নাজিম আল শমষের
‘লাঠিখেলা’ নামটার সঙ্গে পরিচয় আছে আপনার? বর্তমান প্রজন্মের কাছ থেকে ‘না’ শোনার সম্ভাবনাই বেশি। ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যে খেলা, আজ তার নাম জাদুঘরে ঠাঁই হওয়ার পথে!
লাঠিখেলার তবু ঐতিহ্য আছে। বিভিন্ন পালা-পার্বণে নিজেদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন বর্ষীয়ান লাঠিয়ালেরা। গোল্লাছুট, বউচি, দাঁড়িয়াবান্ধার মতো খেলাগুলো আবার ঐতিহ্য হারিয়ে মুছে যেতেই বসেছে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে।
১০টি গ্রামীণ খেলাকে বিলুপ্তপ্রায় চিহ্নিত করে ২০১৮ সালে আবির্ভাব ঘটে কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশনের। সে বছরই ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অ্যাসোসিয়েশনটিকে অধিভুক্ত করে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছিল।
২০১৭ থেকে টানা দুই বছর বৈশাখের প্রথম দিনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন হলেও করোনা মহামারিতে খোদ অ্যাসোসিয়েশনই ধুঁকছে। হা–ডু–ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, বউচি, সাতচারা, নৌকাবাইচ, কানামাছি, মোরগলড়াই, লাটিমখেলা, বস্তা দৌড়, ষোলোঘুঁটি, পাঁচঘুুঁটি—এই ১০ খেলার অস্তিত্ব সংকটজনক বলে চিহ্নিত করেছিল কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশন। মাঠ সংকটের পাশাপাশি কিশোরদের মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোনে আসক্তিও গ্রামীণ খেলাগুলো হারিয়ে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ। ভুলতে বসা পরিচিত নির্বাচিত খেলাগুলোই আবারও মনে করিয়ে দেওয়া—
দাঁড়িয়াবান্ধা: দাগ কাটা কোর্টে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখাই এই খেলার আসল চ্যালেঞ্জ। একজন খেলোয়াড় চেষ্টা করে অন্য দলের খেলোয়াড় যেন আরেক কোর্টে পৌঁছাতে না পারে।
গোল্লাছুট: এই খেলায় দুটি দল থাকে। মাটিতে এক জায়গায় গর্ত করে একটি লাঠি পুঁতে তাকে কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়, এই লাঠিকে কেন্দ্র করে বৃত্ত তৈরি করে ২৫–৩০ ফুট দূরে আরও একটি রেখা টেনে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। খেলার শুরুতে নির্ধারণ করা হয় প্রথম দুজন দলপতি। গোল্লা বলা হয় দলপতিদের।
বউচি: এ খেলায় দুটি দলের প্রয়োজন হয়। প্রতি দলে ৮ থেকে ১০ জন করে খেলোয়াড় হলে খেলা জমে ওঠে। মাঠ অথবা বাড়ির উঠোন, যেখানে খুশি সেখানে এই খেলা যায়।
কানামাছি: ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পাবি তারে ছোঁ’— এই বুলি বলতে বলতে একজনের চোখে কাপড় বেঁধে বলতে হয় বাকিদের ছুঁতে। যে আটকা পড়বে সেই হবে কানা।
মোরগলড়াই: একটা সময়ে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিয়মিত হতো এই খেলা। এক হাতে হাঁটু ভেঙে হাত দিয়ে ধরে চেষ্টা করা হয় প্রতিপক্ষকে কুপোকাতের। শেষ পর্যন্ত যে টিকে থাকবে, সেই হয় জয়ী।
‘লাঠিখেলা’ নামটার সঙ্গে পরিচয় আছে আপনার? বর্তমান প্রজন্মের কাছ থেকে ‘না’ শোনার সম্ভাবনাই বেশি। ব্রিটিশ আমলে উপমহাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে যে খেলা, আজ তার নাম জাদুঘরে ঠাঁই হওয়ার পথে!
লাঠিখেলার তবু ঐতিহ্য আছে। বিভিন্ন পালা-পার্বণে নিজেদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস মনে করিয়ে দেন বর্ষীয়ান লাঠিয়ালেরা। গোল্লাছুট, বউচি, দাঁড়িয়াবান্ধার মতো খেলাগুলো আবার ঐতিহ্য হারিয়ে মুছে যেতেই বসেছে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে।
১০টি গ্রামীণ খেলাকে বিলুপ্তপ্রায় চিহ্নিত করে ২০১৮ সালে আবির্ভাব ঘটে কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশনের। সে বছরই ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় অ্যাসোসিয়েশনটিকে অধিভুক্ত করে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছিল।
২০১৭ থেকে টানা দুই বছর বৈশাখের প্রথম দিনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন হলেও করোনা মহামারিতে খোদ অ্যাসোসিয়েশনই ধুঁকছে। হা–ডু–ডু, দাঁড়িয়াবান্ধা, গোল্লাছুট, বউচি, সাতচারা, নৌকাবাইচ, কানামাছি, মোরগলড়াই, লাটিমখেলা, বস্তা দৌড়, ষোলোঘুঁটি, পাঁচঘুুঁটি—এই ১০ খেলার অস্তিত্ব সংকটজনক বলে চিহ্নিত করেছিল কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশন। মাঠ সংকটের পাশাপাশি কিশোরদের মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোনে আসক্তিও গ্রামীণ খেলাগুলো হারিয়ে যাওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণ। ভুলতে বসা পরিচিত নির্বাচিত খেলাগুলোই আবারও মনে করিয়ে দেওয়া—
দাঁড়িয়াবান্ধা: দাগ কাটা কোর্টে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখাই এই খেলার আসল চ্যালেঞ্জ। একজন খেলোয়াড় চেষ্টা করে অন্য দলের খেলোয়াড় যেন আরেক কোর্টে পৌঁছাতে না পারে।
গোল্লাছুট: এই খেলায় দুটি দল থাকে। মাটিতে এক জায়গায় গর্ত করে একটি লাঠি পুঁতে তাকে কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয়, এই লাঠিকে কেন্দ্র করে বৃত্ত তৈরি করে ২৫–৩০ ফুট দূরে আরও একটি রেখা টেনে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। খেলার শুরুতে নির্ধারণ করা হয় প্রথম দুজন দলপতি। গোল্লা বলা হয় দলপতিদের।
বউচি: এ খেলায় দুটি দলের প্রয়োজন হয়। প্রতি দলে ৮ থেকে ১০ জন করে খেলোয়াড় হলে খেলা জমে ওঠে। মাঠ অথবা বাড়ির উঠোন, যেখানে খুশি সেখানে এই খেলা যায়।
কানামাছি: ‘কানামাছি ভোঁ ভোঁ, যারে পাবি তারে ছোঁ’— এই বুলি বলতে বলতে একজনের চোখে কাপড় বেঁধে বলতে হয় বাকিদের ছুঁতে। যে আটকা পড়বে সেই হবে কানা।
মোরগলড়াই: একটা সময়ে স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিয়মিত হতো এই খেলা। এক হাতে হাঁটু ভেঙে হাত দিয়ে ধরে চেষ্টা করা হয় প্রতিপক্ষকে কুপোকাতের। শেষ পর্যন্ত যে টিকে থাকবে, সেই হয় জয়ী।
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। নির্বাচিত হয়ে আজ সংবাদ সম্মলেন তিনি জানান, এখন থেকে বিসিবির বোর্ড সভায় মোবাইল নিষিদ্ধ।
৬ ঘণ্টা আগেহোটেল সোনারগাঁয়ে নির্বাচন শেষে আজ সোমবার রাত ৯টায় জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল ইসলাম বুলবুল এসেছেন টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচিত সভাপতি হয়ে। তাঁর পাশে বসা আরেক সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। খেলোয়াড়িজীবনে একে অন্যের অধীনে কত ম্যাচই তো খেলেছেন দুজন...
৭ ঘণ্টা আগেগত মে মাসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এবারও তাঁর সভাপতি হওয়া ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। আজ বিসিবি নির্বাচন শেষে ফের সভাপতি হলেন বুলবুল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সহ–সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ফারুক আহমেদ ও সাখাওয়াত হোসেন।
৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের নাম নিচে দেওয়া হলো—
১০ ঘণ্টা আগে