আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। এই হামলার বিষয়ে অবহিত দুটি প্রতিষ্ঠান সোমবার জানায়, সপ্তাহান্ত পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গত শনিবার মাইক্রোসফট একটি সতর্কবার্তায় জানায়, তারা সেলফ-হোস্টেড শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারের ওপর ‘সক্রিয় আক্রমণ’ চিহ্নিত করেছে। শেয়ার পয়েন্ট এমন একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম, যা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নথি আদান-প্রদান এবং সহযোগিতামূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে মাইক্রোসফট-চালিত ক্লাউডভিত্তিক শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারগুলো এই হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে।
এই আক্রমণ ‘জিরো-ডে’ হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি এমন একটি দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে, যা পূর্বে কারও জানা ছিল না। হামলাকারীরা এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে আক্রান্ত সার্ভারে প্রবেশ করতে পারে এবং সেখানে ব্যাকডোর রেখে ভবিষ্যতেও নিয়মিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আই সিকিউরিটির প্রধান হ্যাকার ভাইষা বার্নার্ড জানান, গত শুক্রবার তাদের এক ক্লায়েন্টকে লক্ষ্য করে চালানোর সময় এই হ্যাকিং অভিযান চিহ্নিত করেন তাঁরা । এরপর শ্যাডো সার্ভার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইন্টারনেট স্ক্যান করে দেখা যায়, অন্তত ১০০টি প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে—আর এটি তখনকার হিসাব, যখনো হ্যাকিংয়ের পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ছড়ায়নি।
বার্নার্ড বলেন, ‘এটা স্পষ্ট। কে জানে, এরপর আর কত প্রতিপক্ষ অন্য ব্যাকডোর বসিয়ে রেখেছে।’
তিনি আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশে বিরত থাকেন, তবে জানান সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শ্যাডোসার্ভার ফাউন্ডেশনও ১০০টি সংস্থার আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কিছু সরকারি সংস্থাও রয়েছে।
আরেক গবেষক বলেন, এখন পর্যন্ত এই গুপ্তচরবৃত্তি মূলত একক বা একটি নির্দিষ্ট হ্যাকার দলের কাজ বলেই মনে হচ্ছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।’
ব্রিটিশ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সোফোসের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স বিভাগের পরিচালক রাফে পিলিং জানান, এ ধরনের হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত বড় আকার নিতে পারে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হালনাগাদ সরবরাহ করেছে এবং ব্যবহারকারীদের দ্রুত তা ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে।
এই হ্যাকিংয়ের পেছনে কে রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা ইন্টারনেট ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, অন্তত কিছু হামলা ‘চীন-সংযুক্ত হুমকি চিহ্ন’ বহন করে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সাধারণত, বেইজিং সব ধরনের হ্যাকিং অপারেশন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
এফবিআই রোববার জানিয়েছে, তারা এই হামলার বিষয়ে অবগত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। তবে তারা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারও একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্যে ‘সীমিতসংখ্যক’ লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করেছে।
একজন গবেষক জানান, শুরুতে এই হামলা মূলত কিছু নির্দিষ্ট সরকারি সংস্থাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
তবে সম্ভাবনার পরিসর বিশাল। ইন্টারনেট-সংযুক্ত যন্ত্র শনাক্তকারী সার্চ ইঞ্জিন শোডানের তথ্য অনুযায়ী, ৮ হাজারেরও বেশি সার্ভার হ্যাকারদের দ্বারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হতে পারত। শ্যাডোসার্ভার এই সংখ্যা ৯ হাজারেরও এর বেশি বলে জানিয়েছে, তবে তারা সতর্ক করে বলেছে—এটি ন্যূনতম হিসাব।
এই সার্ভারগুলোর মধ্যে রয়েছে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং একাধিক মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও ওয়াশিংটনপোস্ট

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। এই হামলার বিষয়ে অবহিত দুটি প্রতিষ্ঠান সোমবার জানায়, সপ্তাহান্ত পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গত শনিবার মাইক্রোসফট একটি সতর্কবার্তায় জানায়, তারা সেলফ-হোস্টেড শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারের ওপর ‘সক্রিয় আক্রমণ’ চিহ্নিত করেছে। শেয়ার পয়েন্ট এমন একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম, যা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নথি আদান-প্রদান এবং সহযোগিতামূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে মাইক্রোসফট-চালিত ক্লাউডভিত্তিক শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারগুলো এই হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে।
এই আক্রমণ ‘জিরো-ডে’ হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি এমন একটি দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে, যা পূর্বে কারও জানা ছিল না। হামলাকারীরা এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে আক্রান্ত সার্ভারে প্রবেশ করতে পারে এবং সেখানে ব্যাকডোর রেখে ভবিষ্যতেও নিয়মিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আই সিকিউরিটির প্রধান হ্যাকার ভাইষা বার্নার্ড জানান, গত শুক্রবার তাদের এক ক্লায়েন্টকে লক্ষ্য করে চালানোর সময় এই হ্যাকিং অভিযান চিহ্নিত করেন তাঁরা । এরপর শ্যাডো সার্ভার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইন্টারনেট স্ক্যান করে দেখা যায়, অন্তত ১০০টি প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে—আর এটি তখনকার হিসাব, যখনো হ্যাকিংয়ের পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ছড়ায়নি।
বার্নার্ড বলেন, ‘এটা স্পষ্ট। কে জানে, এরপর আর কত প্রতিপক্ষ অন্য ব্যাকডোর বসিয়ে রেখেছে।’
তিনি আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশে বিরত থাকেন, তবে জানান সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শ্যাডোসার্ভার ফাউন্ডেশনও ১০০টি সংস্থার আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কিছু সরকারি সংস্থাও রয়েছে।
আরেক গবেষক বলেন, এখন পর্যন্ত এই গুপ্তচরবৃত্তি মূলত একক বা একটি নির্দিষ্ট হ্যাকার দলের কাজ বলেই মনে হচ্ছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।’
ব্রিটিশ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সোফোসের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স বিভাগের পরিচালক রাফে পিলিং জানান, এ ধরনের হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত বড় আকার নিতে পারে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হালনাগাদ সরবরাহ করেছে এবং ব্যবহারকারীদের দ্রুত তা ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে।
এই হ্যাকিংয়ের পেছনে কে রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা ইন্টারনেট ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, অন্তত কিছু হামলা ‘চীন-সংযুক্ত হুমকি চিহ্ন’ বহন করে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সাধারণত, বেইজিং সব ধরনের হ্যাকিং অপারেশন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
এফবিআই রোববার জানিয়েছে, তারা এই হামলার বিষয়ে অবগত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। তবে তারা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারও একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্যে ‘সীমিতসংখ্যক’ লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করেছে।
একজন গবেষক জানান, শুরুতে এই হামলা মূলত কিছু নির্দিষ্ট সরকারি সংস্থাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
তবে সম্ভাবনার পরিসর বিশাল। ইন্টারনেট-সংযুক্ত যন্ত্র শনাক্তকারী সার্চ ইঞ্জিন শোডানের তথ্য অনুযায়ী, ৮ হাজারেরও বেশি সার্ভার হ্যাকারদের দ্বারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হতে পারত। শ্যাডোসার্ভার এই সংখ্যা ৯ হাজারেরও এর বেশি বলে জানিয়েছে, তবে তারা সতর্ক করে বলেছে—এটি ন্যূনতম হিসাব।
এই সার্ভারগুলোর মধ্যে রয়েছে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং একাধিক মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও ওয়াশিংটনপোস্ট
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। এই হামলার বিষয়ে অবহিত দুটি প্রতিষ্ঠান সোমবার জানায়, সপ্তাহান্ত পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গত শনিবার মাইক্রোসফট একটি সতর্কবার্তায় জানায়, তারা সেলফ-হোস্টেড শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারের ওপর ‘সক্রিয় আক্রমণ’ চিহ্নিত করেছে। শেয়ার পয়েন্ট এমন একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম, যা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নথি আদান-প্রদান এবং সহযোগিতামূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে মাইক্রোসফট-চালিত ক্লাউডভিত্তিক শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারগুলো এই হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে।
এই আক্রমণ ‘জিরো-ডে’ হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি এমন একটি দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে, যা পূর্বে কারও জানা ছিল না। হামলাকারীরা এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে আক্রান্ত সার্ভারে প্রবেশ করতে পারে এবং সেখানে ব্যাকডোর রেখে ভবিষ্যতেও নিয়মিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আই সিকিউরিটির প্রধান হ্যাকার ভাইষা বার্নার্ড জানান, গত শুক্রবার তাদের এক ক্লায়েন্টকে লক্ষ্য করে চালানোর সময় এই হ্যাকিং অভিযান চিহ্নিত করেন তাঁরা । এরপর শ্যাডো সার্ভার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইন্টারনেট স্ক্যান করে দেখা যায়, অন্তত ১০০টি প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে—আর এটি তখনকার হিসাব, যখনো হ্যাকিংয়ের পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ছড়ায়নি।
বার্নার্ড বলেন, ‘এটা স্পষ্ট। কে জানে, এরপর আর কত প্রতিপক্ষ অন্য ব্যাকডোর বসিয়ে রেখেছে।’
তিনি আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশে বিরত থাকেন, তবে জানান সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শ্যাডোসার্ভার ফাউন্ডেশনও ১০০টি সংস্থার আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কিছু সরকারি সংস্থাও রয়েছে।
আরেক গবেষক বলেন, এখন পর্যন্ত এই গুপ্তচরবৃত্তি মূলত একক বা একটি নির্দিষ্ট হ্যাকার দলের কাজ বলেই মনে হচ্ছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।’
ব্রিটিশ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সোফোসের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স বিভাগের পরিচালক রাফে পিলিং জানান, এ ধরনের হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত বড় আকার নিতে পারে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হালনাগাদ সরবরাহ করেছে এবং ব্যবহারকারীদের দ্রুত তা ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে।
এই হ্যাকিংয়ের পেছনে কে রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা ইন্টারনেট ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, অন্তত কিছু হামলা ‘চীন-সংযুক্ত হুমকি চিহ্ন’ বহন করে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সাধারণত, বেইজিং সব ধরনের হ্যাকিং অপারেশন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
এফবিআই রোববার জানিয়েছে, তারা এই হামলার বিষয়ে অবগত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। তবে তারা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারও একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্যে ‘সীমিতসংখ্যক’ লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করেছে।
একজন গবেষক জানান, শুরুতে এই হামলা মূলত কিছু নির্দিষ্ট সরকারি সংস্থাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
তবে সম্ভাবনার পরিসর বিশাল। ইন্টারনেট-সংযুক্ত যন্ত্র শনাক্তকারী সার্চ ইঞ্জিন শোডানের তথ্য অনুযায়ী, ৮ হাজারেরও বেশি সার্ভার হ্যাকারদের দ্বারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হতে পারত। শ্যাডোসার্ভার এই সংখ্যা ৯ হাজারেরও এর বেশি বলে জানিয়েছে, তবে তারা সতর্ক করে বলেছে—এটি ন্যূনতম হিসাব।
এই সার্ভারগুলোর মধ্যে রয়েছে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং একাধিক মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও ওয়াশিংটনপোস্ট

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। এই হামলার বিষয়ে অবহিত দুটি প্রতিষ্ঠান সোমবার জানায়, সপ্তাহান্ত পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে।
গত শনিবার মাইক্রোসফট একটি সতর্কবার্তায় জানায়, তারা সেলফ-হোস্টেড শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারের ওপর ‘সক্রিয় আক্রমণ’ চিহ্নিত করেছে। শেয়ার পয়েন্ট এমন একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম, যা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নথি আদান-প্রদান এবং সহযোগিতামূলক কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে মাইক্রোসফট-চালিত ক্লাউডভিত্তিক শেয়ার পয়েন্ট সার্ভারগুলো এই হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে।
এই আক্রমণ ‘জিরো-ডে’ হিসেবে পরিচিত, কারণ এটি এমন একটি দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে, যা পূর্বে কারও জানা ছিল না। হামলাকারীরা এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে আক্রান্ত সার্ভারে প্রবেশ করতে পারে এবং সেখানে ব্যাকডোর রেখে ভবিষ্যতেও নিয়মিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারে।
নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আই সিকিউরিটির প্রধান হ্যাকার ভাইষা বার্নার্ড জানান, গত শুক্রবার তাদের এক ক্লায়েন্টকে লক্ষ্য করে চালানোর সময় এই হ্যাকিং অভিযান চিহ্নিত করেন তাঁরা । এরপর শ্যাডো সার্ভার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ইন্টারনেট স্ক্যান করে দেখা যায়, অন্তত ১০০টি প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হয়েছে—আর এটি তখনকার হিসাব, যখনো হ্যাকিংয়ের পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ছড়ায়নি।
বার্নার্ড বলেন, ‘এটা স্পষ্ট। কে জানে, এরপর আর কত প্রতিপক্ষ অন্য ব্যাকডোর বসিয়ে রেখেছে।’
তিনি আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশে বিরত থাকেন, তবে জানান সংশ্লিষ্ট জাতীয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। শ্যাডোসার্ভার ফাউন্ডেশনও ১০০টি সংস্থার আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানির প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে কিছু সরকারি সংস্থাও রয়েছে।
আরেক গবেষক বলেন, এখন পর্যন্ত এই গুপ্তচরবৃত্তি মূলত একক বা একটি নির্দিষ্ট হ্যাকার দলের কাজ বলেই মনে হচ্ছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।’
ব্রিটিশ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সোফোসের থ্রেট ইন্টেলিজেন্স বিভাগের পরিচালক রাফে পিলিং জানান, এ ধরনের হামলার পর পরিস্থিতি দ্রুত বড় আকার নিতে পারে।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে নিরাপত্তা হালনাগাদ সরবরাহ করেছে এবং ব্যবহারকারীদের দ্রুত তা ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে।
এই হ্যাকিংয়ের পেছনে কে রয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা ইন্টারনেট ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, অন্তত কিছু হামলা ‘চীন-সংযুক্ত হুমকি চিহ্ন’ বহন করে।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। সাধারণত, বেইজিং সব ধরনের হ্যাকিং অপারেশন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
এফবিআই রোববার জানিয়েছে, তারা এই হামলার বিষয়ে অবগত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীদারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। তবে তারা আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। ব্রিটেনের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারও একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্যে ‘সীমিতসংখ্যক’ লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করেছে।
একজন গবেষক জানান, শুরুতে এই হামলা মূলত কিছু নির্দিষ্ট সরকারি সংস্থাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
তবে সম্ভাবনার পরিসর বিশাল। ইন্টারনেট-সংযুক্ত যন্ত্র শনাক্তকারী সার্চ ইঞ্জিন শোডানের তথ্য অনুযায়ী, ৮ হাজারেরও বেশি সার্ভার হ্যাকারদের দ্বারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হতে পারত। শ্যাডোসার্ভার এই সংখ্যা ৯ হাজারেরও এর বেশি বলে জানিয়েছে, তবে তারা সতর্ক করে বলেছে—এটি ন্যূনতম হিসাব।
এই সার্ভারগুলোর মধ্যে রয়েছে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা এবং একাধিক মার্কিন ও আন্তর্জাতিক সরকারি সংস্থা।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও ওয়াশিংটনপোস্ট

দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইনের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগকে সীমায়িত রেখেছিল। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে সরকার। গত ৬ নভেম্বর এই অধ্যাদেশ গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ৬ নভেম্বর গেজেটটি প্রকাশিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শনিবার দিবাগত রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এসব কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আজকের বিশ্ব সম্পূর্ণরূপে ডেটা নিয়ন্ত্রিত ইকোসিস্টেম। বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স, এবং জাতীয় বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মতো অত্যাবশ্যকীয় ডিজিটাল কার্যক্রমে নাগরিকদের অংশগ্রহণ যখন তুঙ্গে, তখন তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার প্রশ্নটি ছিল প্রকট। দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইনের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগকে সীমায়িত রেখেছিল। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে সরকার। গত ৬ নভেম্বর ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
এই অধ্যাদেশটি ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে সরকার। এটি উপাত্তের গোপনীয়তাকে নিছক প্রযুক্তিগত সুরক্ষা হিসেবে নয়, বরং ব্যক্তির মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, দ্রুত পরিবর্তনশীল এশিয়া এখন গোপনীয়তা সুরক্ষার ক্ষেত্রে বেশ সক্রিয়। ভারত (২০২৩ সালে ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন পাস), সিঙ্গাপুর (২০১২ সালের আইন), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশ ইতোমধ্যে শক্তিশালী সুরক্ষা কাঠামো তৈরি করেছে। ডেটা সুরক্ষার বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (GDPR) বিবেচিত হওয়ায়, এই শক্তিশালী আইনি কাঠামোর অভাব বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক অংশীদারদের আস্থা হারানোর ঝুঁকিতে ফেলেছিল। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ডিজিটাল বাণিজ্যের মূল মঞ্চে নিজেদের অবস্থান করে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫:
জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫:

আজকের বিশ্ব সম্পূর্ণরূপে ডেটা নিয়ন্ত্রিত ইকোসিস্টেম। বাংলাদেশে অনলাইন ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স, এবং জাতীয় বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মতো অত্যাবশ্যকীয় ডিজিটাল কার্যক্রমে নাগরিকদের অংশগ্রহণ যখন তুঙ্গে, তখন তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার প্রশ্নটি ছিল প্রকট। দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইনের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগকে সীমায়িত রেখেছিল। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে সরকার। গত ৬ নভেম্বর ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।
এই অধ্যাদেশটি ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে সরকার। এটি উপাত্তের গোপনীয়তাকে নিছক প্রযুক্তিগত সুরক্ষা হিসেবে নয়, বরং ব্যক্তির মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, দ্রুত পরিবর্তনশীল এশিয়া এখন গোপনীয়তা সুরক্ষার ক্ষেত্রে বেশ সক্রিয়। ভারত (২০২৩ সালে ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন পাস), সিঙ্গাপুর (২০১২ সালের আইন), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশ ইতোমধ্যে শক্তিশালী সুরক্ষা কাঠামো তৈরি করেছে। ডেটা সুরক্ষার বৈশ্বিক মানদণ্ড হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (GDPR) বিবেচিত হওয়ায়, এই শক্তিশালী আইনি কাঠামোর অভাব বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারী এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক অংশীদারদের আস্থা হারানোর ঝুঁকিতে ফেলেছিল। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ডিজিটাল বাণিজ্যের মূল মঞ্চে নিজেদের অবস্থান করে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫:
জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫:

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের
২২ জুলাই ২০২৫
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ৬ নভেম্বর গেজেটটি প্রকাশিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শনিবার দিবাগত রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এসব কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
১৪ ঘণ্টা আগে‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন’-এর গেজেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টে এ কথা জানান। তিনি এই গেজেট প্রকাশকে ‘ডেটা গভর্নেন্স-এর নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। আমরা প্রমাণ করেছি আমরা পারি, নতুন বাংলাদেশ পারে।’
দুই অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশকে ডেটা গভর্নেন্সের নতুন অধ্যায়ের সূচনা বিন্দু হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফয়েজ আহমদ। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘স্যারের (প্রধান উপদেষ্টা) নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন) এর এক দশক পরে হলেও আমরা পেরেছি।’
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আজকের দিনের আগে এবং পরে, বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনা প্রশ্নকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ডিল করতে হবে আইনিভাবে। প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে। মানুষের ডাটা যাচ্ছেতাইভাবে ডিল করা, ডেটা বিক্রি করার বদমাইশি আজ থেকে আইনিভাবে শেষ হলো।’
বিশেষ সহকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মদদ পুষ্ট ও সহযোগী কোম্পানিগুলো, এবং কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলো যে দুর্বৃত্তপনা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঘোরতর লঙ্ঘন, যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত ডাটা বিক্রির যে অনাচার বাংলাদেশে তৈরি করেছে, আজ থেকে তার কবর রচিত হলো।’
নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত নিয়ে জবাবদিহিহীন আদান-প্রদান এবং অবৈধ ব্যবসা আজ থেকে আইনিভাবে রহিত হলো বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মগুলোর যৌক্তিক আচরণের অধ্যায়ও শুরু হলো বলে জানান তিনি। ফয়েজ আহমদ মনে করেন, নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে বাংলাদেশের ডেটা সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে কেউ ডিজিটাল ব্যবসা করতে পারবে না।
বিশেষ সহকারী জানান, অধ্যাদেশ দুটোর কাজ বন্ধ করতে দেশ বিদেশ থেকে নানা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি। বরং যারা এসব করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে আগামীতে। অত্যন্ত শক্তিশালী এক মোরাল নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, এটা তাদের আবারও প্রমাণ করে ছেড়েছি।’
আইনটি কী পরিবর্তন আনবে?
আইসিটি উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এই আইনের ফলে বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আইনিভাবে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা পাবে। তিনি বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে’ এই পরিবর্তন আসবে।
কেন এই আইন জরুরি?
বর্তমান বিশ্ব সম্পূর্ণরূপে ডেটানির্ভর। অনলাইন ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স এবং বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মতো সব ডিজিটাল কার্যক্রমে বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইন না থাকায় ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ সীমিত ছিল। এই অধ্যাদেশ সেই দীর্ঘদিনের শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে তৈরি। এটি উপাত্তের গোপনীয়তাকে ব্যক্তির মর্যাদা, নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
ভারত (২০২৩ সালে ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন), সিঙ্গাপুর (২০১২ সালের আইন), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বহু দেশ যখন দ্রুত গতিতে এই ধরনের আইন তৈরি করছে, তখন বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (GDPR) এখনো ডেটা সুরক্ষার আদর্শ হিসেবে বিবেচিত, যা বৈশ্বিক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য। এই শক্তিশালী আইনি কাঠামো ছাড়া বাংলাদেশ শুধু নাগরিকদের সুরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানোর ঝুঁকিতেও থাকত।
অধ্যাদেশের পরিধি ও প্রধান সংজ্ঞা
এই অধ্যাদেশটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণকারী সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের উপাত্ত পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর জন্যও এটি বাধ্যতামূলক।
ব্যক্তিগত উপাত্ত: এমন উপাত্ত, যা একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে—যার মধ্যে রয়েছে নাম, ঠিকানা, আর্থিক উপাত্ত, অবস্থান, স্বাস্থ্য বিবরণ, জেনেটিক, বায়োমেট্রিক উপাত্ত এবং অন্যান্য তথ্য।
সংবেদনশীল উপাত্ত: বায়োমেট্রিকস, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যপদ, যৌন অভিমুখিতা, স্বাস্থ্য বা আইনি বিষয় সম্পর্কিত তথ্য। এই ধরনের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্পষ্ট সম্মতি প্রয়োজন।
উপাত্ত জিম্মাদার (Data Fiduciary): যিনি ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন বা এই প্রক্রিয়াকরণের তত্ত্বাবধান করেন।
উপাত্ত প্রক্রিয়াকারী (Data Processor): যিনি উপাত্ত জিম্মাদারের পক্ষে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করেন।
নাগরিকের অধিকার: সম্মতিই মূল ভিত্তি
অধ্যাদেশের মূল ভিত্তি হলো 'সম্মতি' এবং 'স্বচ্ছতা'। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াকরণের আগে তাকে অবশ্যই জানাতে হবে এবং তার স্পষ্ট সম্মতি নিতে হবে। এই সম্মতি হতে হবে নির্দিষ্ট, স্বতঃসিদ্ধ ও স্বচ্ছ।
১. জানার অধিকার: উপাত্তধারীদের জানানো বাধ্যতামূলক যে তাদের উপাত্ত কেন সংগ্রহ করা হচ্ছে, কীভাবে ব্যবহৃত হবে এবং কতদিন সংরক্ষণ করা হবে।
২. প্রত্যাহারের অধিকার: কোনো ব্যক্তি যেকোনো সময় তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারেন, এবং সম্মতি প্রত্যাহার করলে ডেটা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করতে হবে।
৩. শিশুদের সুরক্ষা: এই অধ্যাদেশ শিশুদের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শিশুদের লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন, প্রোফাইলিং বা আচরণগত নজরদারি সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের কাছ থেকে সম্মতি নিতে হবে।
জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (NDGA): নতুন তদারকি সংস্থা
আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (এনডিজিএ) প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই স্বাধীন সংস্থা সম্মতি পর্যবেক্ষণ, নির্দেশিকা জারি, তদন্ত পরিচালনা এবং নাগরিকদের অভিযোগ দেখভালের দায়িত্ব পাবে।
এনডিজিএ উপাত্ত জিম্মাদারদের নিবন্ধন ও শ্রেণিবিন্যাস করবে, নিরীক্ষা পরিচালনা করবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করার ক্ষমতা রাখবে।
কঠোর শাস্তি ও করপোরেট জবাবদিহি
অধ্যাদেশের নবম অধ্যায়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এতে উপাত্ত লঙ্ঘনের (Data Breach) ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আন্তসীমান্ত উপাত্ত স্থানান্তর ও বাস্তবায়ন
বিশ্বব্যাপী ডেটার অবাধ প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাদেশে আন্তসীমান্ত ডেটা স্থানান্তরের শর্তাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত উপাত্ত শুধু তখনই বাংলাদেশ থেকে বাইরে স্থানান্তর করা যাবে, যদি গ্রহীতা দেশ বা প্রতিষ্ঠান একই সুরক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারে। এই ধারা বাংলাদেশের উপাত্ত সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশকে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
বাস্তবায়নের সময়সীমা:
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর কিছু ধারা সরকারি গেজেট প্রকাশের ১৮ মাস পর কার্যকর হবে। এই গ্রেস পিরিয়ড বা সময়টুকু সংস্থাগুলোকে তাদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামো এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন আইনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই সময়ের পরও নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে কঠোর প্রশাসনিক জরিমানা বা অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এবং ‘জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টে এ কথা জানান। তিনি এই গেজেট প্রকাশকে ‘ডেটা গভর্নেন্স-এর নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ বলে অভিহিত করেছেন।
ফেসবুক পোস্টে ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। আমরা প্রমাণ করেছি আমরা পারি, নতুন বাংলাদেশ পারে।’
দুই অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশকে ডেটা গভর্নেন্সের নতুন অধ্যায়ের সূচনা বিন্দু হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফয়েজ আহমদ। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘স্যারের (প্রধান উপদেষ্টা) নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন) এর এক দশক পরে হলেও আমরা পেরেছি।’
ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘আজকের দিনের আগে এবং পরে, বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনা প্রশ্নকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ডিল করতে হবে আইনিভাবে। প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে। মানুষের ডাটা যাচ্ছেতাইভাবে ডিল করা, ডেটা বিক্রি করার বদমাইশি আজ থেকে আইনিভাবে শেষ হলো।’
বিশেষ সহকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মদদ পুষ্ট ও সহযোগী কোম্পানিগুলো, এবং কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলো যে দুর্বৃত্তপনা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ঘোরতর লঙ্ঘন, যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ডার্ক ওয়েবে ব্যক্তিগত ডাটা বিক্রির যে অনাচার বাংলাদেশে তৈরি করেছে, আজ থেকে তার কবর রচিত হলো।’
নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে ব্যক্তির তথ্য উপাত্ত নিয়ে জবাবদিহিহীন আদান-প্রদান এবং অবৈধ ব্যবসা আজ থেকে আইনিভাবে রহিত হলো বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ। এর মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মগুলোর যৌক্তিক আচরণের অধ্যায়ও শুরু হলো বলে জানান তিনি। ফয়েজ আহমদ মনে করেন, নতুন দুই অধ্যাদেশের ফলে বাংলাদেশের ডেটা সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে কেউ ডিজিটাল ব্যবসা করতে পারবে না।
বিশেষ সহকারী জানান, অধ্যাদেশ দুটোর কাজ বন্ধ করতে দেশ বিদেশ থেকে নানা প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ডেটা গভর্নেন্স আইন থামাতে, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন বন্ধ করতে-আমাদের এসব কাজকে ডিলিজিটিমেট করতে দেশ-বিদেশ থেকে সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। এ জন্য আমাকে এবং আমার টিমকে প্রচণ্ড রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে, অনেক যন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে, এবং অপবাদ দেওয়া হয়েছে, আমরা সেগুলোতে থেমে যাইনি। বরং যারা এসব করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে আগামীতে। অত্যন্ত শক্তিশালী এক মোরাল নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, এটা তাদের আবারও প্রমাণ করে ছেড়েছি।’
আইনটি কী পরিবর্তন আনবে?
আইসিটি উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, এই আইনের ফলে বাংলাদেশের নাগরিকদের উপাত্ত ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আইনিভাবে সম্পূর্ণ ভিন্নমাত্রা পাবে। তিনি বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম লায়াবিলিটির দিক থেকে, গোপনীয় এবং সংবেদনশীল ডেটা ব্যবস্থাপনার দিক থেকে, সর্বোপরি উপাত্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বিনিময় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের দিক থেকে’ এই পরিবর্তন আসবে।
কেন এই আইন জরুরি?
বর্তমান বিশ্ব সম্পূর্ণরূপে ডেটানির্ভর। অনলাইন ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, ই-কমার্স এবং বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের মতো সব ডিজিটাল কার্যক্রমে বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইন না থাকায় ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ সীমিত ছিল। এই অধ্যাদেশ সেই দীর্ঘদিনের শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে তৈরি। এটি উপাত্তের গোপনীয়তাকে ব্যক্তির মর্যাদা, নিরাপত্তা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
ভারত (২০২৩ সালে ডিজিটাল পারসোনাল ডেটা প্রোটেকশন আইন), সিঙ্গাপুর (২০১২ সালের আইন), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার বহু দেশ যখন দ্রুত গতিতে এই ধরনের আইন তৈরি করছে, তখন বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সময়োপযোগী। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিডিপিআর (GDPR) এখনো ডেটা সুরক্ষার আদর্শ হিসেবে বিবেচিত, যা বৈশ্বিক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য। এই শক্তিশালী আইনি কাঠামো ছাড়া বাংলাদেশ শুধু নাগরিকদের সুরক্ষা নয়, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানোর ঝুঁকিতেও থাকত।
অধ্যাদেশের পরিধি ও প্রধান সংজ্ঞা
এই অধ্যাদেশটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণকারী সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের উপাত্ত পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর জন্যও এটি বাধ্যতামূলক।
ব্যক্তিগত উপাত্ত: এমন উপাত্ত, যা একজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারে—যার মধ্যে রয়েছে নাম, ঠিকানা, আর্থিক উপাত্ত, অবস্থান, স্বাস্থ্য বিবরণ, জেনেটিক, বায়োমেট্রিক উপাত্ত এবং অন্যান্য তথ্য।
সংবেদনশীল উপাত্ত: বায়োমেট্রিকস, ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যপদ, যৌন অভিমুখিতা, স্বাস্থ্য বা আইনি বিষয় সম্পর্কিত তথ্য। এই ধরনের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্পষ্ট সম্মতি প্রয়োজন।
উপাত্ত জিম্মাদার (Data Fiduciary): যিনি ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন বা এই প্রক্রিয়াকরণের তত্ত্বাবধান করেন।
উপাত্ত প্রক্রিয়াকারী (Data Processor): যিনি উপাত্ত জিম্মাদারের পক্ষে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ করেন।
নাগরিকের অধিকার: সম্মতিই মূল ভিত্তি
অধ্যাদেশের মূল ভিত্তি হলো 'সম্মতি' এবং 'স্বচ্ছতা'। কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত উপাত্ত সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াকরণের আগে তাকে অবশ্যই জানাতে হবে এবং তার স্পষ্ট সম্মতি নিতে হবে। এই সম্মতি হতে হবে নির্দিষ্ট, স্বতঃসিদ্ধ ও স্বচ্ছ।
১. জানার অধিকার: উপাত্তধারীদের জানানো বাধ্যতামূলক যে তাদের উপাত্ত কেন সংগ্রহ করা হচ্ছে, কীভাবে ব্যবহৃত হবে এবং কতদিন সংরক্ষণ করা হবে।
২. প্রত্যাহারের অধিকার: কোনো ব্যক্তি যেকোনো সময় তাদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারেন, এবং সম্মতি প্রত্যাহার করলে ডেটা নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করতে হবে।
৩. শিশুদের সুরক্ষা: এই অধ্যাদেশ শিশুদের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শিশুদের লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন, প্রোফাইলিং বা আচরণগত নজরদারি সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পিতামাতা বা আইনি অভিভাবকের কাছ থেকে সম্মতি নিতে হবে।
জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (NDGA): নতুন তদারকি সংস্থা
আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ডেটা গভর্নেন্স অথরিটি (এনডিজিএ) প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই স্বাধীন সংস্থা সম্মতি পর্যবেক্ষণ, নির্দেশিকা জারি, তদন্ত পরিচালনা এবং নাগরিকদের অভিযোগ দেখভালের দায়িত্ব পাবে।
এনডিজিএ উপাত্ত জিম্মাদারদের নিবন্ধন ও শ্রেণিবিন্যাস করবে, নিরীক্ষা পরিচালনা করবে এবং নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করার ক্ষমতা রাখবে।
কঠোর শাস্তি ও করপোরেট জবাবদিহি
অধ্যাদেশের নবম অধ্যায়ে ব্যক্তিগত উপাত্ত অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
এতে উপাত্ত লঙ্ঘনের (Data Breach) ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আন্তসীমান্ত উপাত্ত স্থানান্তর ও বাস্তবায়ন
বিশ্বব্যাপী ডেটার অবাধ প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাদেশে আন্তসীমান্ত ডেটা স্থানান্তরের শর্তাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত উপাত্ত শুধু তখনই বাংলাদেশ থেকে বাইরে স্থানান্তর করা যাবে, যদি গ্রহীতা দেশ বা প্রতিষ্ঠান একই সুরক্ষার মান নিশ্চিত করতে পারে। এই ধারা বাংলাদেশের উপাত্ত সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশকে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।
বাস্তবায়নের সময়সীমা:
ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর কিছু ধারা সরকারি গেজেট প্রকাশের ১৮ মাস পর কার্যকর হবে। এই গ্রেস পিরিয়ড বা সময়টুকু সংস্থাগুলোকে তাদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া, সাইবার নিরাপত্তা অবকাঠামো এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন আইনের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে। এই সময়ের পরও নিয়ম মেনে চলতে ব্যর্থ হলে কঠোর প্রশাসনিক জরিমানা বা অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের
২২ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইনের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগকে সীমায়িত রেখেছিল। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে সরকার। গত ৬ নভেম্বর এই অধ্যাদেশ গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৮ ঘণ্টা আগে
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
১৪ ঘণ্টা আগেঅর্চি হক, ঢাকা

দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবও এ বিষয়ে দেশীয় আইএসপিগুলোকে সতর্ক করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন। ডিডস কথাটির পূর্ণ রূপ হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস, যার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপির নেটওয়ার্ক অচল করে দেওয়া যায়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ডিডস আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে বিদেশ থেকে পরিচালিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, যার মূল পরিকল্পনায় জড়িত দেশেরই কয়েকটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান। এ আক্রমণের উদ্দেশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভার অচল করে তাদের গ্রাহক হারানো ও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ বিষয়ে বলেছেন, বিটিআরসি তথা সরকারের হাতে এ-সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ এসেছে।
ডিডস হচ্ছে এমন একধরনের সাইবার হামলা, যেখানে আক্রমণকারী লক্ষ্যবস্তুর সার্ভার বা ওয়েবসাইটে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ভুয়া অনুরোধ পাঠিয়ে সেটিকে অচল বা ধীরগতির করে দেয়। এর ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা সেবা নিতে পারেন না, যাতে তাঁদের সুনাম ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, এই অপরাধে জড়িত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা নতুন লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এমনকি বর্তমান লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি আমিনুল হাকিম জানিয়েছেন, দেড় মাস আগেই ডিডস আক্রমণের বিষয়ে বিটিআরসিতে অভিযোগ দিয়েছেন তারা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। ওনাদের তদন্ত করে বের করতে হবে যে বাংলাদেশ থেকে কেউ এটা করছে বা কোনোভাবে জড়িত আছে কি না। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। কিন্তু তদন্তের তো রিপোর্ট দরকার।... প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও জানানো হয়নি।’
সরকার ডিডস আক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। পাশাপাশি তিনি সাইবার হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তা বিনিয়োগে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি অবৈধ আক্রমণকারীদের ধরবে। কিন্তু আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিজেদের নেটওয়ার্ক সুরক্ষায় যথেষ্ট বিনিয়োগ করতে হবে।’
সর্বশেষ গত শুক্রবার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে আইএসপি খাতের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার ব্যাপার আমাদের নজরে এসেছে।’
আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডিডস হামলা নতুন কোনো বিষয় নয়। এ ধরনের হামলা অনেক বছর আগে থেকেই হয়ে আসছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে।
বিটিআরসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো আইএসপি খাতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তারই অংশ হিসেবে ডিডস হামলা চালানো হচ্ছে। আইএসপিএবির ইসি কমিটির কেউ কেউও এর সঙ্গে জড়িত।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে এসেছে যে কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে ছোট আইএসপিগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই আক্রমণগুলোর মাত্রা এত বেশি, যা ছোট নেটওয়ার্কের পক্ষে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা। প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবও এ বিষয়ে দেশীয় আইএসপিগুলোকে সতর্ক করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছেন। ডিডস কথাটির পূর্ণ রূপ হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস, যার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপির নেটওয়ার্ক অচল করে দেওয়া যায়।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ডিডস আক্রমণ সংঘটিত হয়েছে বিদেশ থেকে পরিচালিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, যার মূল পরিকল্পনায় জড়িত দেশেরই কয়েকটি আইএসপি প্রতিষ্ঠান। এ আক্রমণের উদ্দেশ্য প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্ভার অচল করে তাদের গ্রাহক হারানো ও বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ বিষয়ে বলেছেন, বিটিআরসি তথা সরকারের হাতে এ-সংক্রান্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ এসেছে।
ডিডস হচ্ছে এমন একধরনের সাইবার হামলা, যেখানে আক্রমণকারী লক্ষ্যবস্তুর সার্ভার বা ওয়েবসাইটে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ভুয়া অনুরোধ পাঠিয়ে সেটিকে অচল বা ধীরগতির করে দেয়। এর ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা সেবা নিতে পারেন না, যাতে তাঁদের সুনাম ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, এই অপরাধে জড়িত কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা নতুন লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ায় অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এমনকি বর্তমান লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতি আমিনুল হাকিম জানিয়েছেন, দেড় মাস আগেই ডিডস আক্রমণের বিষয়ে বিটিআরসিতে অভিযোগ দিয়েছেন তারা। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সরকারের। ওনাদের তদন্ত করে বের করতে হবে যে বাংলাদেশ থেকে কেউ এটা করছে বা কোনোভাবে জড়িত আছে কি না। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। কিন্তু তদন্তের তো রিপোর্ট দরকার।... প্রতিষ্ঠানগুলোর নামও জানানো হয়নি।’
সরকার ডিডস আক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। পাশাপাশি তিনি সাইবার হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তা বিনিয়োগে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিটিআরসি অবৈধ আক্রমণকারীদের ধরবে। কিন্তু আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও নিজেদের নেটওয়ার্ক সুরক্ষায় যথেষ্ট বিনিয়োগ করতে হবে।’
সর্বশেষ গত শুক্রবার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ বিষয়ে আইএসপি খাতের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও আঞ্চলিক আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টার ব্যাপার আমাদের নজরে এসেছে।’
আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডিডস হামলা নতুন কোনো বিষয় নয়। এ ধরনের হামলা অনেক বছর আগে থেকেই হয়ে আসছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেড়েছে।
বিটিআরসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো আইএসপি খাতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে। তারই অংশ হিসেবে ডিডস হামলা চালানো হচ্ছে। আইএসপিএবির ইসি কমিটির কেউ কেউও এর সঙ্গে জড়িত।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণে এসেছে যে কিছু বড় আইএসপি বা গোষ্ঠী ছোট অপারেটরদের নেটওয়ার্কে নিয়মিতভাবে ডিডস আক্রমণ চালাচ্ছে। এর ফলে ছোট আইএসপিগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। এই আক্রমণগুলোর মাত্রা এত বেশি, যা ছোট নেটওয়ার্কের পক্ষে সামাল দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের
২২ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইনের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগকে সীমায়িত রেখেছিল। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে সরকার। গত ৬ নভেম্বর এই অধ্যাদেশ গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ৬ নভেম্বর গেজেটটি প্রকাশিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শনিবার দিবাগত রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এসব কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগে
আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে—অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে, অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
নতুন সিরিজে থাকছে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি, আরও পরিশীলিত ডিসপ্লে ডিজাইন এবং অ্যাপলের নিজস্বভাবে তৈরি প্রথম মডেম চিপ। বাহ্যিক দিক থেকে পরিবর্তন খুব বড় না হলেও, ভেতরে (কিছু সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার) আইফোন ১৮ প্রো ও ১৮ প্রো ম্যাক্স হতে পারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্করণ।
ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, আইফোন ১৮ প্রো সিরিজের নকশা আগের আইফোন ১৭ প্রোর মতোই থাকবে। তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন আংশিক স্বচ্ছ ম্যাগসেফ ব্যাক অংশ, আরও সরু ডায়নামিক আইল্যান্ড এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি ‘নচ-ফ্রি’ বা পিনহোল-স্টাইল ডিজাইন সম্ভবত ২০২৬ সালের পরেই বাজারে আনবে অ্যাপল।
এবার ডিভাইসের ভেতরের প্রযুক্তিতেও বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। নতুন আইফোন ১৮ প্রোতে থাকবে অ্যাপলের এ-২০ প্রো চিপ, যা তৈরি হচ্ছে টিএসএমসির উন্নত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ও নতুন ‘চিপ-অন-ওয়েফার-অন-সাবস্ট্রেট’ (CoWoS) প্যাকেজিং ব্যবহার করে। এই চিপ মূলত শক্তি সাশ্রয় ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পারফরম্যান্স উন্নত করার দিকে জোর দেবে। একই সঙ্গে এতে থাকবে অ্যাপলের নিজস্ব সি-২ মডেম, যা দ্রুততর ডাউনলোড স্পিড, মিনিমাম-ফ্রিকুয়েন্সি ও কোয়ালকমের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ক্যামেরায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অ্যাপল সনির পরিবর্তে স্যামসাংয়ের তৈরি নতুন তিন স্তরবিশিষ্ট সেন্সর ব্যবহার করবে, যা দ্রুততর রিডআউট, কম নয়েজ এবং উন্নত ডাইনামিক রেঞ্জ দেবে। পাশাপাশি, অ্যাপল পরীক্ষা করছে ডিএসএলআর-স্টাইলের ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচার সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের হাতে থাকবে আলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো ম্যানুয়াল কন্ট্রোল যুক্ত হতে পারে আইফোনের মূল ক্যামেরায়।
এ ছাড়া, নতুন আইফোনে থাকতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধা, যা ভবিষ্যতে সেল টাওয়ার ছাড়াই ৫-জি ইন্টারনেট চালু করার পথ খুলে দিতে পারে। ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটনেও থাকবে পরিবর্তন। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ক্যাপটিভ টাচ (capacitive touch) সিস্টেমের বদলে ব্যবহার করা হতে পারে প্রেসার-সেনসিটিভ বাটন।
এবার অ্যাপল তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ সূচিতেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একসঙ্গে উন্মোচিত হতে পারে আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ ও বহু প্রতীক্ষিত ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আইফোন ১৮ ও ১৮-ই মডেল বাজারে আসতে পারে ২০২৭ সালের মার্চ মাসে।

আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ বাজারে আসতে এখনো এক বছরের বেশি সময় বাকি। তবে এরই মধ্যে অ্যাপলের ওই ফোনের কিছু তথ্য ফাঁস হয়েছে। এসব তথ্য জানাচ্ছে, অ্যাপল এবার তাদের ফোনে আনছে একাধিক যুগান্তকারী পরিবর্তন।
নতুন সিরিজে থাকছে উন্নত ক্যামেরা প্রযুক্তি, আরও পরিশীলিত ডিসপ্লে ডিজাইন এবং অ্যাপলের নিজস্বভাবে তৈরি প্রথম মডেম চিপ। বাহ্যিক দিক থেকে পরিবর্তন খুব বড় না হলেও, ভেতরে (কিছু সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার) আইফোন ১৮ প্রো ও ১৮ প্রো ম্যাক্স হতে পারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে অ্যাপলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্করণ।
ফাঁস হওয়া তথ্যে জানা গেছে, আইফোন ১৮ প্রো সিরিজের নকশা আগের আইফোন ১৭ প্রোর মতোই থাকবে। তবে কিছু সূক্ষ্ম পরিবর্তন আসতে পারে। যেমন আংশিক স্বচ্ছ ম্যাগসেফ ব্যাক অংশ, আরও সরু ডায়নামিক আইল্যান্ড এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত আন্ডার-ডিসপ্লে ফেস আইডি প্রযুক্তি। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, পুরোপুরি ‘নচ-ফ্রি’ বা পিনহোল-স্টাইল ডিজাইন সম্ভবত ২০২৬ সালের পরেই বাজারে আনবে অ্যাপল।
এবার ডিভাইসের ভেতরের প্রযুক্তিতেও বেশ বড়সড় পরিবর্তন আনছে অ্যাপল। নতুন আইফোন ১৮ প্রোতে থাকবে অ্যাপলের এ-২০ প্রো চিপ, যা তৈরি হচ্ছে টিএসএমসির উন্নত ৩ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি ও নতুন ‘চিপ-অন-ওয়েফার-অন-সাবস্ট্রেট’ (CoWoS) প্যাকেজিং ব্যবহার করে। এই চিপ মূলত শক্তি সাশ্রয় ও অন-ডিভাইস কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পারফরম্যান্স উন্নত করার দিকে জোর দেবে। একই সঙ্গে এতে থাকবে অ্যাপলের নিজস্ব সি-২ মডেম, যা দ্রুততর ডাউনলোড স্পিড, মিনিমাম-ফ্রিকুয়েন্সি ও কোয়ালকমের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
সবচেয়ে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে ক্যামেরায়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার অ্যাপল সনির পরিবর্তে স্যামসাংয়ের তৈরি নতুন তিন স্তরবিশিষ্ট সেন্সর ব্যবহার করবে, যা দ্রুততর রিডআউট, কম নয়েজ এবং উন্নত ডাইনামিক রেঞ্জ দেবে। পাশাপাশি, অ্যাপল পরীক্ষা করছে ডিএসএলআর-স্টাইলের ভ্যারিয়েবল অ্যাপারচার সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের হাতে থাকবে আলো নিয়ন্ত্রণের সুযোগ। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো ম্যানুয়াল কন্ট্রোল যুক্ত হতে পারে আইফোনের মূল ক্যামেরায়।
এ ছাড়া, নতুন আইফোনে থাকতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের স্যাটেলাইট সংযোগ সুবিধা, যা ভবিষ্যতে সেল টাওয়ার ছাড়াই ৫-জি ইন্টারনেট চালু করার পথ খুলে দিতে পারে। ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটনেও থাকবে পরিবর্তন। ধারণা করা হচ্ছে, আগের ক্যাপটিভ টাচ (capacitive touch) সিস্টেমের বদলে ব্যবহার করা হতে পারে প্রেসার-সেনসিটিভ বাটন।
এবার অ্যাপল তাদের প্রোডাক্ট লঞ্চ সূচিতেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একসঙ্গে উন্মোচিত হতে পারে আইফোন ১৮ প্রো সিরিজ ও বহু প্রতীক্ষিত ফোল্ডেবল আইফোন। অন্যদিকে, আইফোন ১৮ ও ১৮-ই মডেল বাজারে আসতে পারে ২০২৭ সালের মার্চ মাসে।

বহুল ব্যবহৃত মাইক্রোসফট সার্ভার সফটওয়্যারের একটি বড় ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা চালিয়েছে হ্যাকাররা। এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ও অঙ্গরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান এবং একটি এশীয় টেলিযোগাযোগ কোম্পানিসহ ১০০টি প্রতিষ্ঠানের
২২ জুলাই ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে একটি সমন্বিত ডেটা সুরক্ষা আইনের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগত উপাত্ত ফাঁস বা অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনি প্রতিকার পাওয়ার সুযোগকে সীমায়িত রেখেছিল। এই শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে সরকার। গত ৬ নভেম্বর এই অধ্যাদেশ গ্যাজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত উপাত্ত ব্যবস্থাপনা আইন’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ৬ নভেম্বর গেজেটটি প্রকাশিত হয়। প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শনিবার দিবাগত রাতে তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এসব কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ইন্টারনেট সেবা প্রদান (আইএসপি) ব্যবসায়িক খাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডিডস (DDos) আক্রমণ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা।
৮ ঘণ্টা আগে