Ajker Patrika

চীনের চিপ শিল্পের ১৪০টি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনে চিপ তৈরির সক্ষমতা সীমিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: ডিজিটাল ওয়াচ ওবসারভেটরি
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনে চিপ তৈরির সক্ষমতা সীমিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: ডিজিটাল ওয়াচ ওবসারভেটরি

চীনের সেমিকন্ডাক্টর বা চিপ শিল্পের বিরুদ্ধে গত সোমবার তৃতীয় দফার অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটি ১৪০টি চীনা কোম্পানির জন্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাউরা টেকনোলজি গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনে চিপ তৈরির সক্ষমতা সীমিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি চীনের চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিওটেক, এ সি এম রিসার্চ এবং সি ক্যারিয়ার টেকনোলজি এর ওপরও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া চীনে উন্নত মেমরি চিপ এবং অন্যান্য চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির রপ্তানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

চীনের ওপর সেন্সরশিপের ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে গণ্য হচ্ছে এই পদক্ষেপটি। চীনকে চিপ বাজারে প্রবেশ ও উৎপাদন সীমিত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত সামরিক প্রয়োগে সাহায্য করতে পারে বা অন্যথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। এটি এমন সময় হয়েছে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে। বাইডেনের অনেক কঠোর চীনবিরোধী ট্রাম্প প্রশাসনেও বহাল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে—চীনে পাঠানো উচ্চ ব্যান্ডউইথ মেমরি চিপগুলোর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উচ্চমানের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য অপরিহার্য, ২৪টি নতুন চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি এবং তিনটি সফটওয়্যার টুলের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোতে তৈরি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির ওপর নতুন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা।

এই টুলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণগুলো সম্ভবত ল্যাম রিসার্চ, কেএলএ এবং অ্যাপ্লাইড ম্যাটেরিয়ালসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের কোম্পানি যেমন ডাচ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এএসএম ইন্টারন্যাশনাল–এর ওপরও প্রভাব ফেলবে।

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় চীনের প্রায় দুই ডজন সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি, দুটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এবং ১০০ টিরও বেশি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সোয়েসিউর টেকনোলজি কো, সি’এন কুইংদাও, এবং শেনজেন পেনসুন টেকনোলজি কো, যারা চীনের হুয়াওয়ে টেকনোলজির সঙ্গে কাজ করে। টেলিযোগাযোগ টুল প্রস্তুতকারী এই প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন নিজেই উন্নত চিপ উৎপাদন করে।

এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘এন্টিটি লিস্ট’ বা ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তালিকা’-এ যুক্ত করা হবে, যার ফলে মার্কিন সরবরাহকারীদের তাদের কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য একটি বিশেষ লাইসেন্স গ্রহণ করা ছাড়া কোনো রপ্তানি করা যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলা ব্যাহত করে। সোমবারের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, চীন তার কোম্পানির অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেমিকন্ডাক্টর খাতে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নিজেদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে চীন। কারণ যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ উন্নত চিপ এবং সেগুলো তৈরি করার যন্ত্রপাতির রপ্তানি সীমিত করেছে। তবে এটি এখনও এআই চিপের ক্ষেত্রে এনভিডিয়া এবং চিপ যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসএমএল এর মতো কোম্পানি থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

এছাড়া সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কোরপোরেকশন চীনের সবচেয়ে বড় চিপ চুক্তি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটির ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। কোম্পানিটিকে ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। তবে সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে এক নীতিমালা ছিল যার মাধ্যমে এই কোম্পানির কাছে পণ্য পাঠানোর জন্য বিলিয়ন ডলার মূল্যের লাইসেন্স অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রথমবারের মতো চিপ খাতে বিনয়োগ করে এমন যুক্তরাষ্ট্র তিনটি কোম্পানিকে এন্টিটি লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করবে। চীনের প্রাইভেট ইকুইটি প্রতিষ্ঠান ওয়াইজ রোড ক্যাপিটাল, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান উইংটেক টেকনোলজি কো এবং জেসি ক্যাপিটাল এই তালিকায় যোগ করা হয়েছে।

এন্টিটি লিস্টে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পণ্য পাঠানোর জন্য লাইসেন্স অন্য কোম্পানিগুলো সাধারণত অনুমতি পায় না।

নতুন প্যাকেজের কিছু মার্কিন মিত্র দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কারণ এটি তাদের কোম্পানিগুলোর পণ্য চীনে পাঠানোর সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে। নতুন নিয়মটি মার্কিন, জাপানি, এবং ডাচ প্রস্তুতকারকদের দ্বারা তৈরি চিপ তৈরির যন্ত্রপাতির রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এগুলো বিশ্বের অন্যান্য অংশে তৈরি হয়ে চীনের নির্দিষ্ট চিপ প্ল্যান্টে পাঠানো হবে।

ইসরায়েল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান থেকে তৈরি যন্ত্রপাতি এই নতুন নিয়মের আওতায় আসবে। তবে জাপান এবং নেদারল্যান্ডস এই নিয়মের আওতামুক্ত।

বিদেশী কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের নিয়মটি ১৬টি কোম্পানির ওপর প্রযোজ্য হবে, যেগুলো চীনের সবচেয়ে উন্নত চিপ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই নিয়মটিতে আরও একটি পরিবর্তন আনা হবে। এই পরিবর্তন অনুযায়ী কোনো পণ্যে মার্কিন প্রযুক্তি বা চিপের কোনো অংশও থাকলেও সেটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে পড়বে এবং ওই পণ্যটি চীনে রপ্তানি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে লাইসেন্সের অনুমতি নিতে হবে। এমনকি সেই পণ্যে যদি মাত্র কিছু অংশ মার্কিন প্রযুক্তির হয়, তবুও সেটি মার্কিন নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকবে।

বিশেষ করে জাপান এবং নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে নতুন নিয়মগুলো প্রকাশিত হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এমন দেশগুলোকে ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যারা একই ধরনের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্যাকেজের আরেকটি নিয়ম হচ্ছে, ‘এইচবিএম২’ বা তার পরের সংস্করণের সঙ্গে সম্পর্কিত এআই চিপে ব্যবহৃত মেমরিগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, এসকে হিনিক্স এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান মাইক্রন তৈরি করেছে। তবে এজন্য শুধুমাত্র স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বেশি প্রভাবিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। স্যামসাং তার এইচবিএম চিপের প্রায় ২০ শতাংশ চীনে বিক্রি করে।

নতুন নিয়মগুলো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে চীনের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় প্যাকেজ। ২০২২ সালের অক্টোবরে একটি ব্যাপক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ব্যবস্থার মধ্যে কিছু উচ্চমানের চিপ বিক্রি এবং উৎপাদন সীমিত করা হয়েছিল। একে ১৯৯০-এর দশকের পর চীনকে লক্ষ্য করে মার্কিন প্রযুক্তি নীতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাজ্যে জনপ্রিয় সাইটে পর্নো দেখা কমেছে ৭৭ শতাংশ, কীভাবে সম্ভব করল সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যুক্তরাজ্যে ‘অনলাইন সেফটি অ্যাক্ট’ (ওএসএ) কার্যকর হওয়ার পর থেকেই প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট দেখার প্রবণতায় বড়সড় পরিবর্তন এসেছে। এই ধরনের সাইটে প্রবেশে বয়স যাচাই (এজ চেক) বাধ্যতামূলক করার পর বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্ণ ওয়েবসাইট পর্নহাবের ট্রাফিক জুলাই মাসের তুলনায় ৭৭ শতাংশ কমে গেছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

পর্নহাবের দাবি, যে সমস্ত সাইট নতুন এই নিয়ম মানছে না, তারা অপ্রত্যাশিতভাবে লাভবান হচ্ছে। যদিও বিবিসি স্বাধীনভাবে এই দাবি যাচাই করতে পারেনি, তবে গুগলের ডেটা অনুযায়ী, আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে সাইটটির সার্চ প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। এই পতন ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট দেখা কমানোর ফল হতে পারে, আবার অনেকে ভিপিএন বা অন্য বিকল্প উপায়ে সাইটটিতে প্রবেশ করছেন, সে কারণেও হতে পারে।

ওএসএ আইনের অধীনে, এখন যুক্তরাজ্যে যে কেউ প্রাপ্তবয়স্কদের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে চাইলে অবশ্যই ফেসিয়াল আইডেনটিফিকেশন-এর মতো পদ্ধতির মাধ্যমে ১৮ বছরের বেশি বয়সের প্রমাণ দিতে হবে।

যুক্তরাজ্যের যোগাযোগ পরিষেবা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফকম-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই আইনটি কার্যকর হওয়ার পর প্রথম তিন মাসে যুক্তরাজ্যে সাধারণভাবে পর্নোগ্রাফি সাইটগুলোতে ভিজিট প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, এই নতুন আইনের প্রধান উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে—যার ফলে শিশুরা এখন সহজে ‘সার্চ না করেও পর্ণ-এর সামনে আসছে না’। অফকম আরও বলেছে, এই আইনটি ‘বয়স নিরপেক্ষ ইন্টারনেট যুগের অবসান’ ঘটিয়েছে।

তবে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই অনেকে বয়স যাচাই এড়াতে ভিপিএন ব্যবহার করছেন। সাইবার নিউজ-এর একটি গবেষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে যুক্তরাজ্যে ১ কোটিরও বেশি ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড হয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার-এর ড. হ্যান স্টিগম্যান বিবিসিকে জানিয়েছেন, গোপনীয়তার অজুহাতে যারা বয়স যাচাই করতে চান না, তাঁরা ভিপিএন ব্যবহার করছেন। ভিপিএন ব্যবহারের ফলে সাইট ভিজিটরদের অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।

সাইবার নিউজ-এর গবেষক আরস নজরোভাসের মতে, ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড ১ হাজার ৮০০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার অর্থ হলো, পর্নহাবের ‘হারিয়ে যাওয়া’ ব্রিটিশ দর্শক আসলে গায়েব হয়ে যায়নি—তারা এখন ‘নন-ইউকে ট্রাফিক’ হিসেবে গণনা হচ্ছে। তবে তিনি মনে করেন, বাকি ব্যবহারকারীরা সত্যি সত্যিই এমন সাইটগুলোতে ভিজিট করছেন, যেখানে বয়স যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই।

পর্নহাবের মূল কোম্পানি আইলো-এর নির্বাহী অ্যালেক্স কেকসি বিবিসিকে জানিয়েছেন, এই নতুন নিয়ম বাস্তবে কার্যকর করা অসম্ভব। তাঁর মতে, প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক প্ল্যাটফর্মকে নিয়ম মানাতে চাওয়ার এই কাজটি অফকম-এর জন্য ‘অসাধ্য’।

কেকসি আরও দাবি করেন, কিছু পর্নোগ্রাফিক সাইট নিয়ম না মেনে লাভবান হচ্ছে এবং এই ধরনের সাইটে অপ্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট খোঁজার প্রবণতা রয়েছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইলো এই উদ্বেগের বিষয়ে অফকমকে তথ্য দিয়েছে।

তবে অফকম তাদের পদক্ষেপের পক্ষে অবস্থান ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে, তারা সাইটের ঝুঁকি এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুসারে তদন্তের অগ্রাধিকার স্থির করে। অফকম-এর ডেটা বলছে, শীর্ষ ১০টি জনপ্রিয় সাইটে বয়স যাচাই ব্যবস্থা চালু রয়েছে, যা যুক্তরাজ্য থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সাইট ভিজিটের এক-চতুর্থাংশ কভার করে।

কেকসি পরামর্শ দিয়েছেন, বয়স যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ওয়েবসাইট-এর বদলে ডিভাইস স্তরে করা উচিত। তিনি জানান, ফ্রান্সের মতো দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার থাকা সত্ত্বেও যেখানে তারা নিয়ম মানেনি, সেখানে যুক্তরাজ্যে নিয়মের ভিন্ন সমাধান (যেমন ই-মেল ভিত্তিক যাচাই) থাকার কারণেই তাঁরা নির্দেশ মেনে চলতে রাজি হয়েছেন।

অন্যদিকে, এজ ভেরিফিকেশন প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন (এভিপিএ)-এর ইয়ান করবি ডিভাইস-ভিত্তিক যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়েছেন, বয়স যাচাই অবশ্যই ‘কঠোর বা ফাঁকি-জুকির’ ব্যাপার হওয়া উচিত নয়।

সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ চেলসি জার্ভি মনে করেন, ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্ল্যাটফর্ম এবং ডিভাইস—উভয় স্তরের যাচাই ব্যবস্থাই প্রয়োজন, কোনো একটি পদ্ধতিই অভেদ্য নয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২০
১৪ বছরের মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ভিডিও বানাতে পারে, তাই দেশ ছাড়ল ইনফ্লুয়েন্সার পরিবার

অনলাইন দুনিয়ায় লাখ লাখ ভক্ত জুটিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার একটি পরিবার। রীতিমতো ‘এম্পায়ার ফ্যামিলি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে তারা। সম্প্রতি একটি ব্যতিক্রমী কারণে পুরো পরিবার যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় আগামী ডিসেম্বর থেকে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে চলেছে। এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবারটি।

চার সদস্যের এই পরিবারে আছেন দুই মা বেক এবং বেক লি, তাঁদের ১৭ বছর বয়সী ছেলে প্রেজলি এবং ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শার্লট। তারা নিয়মিত তাদের দৈনন্দিন জীবনের ভিডিও পোস্ট করে থাকে। দেশ ছাড়ার মূল কারণ হলো, তাদের কনিষ্ঠ সদস্য শার্লট যেন নির্বিঘ্নে কনটেন্ট তৈরি চালিয়ে যেতে পারে। শার্লটের (অনলাইনে ‘চার্লি’ নামে পরিচিত) ইউটিউবে প্রায় ৫ লাখ, টিকটকে ৩ লাখ এবং ইনস্টাগ্রামে প্রায় ২ লাখ ফলোয়ার রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার এই নতুন আইনকে ‘বিশ্বে প্রথম’ বলা হচ্ছে। এই নিয়ম কার্যকর হলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক, এক্স এবং ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে অবশ্যই ‘যুক্তিসংগত পদক্ষেপ’ নিতে হবে, যাতে ১৬ বছরের কম বয়সীরা অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে এবং পুরোনো অ্যাকাউন্টগুলোও নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়।

এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো, অল্পবয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করা। যদি কোনো প্রযুক্তি সংস্থা এই নিয়ম অমান্য করে, তবে তাদের ৫০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ৩২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

প্রথম দিকে ইউটিউবকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হলেও সরকার পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ১৬ বছরের কম বয়সীরা ভিডিও দেখতে পারবে, তবে কনটেন্ট আপলোড বা প্ল্যাটফর্মে অবদান রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্ট রাখতে পারবে না।

এই নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনো অস্পষ্ট। আইডি ডকুমেন্ট, পিতামাতার অনুমোদন এবং ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মতো পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব পদ্ধতি ডেটার গোপনীয়তা এবং বয়স যাচাই কতটা নির্ভুলভাবে করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে লন্ডনে স্থানান্তরের বিষয়ে এক ভিডিওতে মা বেক জানান, তাঁরা এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধী নন। তিনি স্বীকার করেন, ‘আমরা বুঝি যে এটি ইন্টারনেট থেকে অল্পবয়সীদের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের উদ্বেগ হলো, সরকার এখনো এটি কীভাবে কাজ করবে, তা সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করেনি।’

তিনি আশা করেন, যুক্তরাজ্যে থাকার ফলে তাঁরা এই নিয়মের জটিলতা এড়াতে পারবেন।

অবশ্য এই পরিবারের ব্রিটিশ-অস্ট্রেলিয়ান দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। আর মেয়ে শার্লট অনলাইন স্কুলে পড়ার কারণে দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়া তাদের জন্য সহজ হয়েছে। বর্তমানে ছেলে প্রেজলির ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ২৮ লাখ এবং পারিবারিক অ্যাকাউন্টে ১৮ লাখ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। পারিবারিক চ্যানেলে মেকআপ টিউটোরিয়াল থেকে শুরু করে পারিবারিক ভ্রমণের ভিডিও পোস্ট করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন এআই ফিচারে কম রেজল্যুশনের ভিডিও আরও স্পষ্ট দেখাবে ইউটিউব

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৪৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ভিডিওর মান উন্নত করতে এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার শুরু করেছে ইউটিউব। বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত এক ব্লগপোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, নতুন এই এআই-চালিত ফিচারের মাধ্যমে কম রেজ্যুলেশনের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চ রেজ্যুলেশনে রূপান্তর করা যাবে।

ইউটিউব জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ১০৮০ পিক্সেল-এর নিচে আপলোড করা ভিডিওগুলোর মান উন্নত করা হবে। অর্থাৎ স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনেশন (এসডি) ভিডিওগুলোকে হাই ডেফিনেশনে (এইচডি) রূপান্তর করা হবে। ভবিষ্যতে এই সুবিধা ফোর-কে রেজ্যুলেশন পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, ‘নির্মাতারা তাঁদের মূল ফাইল এবং মূল রেজ্যুলেশন আগের মতোই সংরক্ষণ করতে পারবেন। চাইলে তাঁরা এই এআই উন্নত রেজ্যুলেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে ‘অপ্ট-আউট’ বা ফিচারটি বন্ধ করে দিতে পারবেন।’ অর্থাৎ, ইউটিউব ভিডিওর গুণমান বাড়ালেও কনটেন্টের ওপর নির্মাতাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

দর্শকেরাও চাইলে মূল রেজ্যুলেশনেই ভিডিও দেখতে পারবেন। উন্নত রেজ্যুলেশন ভিডিওগুলোর পাশে স্পষ্টভাবে লেবেল থাকবে, যাতে দর্শক নিজের পছন্দমতো সেটিং বেছে নিতে পারেন।

এ ছাড়া ইউটিউব থাম্বনেইলের ফাইল সাইজ সীমা ২ মেগাবাইট থেকে বাড়িয়ে ৫০ মেগাবাইট করছে। এতে করে নির্মাতারা এখন তাঁদের ভিডিওর জন্য ফোর-কে মানের থাম্বনেইল ব্যবহার করতে পারবেন।

কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, নির্বাচিত কিছু নির্মাতার সঙ্গে তারা বড় আকারের ভিডিও আপলোডের পরীক্ষাও শুরু করেছে, যাতে ভবিষ্যতে আরও উন্নতমানের ভিডিও আপলোড করা সম্ভব হয়।

ইউটিউবের মতে, নতুন এই এআই আপস্কেলিং ফিচার টেলিভিশনে প্রিমিয়ার অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ। এর পাশাপাশি আসছে নতুন শপিং ফিচার, আরও ইমারসিভ সেটিং এবং টেলিভিশনের জন্য উন্নত সার্চ অভিজ্ঞতা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অ্যাপল-মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘরে এনভিডিয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪: ৪৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ও অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডকে পেছনে ফেলে বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৫ ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের ঘরে পা রাখল মার্কিন চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া কর্পোরেশন। গতকাল বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং। মাত্র চার মাস আগেই কোম্পানিটি ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সীমা ছুঁয়েছিল।

নিউইয়র্ক সময় গতকাল সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে প্রতি শেয়ার ২১১.৪৭ ডলারে পৌঁছায়, যা এনভিডিয়াকে এই মাইলফলক অতিক্রম করতে সহায়তা করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্মাদনাকে নতুন উচ্চতায় নিতে একের পর এক চুক্তি করেছে কোম্পানিটি। আর এর ফলস্বরূপ এই সাফল্য। নকিয়া ওওয়াইজে, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কো. এবং হুন্দাই মোটর গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চিপ সরবরাহের চুক্তি করেছেন সিইও হুয়াং।

তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে এনভিডিয়া নিজস্ব ধারায় এগিয়ে এই শীর্ষ অবস্থান দখল করে আছে। গত মঙ্গলবার বাজার বন্ধ হওয়া পর্যন্ত এই বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ২০২৫ সালে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের ১৭ শতাংশ উত্থানের প্রায় পাঁচভাগের একভাগের পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে এই শেয়ারের দাম বৃদ্ধি।

ট্রুইস্ট অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেসের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ও প্রধান বাজার কৌশলবিদ কিথ লার্নার বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বাজারমূল্য ছিল অকল্পনীয়। এআই যে বিশ্বজুড়ে রূপান্তরমূলক ভূমিকা রাখবে, বাজার স্পষ্টভাবে সেই ধারণার ওপর প্রচুর আস্থা রাখছে।’

গত মঙ্গলবার এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল চিপ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই বেড়ে যায় এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম। ট্রাম্প কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, এনভিডিয়ার ব্ল্যাকওয়েল প্রসেসরের একটি ডাউনগ্রেডেড সংস্করণ চীনে রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন তিনি। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা প্রত্যাশা করছেন এ বিষয়ে একটা চুক্তির আলোচনা দুই প্রেসিডেন্টের সাক্ষাতে হতে পারে।

একের পর এক নতুন অংশীদারত্ব ঘোষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘বুদবুদ’ (এআই বাবল) তৈরি হচ্ছে এমন উদ্বেগ উড়িয়ে এনভিডিয়ার সিইও হুয়াং বলছেন, সর্বশেষ চিপগুলো থেকে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চিপের সঙ্গে সংযুক্ত করতে কোম্পানিটি আরও একটি নতুন সিস্টেম উন্মোচন করেছে।

ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকেরা এনভিডিয়ার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটিকে নিয়ে কাজ করা ৮০ জন বিশ্লেষকের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি এনভিডিয়ার শেয়ারকে ‘বাই’ বা তার সমতুল্য রেটিং দিয়েছেন। শুধুমাত্র সিপোর্ট গ্লোবাল সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক জে গোল্ডবার্গ এটিকে ‘সেল’ রেটিং দিয়েছেন। শেয়ারের গড় মূল্য লক্ষ্য (average price target) নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৫.৪৮ ডলার, যা প্রায় ৭ শতাংশ উর্ধ্বগতির ইঙ্গিত দেয়।

বর্তমানে এনভিডিয়ার শেয়ার অনুমানকৃত আয়ের তুলনায় ৩৪ গুণেরও কম দামে লেনদেন হচ্ছে, যা গত পাঁচ বছরের গড় (প্রায় ৩৯ গুণ) থেকে নিচে এবং ফিলাডেলফিয়া স্টক এক্সচেঞ্জ সেমিকন্ডাক্টর সূচকের ২৯ গুণের কাছাকাছি।

তবুও সাম্প্রতিক নাটকীয় উত্থানের প্রেক্ষিতে এনভিডিয়ার শেয়ারের দাম বাড়তে থাকবে কি না এ নিয়ে প্রচুর সংশয় রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ থেকে এখন পর্যন্ত শেয়ারটির দাম ইতিমধ্যেই ১৩০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ফোর্ট পিট ক্যাপিটাল গ্রুপের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ড্যান আই বলেন, এনভিডিয়া সম্ভবত কিছু বাজার-শেয়ার হারাবে অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস ইনক. এবং ব্রডকম ইনক.-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির কাছে।

তিনি বলেন, ‘যদি এআই নিয়ে সবার প্রত্যাশা বাস্তবে রূপ নেয় তাহলে বর্তমান মূল্যায়ন হয়তো যথার্থ বলা যেতে পারে। কিন্তু এর কিছু অংশ বাস্তবে অর্জন করা কঠিনও হতে পারে। এনভিডিয়ার শেয়ার না রাখা কঠিন হয়েছে, কিন্তু এটি এখন এমন দামে লেনদেন হচ্ছে যা অত্যন্ত উচ্চ প্রত্যাশার প্রতিফলন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত