Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

‘আমি তৈরি হচ্ছি সব ফরম্যাটের জন্য’

‘আমি তৈরি হচ্ছি সব ফরম্যাটের জন্য’

৬ ইনিংসে ৯৮.৪০ গড়ে করেছেন ৪৯২ রান, টানা তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটি—পরিসংখ্যানই বলছে, এবারের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) জাকের আলী অনিক কতটা দুর্দান্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অসাধারণ হলেও তাঁর দল মধ্যাঞ্চল ফাইনালে হেরে যায় দক্ষিণাঞ্চলের কাছে। তবু এই বিসিএল বিশেষ হয়ে থাকছে জাকেরের কাছে। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিন ম্যাচে, সর্বোচ্চ রান করে হলেন টুর্নামেন্টসেরাও। গতকাল আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্যাঞ্চলের এই ক্রিকেটার জানালেন নিজের পারফরম্যান্স ও ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে। 

লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬: ০৭

প্রশ্ন: প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৮ ম্যাচ খেলে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না, এরপরই টানা তিন সেঞ্চুরি—এই পরিবর্তনের রহস্য কী?

জাকের আলী: পরিবর্তনটা আসলে অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিলাম সেঞ্চুরি করতে, বড় রান করতে। ফিফটি পাচ্ছিলাম (১৪-১৫টা) নিয়মিতই। গত কিছুদিনে কাজ করছিলাম বিশেষ করে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলা ও বাংলা টাইগার্সের সঙ্গে অনুশীলনে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেললে সাহসটা এমনিই বেড়ে যায়। ভারতের ‘এ’ দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলেছি। উমেশ যাদবের মতো বোলারের বিপক্ষে খেলেছিলাম। এভাবেই হয়েছে।

প্রশ্ন: বিপিএলে ছোট ছোট কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন, আন্তর্জাতিক (রাসেল-রিজওয়ানদের) ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী?

জাকের: এবারের বিপিএল আমার কাছে অন্য রকম ছিল। অনেক কিছু শিখেছি। ছোট ছোট ইনিংস ছিল, আমার যে ভূমিকা ছিল, কম বলে বেশি রান করা। রিজওয়ান ভাই আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। কিছু টিপস দিয়েছেন। ক্রিকেট, ব্যক্তিগত জীবন—সব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা ফাইনাল খেলেছি। পুরো টুর্নামেন্টে চাপ নিতে শিখেছি। যেটা বিসিএলে আমাকে পরে সহায়তা করেছে। আসলে এ বিষয়গুলো অনেক এগিয়ে দেয়।

প্রশ্ন: ফিনিশার রোল বা ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিং করেছেন, পাওয়ার হিটিং নিয়ে কি বিশেষ কাজ করেছেন?

জাকের: হ্যাঁ, করেছি। বিপিএল শুরুর আগে থেকেই সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি নিজেও কাজ করেছি। যেখানে মনে হচ্ছে, নিজেকে আরেকটু প্রস্তুত করা প্রয়োজন। এখন তো শুধু টেস্ট নয়, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্যও প্রস্তুত হতে হবে। সেভাবেই চেষ্টা করছি, পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করছি।

প্রশ্ন: বিসিএলের ফাইনালে কিপিং থেকে বেরিয়ে এসে এনামুল হক বিজয় আপনাকে বোল্ড করলেন, আপনার উইকেট তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একজন খণ্ডকালীন বোলারের বলে আউট হয়ে কি আফসোস হচ্ছিল?

জাকের: এটা তেমন কিছু না। যখন আউট করতে পারছিল না তারা, এর একটু আগে উইকেটকিপিং থেকে বেরিয়ে আসেন বিজয় ভাই। আমাদের ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল, চেষ্টা করছিলাম বাউন্ডারি মারতে। তখন বোল্ড হয়ে যাই, মারার চেষ্টা করছিলাম। এটা ক্রিকেট, যে কেউ আউট করতে পারে।

প্রশ্ন: নিজে দুর্দান্ত খেলেছেন কিন্তু দল জিততে পারেনি, নিশ্চয়ই আফসোস কাজ করছে?

জাকের: অবশ্যই, খারাপ লাগা তো কাজ করে। ভালো খেলেই তো ফাইনাল পর্যন্ত এসেছিলাম আমরা। অপ্রত্যাশিতভাবে ফাইনালটাই আমাদের খারাপ হয়ে যায়। ব্যাটিং ওভাবে ভালো হয়নি কারও। চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমার ইনিংসও বড় হয়নি।

প্রশ্ন: নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?

জাকের: ভালো। আমি মনে করি, এই ইনিংসগুলো সামনে আমাকে আরও ভালো করতে সহায়তা করবে, বড় ইনিংস খেলতে সহায়তা করবে। অনেক দিন ধরেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বড় রান করার চেষ্টা করেছি। টানা সেঞ্চুরি করেছি। এতে ভালো লাগছে।

প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে অসাধারণ খেললেন। আর সব ক্রিকেটারের মতো নিশ্চয়ই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটাও উঁকি দিতে শুরু করেছে মনে?

জাকের: জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন সবাই বোনে। সবারই লক্ষ্য থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার। এটা নির্বাচকদের ওপর নির্ভর করবে, আমাকে কখন নেবে, কোন পজিশনে খেলাবে, কোন ফরম্যাটে খেলাবে। কিন্তু আমি তৈরি হচ্ছি সব ফরম্যাটের জন্য। যখনই সুযোগ আসে যেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারি।

প্রশ্ন: আপনি কোন পজিশনে ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন?

জাকের: এটা আসলে নির্ভর করে সাদা বলের ওয়ানডে নাকি টি-টোয়েন্টি। আমি টেস্টে (প্রথম শ্রেণি) সাধারণত পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেভাবে নির্ধারিত পজিশন নেই। সব পজিশনেই খেলি। এটা আসলে উপভোগ করি, আমাকে দলের প্রয়োজনে একেক জায়গায় খেলানো হয়।

প্রশ্ন: মাঝে দুটো বছর ক্রিকেটেই দেখা যায়নি আপনাকে। এর পেছনে কারণ কী ছিল? 

জাকের: মাঝে দুই বছর আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। বাবার মৃত্যুর পর এক বছর হারিয়ে ফেলি। তিনটা বছর প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।

প্রশ্ন: ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে পরিবারের সমর্থন কেমন ছিল? 

জাকের: ২০০৭ সাল থেকে আমি ক্রিকেট শুরু করি, তখন থেকে যে সমর্থন দিয়ে এসেছে, সেটা প্রকাশ করার মতো না। 

প্রশ্ন: আপনার ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে নির্দিষ্টভাবে সবচেয়ে অবদান বেশি ছিল কার?

জাকের: আমার মা। বড় ভাই-বোন। আমার বড় ভাইও ক্রিকেটার ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় ক্রিকেট খেলতেন। আমি যে সমর্থন পেয়েছি, সেটা যদি বড় ভাই পেতেন আরও ভালো কিছু করতে পারতেন। 

প্রশ্ন: আপনার প্রিয় ক্রিকেটার কে?

জাকের: মুশফিকুর রহিম ভাই আমার আদর্শ। আমিও বিকেএসপি থেকে এসেছি। তাঁর সবকিছুই আমার ভালো লাগে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানকে উড়িয়ে সবার আগে সেমিফাইনালে ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর মেজর টুর্নামেন্টগুলোতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচগুলোতে একটা দৃশ্য খুবই পরিচিত। টসের সময় কোনো অধিনায়কই অপরজনের সঙ্গে করমর্দন করবেন না। এমনকি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ‘হাইপ’ থাকে, মাঠে ছিটেফোঁটাও দেখা যায় না।

বাংলাদেশ সময় আজ নির্ধারিত সকাল ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির বাগড়ায় ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচ এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১ ওভার কমানো হয়েছে। দুবাইয়ে আইসিসি ক্রিকেট একাডেমি মাঠে ৪৯ ওভারের ম্যাচে ভারত ৯০ রানের উড়ন্ত জয় পেয়েছে। টানা দুই জয়ে যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি।

৪৯ ওভারে ২৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০ রানে পরিণত হয় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৬৫ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন ফারহান ইউসাফ ও হুজাইফা হাসান। পাকিস্তানের ইনিংসে এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ২৪তম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক ফারহানকে (২৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বৈভব সূর্যবংশী।

একপ্রান্ত আগলে রাখা হুজাইফা সতীর্থদের কাছ থেকে কোনো সমর্থন পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ১৫০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন হুজাইফা। ৮৩ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ১২ রানে পাকিস্তান হারিয়েছে শেষ ৩ উইকেট। ৪২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আলী রাজাকে (৬) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন কিশান সিং। কিশান পেয়েছেন ২ উইকেট। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপেশ দেবেন্দ্রন ও কনিষ্ক চৌহান।

টস হেরে আগে ব্যাটিং পেলেও ভারত ৪৯ ওভার খেলতে পারেনি। ৪৬.১ ওভারে ২৪০ রানে গুটিয়ে গেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন অ্যারন জর্জ। ৮৮ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কা। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন চৌহান। ৪৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেছেন ৪৬ রান। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুদ্ধিজীবী দিবসে সাকিব-লিটনদের শ্রদ্ধা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ১৪
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাকিব-লিটন। ছবি: ফাইল ছবি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সাকিব-লিটন। ছবি: ফাইল ছবি

ডিসেম্বর মানেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিজয়ের আরেক নাম। যখন বিজয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ, তখন ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। ১৪ ডিসেম্বর দেশের চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিল তারা।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার প্রাক্কালে পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর এই দিনটাকে (১৪ ডিসেম্বর) প্রতি বছর বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে। ৫৪ বছর আগের ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সামাজিক মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরা। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ সাকিব লিখেছেন, ‘১৪ই ডিসেম্বর মহান বুদ্ধিজীবী দিবস। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা। যাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’ লিটন নিজের ফেসবুকে রায়েরবাজার বধ্যভূমির ছবি ফটোকার্ড হিসেবে পোস্ট করেছেন। ছবির ওপর লেখা, ‘যাঁদের কণ্ঠ থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মৃত্যু কি আর তাদের চিন্তা থামিয়ে দিতে পারে? সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা।’ ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।’

মুক্তিযুদ্ধকে স্মরণ করে পরশু সামাজিক মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তানজিম সাকিব লিখেছিলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গর্ববোধ করি। যাদের ছিলো না ট্রেনিং, যারা প্রশিক্ষিত ছিলেন না, কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে জানতেন না, তারপরও দেশের টানে মাটির টানে পাক হানাদার প্রশিক্ষিত আর্মিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। যারা আমদের ভীতু জাতি থেকে সাহসী জাতি করেছিলেন যাদের কারণে আমি আজ বাংলাদেশের পতাকা বিশ্বের বুকে ক্রিকেটের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারছি, তাদের নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। বাংলাদেশের প্রকৃত হিরো প্রকৃত সেলিব্রিটি আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ সাকিব আল হাসান খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে না খেললেও বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন তিনি। আর লিটন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হয়েছেন এ বছরের মে মাসে। তাঁর নেতৃত্বে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। এবারের বিপিএলেও নেই সাকিব। আর বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘আপনারা সব সময় আমাদের ভুল ধরেন, আপনাদেরও ভুল ধরার চেষ্টা করব’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৩
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হাসান সোহান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হাসান সোহান। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিকদের সঙ্গে আজ বেশ মজাই করেছেন নুরুল হাসান সোহান। মজার ছলে এমন উত্তর দিয়েছেন, অলিম্পিক ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সংবাদ সম্মেলনে হাসির রোল পড়ে গেছে। সোহান এবার সাংবাদিকদের ভুল ধরার অপেক্ষায় আছেন।

কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলের বিএসজেএ মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্ট। সাংবাদিকদের নিয়ে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের লটারির অনুষ্ঠান হয়েছে আজ অলিম্পিক ভবনে বিএসজেএ’র সংবাদ সম্মেলনে। মিডিয়া কাপ টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উঠতেই সোহান যে উত্তর দিয়েছেন, তাতে উপস্থিত সাংবাদিকেরা বেশ মজা পেয়েছেন। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘চেষ্টা করব যাতে মাঠে এসে আপনাদের খেলা দেখতে পারি। কারণ, আপনারা আমাদের সবসময় ভুল ধরেন। একটু আপনাদেরও ভুল ধরার চেষ্টা করব। তো এটা হলে অবশ্যই ভালো লাগবে মাঠে এসে খেলা দেখতে পারলে। একই সঙ্গে আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো একটা উদ্যোগ। যত খেলা হবে এবং আমার কাছে মনে হয় যে খেলার ভেতরে থাকলে আমাদের সবার আসলে মানে মন থেকেও খুশি লাগে। তো আমার কাছে মনে হয় যে এমন উদ্যোগ আরও বেশি দেখতে পাব ইনশা আল্লাহ।’

২ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে বাংলাদেশের এ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ততা শেষ হয়েছে। এ বছর তিন সংস্করণ মিলে বাংলাদেশ খেলেছে ৪৭ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল), জাতীয় ক্রিকেট লিগেও (এনসিএল) ব্যস্ত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান-লিটন দাসরা। ২৬ ডিসেম্বর বিপিএল শুরুর আগে যে ক্যাম্পটা এখন চলছে, সেখানে ক্রিকেটারদের স্কিল নিয়ে অনেক কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সোহান। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক ব্যস্ত সূচি ছিল। এ ধরনের ক্যাম্প করার সুযোগ ছিল না। গত ৭-৮ দিন ধরে যে কাজটা আমরা করছি, সেটা অনেক উপকার করবে। বিপিএলের আগে এটুকু সময়ই আছে। বিপিএল শেষ হতে না হতেই বিশ্বকাপ। সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবে। যেসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে, স্কিল ক্যাম্পে সেগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।’

মিরপুরের ‘ধানখেতের উইকেট’ নিয়ে সমালোচনা তো নতুন কিছু নয়। অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় মিরপুরের উইকেটকে খোঁচা মেরেছিলেন আকিল হোসেন। এবারের বিপিএলে মাত্র ১০ ম্যাচ রাখা হয়েছে মিরপুরে। বাকি ২৪ ম্যাচ হবে চট্টগ্রাম ও সিলেটে। এবারের বিপিএলেও ভালো উইকেট হবে বলে আশা সোহানের, ‘গত বছর ভালো ছিল উইকেট। বিসিবিও ভালো উইকেট তৈরি করতে চায়। অনেক বেশি খেলা থাকলে বা আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ভালো উইকেট বানানো কঠিন হয়ে যায়। তবে আমার কাছে মনে হয় ভালোই থাকবে উইকেট।’

সরাসরি চুক্তিতে সোহান ও মোস্তাফিজুর রহমানের মতো দুই স্থানীয় ক্রিকেটারকে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। নিলাম থেকে তাওহীদ হৃদয়কে নেওয়া হয়েছে ৯২ লাখ টাকায়। নাহিদ রানা ও লিটন দাসকে ৪২ লাখ ও ৭০ লাখ টাকায় নেওয়া হয়েছে। একঝাঁক তারকা ক্রিকেটার থাকলেই মাঠের পারফরম্যান্সে একটা দল চমকে দেবে, সেটা মনে করেন না সোহান। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ‘বড় নাম দিয়ে কিছু হবে না। মাঠে পারফর্ম করতে হবে। সব সময় ভালো দল করে রংপুর। ফাইনাল খেলতে চেষ্টা করে। সবগুলো দলই ভালো হয়েছে। টুর্নামেন্টও ভালো হবে।’

২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ১২তম বিপিএল। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট শেষ না হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লিটন-সোহানদের। ভারত-শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ৮ মার্চ সেটা হবে শ্রীলঙ্কায়। অন্যথায় ৮ মার্চ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হবে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির ‘আচরণে’ ক্ষুব্ধ তামিম

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩৫
বিসিবির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম ইকবাল। ছবি: ফাইল ছবি
বিসিবির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন তামিম ইকবাল। ছবি: ফাইল ছবি

নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে আজ শুরু হলো প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। ঘরোয়া ক্রিকেটের এই টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যা যা ঘটল, সেটা মেনে নিতে পারছেন না তামিম ইকবাল। সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর আগে গতকাল একই দিনে দুই রকম দৃশ্য দেখা গেল। প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে অংশ নেওয়া ক্লাবের প্রতিনিধিরা বিসিবি একাডেমি ভবনের সামনে অংশ নিলেন ট্রফি উন্মোচনে। অন্য দিকে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ক্রিকেটাররা ছিলেন আন্দোলনে ব্যস্ত। ২০ দলের মধ্যে শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ১২ দল। গতকালের এই ঘটনা নিয়ে আজ নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার ক্রিকেটাররা। অথচ গতকাল অনেক ক্রিকেটারকে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন ডিভিশনের অনেক ক্রিকেটার বিসিবিতে তাদের দাবি জানাতে গিয়েছিলেন, যেটি তাদের অধিকার, এবং যার যৌক্তিক কারণও আছে। অথচ সেই ক্রিকেটারদের গেটের বাইরে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে যদিও একটি প্রতিনিধি দলকে ভেতরে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা দুঃখজনক। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি এর প্রতিবাদ জানিয়ে রাখলাম।’

১২ দল নিয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ হচ্ছে দেখে সন্তুষ্ট বিসিবির ঢাকা মহানগর ক্লাব কমিটির (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান দীপন। তবে লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই দীপনের কাছে। গতকাল সিসিডিএম চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘আগামীকাল (আজ) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছি। (৮টি ক্লাব) হয়তো আসতে পারে। হয়তো না। অফিশিয়ালি সিসিডিএমকে তারা চিঠি দেয়নি। একটা উকিল নোটিশ দিয়েছে বোর্ডকে। সিসিডিএমের আইন কী বলে? এখানে ৪৪টি ক্লাবের কথা বলা হচ্ছে, সিসিডিএমকে চিঠি দেয়নি। আমরা ধরে নিতে পারব না ওরা খেলবে কি খেলবে না।’

সূচি অনুযায়ী পাঁচ মাঠে ১০ দলের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ রাখা হয়েছে। কোনো দল না খেলতে এলে তাদের প্রতিপক্ষকে ‘ওয়াকওভার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিসিবির। তামিম ওল্ড ডিওএইচএস দলের কাউন্সিলর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত