ব্যাচেলর পয়েন্টের সঙ্গে বিশেষ অংশীদারত্বে সম্প্রতি মোবাইল ফোনটি বাজারে আনে অপো।
৮ ঘণ্টা আগে