বিশ্বব্যাপী ডেটা স্থানান্তর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সমুদ্রের ৪ হাজার মিটার গভীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন করা হয়। তবে সম্প্রতি এই কেবলগুলো কাটার জন্য একটি শক্তিশালী যন্ত্র তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই যন্ত্র ইস্পাত, রাবার ও পলিমার দিয়ে তৈরি কেব্ল কাটতে পারবে, যা বৈশ্বিক ডেটা ট্রান্সমিশনের ৯৫ শতাংশের জন্য অপরিহার্য। এই প্রযুক্তি বৈশ্বিক সামুদ্রিক শক্তির গতিধারা পরিবর্তন করে ফেলতে পারে।
এটি মূলত বেসামরিক উদ্ধারকাজ এবং সমুদ্রতলে খনিজ খননের জন্য তৈরি করা হলেও যন্ত্রটির অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের সম্ভাবনা অন্যান্য দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। অর্থাৎ, এটি অন্য কোনো সামরিক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য হুঁশিয়ারি সংকেত হতে পারে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন গুয়াম অঞ্চলের মতো কৌশলগত স্থানের কাছাকাছি সমুদ্রের কেবল কেটে ফেললে তা বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এ ধরনের যোগাযোগ নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল। এসব কেব্ল তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত বছরের নভেম্বরে সাবমেরিনের মাধ্যমে বাল্টিক সাগরে কেব্লের ক্ষতিসাধনের ঘটনা এই নেটওয়ার্কগুলোর ভঙ্গুরতা সম্পর্কে বৈশ্বিক সচেতনতা বাড়িয়েছে।
নতুন এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে চীনের শিপ সায়েন্স রিসার্চ সেন্টার এবং তার স্টেট কি ল্যাবরেটরি অব ডিপ-সি ম্যানড ভেহিক্যালস।
এই যন্ত্র চীনের আধুনিক নাবিকসহ ও নাবিক ছাড়া সাবমেরিন, যেমন: ফেনডৌঝে এবং হাইডৌ সিরিজের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করে। এগুলো গভীর সমুদ্রে চীনকে নতুন ক্ষমতা দেবে।
গভীর সমুদ্রে কাজ করার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে চীনের কেবল কাটার যন্ত্রটি। চীনের প্রকৌশলী হু হাওলংয়ের নেতৃত্বে তৈরি এই যন্ত্রে ‘টাইটানিয়াম শেলের সঙ্গে ওয়েল-কমপেনসেটেড সিল’ ব্যবহার করা রয়েছে। এর ফলে যন্ত্রটি গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পরেও এটি ক্ষয়ে যাওয়ার কম ঝুঁকি থাকে।
যন্ত্রটির মধ্যে একটি হীরার প্রলেপযুক্ত গ্রাইন্ডিং হুইল (বিভিন্ন কঠিন পদার্থ বা ধাতু কাটার জন্য ব্যবহৃত ঘূর্ণনশীল চাকা) রয়েছে, যা ১ হাজার ৬০০ আরপিএম গতিতে ঘুরে স্টিলের কেবল ভেঙে ফেলতে পারে। কাজের সময় এটি সমুদ্রের নিচে সামান্য খুবই কম কম্পন তৈরি করলেও এটি কার্যকরভাবে শক্তি ব্যবহার করে। এর ফলে সাবমার্সিবলের সীমিত শক্তি ব্যবহার করে যন্ত্রটি কাজ করতে পারে।
বেইজিং বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাবিক এবং নাবিকবিহীন সাবমার্সিবলের বহর পরিচালনা করছে। তবে দূরবর্তী প্ল্যাটফর্ম থেকে গোপনীয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সম্ভাবনা সামরিক গবেষণা মহলে আলোচনা সৃষ্টি করেছ। কারণ এর কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি।
যদিও চীনের বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে, এই যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সামুদ্রিক সম্পদের উন্নয়ন। তবে সমুদ্র অর্থনীতির প্রতি চীনের আগ্রহ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যেহেতু দেশগুলো ক্রমাগত সমুদ্রসম্পদ আহরণে মনোযোগ দিচ্ছে। তাই সুনীল অর্থনীতিতে চীনের সক্ষমতা োড়াবে এই প্রযুক্তি। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের গভীর তলদেশে ‘স্পেস স্টেশন’ তৈরি করতে চায় চীন, যা দীর্ঘস্থায়ী গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হবে।
এর পাশাপাশি কুক আইল্যান্ডসের মতো অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমুদ্র সম্পর্কিত উন্নয়ন করতে কাজ করছে চীন। এটি সুনীল অর্থনীতিতে বাড়তে থাকা চীনের প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। দুই দেশই সমুদ্রসম্পদ ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিয়ে সমুদ্রীয় উদ্যোগে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: টেক স্পট
বিশ্বব্যাপী ডেটা স্থানান্তর ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সমুদ্রের ৪ হাজার মিটার গভীরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাবমেরিন কেব্ল স্থাপন করা হয়। তবে সম্প্রতি এই কেবলগুলো কাটার জন্য একটি শক্তিশালী যন্ত্র তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। এই যন্ত্র ইস্পাত, রাবার ও পলিমার দিয়ে তৈরি কেব্ল কাটতে পারবে, যা বৈশ্বিক ডেটা ট্রান্সমিশনের ৯৫ শতাংশের জন্য অপরিহার্য। এই প্রযুক্তি বৈশ্বিক সামুদ্রিক শক্তির গতিধারা পরিবর্তন করে ফেলতে পারে।
এটি মূলত বেসামরিক উদ্ধারকাজ এবং সমুদ্রতলে খনিজ খননের জন্য তৈরি করা হলেও যন্ত্রটির অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহারের সম্ভাবনা অন্যান্য দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। অর্থাৎ, এটি অন্য কোনো সামরিক উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করা যেতে পারে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য হুঁশিয়ারি সংকেত হতে পারে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন গুয়াম অঞ্চলের মতো কৌশলগত স্থানের কাছাকাছি সমুদ্রের কেবল কেটে ফেললে তা বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এ ধরনের যোগাযোগ নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল। এসব কেব্ল তাদের প্রতিরক্ষা কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গত বছরের নভেম্বরে সাবমেরিনের মাধ্যমে বাল্টিক সাগরে কেব্লের ক্ষতিসাধনের ঘটনা এই নেটওয়ার্কগুলোর ভঙ্গুরতা সম্পর্কে বৈশ্বিক সচেতনতা বাড়িয়েছে।
নতুন এই প্রযুক্তি তৈরি করেছে চীনের শিপ সায়েন্স রিসার্চ সেন্টার এবং তার স্টেট কি ল্যাবরেটরি অব ডিপ-সি ম্যানড ভেহিক্যালস।
এই যন্ত্র চীনের আধুনিক নাবিকসহ ও নাবিক ছাড়া সাবমেরিন, যেমন: ফেনডৌঝে এবং হাইডৌ সিরিজের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করে। এগুলো গভীর সমুদ্রে চীনকে নতুন ক্ষমতা দেবে।
গভীর সমুদ্রে কাজ করার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে চীনের কেবল কাটার যন্ত্রটি। চীনের প্রকৌশলী হু হাওলংয়ের নেতৃত্বে তৈরি এই যন্ত্রে ‘টাইটানিয়াম শেলের সঙ্গে ওয়েল-কমপেনসেটেড সিল’ ব্যবহার করা রয়েছে। এর ফলে যন্ত্রটি গভীর সমুদ্রের প্রচণ্ড চাপ সহ্য করতে পারে এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারের পরেও এটি ক্ষয়ে যাওয়ার কম ঝুঁকি থাকে।
যন্ত্রটির মধ্যে একটি হীরার প্রলেপযুক্ত গ্রাইন্ডিং হুইল (বিভিন্ন কঠিন পদার্থ বা ধাতু কাটার জন্য ব্যবহৃত ঘূর্ণনশীল চাকা) রয়েছে, যা ১ হাজার ৬০০ আরপিএম গতিতে ঘুরে স্টিলের কেবল ভেঙে ফেলতে পারে। কাজের সময় এটি সমুদ্রের নিচে সামান্য খুবই কম কম্পন তৈরি করলেও এটি কার্যকরভাবে শক্তি ব্যবহার করে। এর ফলে সাবমার্সিবলের সীমিত শক্তি ব্যবহার করে যন্ত্রটি কাজ করতে পারে।
বেইজিং বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাবিক এবং নাবিকবিহীন সাবমার্সিবলের বহর পরিচালনা করছে। তবে দূরবর্তী প্ল্যাটফর্ম থেকে গোপনীয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার সম্ভাবনা সামরিক গবেষণা মহলে আলোচনা সৃষ্টি করেছ। কারণ এর কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি।
যদিও চীনের বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন যে, এই যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সামুদ্রিক সম্পদের উন্নয়ন। তবে সমুদ্র অর্থনীতির প্রতি চীনের আগ্রহ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যেহেতু দেশগুলো ক্রমাগত সমুদ্রসম্পদ আহরণে মনোযোগ দিচ্ছে। তাই সুনীল অর্থনীতিতে চীনের সক্ষমতা োড়াবে এই প্রযুক্তি। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের গভীর তলদেশে ‘স্পেস স্টেশন’ তৈরি করতে চায় চীন, যা দীর্ঘস্থায়ী গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হবে।
এর পাশাপাশি কুক আইল্যান্ডসের মতো অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমুদ্র সম্পর্কিত উন্নয়ন করতে কাজ করছে চীন। এটি সুনীল অর্থনীতিতে বাড়তে থাকা চীনের প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। দুই দেশই সমুদ্রসম্পদ ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিয়ে সমুদ্রীয় উদ্যোগে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: টেক স্পট
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) গত পাঁচ মাসে ১ কোটি ১০ লাখ ব্যবহারকারী হারিয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স (সাবেক টুইটার)। এর ফলে ইউরোপে প্ল্যাটফর্মটিতে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন মাস্কের অধিগ্রহণের আগের সময়ের চেয়ে অনেক কম।
৩ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিশেষ করে ফেসবুক মেসেঞ্জারের গ্রুপ চ্যাট আমাদের পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে সাহায্য করে। তবে মেসেঞ্জার গ্রুপকে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করার জন্য একাধিক অ্যাডমিন থাকা প্রয়োজন। অ্যাডমিনরা গ্রুপের সদস্য নিয়ন্ত্রণ, সেটিংস
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে পেপ্যাল, ওয়াইজ ও স্ট্রাইপের মতো পেমেন্ট সেবাগুলো চালুর দাবি জানিয়েছেন ফ্রিল্যান্সার ও আইটি পেশাজীবীরা। তাঁরা বলছেন, দেশের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাররা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে বড় ধরনের সীমাবদ্ধতায় পড়ছেন।
১৮ ঘণ্টা আগেনতুন মডুলার ফোন নিয়ে আসছে নাথিংয়ের সাব-ব্র্যান্ড সিএমএফ। তাদের দ্বিতীয় মডুলার ফোন সিএমএফ ফোন ২ প্রো ঘোষণা করা হয়েছে। আগের মতোই স্ক্রু দিয়ে লাগানো যায় এমন একাধিক অ্যাকসেসরিজ যুক্ত করা যাবে ফোনটিতে। ডিভাইসটি ৩ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেট এবং ৬ বছরের নিরাপত্তা আপডেট পাবে।
১৯ ঘণ্টা আগে