যুগ যুগ ধরে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচিত তেলাপোকা। যেখানে মানুষের পৌঁছানো সম্ভব হয় না, সেসব জায়গায় খুব সহজেই এসব প্রাণী পৌঁছাতে পারে। এ কারণেই উদ্ধার অভিযান বা কারখানার পরিদর্শনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাইবর্গ তেলাপোকা ব্যবহার করার উদ্যোগ অনেক আগেই গ্রহণ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার এক নতুন উৎপাদন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকেরা, যার মাধ্যমে তেলাপোকাদের ওপর ইলেকট্রনিক ব্যাকপ্যাক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিস্থাপন করা যাবে। প্রতি ৬৮ সেকেন্ডে একটি সাইবর্গ তেলাপোকা তৈরি করা সম্ভব এই পদ্ধতিতে।
তেলাপোকাগুলোকে সহজেই নিয়ন্ত্রণের জন্য এদের পিঠে ক্ষুদ্র একটি সার্কিট বোর্ড স্থাপন করেন গবেষকেরা। এ সার্কিট বোর্ডের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল পাঠিয়ে তেলাপোকার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর আগে প্রতিটি তেলাপোকার দেহে এক এক করে বৈদ্যুতিক ইলেকট্রোড স্থাপন করতেন গবেষকেরা। তবে এই পদ্ধতির গতি অত্যন্ত ধীর ছিল। সিঙ্গাপুরের নান্যাং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই প্রযুক্তি খুব দ্রুত সাইবর্গ তেলাপোকা বানাতে পারবে।
প্রথমে তেলাপোকাগুলোকে কার্বন ডাই–অক্সাইড চেতনানাশকের মাধ্যমে অচেতন করা হয়। এরপর ধাতব রড দিয়ে তাদের একটি প্ল্যাটফর্মে স্থির রাখা হয়। এর পর, প্রতিটি তেলাপোকার আকার ও গঠনের ভিত্তিতে ব্যাকপ্যাক লাগানোর সঠিক স্থান শনাক্ত করে একটি রোবট। কম্পিউটার ভিশন এবং ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি এই রোবটে ব্যবহার করা হয়েছে।
রোবটিক বাহু ব্যবহার করে একটি কমপ্যাক্ট মাইক্রোকন্ট্রোলার (নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) সাবধানে তেলাপোকায় স্থাপন করা হয়। বিশেষভাবে তৈরি মাউন্টিং টুলগুলো ব্যাকপ্যাকটিকে স্থিতিশীল এবং সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। একবার ব্যাকপ্যাকটি স্থাপন হলে, এর ইলেকট্রোডগুলো তেলাপোকাটির স্নায়ুতন্ত্রকে বৈদ্যুতিকভাবে উদ্দীপিত করে এবং তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
গবেষকেরা বলেন, মাদাগাস্কার হিসিং তেলাপোকার ওপর উৎপাদন প্রক্রিয়াটি ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করেছেন তারা। তেলাপোকাদের মধ্যে একটি বৃহত্তম প্রজাতি মাদাগাস্কার হিসিং। পূর্ণবয়স্ক হলে ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পরীক্ষার ফলাফল দেখিয়েছে যে, এই সাইবর্গ তেলাপোকাগুলো ম্যানুয়ালি ইমপ্লান্ট করা আগের তেলাপোকাগুলোর মতোই ভালো কাজ করেছে। এরা নির্দেশ পাওয়ার পর ঘুরতে, গতিরোধ করতে এবং বাধা পার করতে সক্ষম হয়েছে।
পরীক্ষায় ১০ মিনিটের মধ্যে ৪ বর্গমিটার এলাকার ৮০ শতাংশ পরিমাপ করতে পেরেছে চারটি সাইবর্গ তেলাপোকা। আর এগুলোকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল তাদের ইলেকট্রনিক ব্যাকপ্যাকের মাধ্যমে।
অনেক সময় ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ বা বোমা হামলার মতো দুর্ঘটনার কারণে অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা বা আটকা পড়েন। যেখানে তাদের উদ্ধারের জন্য মানুষের পৌঁছানো সম্ভব হয় না। সেসব জায়গায় অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহের জন্য এসব জীবিত রোবট সহায়ক হতে পারে।
তথ্যসূত্র: টেকস্পট
যুগ যুগ ধরে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য পরিচিত তেলাপোকা। যেখানে মানুষের পৌঁছানো সম্ভব হয় না, সেসব জায়গায় খুব সহজেই এসব প্রাণী পৌঁছাতে পারে। এ কারণেই উদ্ধার অভিযান বা কারখানার পরিদর্শনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাইবর্গ তেলাপোকা ব্যবহার করার উদ্যোগ অনেক আগেই গ্রহণ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার এক নতুন উৎপাদন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন গবেষকেরা, যার মাধ্যমে তেলাপোকাদের ওপর ইলেকট্রনিক ব্যাকপ্যাক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিস্থাপন করা যাবে। প্রতি ৬৮ সেকেন্ডে একটি সাইবর্গ তেলাপোকা তৈরি করা সম্ভব এই পদ্ধতিতে।
তেলাপোকাগুলোকে সহজেই নিয়ন্ত্রণের জন্য এদের পিঠে ক্ষুদ্র একটি সার্কিট বোর্ড স্থাপন করেন গবেষকেরা। এ সার্কিট বোর্ডের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল পাঠিয়ে তেলাপোকার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর আগে প্রতিটি তেলাপোকার দেহে এক এক করে বৈদ্যুতিক ইলেকট্রোড স্থাপন করতেন গবেষকেরা। তবে এই পদ্ধতির গতি অত্যন্ত ধীর ছিল। সিঙ্গাপুরের নান্যাং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই প্রযুক্তি খুব দ্রুত সাইবর্গ তেলাপোকা বানাতে পারবে।
প্রথমে তেলাপোকাগুলোকে কার্বন ডাই–অক্সাইড চেতনানাশকের মাধ্যমে অচেতন করা হয়। এরপর ধাতব রড দিয়ে তাদের একটি প্ল্যাটফর্মে স্থির রাখা হয়। এর পর, প্রতিটি তেলাপোকার আকার ও গঠনের ভিত্তিতে ব্যাকপ্যাক লাগানোর সঠিক স্থান শনাক্ত করে একটি রোবট। কম্পিউটার ভিশন এবং ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি এই রোবটে ব্যবহার করা হয়েছে।
রোবটিক বাহু ব্যবহার করে একটি কমপ্যাক্ট মাইক্রোকন্ট্রোলার (নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) সাবধানে তেলাপোকায় স্থাপন করা হয়। বিশেষভাবে তৈরি মাউন্টিং টুলগুলো ব্যাকপ্যাকটিকে স্থিতিশীল এবং সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। একবার ব্যাকপ্যাকটি স্থাপন হলে, এর ইলেকট্রোডগুলো তেলাপোকাটির স্নায়ুতন্ত্রকে বৈদ্যুতিকভাবে উদ্দীপিত করে এবং তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।
গবেষকেরা বলেন, মাদাগাস্কার হিসিং তেলাপোকার ওপর উৎপাদন প্রক্রিয়াটি ব্যাপকভাবে পরীক্ষা করেছেন তারা। তেলাপোকাদের মধ্যে একটি বৃহত্তম প্রজাতি মাদাগাস্কার হিসিং। পূর্ণবয়স্ক হলে ৫ থেকে ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পরীক্ষার ফলাফল দেখিয়েছে যে, এই সাইবর্গ তেলাপোকাগুলো ম্যানুয়ালি ইমপ্লান্ট করা আগের তেলাপোকাগুলোর মতোই ভালো কাজ করেছে। এরা নির্দেশ পাওয়ার পর ঘুরতে, গতিরোধ করতে এবং বাধা পার করতে সক্ষম হয়েছে।
পরীক্ষায় ১০ মিনিটের মধ্যে ৪ বর্গমিটার এলাকার ৮০ শতাংশ পরিমাপ করতে পেরেছে চারটি সাইবর্গ তেলাপোকা। আর এগুলোকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল তাদের ইলেকট্রনিক ব্যাকপ্যাকের মাধ্যমে।
অনেক সময় ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ বা বোমা হামলার মতো দুর্ঘটনার কারণে অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা বা আটকা পড়েন। যেখানে তাদের উদ্ধারের জন্য মানুষের পৌঁছানো সম্ভব হয় না। সেসব জায়গায় অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহের জন্য এসব জীবিত রোবট সহায়ক হতে পারে।
তথ্যসূত্র: টেকস্পট
নতুন যুগের ইন্টারনেট সেবা নিয়ে হাজির ইলন মাস্কের স্টারলিংক। তাদের সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেটওয়ার্ক না থাকার ভোগান্তি দূর হয়েছে। কোম্পানিটির ডাইরেক্ট-টু-সেল (ডি২সি) প্রযুক্তির মাধ্যমে চলন্ত অবস্থায় কিংবা একেবারে দুর্গম এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। এ জন্য কোনো রাউটার বা ওয়াইফাইয়ের
১২ ঘণ্টা আগেচীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
১৬ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
১৯ ঘণ্টা আগে